নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রোদের ফোঁটা

আমি সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে একজন ...

রোদের ফোঁটা

আমি সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে একজন ...

রোদের ফোঁটা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেনামাযীর সঠিক সংজ্ঞা: ১টি প্রচলিত ভুল ধারণার নিরসন

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০২

বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম।



আল্লাহ তা'আলা প্রত্যেক মুসলমানের উপর দৈনিক ৫ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। একজন মুসলমানের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল এই ৫ ওয়াক্ত সালাত যথাসময়ে আদায় করা। কিন্তু আজকাল অধিকাংশ মুসলামানই তাদের এই দায়িত্ব সম্পর্কে উদাসীন। বেনামাযীর সংখ্যা বেশী হওয়ার একটি কারণ হল এর সংজ্ঞা সম্পর্কে অস্পষ্টতা। আর এই অস্পষ্টতা জনসাধারণ তো দূরের কথা, অনেক আলেমগণের নিকটেই বিদ্যমান।



বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের একজন বিশিষ্ট অধ্যাপকের জরিপে দেখা যায়, বাংলাদেশে ৫ ওয়াক্ত নামাযী ব্যক্তির সংখ্যা শতকরা ২ জন (মাত্র)। বাকী ৯৮ শতাংশের মাঝে কেউ কেউ মনে করেন, কোন নামায না পড়ে বছরে ২ ঈদের নামায পড়লেও নামাযীদের অন্তর্ভুক্ত থাকা যায়। আবার কেউ কেউ মনে করেন, প্রতি সপ্তাহের শেষে শুধু জুম'আর নামায পড়লেও নামাযীদের মধ্যে গণ্য হবে। আবার অনেকেই ভাবেন, দৈনিক ৫ ওয়াক্তের মাঝে ১/২/৩/৪ ওয়াক্ত পড়লেও নামাযী হওয়া যায়।



মুলত: এই ৯৮ শতাংশের প্রত্যেকেই পাক্কা বেনামাযী। শুধু শ্রমেই এক শ্রেণী থেকে আরেক শ্রেণীর পার্থক্য। কেউ কম শ্রম দিয়ে বেনামাযী, আবার কেউ বেশী শ্রম দিয়েও বেনামাযী।



এর কারণ কি?



যে কোন ইবাদাত ও আমল নির্দিষ্ট ও স্থির কোন সংখ্যা বিজড়িত হলে সেই সংখ্যা পূর্ণ করা না হলে ঐ আমলটি বিন্দুমাত্রও গণ্য হবে না। আবার ঐ সংখ্যার বেশী করা হলেও বিন্দুমাত্র গণ্য হবে না। উদাহরণ সমূহ:



১। যোহরের ফরয সলাতের ৪ রাকআতের ১ রাকআত ইচ্ছাকৃত ভাবে বাদ দিয়ে সালাম ফিরালে ৩ রাকআতও বিফলে যাবে। যোহরের কিছু অংশ বা অধিকাংশ আদায় হয়েছে বলা যাবে না।



২। ২ টি সাজদার ১ টি কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে বাদ দিলে ৪ রাকআত বিশিষ্ট পুরো সলাতই ব্যর্থ হয়ে যাবে।



৩। কা'বা শরীফের ৭ ত্বওয়াফের ১ টি ইচ্ছাকৃত ভাবে বাদ দিলে ১ ত্বওয়াফও গণ্য হবে না।



৪। সাফা মারওয়ার ৭ চক্করের ১ চক্কর ইচ্ছাকৃত ভাবে বাদ দিলে ১ চক্করও গণ্য হবে না।



অনুরুপভাবে কেউ যদি ৫ ওয়াক্ত ফরয সলাতের ভিতর ১ ওয়াক্ত ইচ্ছাকৃত ভাবে বাদ দেয় এবং পরবর্তীতে তওবা সহ ক্বাযা আদায় না করে তাহলে ঐ দিনের ১ ওয়াক্ত সলাতও গণ্য হবে না। অর্থ্যাৎ ৪ ওয়াক্তই বরবাদ হয়ে যাবে।



তাই আসুন আমরা সবাই ৫ ওয়াক্ত নামায যথাসময়ে আদায় করে নামাযী হওয়ার চেষ্টা করি। কারণ, কুরআন ও সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত, বেনামাযী মুসলিম থাকতে পারে না ( আরো জানতে দেখুন, বেনামাযী কি মুসিলম থাকতে পারে? )। আর অমুসলিম হয়ে মৃত্যুবরণ করার পরিণাম চিরস্থায়ী জাহান্নাম।



আল্লাহ আমাদের সবাইকে হক্ব কথা মানার ও বলার তওফীক্ব দিক। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ৫ ওয়াক্ত নামাযী হওয়ার তওফীক্ব দিক। আমীন!!!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.