![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাবা, আমি তোমাকে শিখিয়েছি, কিভাবে প্রজাপতির মত উড়তে হয়। বদ্ধ পুকুরে কিভাবে ছোট্ট হাতে কঙ্কর চালতে হয়। কিভাবে বড়দের শ্রদ্ধা করতে হয়। বাবার কোলে বসে কিভাবে চুপিচুপি গল্প শুনতে হয়। বাবার হাত ধরে কেমনে ছোট্ট পায়ে রাস্তার ধারে হাটতে হয়। তুমি আমাকে ব্যাকুল চোখে তালাশ করছো কিন্তু পাচ্ছো না। বাবা তোমার হতভাগা পিতাকে মাফ করে দিও। তোমাকে আমাকে নিয়ে একটি সুন্দর স্বপ্ন গড়ব বলেই এই দুরে পালিয়ে থাকা।
এই মাত্র ধরণীর বুকে পা রাখল একটি নবজাতক। মায়ের উষ্ণ কোলের বদলে তার ঠাই হলো ডাস্টবিন। মৃত্যু কামড়ে খেয়ে নিলো নরম তুলতুলে শরীর। নবজাতকের হত্যা এবং ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়ার মধ্যেই প্রমাণিত যে, আমাদের এই সমাজ কতটা বিষাক্রান্ত।
আঁখি মেলে জগত দেখার আগেই অনেক নবজাতক হত্যার শিকার হচ্ছে।
প্রায়শই পত্রিকার পাতা এবং অনলাইন মিডিয়ায় দেখা যায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার হচ্ছে পরিচয়হীন নবজাতক।
এসব নবজাতকের কারো মোলায়েম শরীরে থাকে প্রাণের মৃদু স্পন্দন। জানান দেয় আমি এ ভবে বাচতে চায়।
আবার কোনোটি পড়ে থাকে প্রাণহীন। ডাস্টবিনে, জঙ্গলে ফেলার পর কুকুর, পিঁপড়া তাদের ওপর হামলে পড়ে। জন্মই যেন ওদের ‘আজন্ম পাপ’।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দেওয়া তথ্য মতে, মাসে অন্তত সাত-আটটি নবজাতকের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। তাদের বেশির ভাগ কন্যাসন্তান।
আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের দেওয়া তথ্য মতে, বছরে গড়ে রাজধানীতে ১০০ পরিচয়হীন নবজাতকের লাশ দাফন করা হয়। ময়নাতদন্তের পর এর অধিকাংশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে দেওয়া হয়।
অনেককে জন্মের পরপরই ডাস্টবিনে, জঙ্গলে, ময়লার স্তূপে, হাসপাতালের আঙিনায়, বাস ও রেলস্টেশনের পাশে ফেলে রাখা হয়।
বাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণে কোনো নারী সন্তানসম্ভবা হলে লোকলজ্জার কারণে গর্ভপাত ঘটানো হয়। অনেক ক্ষেত্রে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে কোনো নারী সন্তানসম্ভবা হলে ভ্রূণ হত্যা করে।
নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অনেক পুরুষ দৈহিক সম্পর্কে জড়ান। ওই নারী সন্তানসম্ভবা হলে তাকে মেনে নেন না বা অনেকে পালিয়ে যান। পরে বাধ্য হয়ে ওই নারীকে গর্ভপাত ঘটাতে হয়। নবজাতক কন্যা হলে তাকে হত্যা করার ঘটনা ঘটছে।
আমার একটা জিনিস মাথায় আসে না যে, একটা বেবি দীর্ঘ দশ মাস দশ দিন পেটে রাখতে পারে। অথচ জন্মের পর কি এমন সমস্যা যে তাকে ডাস্টবিনে ফেলাতে হয়
সবার আগে বলব, এমন কোনো অনৈতিক সম্পর্কে আমরা না জড়ায় যেনো এ রকম দুর্ঘটনা না ঘটে।
একটা কনডমের কতই বা দাম! আর এতটা অসচেতন হলে যৌনতারও বা প্রয়োজন কি!!
তবে যখন হয়েও গেলো তখন এই বাবুকে কেনো ডাস্টবিনে যেতে হবে!
এ দেশে এমন অনেক দম্পতি আছে যারা একটা বাবুর জন্য কত দিন-রাতকে জীবনের অভিশাপ মনে করে। তাদের তো দেওয়া যেতে পারে।
অথবা যে সম্বলটা দশমাস পেটে ছিলো তাকে চিরকালীন সম্পদ করে নিলে কি এমন ক্ষতি হবে।
এই সমাজ এ দেশ অথবা এ মানবের ভয়ে নিজের রক্তকে ডাস্টবিনের পোকা মাকড়ে খাবে?
এতটা ঘৃণ্য এই নারী এই পুরুষ! যারা সামান্য একটু সময়ের যৌন সূখ মেটাতে এরকম মৃত পৃথিবী জন্ম দেয়।
এদের ধ্বংস হোক! এই সমাজের ধ্বংস হোক!
প্রতিটি নবজাতকের ঠাই মায়ের উষ্ণ কোলে হোক।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:১৯
আধার আমি বলেছেন: এ সমাজ কবে ভালো হবে বুঝি না।
২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:২৬
সজিব হাওলাদার বলেছেন: আধুনিকতা আর মুক্তচিন্তার ফসল।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:২৮
আধার আমি বলেছেন: এ সব মুক্ত চিন্তার নিকুচি করি । এভাবে সমাজ কেমনে যেনো ধ্বংস হয়ে গেলো।
৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৪৪
মিউজিক রাসেল বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন, +++ চলুন আমরা সবাই একসাথে বলি-
"এদের ধ্বংস হোক! এই সমাজের ধ্বংস হোক!
প্রতিটি নবজাতকের ঠাই মায়ের উষ্ণ কোলে হোক। ""
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:০০
আধার আমি বলেছেন: ধ্বংস হোক!!!!!!!!!!
৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৪৮
Rezwan Ahmed Mohsin বলেছেন: এরা ধ্বংস হোক!
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:০১
আধার আমি বলেছেন: ধ্বংস হোক।
৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:৩০
বিপরীত বাক বলেছেন: পরিচয় নিয়ে প্রশ্নের ঝড়,,,,
এলোমেলো হল যখন।।
রক্তমাখা উৎস খুজতে,,,,
হয়রান একজন।।।
সচেতনতার এই সমাজে,,,,
ভালোবাসার মুল্য দিতে।।
নষ্ট বীর্য যার জঠরে,,,,,,
জন্ম দিয়েছে তারে।।।।।।।
লজ্জা লুকোতে,,
এই পৃথিবী তে।।
সমাজের কাছে সতী বনে যেতে।।
সেই শিশুটাকে ফেলে দেয়া হলো,,
আবর্জনার ময়লা চাদরে।।।।।।।।।।
চিন্তামুক্ত মেয়ের বাবা মা,,,
বিয়ের পাত্র খোজে।।
সেই শিশুটি পরিণত হয়।।
জারজ সন্তানে।।।।।।।।।।
বলি সেসব বাবা আর মা'কে,,,
ঠিকানা তো নেই যাদের।।
ক্ষণিকের সুখের আশা নিতে,,,
সাবধানতা আনেন।।।।।।।
একজন জারজ সন্তান,, ।
একজন জারজ সন্তান।।
রক্তের উৎস খুজছে,,,।।। হা হা হা হাহাহ।।।
----------------------------------
অ্যালবাম: তবুও
ব্যান্ড : এল আর বি
গীতিকার সুরকার : আইয়ুব বাচ্চু
সাল:: ১৯৯৩ অথবা ১৯৯৪
আমাদের বাচ্চু ভাই কতটা অ্যাডভান্সড ছিলো যে সেইসময়ে এরকম একটা গান লিখে গেয়েছিল।। আমি যখন সাতমসজিদ রোডে সন্ধ্যায় কোনদিন রিকশায় চিৎকার করে এই গানটা গাইতাম লোকজন ভাবতো কি নোংরা গান গাইছে।।। অথচ গানটার কথায় অনেক সত্য লুকিয়ে আছে।।। আজকে এখন সবাই বাস্তবতা বুঝতে পারছে।।।
কথা হচ্ছে ঠেকানো যখন যাবে না,, সম্ভব ও না,, তখন নিরাপদ পদ্ধতি শিখিয়ে দিলে সমস্যা কি? তা না করে আজেবাজে ভাষায় গালিগালাজ, হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে।।।
আর প্রতিফল ভোগ করছে নিস্পাপ শিশুগুলি হয় ডাস্টবিনে নয়তো ড্রেনে।। ভাগ্য ভালো হলে নদীতে।।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫১
আধার আমি বলেছেন: আসলেই বাস্তবমুখি গান।
৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৪
সুমন কর বলেছেন: এদের ধ্বংস হোক! এই সমাজের ধ্বংস হোক! -- সহমত।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২
আধার আমি বলেছেন: ধ্বংস হোক।
৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৫
এহসান সাবির বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০৯
আধার আমি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। উতসাহিত হলাম আাপনার মন্তব্যে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:১৬
আমি মিন্টু বলেছেন: হুম ভালো কইছেন ।