নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি শেষ রাতের অবহেলিত চাঁদ। যাকে ইচ্ছায় অনিচ্ছায় সমাজের বেশির ভাগ মানুষ দেখতে পারে না। ঘুমের দোহাইয়ে সবাই আমার সাথে প্রতারণা করে। আর আমি সমাজ জাগতে জাগতে তে-পান্তরে হারিয়ে যায়।

আধার আমি

বাবা, আমি তোমাকে শিখিয়েছি, কিভাবে প্রজাপতির মত উড়তে হয়। বদ্ধ পুকুরে কিভাবে ছোট্ট হাতে কঙ্কর চালতে হয়। কিভাবে বড়দের শ্রদ্ধা করতে হয়। বাবার কোলে বসে কিভাবে চুপিচুপি গল্প শুনতে হয়। বাবার হাত ধরে কেমনে ছোট্ট পায়ে রাস্তার ধারে হাটতে হয়। তুমি আমাকে ব্যাকুল চোখে তালাশ করছো কিন্তু পাচ্ছো না। বাবা তোমার হতভাগা পিতাকে মাফ করে দিও। তোমাকে আমাকে নিয়ে একটি সুন্দর স্বপ্ন গড়ব বলেই এই দুরে পালিয়ে থাকা।

আধার আমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেনো বেঁচে আছি...??

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৫



মায়ের সংগে কথা বলতে গেলে বুকের মধ্যে ধড়ফড় করে ওঠে। মায়ের সারা শরীরে ব্যথা। কথা বলে ফোনে প্রচণ্ড রকম যণ্ত্রনা নিয়ে।

একসময় মায়ের সাথে এত সময় ধরে গল্প করতাম যে, কখন দুই জনে হাসতে হাসতে লুটে পড়তাম খেয়াল থাকত না। সাথে ছোট বোনটিও।

ছোট বোন আমাকে প্রশ্ন করত, ভাই আজকে কি দিয়ে ভাত খেয়েছিস?

-ডান হাত দিয়ে।

তখন ও বলত কুত্তা, আমি কি তোরে এই জিজ্ঞাসা করেছি। কি তরকারি দিয়ে খেয়েছিস?

-রান্না করা তরকারি দিয়ে।

আবার ক্ষেপে যেত। বলত, কাচা তরকারি দিয়ে কেউ খায় নাকি?

-হেসে দিতাম। বলতাম তুই কেমন আছিস?

-ভালো আছি।

-কি করছিস?

-তোর সাথে কথা বলতেছি।

-আরে না তাতো ঠিক আছে। কিন্তু তুই আসলে কি করতেছিস?

-আমি ঘরের মধ্য খাট আছে না?, তার ওপরে পাটি, তার ওপরে তোষক, তার ওপরে কাথা, তার ওপরে বিছানা চাদর –আমি সেই বিছানা চাদরের ওপর বসে তোর সাথে কথা বলছি।

এরপর দুই জনে মিলে অনেক হাসাহাসি করতাম। আম্মুও পাশে বসে উচ্ছস্বরে হাসত। আমি সব শুনে নিজেকে স্বর্গীয় মনে করতাম।

এরমাঝে অনেকদিন গেলো। বিয়ে করলাম। বাবা হলাম। ছোট বনের বয়স বাড়লো। আমি বেকারত্ব ঘুচানোর নাম নিয়ে ছোটখাটো একটি কাজ নিলাম।

এখন আম্মু অসুস্থ। ছোট বোনের হার্ট এ সামান্য সমস্যা । বাবার মাজায় বেদনা। মেয়ের অসুস্থতা। বউয়ের বাতুলতা। সময় আমাকে বড় বেইমান করে রেখেছে। কারো সাথে কথা বলতে পারি না।

আগে যখন কথা বলতাম তখন দায়িত্ব ছিল না। পড়া লেখা করতাম। ছাত্র। সেই রকম আনন্দ নিয়ে কথা বলতাম। এখন পারি না। কারণ সামান্য বেতন। নিঝে চলতে পারি না এই ঢাকার শহরে।

বাড়ির সবার কথা চিন্তা করলে মনে হয় আমি এতটা অকর্মণ্য। আমার মনে হয় বেঁচে থেকে কোনো লাভ নেই। মরে যাওয়ায় শ্রেয়। কিন্তু পারি না ।

একদিন সবাইকে নিয়ে এক সাথে বসে গল্প করবো। অনেক মজা করব। এমন একটা স্বপ্ন আমাকে সবসময় বাঁচিয়ে রাখে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫২

সাথিয়া বলেছেন: একদিন সবাইকে নিয়ে এক সাথে বসে গল্প করবো। অনেক মজা করব। এমন একটা স্বপ্ন আমাকে সবসময় বাঁচিয়ে রাখে।
ভাললাগলো লেখাটা।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪

আধার আমি বলেছেন: আসলে এটাই আমার বাস্তব জীবন, আপু। আমি অনেকে স্বপ্ন দেখি এরকমভাবে পরিবারের সবাইকে নিয়ে । কিন্তু পারব কি না জানি না।

২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪

কিরমানী লিটন বলেছেন: সাথিয়া বলেছেন: একদিন সবাইকে নিয়ে এক সাথে বসে গল্প করবো। অনেক মজা করব। এমন একটা স্বপ্ন আমাকে সবসময় বাঁচিয়ে রাখে।
ভাললাগলো লেখাটা।

শুভকামনা রইলো ...

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৬

আধার আমি বলেছেন: সাথিয়া বলেছেন ভালো লেগেছে....আমার লেখা ভালো লাগেনি তাই তো ভাই।

৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০২

কিরমানী লিটন বলেছেন: আমার কাছেও-অনেক ভালো লেগেছে,তাই সাথিয়ার সহযাত্রী হয়েছি ...

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০৬

আধার আমি বলেছেন: ও আচ্ছা...ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.