নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি শেষ রাতের অবহেলিত চাঁদ। যাকে ইচ্ছায় অনিচ্ছায় সমাজের বেশির ভাগ মানুষ দেখতে পারে না। ঘুমের দোহাইয়ে সবাই আমার সাথে প্রতারণা করে। আর আমি সমাজ জাগতে জাগতে তে-পান্তরে হারিয়ে যায়।

আধার আমি

বাবা, আমি তোমাকে শিখিয়েছি, কিভাবে প্রজাপতির মত উড়তে হয়। বদ্ধ পুকুরে কিভাবে ছোট্ট হাতে কঙ্কর চালতে হয়। কিভাবে বড়দের শ্রদ্ধা করতে হয়। বাবার কোলে বসে কিভাবে চুপিচুপি গল্প শুনতে হয়। বাবার হাত ধরে কেমনে ছোট্ট পায়ে রাস্তার ধারে হাটতে হয়। তুমি আমাকে ব্যাকুল চোখে তালাশ করছো কিন্তু পাচ্ছো না। বাবা তোমার হতভাগা পিতাকে মাফ করে দিও। তোমাকে আমাকে নিয়ে একটি সুন্দর স্বপ্ন গড়ব বলেই এই দুরে পালিয়ে থাকা।

আধার আমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

৪৩ হাজার ২০০ বার ধর্ষণের শিকার কার্লা জেসিন্তো!

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৮



দিনে কমপক্ষে ৩০ বার হিসাব করে মোটের ওপর ৪৩,২০০ বার ধর্ষণের কথা জানান কার্লা জেসিন্তো।


কার্লা জেসিন্তো। বয়স ২৩। কোঁকড়া চুল, সুশ্রী মুখ, সাবলীল আলাপচারিতা। জন্ম, বেড়ে ওঠা মেক্সিকো সিটিতে।

প্রথম পরিচয়ে বোঝার উপায় নেই, চোখ-মুখ থেকে আভা ছড়ানো কার্লার জীবন কেটেছে কতটা অন্ধকারে। পাচারকারীদের নিষ্ঠুরতায় কীভাবে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে তার জীবন।

কার্লা জানিয়েছেন তার জীবনের কালো অধ্যায়। কখন, কোথায়, কীভাবে তিনি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তার হৃদয়বিদারক বর্ণনা।

মেক্সিকো সিটির একটি বাগানে বসে কার্লা জানান, টানা চার বছরে প্রতিটি দিন, সপ্তাহ, মাস তাকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে পাচারকারীদের হাতে।

দিনে কমপক্ষে ৩০ বার হিসাব করে মোটের ওপর ৪৩,২০০ বার ধর্ষণের কথা জানান তিনি।

কার্লা জানান, মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি পাচারকারীদের হাতে পড়েন। তার পাচারের গল্পটাও ছিল কৌতূহলোদ্দীপক।

জীবনের কালো অধ্যায়ের সূত্রপাত যেভাবে

একদিন মেক্সিকো সিটির একটি পাতাল রেলস্টেশনের কাছে দাঁড়িয়ে কয়েকজন বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করছিলেন কার্লা।

এ সময় মিষ্টান্ন বিক্রেতা একটি শিশু তার হাতে একটি লজেন্স দিল। ওই শিশু তাকে বলল, কেউ একজন এটি পাঠিয়েছে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে একজন যুবক তার কাছে এলো। যুবকটি নিজেকে ব্যবহৃত গাড়ির ব্যবসায়ী পরিচয় দিল।

যুবকের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা হয় কার্লার। এর পর ওই ব্যক্তি তাকে জানান, তিনি নিজেও শিশু বয়সে লাঞ্ছিত হয়েছেন। তখন কার্লার মনে হলো, এ তো পুরোদস্তুর ভদ্রলোক। তার সঙ্গে মেশা যায়।

ওই দিনই যুবকের সঙ্গে নম্বর বিনিময় হয় কার্লার। যুবকটি কার্লাকে প্রস্তাব দেন, মেক্সিকোর পুয়েবলার শহরে যেতে।

কার্লা গররাজি ছিল। এর কয়েক দিনের মধ্যে কার্লা সত্যিই এই লোকটির সঙ্গে পুয়েবলা গেল। এর জন্য অবশ্য তার মায়েরও দায় ছিল।

একদিন রাতে দেরি করে ঘরে ফেরায় কার্লার মা তাকে ঘরে ঢুকতে দেয়নি। এর পরদিনই ওই লোকটির সঙ্গে চলে যান কার্লা। এর পর থেকে শুরু হয় তার অন্ধকার জীবন।

‘আমি সকাল ১০টায় শুরু করতাম। চলত মধ্যরাত পর্যন্ত। শুরু এক সপ্তাহের জন্য ছিলাম গুয়াদালাজারায়। তখন হিসাব কষতাম। এই সপ্তাহ ধরে দিনে ২০ বার আমাকে বাধ্যতামূলক যৌনাচারে লিপ্ত হতে হতো।

তখন আমার কান্নাকাটি দেখে কিছু লোক হাসত। আমাকে চোখ বন্ধ করে রাখতে বলা হতো, যাতে আমার সঙ্গে কী করা হচ্ছে, তা দেখতে না পাই’, বলেন কার্লা।

মেক্সিকোর এই নারী জানান, তাকে কয়েকটি শহরে বিভিন্ন পতিতালয়, রাস্তার পাশের মোটেলে রাখা হয়। কোনো ছুটির দিন বা অবসর ছিল না।

পাচারের শিকার হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দিনে ৩০ বার বাধ্যতামূলক যৌনাচারে লিপ্ত হতে হতো। এভাবে ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিদিন ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে তাকে।

২০০৬ সালে মেক্সিকো সিটিতে এক পাচারবিরোধী অভিযানে মুক্ত হন কার্লা। সেই থেকেই তার অন্ধকার জীবনের অবসান হয়।

কত নির্মম এই জীবন কাহিনী। কেনো এমন নির্মমতার শিকার হতে হবে একজন নারীকে? কেনো তাদের উপযুক্ত সম্মানটুকুও দেওয়া হয় না?

কেনো এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে সারা বিশ্বব্যাপী? কবে বন্ধ হবে নারী লাঞ্চনা, ধর্ষণ, যৌননিগ্রহ?


বিস্তারিত পড়তে এই নিচের লিংক দেখতে পারেন.....

http://edition.cnn.com/2015/11/10/americas/freedom-project-mexico-trafficking-survivor/index.html

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২২

প্রামানিক বলেছেন: বর্বর ঘটনা।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮

আধার আমি বলেছেন: বর্বতার সকল সীমানা ছাড়িয়ে গেছে এ ঘটনা।

২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪

ধমনী বলেছেন: নির্মম...

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮

আধার আমি বলেছেন: নির্মমতার জন্য দায়ী কি বলে আপনার মনে হয়?

৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬

জনাব মাহাবুব বলেছেন: হৃদয়বিদারক ঘটনা।

এই ঘটনা কোন মুসলিম দেশে ঘটলে এখন সারাবিশ্বে সেটা ছড়িয়ে পড়তো, বিবিসি, সিএনএন প্রভৃতি গণমাধ্যমগুলো ধারাবাহিকভাবে সিরিজ প্রচার করতো। সারা বিশ্বে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃনা ছড়ানোর কাজ তারা অনায়াসে সেরে ফেলতো।

বিশ্ব মিডিয়া অপপ্রচার করতো, কিছু একচোখা তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা তাদের সাথে সুরে সুর মিলিয়ে ছি,ছি রব উঠাতো। আর বলতো দেখ মুসলিমরা কত বর্বর, নারীদের নির্যাতন করা তাদের অভ্যাস। ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৮

আধার আমি বলেছেন: যায় হোক ঘটনাটি খুবই হৃদয় বিদারক, আপনাকে ধন্যবাদ

৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: মেয়েটি যে বেচে আছে এটাই একটা আশ্চর্য ব্যাপার !

আর জনাব মাহবুবের মন্তব্যের সাথে একমত। মুসলমানরা অদ্ভুত এক তথ্য বৈষম্যের স্বীকার !

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১০

আধার আমি বলেছেন: মেয়েরা বেঁচে থাকার আশ্চর্য ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়।

৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৯

স্বস্তি২০১৩ বলেছেন: কিছু মানুষ সব কিছুতেই ধর্ম টেনে আনে।
অপরাধ অপরাধই সে যে ধর্মেরই হোক।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০১

আধার আমি বলেছেন: ঠিক বলেছেন আপনি।

৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২২

গোধুলী বেলা বলেছেন: মুসলমান রা কিছু না করলেও তাদের দোষ।
আর কি বলব আমাদের দেশেই যে ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলে।
আমরা অসাম্প্রদায়িক তাই বলে এই ভাবা ঠিক না যে আমার যা মনে হবে তাই বলে দেব, যেকন ধর্মের বেপারে।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২০

আধার আমি বলেছেন: ঠিক ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি মোটেও ঠিক নয়।

৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১৩

মহিমা আজম হিমু বলেছেন: শুধু বলব, ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। উপরওয়ার কাছে প্রার্থনা করি যেন কার্লার জীবনের সব অন্ধকার মুছে গিয়ে আলোতে ছেঁয়ে যায়। এবং আর যেন কোন কার্লাকে এমন অন্ধকারে পড়ে না থাকতে হয়।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১০

আধার আমি বলেছেন: প্রার্থনা কবুল হোক।

৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৩৮

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: কার্লার বাকী জীবনটা নির্মল এবং সুন্দর হোক............

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১১

আধার আমি বলেছেন: সুন্দর হোক প্রতিটি নারীর জীবন।

৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মর্মান্তিক !!!!

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১২

আধার আমি বলেছেন: হুম সব রকম বর্বরতা ছাড়িয়ে গেছে।

১০| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: পুরোদস্তুর বর্বরতা এইটা।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৩

আধার আমি বলেছেন: হুম, মেনে নেওয়া যায় না।

১১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৬

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: কত নির্মম এই জীবন কাহিনী। কেনো এমন
নির্মমতার শিকার হতে হবে একজন নারীকে?
কেনো তাদের উপযুক্ত সম্মানটুকুও দেওয়া হয়
না?

কেনো এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে সারা
বিশ্বব্যাপী? কবে বন্ধ হবে নারী লাঞ্চনা,
ধর্ষণ, যৌননিগ্রহ?
কার্লার আগামীর জীবন নির্মল সুন্দর হোক

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৩

আধার আমি বলেছেন: সুন্দর হোক।

১২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৩

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: নির্মম । তবে লিংকটা কাজ করছে না ।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৬

আধার আমি বলেছেন: কি বলেন , কাজ করে তো

১৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৬

কাবিল বলেছেন: হৃদয় বিদারক ঘটনা।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৭

আধার আমি বলেছেন: সত্যিই হৃদয় বিদারক!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

১৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮

মোঃ-আনারুল ইসলাম বলেছেন: খুব কষ্টদায়ক ও হৃদয় বিদারক

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৮

আধার আমি বলেছেন: এরকম ঘটনা চিরতরে বন্ধ হউক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.