![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাবা, আমি তোমাকে শিখিয়েছি, কিভাবে প্রজাপতির মত উড়তে হয়। বদ্ধ পুকুরে কিভাবে ছোট্ট হাতে কঙ্কর চালতে হয়। কিভাবে বড়দের শ্রদ্ধা করতে হয়। বাবার কোলে বসে কিভাবে চুপিচুপি গল্প শুনতে হয়। বাবার হাত ধরে কেমনে ছোট্ট পায়ে রাস্তার ধারে হাটতে হয়। তুমি আমাকে ব্যাকুল চোখে তালাশ করছো কিন্তু পাচ্ছো না। বাবা তোমার হতভাগা পিতাকে মাফ করে দিও। তোমাকে আমাকে নিয়ে একটি সুন্দর স্বপ্ন গড়ব বলেই এই দুরে পালিয়ে থাকা।
উলফা গঠিত হয় ৭ই এপ্রিল ১৯৭৯ সালে। ভারতের সেনাবাহিনী ১৯৯০ সাল থেকেই উলফার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এখন পর্যন্ত উলফা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মধ্যে চলা সংঘর্ষে ১৮,০০০ এর বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ আসাম (উলফা) (সংযুক্ত মুক্তি বাহিনী, আসাম) হল উত্তর-পূর্ব ভারতের ৭৮,৫২৯ বর্গ কি:মি: ভূখণ্ড আসামের একটি স্বাধীনতাকামী সংগঠন। যারা ভারত ফেডারেশন থেকে আসামের সার্বভৌমত্ব দাবি করে। তারা স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র লড়াই করছে।
তারা দাবি করে আসছে ঐতিহাসিক কাল থেকে আসাম কোনোদিন ভারতে অন্তর্ভুক্ত ছিলো না। তাদের কথা হলো, ইন্ডিয়া তাদের স্বাধীনতাকে অধিকৃত করে রেখেছে। উলফার কথা হলো, সশস্ত্র লড়াই চায় না আমরা চাই ইন্ডিয়া তাদের বে-আইনি দখল থেকে আমাদের মুক্তি দিক।
তারপর ভারত সরকার ১৯৯০ সালে সংগঠনটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। মার্কিন সরকারের স্টেটস ডিপার্টমেন্ট সংগঠনটিকে ‘দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন এমন সংগঠনের’ তালিকাভুক্ত করেছে।
উলফা গঠিত হয় ৭ই এপ্রিল ১৯৭৯ সালে। ভারতের সেনাবাহিনী ১৯৯০ সাল থেকেই উলফার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এখন পর্যন্ত উলফা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মধ্যে চলা সংঘর্ষে ১৮,০০০ এর বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
২০০৯ সালের ৫ই ডিসেম্বর সংগঠনটির চেয়ারম্যান ও ডেপুটি-কমান্ডার-ইন-চিফকে ভারতীয় তদন্তের সম্মুখীন করা হয়।
উলফা নেতাদের একটি বড় অংশ বাংলাদেশে আত্মগোপনে চলে আসে এবং কেউ কেউ বাংলাদেশ নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন। এরপর বাংলাদেশ সরকার ও ভারত সরকার উলফা বিষয়ে বিভিন্ন সময় বৈঠকের আয়োজন করে তাদের হস্তান্তরের জন্য।
২০১১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর উলফার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা না করার জন্য ভারত সরকার, আসাম সরকার ও উলফার মধ্যে একটি ত্রিমুখী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
অনুপের জন্ম ও উলফা
এখন কথা হলো আলোচিত অনুপ চেটিয়াকে নিয়ে। অনুপ চেটিয়া একটি আদর্শের নাম। অনুপ চেটিয়া উলফার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। তার আসল নাম গোলাপ বড়ুয়া। আর সাংগঠনিক নাম অনুপ চেটিয়া।
১৯৬৭ সালে জেরাই গাঁওয়ে গোলাপ ওরফে অনুপের জন্ম। ১৯৭৯ সালে, শিবসাগরে রংঘরের সামনে পরেশ বরুয়া, অরবিন্দ রাজখোয়া, ভীমকান্ত বুড়াগোঁহাইদের সঙ্গে মিলে তিনি ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব অসম বা আলফার জন্ম দেন।
অনুপ, সুনীল বরুয়া-সহ বিভিন্ন নাম নিয়ে পালিয়ে বেড়ানো অনুপ বাংলাদেশে ভাইজান ও আহমেদ নামেও পরিচিত ছিলেন।
হত্যা, অপহরণ, ডাকাতির বিভিন্ন মামলার অভিযুক্ত অনুপকে ১৯৯১ সালে প্রথম বার গ্রেপ্তার করে আসাম পুলিশ। কিন্তু, তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী হিতেশ্বর শইকিয়ার হস্তক্ষেপে তিনি মুক্তি পান।
এর পরেই দেশ ছাড়েন তিনি। পাকিস্তান-সহ বিভিন্ন দেশে গিয়ে অর্থ ও অস্ত্র সংগ্রহ করা অনুপকে ১৯৯৭ সালের ২১ ডিসেম্বর ঢাকায় গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশ পুলিশ।
ভুয়ো পাসপোর্ট নিয়ে দেশে ঢোকা, ১৬টি দেশের মুদ্রা বহন করা এবং বেআইনি অস্ত্র সঙ্গে রাখার তিনটি অভিযোগে আদালত তাকে সাত বছর কারাদণ্ড দেয়।
২০০৩ সালে চেটিয়া ঢাকা হাইকোর্টে আবেদন জানান— তার প্রাণের ভয় রয়েছে। জেল থেকে বেরোলেই ভারতীয় গোয়েন্দারা তাকে হত্যা করতে পারে। তাই তিনি কারাগারেই থাকতে চান।
হাইকোর্ট চেটিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ সরকারকে। তাই কারাবাসের মেয়াদ ফুরোনোর পরেও নিরাপদ হেফাজতে তাকে জেলেই রেখে দেয় বাংলাদেশ সরকার। দিল্লির আর্জি সত্ত্বেও দেশে ফেরানো হয় না।
একসঙ্গে তিন মামলার সাজা কার্যকর হওয়ায় সাত বছর পরই ২০০৪ সালে তার সাজার মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু তারপর থেকে তিনি কারাগারে আটক ছিলেন।
পরিস্থিতি বদলায় শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে। বাংলাদেশ থেকে আলফার সব ঘাঁটি তিনি ভেঙে দেন। ২০০৯ সালে অবিভক্ত আলফার সভাপতি অরবিন্দ রাজখোয়া, তার স্ত্রী তথা মহিলা বাহিনীর প্রধান কাবেরী কছারি রাজখোয়া, অর্থসচিব চিত্রবন হাজরিকা, সংস্কৃতিসচিব প্রণতি ডেকা ও বিদেশসচিব শশধর চৌধুরীকে ঢাকা থেকে আটক করে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
২০১১ সালে আলফার আরো তিন নেতাকে ভারতে ‘পুশ ব্যাক’ করে বাংলাদেশ। তখনো ভারতে আসতে প্রবল আপত্তি ছিল চেটিয়ার। পরে কেন্দ্রের সঙ্গে আলফার শান্তি আলোচনা শুরুর পরে আলফার তরফে চেটিয়াকে ভারত আসতে অনুরোধ করা হয়।
২০১৩ সালে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তিও স্বাক্ষর হয়ে যায়। ২০১৪ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অনিল গোস্বামীর সঙ্গে বৈঠকের পরে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রসচিব মোজেম্মেল হক জানিয়েছিলেন, চেটিয়া এত দিনে ভারতে ফিরতে রাজি হয়েছেন।
আবার এটাও বলা হচ্ছে যে দুই দেশের সরকারের চুক্তির কারণে তাকে এই প্রত্যার্পণ। অনুপের ইচ্ছা ছিলো না।
আবার অন্যদিকে, চেটিয়ার বদলে নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নুর হোসেনকে জিম্মায় চায় বাংলাদেশ। এমন সংবাদও প্রকাশ হয়েছে। নুর এখন দমদম জেলে বন্দি। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, আগামী ২-৩ দিনের মধ্যেই নুরকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে।
নুর হোসেন আর অনুপের মাঝে পার্থক্য কোথায়?? কেনো এমন বলা হচ্ছে যে, নুর হোসেনের বদলে অনুপের প্রত্যার্পণ? অনুপতো স্বাধীনতাকামী একটি গোষ্ঠীর মডেল।
আর নুর হোসেন একজন খুনি। নিরাপরাধ সাত জনকে অর্থ, ক্ষমতা, রাজনৈতিক মোহে খুন করে। সে একজন সন্ত্রাসী তার এলাকার জনতাসহ সারা বাংলাদেশের কাছে।
আমার মনে হচ্ছে, অনুপ এতদিন ভারতে যেতে অস্বীকার করে আসছে। এখন তাকে যদি জোরপূর্বক রাজনৈতিক কারণে সরকার পাঠিয়ে থাকে আর যদি মোদির সাথে উলফার শান্তি চুক্তিটি বিফল হয়। তবে এর ফল কিছুটা আমাদের ভোগ করতে হবে।
আসামের অভ্যান্তরীণ অস্থিতিশীলতার নির্মম আঘাত হয়ত আমাদের ও ভোগ করতে হবে।
২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৭
আমি আবুলের বাপ বলেছেন: কিন্তু বাংলাদেশের কেউ কিছু জানতে পারলো না কেন?
কাকপক্ষীও টের পায়নি। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও জেনেছেন অনুপ চেটিয়া ভারতে চলে যাওয়ার পরে।মধ্যরাতে জেলে ঢুকল কালো কাচের এসইউভি।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৯
আধার আমি বলেছেন: এটাই তো ব্যাপর , আসলে কি ঘটবে মন্ত্রীরাও জানে না। সেখানে আমরা কি জানব আর।
৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৫
জাওয়াদ স্পিকিং বলেছেন: কিছু কমুনা, ৫৭ ধারা ম্যাটারস
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২২
আধার আমি বলেছেন: হুম!!
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: