নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি শেষ রাতের অবহেলিত চাঁদ। যাকে ইচ্ছায় অনিচ্ছায় সমাজের বেশির ভাগ মানুষ দেখতে পারে না। ঘুমের দোহাইয়ে সবাই আমার সাথে প্রতারণা করে। আর আমি সমাজ জাগতে জাগতে তে-পান্তরে হারিয়ে যায়।

আধার আমি

বাবা, আমি তোমাকে শিখিয়েছি, কিভাবে প্রজাপতির মত উড়তে হয়। বদ্ধ পুকুরে কিভাবে ছোট্ট হাতে কঙ্কর চালতে হয়। কিভাবে বড়দের শ্রদ্ধা করতে হয়। বাবার কোলে বসে কিভাবে চুপিচুপি গল্প শুনতে হয়। বাবার হাত ধরে কেমনে ছোট্ট পায়ে রাস্তার ধারে হাটতে হয়। তুমি আমাকে ব্যাকুল চোখে তালাশ করছো কিন্তু পাচ্ছো না। বাবা তোমার হতভাগা পিতাকে মাফ করে দিও। তোমাকে আমাকে নিয়ে একটি সুন্দর স্বপ্ন গড়ব বলেই এই দুরে পালিয়ে থাকা।

আধার আমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

এটি কোনো গল্প নয় বাস্তব ঘটনা: \'ওটিতে মা -নবজাতকের মৃত্যু\' অর্থের লোভ কী ডাক্তার নামের কসাইদের কোনো দিনও যাবে না???

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৮



ওটিতেই নিশ্চুপ প্রাণে শুয়ে আছেন প্রসূতি মা। নিথর দেহ! পাশে নেই নবজাতক। ময়লা আবর্জনা ভরা ট্রেতে ছোট্ট পৃথিবীটি হুমড়ি খেয়ে পড়ে আছে। একেবারে শান্ত! নবজাতকের মৃতদেহ ডাক্তার নামের নরপশুদের ধিক্কার জানাচ্ছে।


স্বামী প্রবাসী। বাবা হওয়ার স্বপ্ন বুকে। স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরু হলো। স্ত্রীর বুকে জগতের সব স্বপ্ন বাসা বেধেছে। মা ডাক শুনবে। আহ কি আনন্দ!

চুক্তি ছিলো ডাক্তারকে ১২,০০০ টাকা দিতে হবে। বিনিময়ে শত যন্ত্রণা ভুলে মা শুনবেন মা-মা ডাক। কিন্তু সেই আনন্দ প্রবাসী পিতা আর মায়ের কপালে জুটলো না।

অপারেশন থিয়েটারের বাইরে অপেক্ষা করছে পরিবারের লোকজন। নবজাতকের নবকান্নার সুর শুনবে সকলে। প্রতিক্ষা! প্রতিক্ষা! কোনো কান্নার শব্দ নেই।

পিনপতন নিরবতা! ডাক্তার-নার্স বেরিয়ে আসলেন। স্বজনদের মুখে হতাশা! কি হলো?

ডাক্তার তার সহযোগীদের নিয়ে কেটে পরলেন। সবাই হতবাক! স্বজনরা উপায়ন্তর না দেখে অটির মধ্যে ঢুকলেন। তারপর যা দেখলেন তা দেখার জন্য সারা জগতের কোনো নারকীয় কীটও অপেক্ষা করেনি।

ওটিতেই নিশ্চুপ প্রাণে শুয়ে আছেন প্রসূতি মা। নিথর দেহ! পাশে নেই নবজাতক। ময়লা আবর্জনা ভরা ট্রেতে ছোট্ট পৃথিবীটি হুমড়ি খেয়ে পড়ে আছে। একেবারে শান্ত! নবজাতকের মৃতদেহ ডাক্তার নামের নরপশুদের ধিক্কার জানাচ্ছে।

প্রিয় পাঠক এটি কোনো সিনেমা বা নাটকের গল্প নয়। ঘটনাটি বাস্তব। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শরীয়তপুর নার্সিং হোম নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ঘটেছে এই নারকীয় ঘটনা।

ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় প্রাণ দিলো প্রসূতি মা ও নবজাতক। শুধু মৃত্যুই শেষ নয়, মৃত নবজাতক এবং হতভাগা মাকে অপারেশন থিয়েটারে রেখে পালিয়ে গেলেন চিকিৎসক-নার্সসহ ক্লিনিকের স্টাফরা।

পালিয়ে যাওয়ার সময় বাধা দিলে রোগীর স্বজনদের মারধরও করেন তারা।

নিহত হতভাগা মায়ের নাম ময়না বেগম। শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার মডেরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। পরিবারের সদস্যরা বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শরীয়তপুর নার্সিং হোমে ভর্তি করেন।

২,০০০ টাকা চুক্তিতে বেলা আড়াইটার সময় ময়না বেগমের অপারেশন শুরু করেন ক্লিনিকের মালিক ডাক্তার এম, এ দাউদ।

অপারেশন শুরুর আধাঘণ্টা পর ডাক্তার ও নার্স অপরেশন থিয়েটার থেকে বেরিয়ে আসেন। এ সময় রোগীর স্বজনরা রোগীর অবস্থা জানতে চাইলে রোগীকে ঢাকায় নেওয়া লাগবে বলে ক্লিনিক থেকে পালিয়ে যান ডাক্তার এম,এ দাউদ ও ক্লিনিকের স্টাফরা।

এ সময় রোগীর স্বজনরা বাঁধা দিলে তাদের মারধরও করেন স্টাফরা। খবর পেয়ে পালং থানার পুলিশ এসে ক্লিনিকের সামনে থেকে একজনকে আটক করে।

নিহত ময়না বেগমের স্বামী জসিম ভূঁইয়া বর্তমানে দুবাই প্রবাসী। প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি দুবাই রয়েছেন।

নিহত ময়না বেগমের মা মজিদা বেগম, বাবা হাশেম রাঢ়ি, শ্বশুর রহমআলী ভূঁইয়া, ননদ ফরিদা বেগমসহ আত্মীয়-স্বজনরা ক্লিনিকে বসে আহাজারি করছেন। কাকে কি বলবে, কি করলে ভালো হবে যেনো সব কিছু ভুলে গেছেন তারা।

তারা রোগী ও সন্তানের হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করছেন। ডাক্তার এম,এ দাউদের বিচার কামনা করছেন। কিন্তু বিচার পাবেন কী?

খোজ নিয়ে জানা গেছে, এম.এ দাউদ চোখের ডাক্তার হিসেবে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চাকরি করতেন। এ অবস্থায় তিনি বিভিন্ন ক্লিনিকে অন্তসত্ত্বাদের অপারেশন করতেন।

চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার পর শরীয়তপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় সংলগ্ন একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে তিনি শরীয়তপুর নার্সিং হোম নামে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে সেখানে রোগীদের সিজার করা শুরু করেন।

সাইনবোর্ডে লেখা চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন এবং সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ, কুষ্টিয়া।

অথচ কুষ্টিয়া মডিকেল কলেজ নামে কোনো কলেজ নেই এবং তিনি কখনো কুষ্টিয়া যান না। তিনি শরীয়তপুরেই রোগী দেখেন।

কুখ্যাত এই দাউদের বাড়ি যশোর জেলায়। এর আগে তার বিরুদ্ধে ভুল অপারেশনে একাধিক রোগী মারা যাওয়ার অভিযোগও রয়েছে।

বড় হতশা! বড় কষ্ট! একটি কসাই এভাবে কত জীবন মেরেছে তার হিসেব আমাদের জানা নেই। ডা্তার নামের এই নর পিশাচ কতটা জঘণ্য যে, মৃত্যুর অটিতে রেখেই পালিয়ে গেছেন। মৃত নবজাতকটিকে নোংরা স্থানে একটি ট্রেতে করে ফেলে রেখ। আহ! কত অমানবিক!

একটি জীবন একটি মা! একটি প্রেমিকা। এটি স্বজন! একটি ভালোবাসা! এটি গল্প! একটি পৃথিবী!

ডাক্তার নামের এই কসাইরা কীভাবে বুঝবে জীবনের মূল্য। আমি এই নরপিশাচ এবং তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করি।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫১

কর্কট জাতক বলেছেন: ধিক্কার রইল সেই সব নরপশুদের জন্য।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০১

আধার আমি বলেছেন: এদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫২

পার্থ তালুকদার বলেছেন: অমানবিক !!!!

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৩

আধার আমি বলেছেন: পশুরা এমন অমানবিকই হয়।

৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সত্তর নরপশুটাকে বিচারের সামননে দাড় করানোর দাবি জানােচ্ছি ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১২

আধার আমি বলেছেন: হবে কি তার সাজা??

৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৭

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: আল্লাহ মাফ করো, এগুলা পড়লে সহ্য করতে পারি না। এ কোন দেশে থাকি আমরা?

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩

আধার আমি বলেছেন: এটা আমাদের দেশ, আমার এক নবজাতককে এই পশুদের হাতে তুলে দিয়েছিলাম, ভুলতে পারি না।

৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অনেক কষ্ট পেলাম।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩

আধার আমি বলেছেন: কষ্টের কোনো শেষ নেই।

৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫১

প্রামানিক বলেছেন: ধিক্কার জানাই।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৪

আধার আমি বলেছেন: এই ধীক্কার কর্তাব্যক্তিদের কানে পৌছে যাক।

৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৬

খালিদ১৪ বলেছেন: ডাক্তার নামের এই কসাইর..ধন্যবাদ

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৯

আধার আমি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০১

ধমনী বলেছেন: চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে সিজার করতে নিয়ে গেলো কেন? আর সিভিল সার্জনের অফিসের পাশে এ ধরনের নার্সিং হোম চলে? অদ্ভূত...দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দরকার নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৬

আধার আমি বলেছেন: আসলে নিরুপায় মানুষ যার কাছ থেকে সামান্য পাবার আশা করে তাকে দেবতা মনে করে। আর ডাক্তারের তো বুঝা উচিত সে কতটুকু পারে। গ্রামের সহজ সরল মানুষগুলো কতটুকু আর বুঝে।

৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪

সুমন কর বলেছেন: বিচার চাই ! বিচার চাই !!

পাবো কি !!

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৬

আধার আমি বলেছেন: আমারো একই প্রশ্ন বিচার পাবো কি???

১০| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৫

আখেনাটেন বলেছেন: একটা সময় হয়ত দেখা যাবে 'বাংলাদেশী ডাক্তার দেখলে লোকজন আজরাঈল মনে করে ভয়ে পাগলা দৌড় লাগাবে'।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭

আধার আমি বলেছেন: হয়তবা!!

১১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০১

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: এদের বিচারের আওতাই আনা হোক, না হলে এসব ঘটনা বাড়তেই থাকবে।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭

আধার আমি বলেছেন: কে করবে এই বিচার কারো জানা নেই।

১২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫০

আজাদ মোল্লা বলেছেন: কি মন্তব্য করবো বুঝতে পারছিনা ,
মাথা এখন গরম তাই পড়ে ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০০

আধার আমি বলেছেন: এসব ঘটনায় মানবিকতা থাকলে মানুষ কথা হারিয়ে ফেলে। প্রতিবাদে ফেটে পড়ে।

১৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০

আজিজার বলেছেন: টাকার জন্য যারা এরকম জঘন্য কাজ করে প্রশাসনের উচিৎ তাদেরকে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেওয়া, তাহলে এরকম কাজ করার সাহস করবে না।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩০

আধার আমি বলেছেন: আমরা সবাই সাজা চায় কিন্তু সাজা জীবনে হবে বলে মনে হয় না।

১৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৪

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: চিকিৎসাকে এরা ব্যবসায়ের আওতায় নিয়ে আসছে। এমন ঘটনা আরো ঘটবে। মেডিক্যাল পরীক্ষায় যারা প্রশ্ন কিনে চান্স পেয়েছে, তাদের হাতে প্রাণ হারাবে আরো অনেক নবজাতক শিশু, সেই সাথে তার মা। ধিক্কার জানাই এদের।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৬

আধার আমি বলেছেন: হয়ত বা কিন্তু এখন যা হচ্ছে সেটা কম কিসে ভাই?

১৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৬

আজিজার বলেছেন: দিগন্ত জর্জ @ মেডিক্যাল পরীক্ষায় যারা প্রশ্ন কিনে চান্স পেয়েছে তারা তো ৩/৪ বছর ক্লাস করার পর হয়তো ডাক্তার হতে পারবে ! ! না হয় কিছুটা জ্ঞান অর্জন করেত পারবে, কিন্তু যারা চক্ষু বিশেষজ্ঞ তারা কি ভাবে গাইনি বা এধরনের অপারেশন করতে পারে, যাদের এ বিষয়ে নুন্যতম জ্ঞান নেই। তারা শুধু টাকার জন্য কাজ করেছে।

১৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ডাক্তার নামের এই নরপশুর মৃত্যুদন্ড চাই, আর ওকে জীবন্ত সিজার করা হোক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.