![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাবা, আমি তোমাকে শিখিয়েছি, কিভাবে প্রজাপতির মত উড়তে হয়। বদ্ধ পুকুরে কিভাবে ছোট্ট হাতে কঙ্কর চালতে হয়। কিভাবে বড়দের শ্রদ্ধা করতে হয়। বাবার কোলে বসে কিভাবে চুপিচুপি গল্প শুনতে হয়। বাবার হাত ধরে কেমনে ছোট্ট পায়ে রাস্তার ধারে হাটতে হয়। তুমি আমাকে ব্যাকুল চোখে তালাশ করছো কিন্তু পাচ্ছো না। বাবা তোমার হতভাগা পিতাকে মাফ করে দিও। তোমাকে আমাকে নিয়ে একটি সুন্দর স্বপ্ন গড়ব বলেই এই দুরে পালিয়ে থাকা।
কিশোরীকে কর্ণাটক, মানালি, পুনে সহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে পুরুষদের সঙ্গে যৌনসংসর্গে বাধ্য করতো। কিশোরীটি আপত্তি জানালে তাকে মারধর করা হত। ভারতের পুলিশ বলছে তারা দিল্লি থেকে এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে, যাকে এক বছর আগে পশ্চিমবঙ্গ থেকে অপহরণ করে বার বার ধর্ষণ করা হয়েছে।
গত এক বছরে ওই কিশোরীকে দেশের বিভিন্ন শহরে ঘোরানো হয়েছে যেখানে একেক দিনে ১০ থেকে ১৫ জন পর্যন্ত পুরুষ তাকে ধর্ষণ করেছে।
ওই কিশোরীকে এক এইডস আক্রান্ত ব্যক্তি ধর্ষণ করার ফলে কিশোরীটির রক্তেও এইচআইভি সংক্রমণ হয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
হাসপাতালে কিশোরীটিকে দেখতে এসে নাটকীয়ভাবে ধরা পড়েছে ওই এইডস আক্রান্ত ধর্ষক।
দিল্লির লাগোয়া উত্তর প্রদেশের শহর গাজিয়াবাদের পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট অজয় পল বলেন, ‘ওই কিশোরীর বয়ান অনুযায়ী বাবু নামের এক ব্যক্তি পশ্চিমবঙ্গের ডায়মন্ডহারবার এলাকায় স্কুল থেকে ফেরার পথে তাকে অপহরণ করে। তার পরে এক ব্যক্তির হাতে বিক্রি করে দেয় – যে কর্ণাটক, মানালি, পুনে সহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে পুরুষদের সঙ্গে যৌনসংসর্গে বাধ্য করতো। কিশোরীটি আপত্তি জানালে তাকে মারধর করা হত। যদিও ধৃত ব্যক্তি সব অভিযোগ অস্বীকার করছে, তবে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, বিভিন্ন জায়গায় হানাও দেওয়া হচ্ছে।’
এই ভয়ঙ্কর নির্যাতনের ঘটনা সামনে আসে দিন কয়েক আগে, যখন দিল্লির একটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই কিশোরীর সঙ্গে কথা বলে তার বাড়ির ফোন নম্বর জানতে পারে।
তার পরিবার খবর দেয় পশ্চিমবঙ্গের ডায়মন্ড হারবার থানায়।
তদন্তকারী অফিসার সঙ্গে সঙ্গেই যোগাযোগ করেন দিল্লির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে, যারা নারী ও শিশু পাচার চক্রের বিরুদ্ধে কাজ করে।
শক্তি বাহিনী নামের ওই সংগঠনটির প্রধান ঋষিকান্ত বলেন, ‘ওই কিশোরীর গোপনাঙ্গ থেকে শুরু করে হাঁটু পর্যন্ত সাংঘাতিক রকমের সংক্রমণ ছড়িয়েছে। ডাক্তারেরা বলছেন মেয়েটির শরীরে সেপটিক আর্থরাইটিস বাসা বেঁধেছে, যেটা বহুবার যৌন নির্যাতন করার ফলেই হয়ে থাকে। হাসপাতালে যখন ওই কিশোরীটিকে কোনো এক ব্যক্তি ফেলে রেখে পালিয়ে যায়, তার পর প্রথম তিন দিন কোনো চিকিৎসাই হয়নি। দিল্লি পুলিশেরও গাফিলতি ছিল। দিল্লি মহিলা কমিশনের চাপে পড়ে পুলিশ আর হাসপাতাল নড়েচড়ে বসে।’
গত এপ্রিল-মে মাসে ঋষিকান্ত পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের কাছ থেকে খবর পান যে অপহরণের পরে ওই কিশোরীকে গাজিয়াবাদে রাখা হয়েছে, সে নিজেই ফোন করে পরিবারের কাছে খবর পাঠিয়েছিল। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অনেক জায়গায় হানাও দেওয়া হয়, কিন্তু তখন তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
তবে ওই সন্দেহভাজন ধর্ষক নাটকীয়ভাবেই ধরা পড়ে হাসপাতাল থেকেই।
ঋষিকান্তের কথায়, ‘আমাদের মহিলা কাউন্সেলররা যখন একদিন সকালে ওই কিশোরীর সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন সেখানে এক ব্যক্তি আসে তার খোঁজ নিতে। তাকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন ওই কাউন্সেলররা। পুলিশ জেরা করে জানতে পেরেছে যে ওই ব্যক্তিই কিশোরীটিকে অপহরণকারীর কাছ থেকে কিনে নিয়ে গত একবছর ধরে বিভিন্ন পুরুষের সঙ্গে যৌন সংসর্গে বাধ্য করিয়েছে। কিশোরীটিও ওই ব্যক্তিকে সনাক্ত করে।’
এটাও জানা গেছে যে ওই ব্যক্তি ২০১১ সাল থেকে এইডস আক্রান্ত। সে নিজেও কিশোরীটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে।
এসকল পশুদের বিচার কোনো দিন বুঝি হবে না!!!!!!!!!!!
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৫
আধার আমি বলেছেন: মানুষ একটু মানবিক হলেই সব সমস্যা সমাধান হয়ে যায়।
২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪
ধঅনের শীষ বলেছেন: বাংলাদেশের অবস্হাও খুব একটা ভালো না । জোড়জবড়দস্তি মূলক নির্যাতন- কান্নাকাটি বিভষ্য সব ভিডিও অনলাইনে আছে। অথচ আইনশৃঙ্ললা বাহিনী নিরব। কুত্তার বাচ্চারা রেপ করছিস করছিস, সেগুলো আবার সবার দেখনোর জন্য অনলাইনে ছাড়তে হবে কেন ?? আল্লাই জানে এই ভিকটিম মেয়েদের মানষিক অবস্হা এখন কি।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬
আধার আমি বলেছেন: হুম এসব ক্ষেত্রে দেখা যায় নারীবাদীরা নরকেই আছে। কোনো প্র্রতিবাদ নেই।
৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: পরিমলদের কাছ থেকে কিশোরীদের নিরাপদ রাখতে
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আবশ্যক। ধর্মীয় অ্নুশাসন না মানলে
এই পরিস্থিতির উন্নতি আশা করা যায়না।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪০
আধার আমি বলেছেন: আরো মানবিক হতে হবে এই ধারত্রির মানুষকে।
৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১১
উল্টা দূরবীন বলেছেন: প্রতিবাদ হোক সমস্বরে। ধন্যবাদ এবং আমার ব্লগে আমন্ত্রণ।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৭
আধার আমি বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৩
মানবী বলেছেন: দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের এই প্রতিবেশী দেশটি বর্তমান বিশ্বে "ধর্ষনের রাজধানী" নামে কুখ্যাতি অর্জন করেছে। ভারতীয়দের মেধা, তাদের মঙ্গলাভিযানে সাফল্য সব কিছুকে মলিন করে তাদের "ধর্ষনের রাজধানী" পরিচয়টা প্রকট হয়ে উঠৈছে।
তিন মাসের শিশু, তিন বছরের শিশু শুধু আত্মীয় পরিচিত বা আগন্তুক দ্বারা নয় নিজের পিতা কর্তৃক ধর্ষিত হয়েছে এমন অনেক অনেক ঘটনা আছে শুধু গত দু তিন বছরেই।
নির্ভয়ার(যাঁর আসল নাম উজালা) খবর, এই কিশোরীর খবর মিডিয়ায় এসেছে, এর চেয়ে বিভৎস অনেক অনেক ধর্ষনের খবর তাৎক্ষণিক ভাবে মিডিয়ার আড়ালেই থেকে গেছে।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ আধার আমি।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৬
আধার আমি বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুধু এখা্েই শেষ নয়
আনন্দবাজার পত্রিকার আজকের নিউজ এটি-----------------
দিল্লিতে ফের চলন্ত গাড়িতে গণধর্ষণ, এবার ক্লাস এইটের ছাত্রীকে
ফিরে এল তিন বছর আগের ভয়াবহ সেই রাতের আতঙ্ক। নির্ভয়া কাণ্ডের স্মৃতি উস্কিয়ে রাজধানীর রাজপথে চলন্ত গাড়িতে এক নাবালিকা ধর্ষণ করল ছ’জন। বৃহস্পতিবার পশ্চিম দিল্লির রানহোলাতে নক্কারজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে।
বছর ১৪-র নিগৃহীতা ক্লাস এইটের ছাত্রী। জানা গেছে অভিযুক্ত দু’জনের পূর্বপরিচিত সে। বৃহস্পতিবার, স্কুল পালিয়ে এই দু’জনের সঙ্গে দেখা করে ওই নাবালিকা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দু’জনই প্রথমে তাকে জোর করে গাড়িতে তোলে। বাকি চারজন পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। গাড়ির মধ্যেই মেয়েটির উপর পৈশাচিক যৌন অত্যাচার চালায় তারা। পুলিশেরই একটি কন্ট্রোলরুম ভ্যান গাড়িটিকে তাড়া করে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। অভিযুক্ত ছ’জনের মধ্যে পাঁচ জনকেই ধরে ফেলে পুলিশ। পালিয়েছে একজন। যে গাড়িটি অভিযুক্তরা ব্যবহার করেছিল, জানা গেছে আদতে সেটি একটি কল সেন্টারের। অভিযুক্তদের একজন ওই কল সেন্টারের কর্মী।
এই রানহোলাতেই গত অক্টোবর মাসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল দু’বছরের একটি শিশু।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২০
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাই, ভারত যে লাইন বেছে নিয়েছে (বলিউডের সিনেমার হাত ধরে খোলা-মেলা এবং অবাধ যৌনাচারের প্রদর্শন), তাতে এই পরিস্থিতি খুবই স্বাভাবিক। সুতরাং, ওদের নিয়ে চিন্তা না করে বাংলাদেশকে নিয়ে চিন্তা করুন।
বলিউডের অশ্লীল চলচ্চিত্রের ছোবলে যাতে আমরা যাতে আক্রান্ত হতে না পারি, সেজন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করুন। পাশাপাশি ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে মানুষকে উদ্ধুদ্ধ করুন। এ ছাড়া আর কোন ভাবেই এ পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।