নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রিয়দেশ...

আহসান কামরুল

পৃথিবীটা বদলাক যুক্তির চর্চার দ্বারা। বিশ্বাসের ভাইরাস ছড়ানো এ দেশটা বদলে যাক...।

আহসান কামরুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

খুলনায় ব্লগার ফরহাদের ওপর হামলা, স্ত্রীর অবস্থা আশংকাজনক

১৪ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫

১৩ বছরের শিশু রাজন হত্যায় সারাদেশ উত্তাল থাকার মধ্যে গতোকাল রাতে মুখোশ পরিহিতো তিনটা খুনি নামের জানোয়ার খুলনায় ফরহাদ হোসেন নামের এক ব্লগারকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছেন। তখন তার স্ত্রী লাকি আক্তার স্বামীকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসলে তাকেও এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। পরে তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তাররা চিকিৎসা না করেই তাকে বারান্দায় ফেলে রাখে। তবে বিস্ময়ের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে সব মিডিয়া বিষয়টাকে এড়িয়ে যাচ্ছে! নিচে ফেসবুকে দেয়া কয়েকজন ব্লগার, এক্টিভিস্ট'র মন্তব্য দেয়া হলো।



ফরহাদের ভাই ডা: নাজমুল হাসান ফেসবুকের স্ট্যাটাসে লিখেন, 'গত পরশু রাতে ফরহাদ হোসেন ঈদ করতে ঢাকা থেকে খুলনায় নিজের বাসায় গিয়েছে। তার বাসা খুলনা বিআইটির পিছনের গেটে, ল্যাবরেটরি স্কুলের মোড়ের শহরতলীতে।

আজ (১৩ তারিখ দিনগত ১৪ই জুলাই ২০১৫) রাত দুইটায় বাসার সবাই যখন সবাই ঘুমিয়ে ছিলো, তখন তিনজন মুখোশধারী ব্যক্তি তার নিজ বাসায় ঢুকে টর্চ জ্বালিয়ে ফরহাদ হোসেনেকে খুঁজে বের করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। এ সময় তার স্ত্রী ঠেকাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে। দুজনের অবস্থাই গুরুতর। তবে তার স্ত্রীর অবস্থা বেশি খারাপ।

এখন তারা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ক্ষতস্থানগুলিতে সেলাই দেয়া হয়েছে। প্রচুর রক্ত ক্ষরণের কারণে তারা অবচেতন অবস্থায় আছেন। আসলে কি ঘটেছিলো বিস্তারিতভাবে তা জানার এ মুহূর্তে কোনো সুযোগ নাই। তার ছোট মেয়ে প্রকৃতির বয়স মাত্র বছর চারেক, সে ছাড়া অন্য কোনো প্রত্যক্ষদর্শী ছিলো না। ফরহাদ হোসেনের ভাতিজা খুলনা মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। আমি তার সাথে যোগাযোগ রাখছি। সে হাসপাতালেই আছে।

ফরহাদ হোসেন কোরআনে হাফেজ এবং দাখিল পাস করে বাংলা লাইনে পড়ার জন্য আবার স্কুলে ক্লাস নাইনে ভর্তি হন এবং তৎকালীন স্টার মার্কস পেয়ে এসএসসি পাস করেন। খুলনা বিএল কলেজ থেকে এইসএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞানে ভর্তি হন এবং লেখাপড়া করেন।

তিনি ধর্মীয় সংস্কারের বিপরীতে বিজ্ঞান মনস্ক লেখালেখি করেন। বিশেষ করে তার আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস নশ্বর জীবনের মিথ প্রচণ্ডরকমভাবে মাদ্রাসা ও ধর্মীয় শিক্ষার কুফলকে তুলে ধরেছে। ফরহাদ হোসেন মুক্তচিন্তা ব্লগের লেখক ছিলেন। ধর্মীয় কুসংস্কার দূরীকরণ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখাই ছিলো তার লেখনীর মূল সুর। তার বাবা একজন নিখোঁজ মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ১৪ই আগস্টে রাজাকারদের সহায়তায় পাক সেনারা তার বাবাকে ধরে নিয়ে যায়- সেই থেকে তিনি নিখোঁজ। তার বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম তাদের থানার প্রথম মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এবং মেঝো ভাই মুক্তিযুদ্ধের নৌ কমান্ডো বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন।

হামলার মোটিভ এখনো বোঝা যাচ্ছে না। প্রাথমিকভাবে এটিকে ডাকাতির মতো মনে হলেও সেটিকে বিশ্বাসযোগ্য করা কঠিন, কারণ ফরহাদ হোসেনের যে দৈন্য আর্থিক অবস্থা তাতে তার বাসায় ডাকাত পড়ার বিষয়টি হাস্যকর। যদিও হামলাকারীরা বাসার সোনা, গয়না, টাকা, পয়সা সব নিয়ে গেছে। এটা তার জন্য মড়ার উপরে খাঁড়ার ঘা।'



এন.শরিফ নামের ফেসবুকের একজন ইউজার তার স্ট্যাটাসে বলেন 'মুক্তচিন্তা ব্লগের ব্লগার ফরহাদ হোসেন, তার স্ত্রী গুরুতর আহতো। গতোকাল রাতে তিনজন মুখোশ পরিহিতো ব্যক্তি ফরহাদ ভাইর খুলনার বাসায় ঢুকে টর্চ জ্বালিয়ে তাকে খুঁজে বের করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। এ সময় তার স্ত্রী ঠেকাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে। দুজনের অবস্থাই গুরুতর। তবে তার স্ত্রীর অবস্থা বেশি খারাপ।

এখন তারা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় আছেন। তাদের চার বছর বয়সী মেয়ের চোখের সামনে এই ভয়ানক ঘটনাটি ঘটে।

এদিকে খুলনা মেডিকেলে ডাক্তাররা কোথায় কি করছেন, তা জানা যায় নি। তারা এমন গুরুতর আহতো দুইজন অচেতন রোগীকে হাসপাতালের বারান্দায় ফেলে রেখেছেন, রাতে প্রাথমিক চিকিৎসার পর থেকে রোগীকে আরেকবার দেখে এখন পর্যন্ত রোগীর অবস্থা জানাতেও পারছেন না।

এই হলো এই পর্যন্ত পাওয়া আপডেইট। শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের রক্তে রঞ্জিতো সকাল। দুই মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের ভাইয়ের রক্তে রঞ্জিতো সকাল। শুভ সকাল বাংলাদেশ।'



ব্লগার, এক্টিভিস্ট আরিফ জেবতিক ফেসবুকে নিজের ওয়ালে লিখেছেন, 'জানতে পারলাম আহতো ব্লগার ফরহাদ হোসেন কোরআনে হাফেজ এবং পরবর্তীতে মাদ্রাসার পাঠ শেষে সাধারন কলেজেও লেখাপড়া করেছেন। তার আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস নশ্বর জীবনের মিথ প্রচণ্ডরকমভাবে মাদ্রাসা ও ধর্মীয় শিক্ষার কুফলকে তুলে ধরেছে। তার বাবা একজন নিখোঁজ মুক্তিযোদ্ধা। বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম তাদের থানার প্রথম মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, মেঝো ভাই মুক্তিযুদ্ধের নৌ কমান্ডো বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন। ফরহাদ হোসেনের হাসপাতাল অভিজ্ঞতা তার ভাই ডাক্তার নাজমুল হাসানের জবানিতে শুনুন। // রাত্র তিনটা থেকে সকাল নয়টা পর্যন্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোনো ডাক্তার পাওয়া যায়নি। ওয়ার্ড বয়রা কয়েকজনে ধরে ঐ অবস্থায় ক্ষতস্থানে সেলাই দিয়েছে এবং বারান্দার ফ্লোরে ফেলে রেখেছে। কোন প্রকার পেইন কিলার ছাড়াই দেয়া হয়েছে সেলাই ও ঔষধপত্র ছাড়া রয়েছে পড়ে। তবুও ভালো যে ওয়ার্ড বয়রা ডাক্তারদের মতো অনুপস্থিত ছিলো না। আমার আরেক ভাইয়ের ছেলে খুলনা মেডিকেল কলেজেরই তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। সেও তার পরিচিতো ডাক্তারদের সাথে যোগাযোগ করে কাউকে পায়নি। একজন ইন্টার্নি ডাক্তারও নাই। আমি নিজেও ডাক্তার। আমাদের সময়ে আমরা মেডিকেল কলেজের যে অবস্থা দেখেছি তাতে এরকম দৃশ্য কল্পনা করাও কঠিন। নিজের ভাই এ দূরাবস্থায় না পড়লে অন্য কেউ আমাকে এমন ঘটনা বললে নিশ্চিতভাবেই তা আমি বিশ্বাস করতাম না। // -ডাক্তার নাজমুল হাসান'



শামস রাশীদ জয় নামের একজন ফেসবুকে লিখেন, 'খুলনায় গতো রাতে বাসায় ঢুকে মুখোশধারী সন্রাসীরা ব্লগার ফরহাদ হোসেন ভাইকে কুপিয়েছে। তার স্ত্রী বাধা দিতে গেলে তাকেও কোপায় ওরা। দুজনের অবস্থাই গুরুতর। এখন তারা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এই বীভৎস ঘটনাটি তাদের চার বছর বয়সী মেয়ের চোখের সামনে ঘটে। হাসপাতালে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় চিকিৎসা হচ্ছে না বলে পরিবারের তরফ থেকে জানা গেছে।

শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ফরহাদ ভাই। দুই জন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের ভাই ফরহাদ ভাই।

অবিলম্বে সেরা চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হউক। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে পুলিশ সর্বোচ্চ ক্ষিপ্রতা ও হিংস্রতা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ুক।

সৃষ্টিকর্তা যেন ফরহাদ ভাই ও ভাবীকে দ্রুত আরোগ্য দান করেন। তাদের বাচ্চা মেয়েটি যেনো এই বিভীষিকা কাটিয়ে উঠতে পারে।'



অন্যদিকে তাদের চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনে 'মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নাকি রামরাজত্ব' শিরোনামের এক লেখায় ফরহাদের বড়ভাই নাজমুল হাসান লিখেন, 'আমার সহোদর বড় ভাই এবং ভাবীকে দুর্বৃত্তরা ধারাল অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে যখম করার পরে তারা রাত্র তিনটার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে তাদের নিজ বাসভবন খুলনা ল্যবরেটরি স্কুল মোড়ের সামনে।

বেশ রক্তক্ষণ হয়েছে। রাত্র তিনটা থেকে সকাল নয়টা পর্যন্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোন ডাক্তার পাওয়া যায়নি। ওয়ার্ড বয়রা কয়েকজনে ধরে ঐ অবস্থায় ক্ষতস্থানে সেলাই দিয়েছে এবং বারান্দার ফ্লোরে ফেলে রেখেছে। কোন প্রকার পেইন কিলার ছাড়াই দেওয়া হয়েছে সেলাই ও ঔষধপত্র ছাড়া রয়েছে পড়ে। তবুও ভাল যে ওয়ার্ড বয়রা ডাক্তারদের মতো অনুপস্থিত ছিল না। আমার আরেক ভাইয়ের ছেলে খুলনা মেডিকেল কলেজেরই তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। সেও তার পরিচিত ডাক্তারদের সাথে যোগাযোগ করে কাউকে পায়নি। একজন ইন্টার্নি ডাক্তারও নাই।

আমি নিজেও ডাক্তার। আমাদের সময়ে আমরা মেডিকেল কলেজের যে অবস্থা দেখেছি তাতে এরকম দৃশ্য কল্পনা করাও কঠিন। নিজের ভাই এ দূরাবস্থায় না পড়লে অন্য কেউ আমাকে এমন ঘটনা বললে নিশ্চিতভাবেই তা আমি বিশ্বাস করতাম না।

বিভিন্ন পরিচিত ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো, ওখানকার বিএমএ নেতা ডা. বাহার সারা খুলনার চিকিৎসা ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে রেখেছেন। তার পছন্দের বাইরে কোন ডাক্তারের পক্ষে খুলনায় থাকা সম্ভব না। যারা থাকে তাদেরকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ দিয়ে থাকতে হয়। এছাড়া আছে ডা. বাহারের চামচারা। যাদের ডিউটি করার দরকার পড়ে না, ডা. বাহারকে খুশী রাখলেই সবটা হয়ে যায়। ইর্ন্টর্নির সময়ে চাকুরী করা সম্ভবত আইনত অবৈধ কিন্তু ওখানকার ইন্টার্নিরা সমানে প্রাইভেট ক্লিনিকগুলিতে ডিউটি করে যাচ্ছেন। এ সময়ে ক্লিনিকে ডিউটি করলে কাজ শিখবে কিভাবে?

শেষ পর্যন্ত যে সার্জারি ইউনিটের অধীনে ভর্তি ছিলেন তার প্রধাণের সাথে কথা বলতে সক্ষম হই। উনি আমার পরিচিতো, আমাদের মেডিকেলেরই- আমার এক বছরের সিনিয়র ছিলেন। ব্যক্তিগত পর্যায়ে যোগাযোগের ফলশ্রুতিতে কাজটি এখন সম্পূর্ণ হচ্ছে। তাদেরকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়েছে, অপারেশন চলছে। একটা মেডিকেল কলেজের সিস্টেম কাজ করবে, ব্যক্তিগত পরচিয় নয়- এমনটি কি হবার কথা ছিল!'

ফেসবুকে দেয়া আরেক স্ট্যাটাসে তিনি বলেছেন, 'ফরহাদ ভাইকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করেছে। সে এখন আশঙ্কামুক্ত। ভাবী এখনো অপারেশন থিয়েটারে আছে, তার অবস্থা এখনো জানা যায়নি।'

আহসান কামরুল
১৪.০৭.২০১৫ খ্রি.
ঢাকা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯

চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: মানুষের স্ট্যাটাস পড়ে তো আর সিদ্ধান্তে আসা যাবে না, অনেক সময় জমিজমা, পারিবারিক কলহও দায়ী হতে পারে। আবার সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার সাথে যোগসূত্রও থাকতে পারে। যেই করুক, কোনটার অপরাধীই তো বের হচ্ছে না। বিএনপি তো কর্নেল গুলজারকে দিয়ে বাংলা ভাই, শায়খ রহমানকে ধরিয়ে রেখে গিয়েছিল, আর লীগের নেতারা তো সারাদিন জঙ্গি জঙ্গি করে করে, জেহাদী বইসহ এরেস্টও হয় দেখি; কিন্তু আসল অপরাধী ধরা পড়ে না কেন??
আর সেই সাথে মিডিয়া কেন চেপে যাচ্ছে সেটাও রহস্য। এটাও হাস্যকর যে তাকে ধর্মীয় ব্যক্তি হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে। তার সাম্প্রতিক লেখাগুলো পড়লে কিছুটা ধারণা পাওয়া যেতো

১৪ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৮

আহসান কামরুল বলেছেন: ব্লগার ফরহাদের ভাই ডা. নাজমুল হাসান বলেছেন, 'এখনো পর্যন্ত এ হামলার মোটিভ বোঝা যায়নি।' লেখালেখির সঙ্গে তিনি জড়িতো, তা ঠিক। আর কোপানো রোগীকে একটা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসার বদলে তাদের সঙ্গে গড়িমসি হবে কেনো? মিডিয়া বিষয়টাকে কেনো গোপন করছে, তা বোঝা কঠিন। এর বিরুদ্ধে সম্মিলিতো প্রতিবাদ দরকার। আল্লাহ না করুক, না হয় আগামীকাল আপনাকে, আমাকে কুপিয়েও জমিজমা, ব্যক্তিগতো কলহের জের বলে চালিয়ে দেয়া হবে!

২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:২০

আলী আকবার লিটন বলেছেন: ফরহাদ হোসেন মুক্তচিন্তা ব্লগের লেখক ছিলেন।ধর্মীয় কুসংস্কার দূরীকরণ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখাই ছিলো তার লেখনীর মূল সুর।



আমি এসব কোপা কুপীর সম্পূর্ণ বিরোধী । তবে একটা কথা না বলে পাচ্ছি না । ধর্মীয় কুসংস্কার বলতে মানুষ যে কি বোঝাতে চাই তা আমার মাথায় ধরে না । কিছু কিছু এসব উর্বর মস্তিষ্কের কিছু ব্লগার!! আছে যারা নারীদের বেপর্দা এবং নারীদের অবাধ বেহায়াপনা কে উস্কে দিতে ইসলামকে ধর্মীয় কুসংস্কারের তালিকায় ফেলে । আর কথায় কথায় ব্লগার ব্লগার একটা বুলি হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন । ব্লগারের নামের সাথে ইসলামকে জড়াতে পারলেই বুঝি কম সময়ে ফেমাস হওয়া যায় । রেডিকুলাাস্ !!!

১৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৩১

আহসান কামরুল বলেছেন: হ্যাঁ, কারো লেখা যদি আপনার ভালো না লাগে, তবে তার জবাব আপনি লেখার মাধ্যমে দিতে পারেন। তার যুক্তির বিপরীতে আপনার যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেন। কিন্তু কোনোভাবেই তার ওপর চাপাতির প্রয়োগ ঘটানো যায় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.