![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীটা বদলাক যুক্তির চর্চার দ্বারা। বিশ্বাসের ভাইরাস ছড়ানো এ দেশটা বদলে যাক...।
কয়েকমাস আগে ‘প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি’র শিক্ষার্থীদের ওপর ভ্যাট চাপানোর বিষয় নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে গেছে। প্রথম থেকেই বিরোধিতা করেছি, লেখালেখি করেছি, যদিও তখন ‘প্রাইভেট’র ছাত্র ছিলাম না। তবে সরকারের ফান্ডে রাজস্ব বাড়ানোর জন্য এখন একটি প্রস্তাব করছি, যদিও জানি না আমার এ প্রস্তাব সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছাবে কী না। তবে ফেসবুকের আইডিতে ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা সাংবাদিক বন্ধুদের প্রতি ভরসা আছে। ভরসা আছে সব বন্ধুদের প্রতি। বিশ্বাস, সবাই মিলে আওয়াজ তুললে সংশ্লিষ্ট মহলে এটা পৌঁছাবে।
প্রস্তাবনাটি হলো, ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব বাংলাদেশে ব্যবসা করছে, এ দেশ থেকে বিজ্ঞাপন বাবদ শতকোটি ডলার ইনকাম করছে। কিন্তু তারা আমাদের দেশকে কোনো আয়কর দিচ্ছে না। বাংলাদেশ থেকে পাওয়া বিজ্ঞাপন, বা বাংলাদেশ থেকে বিজ্ঞাপন ভিজিট করার কারণে যে ডলার ইনকাম হবে তার ওপর নির্দিষ্ট পরিমান কর আদায় করতে হবে। জানামতে, আমেরিকা ছাড়া অন্য কোনো দেশে সম্ভবত ফেসবুক, ইউটিউব, গুগলের আয়ের ওপর কর বসানো হয়নি। তবে বাংলাদেশ যদি এ ক্ষেত্রে রোল মডেল হয়, সমস্যা কী? আর যে কারণেই হোক এখন যেহেতু ফেসবুক বন্ধ আছে, তা খুলে দেয়ার জন্য ফেসবুকের কর্তৃপক্ষকে সরকারের তরফ হতে এ শর্তটি দেয়া যায়। যদি তাদেরকে আয়করের আওতায় নিয়ে আসা যায়, তবে সরকারের বার্ষিক রাজস্বের পরিমান বেড়ে যাবে কয়েকশত কোটি ডলার!
এমন কোন কোম্পানি কি আছে, যারা কোনো দেশে বিজ্ঞাপন বাবদ কোটি ডলার আয় করে অথচ ওই দেশের সরকারকে কর দেয় না? বাংলাদেশের সব মিডিয়া, অন্য সব কোম্পানি যদি যে কোনো সেবা, ব্যবসা থেকে পাওয়া অর্থের নির্ধারিত পরিমান কর দিতে পারে, তবে ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল কেনো দেবে না? এরা কী ‘আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলাম’ টাইপের কিছু নাকি যে, তারা সব ধরণের কর থেকে দায়মুক্তি পাবে? আশা করি, সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর বিষয়টি আমলে নেবেন।
উল্লেখ্য, লেখাটি গত ৪.১২.২০১৫ খ্রিস্টাব্দে ফেসবুকে প্রকাশের পরে একজন বন্ধু লিখেছেন, ‘সমস্যাটা হলো ভাইজান। এটা আসলে সম্ভব না। কয, ইন্টারনেটের কোনো বর্ডার নেই , কোনো অঞ্চল নেই। এসব ক্ষেত্রে ফেসবুক যত বেশী আয় করবে এ দেশ থেকে তারমানে বাংলাদেশীরা ততবেশী ইন্টারনেট ডাটা ইউজ করছে, যতবেশী ডাটা ইউজ হচ্ছে ততবেশী ভ্যাট সরকার পাচ্ছে। প্রক্রিয়াটা এইরকম। বাংলাদেশী ইউজারদের কারণে অনেক গান ডাউনলোডের সাইটে হিট বাড়ছে আয় বাড়ছে। তাহলে কি তারাও কর দেবে? যেইটা ফেসবুক অন্য ১৮০ টা দেশে দেয়না সেটা বাংলাদেশ কে কিভাবে দেবে। তারাত ব্যাবসা চালাচ্ছে আমেরিকা থেকে। কর শুধু আমেরিকাকেই দেবে। তাহলে গুগল রেও দিতে হবে ,ইউটিউবকেও দিতে হবে। সরি টু সে সাংবাদিক কেন সবাই মিলে রাস্তায় নাইমা গেলেও এটা পসিবল না। smile emoticon’
জবাবে বলেছি, ‘ধন্যবাদ, মন্তব্যের জন্য। ব্যবসা করলে আয়কর দিতেই হবে, এটা সব দেশ, সব কোম্পানীর জন্যই প্রযোজ্য। সেটা হোক ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব, কিংবা অন্য যে কোনো প্রতিষ্ঠান। এটা করা যায় না, তা কিন্তু না। প্রয়োজনে বাংলাদেশের জন্য ‘সোশ্যাল মিডিয়া আইন’ করা যেতে পারে। তবে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, ওয়েবসাইটের বিষয়টা ভিন্ন। এটা করা যায় কী না, তার টেকনিক্যাল বিষয়টা সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরকে দেখার জন্য আমি সরকারকে অনুরোধ করেছি। আর সাধারণ মানুষের লড়াইটা হবে বিষয়টা নিয়ে সরকারকে পর্যালোচনার অনুরোধের জন্য। বিশেষজ্ঞরা সবকিছু পর্যালোচনা করে যদি বলেন, এটা সম্ভব না তখন সেটা না হয় মানলাম। সরি টু সে, আপনি এখন যাকে অসম্ভব ভাবছেন, সাদা কাগজে লিখে রাখেন এটাই একদিন সম্ভব হবে। মনে রাখবেন, সোশ্যাল মিডিয়া বলে কোনো কিছু যে সম্ভব, সেটা কিন্তু মাত্র ৫০ বছর আগেও মানুষের কাছে অসম্ভব বলেই মনে হয়েছিলো! ১৮০ টা দেশকেই ভাবতে হবে, বা কিছুদিন পরে সবাই ভাববে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ যদি রোল মডেল হয়, দোষ কী? ধন্যবাদ।’
‘আমি শুধু বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের বিষয়টি বলেছি। হিটের জন্য কোনো সাইটের আয়ের ওপর কর বসাতে বলিনি। সেটা না হয় ডাটা কেনার থেকে পাওয়া করের মধ্যেই থাকলো। তবে গান ডাউনলোডের জন্য যদি ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড থেকে নির্ধারিত ফি দিতে হয়, তখনো কী সেটা করের বাইরে রয়ে যাবে? এটাও কী ডাটার করের মধ্যে পড়ে? অবশ্যই না। ফেসবুক, ইউটিউবের বিজ্ঞাপনের বিষয়টিও এমন। বিজ্ঞাপনের জন্য আলাদা করে আয়ের ক্ষেত্রে এই খাতে আয়কর বসানোর পক্ষপাতি আমি। ফেসবুক বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান নিজ দেশে আয়কর দেয়ার ক্ষেত্রে ‘ফিনান্সিয়াল স্টেটমেন্ট’ করেন নিশ্চয়ই। সেক্ষেত্রে প্রত্যেকটি দেশ থেকে আয়, ব্যয়ের হিসাব করে টোটাল অ্যামাউন্টের ওপর নিজ দেশকে কর দিলে কোনো সমস্যা আছে? এটা কী বাড়তি বা কোনো ধরনের অন্যায় চাওয়া?’
তার প্রতিউত্তর, ‘এটা সম্ভব হবে! একটা ওয়ে আছে। ফেসবুকের আঞ্চলিক অফিস যদি বাংলাদেশে হয়।’
তার প্রতিউত্তরে আমার জবাব, ‘আপনি এটা অবশ্যই জানেন, সরকার কিন্তু যে কোনো কারণে এ দেশে ফেসবুকের কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি বা আঞ্চলিক অফিস চাচ্ছে!’
আহসান কামরুল
৬.১২.২০১৫ খ্রি.
ঢাকা।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৬
আহসান কামরুল বলেছেন: ধন্যবাদ, লেখার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সহমত পোষণ করার জন্য।
২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৬
মাকড়সাঁ বলেছেন: Pagoler prolap
৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব বাংলাদেশে ব্যবসা করছে,
এ দেশ থেকে বিজ্ঞাপন বাবদ শতকোটি ডলার ইনকাম করছে। তারা ইনকাম করছে অতচ হোষ্ট কান্ট্রিকে কোনো কর দিচ্ছে না।
এটাতো হয় না।
বাংলাদেশ থেকে পাওয়া বিজ্ঞাপন, বা বাংলাদেশ থেকে বিজ্ঞাপন ভিজিট করার কারণে যে ডলার ইনকাম হবে তার সামান্য পরিমান শুল্ক/লেভি/এক্সাইজ/কর বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রাপ্য। আজ নাহোক ৫/১০ বছর পর হবেই।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৮
আহসান কামরুল বলেছেন: এখন যেটা অসম্ভব মনে হচ্ছে, সেটাই একদিন সম্ভব হবে। কারণ, সোশ্যাল মিডিয়া বলে কোনো কিছু যে সম্ভব, সেটা কিন্তু মাত্র ৫০ বছর আগেও মানুষের কাছে অসম্ভব বলেই মনে হয়েছিলো! ১৮০ টা দেশকেই ভাবতে হবে, বা কিছুদিন পরে সবাই ভাববে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ যদি রোল মডেল হয়, দোষ কী? ধন্যবাদ।
৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৭
শফিউল আলম চৌধূরী বলেছেন: ভাই, সরকার যদি ওদের উপরে আয়কর ধরতেই চায়, আমি ১০০০০০০০০০০০০০০০০০০% একমত। তবে তার আগে সরকারকে নির্ধারণ করতে হবে আমরা কি করে ফেসবুককে/গুগলকে টাকা দিবো। আপনি হয়ত জেনে থাকবেন যে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে টাকা দেওয়ার জন্য ক্রেডিট কার্ড/ডেবিট কার্ড করা কতটা ঝামেলা পূর্ণ এবং পেমেন্ট করা যায় খুবই সীমিত পরিমানে। তাই সবাই মোটামুটি পেপ্যাল, পেয়নিয়র সহ কিছু সার্ভিসের উপর ডিপেন্ডেন্ট; যা কিনা সরকার সমর্থন করে না। সরকার প্রথমে ব্যাংক গুলিকে টাকা পেমেন্ট করবার জন্য উপযুক্ত করুক, তারপর সেই ব্যাংক থেকে যা যা টাকা যায় সেই টাকার উপর যত খুশি ইনকাম ট্যাক্স ধরুক; আমার কোন আপত্তি নাই। কিন্তু আমরা কি করে টাকা দিবো সেইটার ব্যবস্থা না করে তাদের উপরে আয়কর বসাতে গেলে তো ভাই হিসাব ঠিক থাকবে না; তাই না?
কিছুদিন আগে ইকমার্সের উপরে ট্যাক্স বসবে কি বসবে না এই নিয়ে এক পর্ব নাটক হয়ে গেলো; যদিও শেষ পর্যন্ত ট্যাক্স বসানো হয় নাই। তবে মজার বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশে আপনি ইকমার্স ক্যাটাগরীতে কোন বিজনেস রেজিষ্ট্রেশনই করতে পারবেন না। বিষয়টা এমন যে আপনি একটা দেশের বাসিন্দা হতে পারবেন না; লিষ্টেড হতে হবে অন্য দেশের বাসিন্দা হিসাবে; আবার কর ঠিকই দিবেন যে দেশের বাসিন্দা হতে পারলেন না সেই দেশের হিসাবে!
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪২
আহসান কামরুল বলেছেন: ধন্যবাদ, লেখার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সহমত পোষণ করে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য। হ্যাঁ, কর বসানোর জন্য আগে অবশ্যই সরকার, উদ্যোক্তা, বিশেষজ্ঞ, ব্যবহারকারীদের সমন্বয়ে এর টেকনিক্যাল বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা, পরামর্শ করতে হবে। তবে যাই হোক, সব বাধা দূর করে যদি এ খাতকে করের আওতায় আনা যায়, তবে এ খাত থেকে দেশ অনেক লাভবান হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৭
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: সহমত