নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

রম্যরচনাঃ সবার আগে

২২ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৭:২১



যে উপজেলায় আসগর সাহেবের বদলি অর্ডার হলো সেখানে ডেলি প্যাসেঞ্জারি করে অফিস করা যায়। কিন্তু সমস্যা হলো দূরপাল্লার এক্সপ্রেস বাসগুলো ওই উপজেলা হয়ে যায়না। ফলে লক্কর ঝক্কর লোকাল বাসই ভরসা। কিছু চাকরিজীবী লোক ওই বাসেই যাতায়াত করে। এতে সাহস পেয়ে টিফিন ক্যারিয়ারে দুপুরের খাবার নিয়ে প্রথম দিন আসগর সাহেব যে লোকাল বাসটিতে উঠে পড়লেন, তার নাম ‘সবার আগে’। চমৎকার বাংলা নাম। তবে বাসের গায়ে লেখা এই বাংলা নামের নিচে ভুল ভাল ইংরেজি বানানে লেখা আছে ননস্টপ, গেট লক ইত্যাদি। বাসের ছাদে আলু ও শুকনা মরিচের বস্তা ছাড়াও গোটা কয় ছাগল, মুরগির খাঁচা আর পুরাতন কাপড়ের গাঁটটি। লুঙ্গি পরা কিছু দেহাতি লোকজন গম্ভীর মুখে বাসের ছাদে বসে ভুস ভুস করে বিড়ি টানছে। বাসের ছাদে ক্যারিয়ারের ফ্রেমের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে দুটো সাইকেল ঝোলানো। ছত্রিশ সিটের বাসে অন্তত সত্তর জন আদম সন্তান। ভেতরে ঠাসা ঠাসি অবস্থা। বাসের দুই দরজার হ্যান্ডেল ধরে ডারউইনের বিবর্তন তত্বের সমর্থনে ঝোলাঝুলি করছে মানুষ। আসগর সাহেবের চেহারাটা বাঁদরের চেয়ে উন্নত মনে হওয়ায় বাসের হেল্পার ছেলেটি দয়াপরবশ হয়ে তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করে ঢুকিয়ে দিল ভেতরে। কিন্তু যেই লাউ, সেই কদু। একহাতে টিফিন ক্যারিয়ার আর একহাতে মাথার ওপর লোহার পাইপ ধরে আসগর সাহেবের অবস্থা হল সেই ঝুলে থাকার মতোই। চারপাশে ঘামের উৎকট গন্ধ আর নারী পুরুষ বাচ্চাকাচ্চার হাউ কাউ।

বাস ছাড়ার পর শুরু হল কন্ডাক্টারের সাথে যাত্রীদের ভাড়া নিয়ে ঝগড়া। সব যাত্রীর এক কথা, কন্ডাক্টার ভাড়া বেশি নিচ্ছে। কন্ডাক্টারেরও এক কথা, না পোষালে গাড়ি থেকে নেমে যান।
‘গাড়ি থাইক্যা নামুম কিল্লাই? গাড়ি কি তোমার বাপের?’
‘গাড়ি আমার বাপের না হইলে এত ট্যাকার গাড়ি আমগো হাতে ছাইড়া দিয়া মহাজন আব্বা বাড়িত্ ঘুম পাড়ে ক্যামনে? প্যাচাল না পাইরা জলদি ভাড়া বাইর করেন।’

এক গ্রাম্য মহিলার কোলে পাঁচ ছয় বছরের একটি ছেলে। তার কথা, এত ছোট বাচ্চার আবার ভাড়া কিসের? কন্ডাক্টারের সাফ কথা, ‘দাঁত উঠলেই ভাড়া দেওন লাগবো। পোলার দাঁত উঠছে কি না দেখান।’
‘আরে ব্যাডা কয় কি? পোলা তো আমার কোলে বইয়া যাইতাছে। অর লাইগ্যা তো কোন সিট লই নাই।’
‘বহুত প্যাচাল পারতাছেন খালা। এতগুলা লোক খাড়াইয়া যাইতাছে। অগো ভাড়া নিয়া কোন ভ্যাজাল নাই। আর আপনার পোলা কোলে বইয়া ঘুমাইয়া ঘুমাইয়া যাইতাছে, হ্যার ভাড়া দিবেন না? প্যাচাল রাখেন, ভাড়া দ্যান। ’

বাজারের মতো একটা জায়গায় এসে বাস থামতেই কমপক্ষে এক ডজন লোক ঝাঁপিয়ে পড়লো বাসের ওপর। কিছু লোক তর তর করে উঠে গেল বাসের ছাদে। একজন মাথামোটা বামন লোককে চ্যাংদোলা করে তুলে গাড়ির জানালা দিয়ে ভেতরে গলিয়ে দিল তার সঙ্গীরা। বাঁকিরা মোষের মতো গুঁতোগুঁতি করে বাসের দরজা দিয়ে ঢুকে পড়লো ভেতরে। পায়ে আঘাত পেয়ে ককিয়ে উঠলো একজন। এক বৃদ্ধের প্রতি করুনাবশতঃ হেল্পার ছোকরা টানাটানি করে তাকে বাসে তুলতে গিয়ে ব্যর্থ হল। তবে বৃদ্ধের দুর্বল জামা থেকে বুক পকেটটা খুলে থেকে গেল তার হাতে। বৃদ্ধের হৈ চৈ এর মধ্যেই রওনা হয়ে গেল গাড়ি। হেল্পার ছোকরা পকেটটা দলা পাকিয়ে বৃদ্ধের উদ্দেশ্যে ছুঁড়ে দিয়ে মন্তব্য করলো, ‘বুইড়া ননসেন্’

বাসের সামনের দিকে এক দম্পতি তাদের দশ বার বছরের ছেলে সাথে নিয়ে বসেছিলেন। লোকজনের ভিড়, বাসের ধীরগতি আর ঘন ঘন বাস থামানো নিয়ে স্বামী স্ত্রী দুজনেরই এন্তার অভিযোগ। একটানা বক বক করছিলেন তারা। এক পর্যায়ে ওয়াক ওয়াক করে বমি করে ফেললেন ভদ্রমহিলা। তার দেখাদেখি ছেলেটিও। বাসের মেঝে বমিতে সয়লাব। যাত্রীদের জুতা স্যান্ডেল মাখামাখি। কারো কারো কাপড় চোপড়ে বমি থেকে ছিটকে আসা সাদা ভাত। এবার অভিযোগ শুরু করলো যাত্রীরা, ‘এইডা কি করলেন আফা?’ স্বামী ভদ্রলোক চরম বিব্রত। তিনি অত্যন্ত বিরক্তির সাথে বললেন, ‘এই জন্য তোমাদের নিয়ে কোথাও যাইনা। মান সম্মান থাকেনা। ছিঃ।’ বলতে বলতে ভদ্রলোক নিজেই অতি দ্রুত বাসের জানালা দিয়ে মাথা বের করে বিচিত্র শব্দে বমি করে ফেললেন। চলন্ত গাড়ির বিপরীতমুখী বাতাসের তোড়ে সেই বমির অধিকাংশ গিয়ে পড়লো বাসের পেছন দিকের দরজায় হনুমানের মতো ঝুলে থাকা যাত্রীদের মুখে। সমস্বরে চিৎকার করে উঠলো তারা, ‘এ্যাই ড্রাইভার, গাড়ি থামাও, গাড়ি থামাও।’

হতচকিত ড্রাইভার কড়া ব্রেক কষে গাড়ি থামাতেই ঘটলো আরেক ঘটনা। বাসের পেছন দিকে টানা পাঁচ সিটের মাঝামাঝি গুটি সুটি মেরে বসে ছিল কলেজ পড়ুয়া দুটি গ্রাম্য মেয়ে। বাসের হৈ হট্টগোলের মধ্যেই মোবাইল ফোনে নিম্নস্বরে তারা কথা বলছিল আর নিজেদের মধ্যে হেলেদুলে হাসাহাসি করছিল। তাদের একেবারে সামনে লোহার পাইপ ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন টাক মাথার বেঁটেখাটো গড়নের এক মাঝ বয়সী ভদ্রলোক। কড়া ব্রেকের ফলে নিজেকে সামলাতে না পেরে তিনি ছিটকে গিয়ে বসে পড়লেন একটি মেয়ের কোলে। সাথে সাথে ‘ঠাশ্’ করে একটা চড়ের আওয়াজ শোনা গেল। মেয়েটি বলল, ‘অসভ্য!’ তার সঙ্গী মেয়েটি বলল, ‘ইতর কোথাকার!’
ভদ্রলোকের হাতে ছিল ঠোঙ্গা ভর্তি ডালের বড়ি। ঠোঙ্গাটা হাত থেকে ছিটকে পড়ে বড়িগুলো ছড়িয়ে গেছে বাসের মেঝেতে। ভদ্রলোক লোকজনের পায়ের ফাঁকে হামাগুড়ি দিয়ে বড়িগুলো কুড়াতে লাগলেন।

এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর আবার থেমে গেল গাড়ি। একজন যাত্রী খুব দ্রুত ছাতা হাতে নেমে গেল বাস থেকে। কিন্তু বাস আর ছাড়ে না। রাস্তার দুপাশে জনবসতিহীন বিল এলাকা। এখানে বাসটা থেমে আছে কেন কে জানে! যাত্রীরা অধৈর্য হয়ে হৈ চৈ শুরু করলো, ‘এ্যাই ড্রাইভার, গাড়ি ছাড়ো।’ কিন্তু কে শোনে কার কথা। জগদ্দল পাথরের মতো দাঁড়িয়ে আছে ‘সবার আগে’। বাসের সামনের দিকে কন্ডাক্টারের সাথে কিছু যাত্রীর উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শোনা গেল।
‘আরে ভাই, মানুষের বিপদ আপদ আছে না!’
‘ওই মিয়া, কিয়ের বিপদ?’
‘তাকাইয়া দ্যাখেন। প্যাটে নিম্নচাপ লইয়া বহুতক্ষন ধইরা কষ্টে ছিল বেচারা। অহন কি আরামে ডাউন দিতাছে, দ্যাখেন।’
সত্যিই তাই। বাসের জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখা গেল বিলের মধ্যে ছাতা ফুটিয়ে মাটিতে রেখে লোকটা তার আড়ালে বসে পেটের নিম্নচাপ থেকে খালাস হচ্ছে।

বিলে পানি প্রায় নেই বললেই চলে। এ কাজের জন্য মোটামুটি উপযুক্ত জায়গাই পেয়েছে সে। এদিকে যাত্রীদের ক্রমাগত হৈ চৈ এর ফলে বিরক্ত হয়ে কন্ডাক্টার জানালা দিয়ে গলা বাড়িয়ে হাঁক দিল, ‘ওই মিয়া, আর দেরি কইরেন না। কিছু থাকলে বাড়িত্ গিয়া ডেলিভারি দিয়েন। আইয়েন, আইয়েন, জলদি আইয়েন।’
লোকটি সম্ভবতঃ ডেলিভারি সমাপ্ত করেই বিলের অপর্যাপ্ত ঘোলা পানিতে ফিনিশিং দিয়ে লজ্জা লজ্জা মুখে বাসে ফিরে এলো এবং বাস ছেড়ে দিল। আসগর সাহেব মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলেন আর লোকাল বাস নয়। প্রয়োজনে প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে লোণ নিয়ে হলেও তিনি একটা মোটর সাইকেল কিনবেন।
**********************************************************************************************************************
[লেখাটি মাসিক উত্তর বার্তা পত্রিকার নভেম্বর/ ২০১০ সংখ্যায় প্রকাশিত। ব্লগার বন্ধুরা যারা পড়েননি, তাদের জন্য ব্লগে প্রকাশ করলাম।]
রি-পোস্ট।
ছবিঃ নেট।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



খুবই ভাল লাগল রম্য রচনাটি।
বাসটির নামের সাথে কামের মিল আছে ।
বাসটির যে ছুরত দেখা গেল তাতে চড়লে সবার
আগেই ভবলিলা পাড়ি দেয়া যাবে ।
লোকাল বাসের যাত্রীদের একই অবস্থা
সারা দেশে । রাজধানী শহর ঢাকাতেও
দেখা যায় যাত্রীদের চলতি বাসে উঠে
হ্যন্ডেল ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়
এবং বাদুর ঝোলা হয়ে যেতে হয়
কেও যদি কোন মতে ভিতরে যেতে
পারে তাহলে সে বসার জন্য
সিটতো পায়ই না বরং তাকে দাঁড়িয়ে
যেতে হয় উপর থেকে ঝোলানো হাতল ধরে ।
শুধুকি তাই হাতল ধরে দাঁড়ানোর পরে
যাত্রীকে ৪৫ ডিগ্রি এংগেলে দাঁড়াতে হয়,
তার পা থাকে একদিকে আর তাকে ঝোলানো
হাতল ধরে সামনের দিকে ঝোকে থাকতে হয় ।
এঅবস্থাতেও বাসটি আবার হঠাত করে কড়া
ব্রেক চাপে যাতে মানুষ সামনে হেলে গিয়ে
ভিতরে আরো জায়গা খালি হয় এবং সে জায়গায়
গেটের কাছে ঝোলে থাকা যাত্রীকে বাসের ভিতরে
ঠেলে দিয়ে বাসের গেইটের কাছে আরো ৮/১০
জন যাত্রীকে টেনে তুলে জায়গা করে দেয়া য়ায় ।
এছাড়া বাস কোন নির্দিষ্ট স্টপে থামেনা ,যেখানেই
রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী হাত তুলে সেখানেই বাস থামে
আর কোন কোন যাত্রীকে চালু বাস হতেই জোড় করে
বলতে গেলে ঠেলে দিয়ে নামিয়ে দেয়া হয় । আর
যাত্রীকে বলা হয় নামলে এখানেই নামেন , এটা
ননম্টপ বাস সামনে কিন্তু আর থামবেনা ।
আর ভাড়া নিয়ে ক্যচাল সেতো সাধারণ
ঘটনা। ভাড়া নিয়ে যাত্রী বেশি ক্যাচ ম্যাচ
করলে কনডাকটর বলে ভাল করে চেয়ে
দেখেন বাসের গায় কি লেখা আছে।
যাত্রী দেখতে পায় বাসের গায়ে লেখা
আছে [sb ]বদ্র বেবহারে ভংসের পরিচয়
তারপর কনডাকটর যাত্রীকে বলে দেখলেনতো
নীজের বংশের মুখে চুনকালি মাখায়েননা,
খান্দানী বংশের পোলা অইলে ভাড়াটা দিয়ে
দেন, তা না হলে নামার সময় টের পাবেন ।
অনেক যাত্রী নামার সময় ঠিকই টের পায়
দেখে পকেট খালি হচ্চে । কানে কানে বলে
চিল্লাচিল্লি করলে আপনাকেই দোষী করে
গনধোলাই দেয়া হবে , এমন গনধোলাই
দেয়া হবে যে ভবলিলা সাঙ্গ হয়ে
সবার আগেই চলে যেতে
পারবেন ।
ধন্যবাদ সুন্দর রম্য রচনাটির জন্য ।

শুভেচ্ছা রইল

২২ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:৩৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। এই রম্যরচনাটির সাথে আপনি আরও কিছু রম্য যোগ করে মন্তব্য করায় পোস্টটি সমৃদ্ধ হয়েছে। মন্তব্যটি আমারও খুব ভালো লাগলো।

ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।

২| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:১৪

জুন বলেছেন: সাত সকালে আপনার রম্য পড়ে বহুত মজা পেলাম হেনা ভাই। আমাদের বিভিন্ন গন পরিবহনের কান্ড কীর্তি নিয়ে হাজার হাজার পাতা লেখা যায়। সিলেট যেতে ট্রেনেও দেখেছি এক পর্যায়ে সীট ছাড়াও প্রচুর যাত্রী উঠলো। ঠেলাঠেলি ধাক্কাধাক্কির মধ্যে এক বেহালা বাদক উঠে "আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম" গাইছে। আমার কিন্ত মজাই লাগছিলো সব কিছু মিলিয়ে :)
আপনার পোস্টে বরাবরের মতই প্লাস।

২২ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৩৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার মজা লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। সময়টা এমনই যে কারো মনে আনন্দ নাই, সুখ নাই, হাসি নাই। এরকম সময়ে ব্লগার বন্ধুরা একটু হাসুক, আনন্দ পাক-এই উদ্দেশ্যেই লেখাটি রিপোস্ট দেওয়া।


ধন্যবাদ বোন জুন।

৩| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:১১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দেখো দিকি কি কান্ড!!!!

বমি, নিম্নচাপ ডাউন--- সক্কাল সক্কাল মাথা খ্রাপ অবস্থা!!!!! :-/
এইটা যোগাযোগ মন্ত্রীরে উৎসর্গ করতে ভুইলা গেলেন কেমতে ;)

রম্যের মাঝে আমাদের চলমান যাপিত জীবনের কষ্টও আঁকা হয়েছে বাস্তবতায়!
তবুও ভাল বেচারা পিএফ থেকে লোন নিয়ে মটর সাইকেল কিনবে? যাদের পিএফ নাই?????

++++

২২ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:২৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: যোগাযোগ মন্ত্রীরে উৎসর্গ করলে আমারে ৫৭ ধারার চক্করে ফালাইয়া দিব। না ভাই, এই বুড়া বয়সে সাতান্নবার চক্কর দিতে পারুম না।


ধন্যবাদ ভাই বিদ্রোহী ভৃগু।

৪| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:১৩

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: এক বাসে পুরো বাংলাদেশের খণ্ডচিত্র। উপভোগ্য রম্যরচনা! শুভেচ্ছা জানবেন ... : )

২২ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সাজিদ উল হক আবির।

৫| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:২২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: চলমান অস্থির সমাজের সুন্দর এবং বাস্তব ছবি।

দরিদ্র দেশের ততোধিক দরিদ্র মানষিকতার মানুষদের খাঁটি চিত্র ফুটে উঠেছে আপনার লেখায়।

২২ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:০৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।

৬| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৪৮

প্রামানিক বলেছেন: আপনার কয়েকটি পোষ্ট পড়া হয় নাই সবগুলো পড়ে আবার মন্তব্য করবো। ধন্যবাদ হেনা ভাই।

২২ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:১০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এগুলো সবই রিপোস্ট প্রামানিক ভাই। আপনি নিশ্চয় আগে পড়েছেন। সুতরাং, এখন না পড়লেও চলবে।

ধন্যবাদ ভাই।

৭| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৩১

শাহ আজিজ বলেছেন: নিন্মচাপ B-)


ছাতা খুব উপকারি জিনিস :``>>

২২ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৩৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। আমরা হাসছি বটে, কিন্তু বিপদের সময় বুঝা যায় ছাতা কত উপকারি জিনিস।


ধন্যবাদ আজিজ ভাই।

৮| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী। এটা আমি আগে পড়েছি।

২২ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:২৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রাজীব নুর।

৯| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৩০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আগেও একবার দেখেছি

২২ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই নেওয়াজ আলি।

১০| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


নোয়াখালীর লোক্যাল বাস

২২ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নোয়াখালীর লোকাল বাসও এই রকম নাকি? সাহস করে চড়েছেন কখনো? আমি একবার চড়ে নাকে খত দিয়েছি।

ধন্যবাদ ভাই চাঁদগাজী।

১১| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ,




এসব হলো একদম জীবনের ছবি। রম্যের ক্যানভাসে নিত্যদিনের জীবন্ত চালচিত্র।

২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনি একদম সঠিক কথা বলেছেন। মানুষের জীবনের চলমান সমস্যা ও কষ্টের কথা কেউ বলেন বক্তৃতার মাধমে, কেউ বলেন প্রবন্ধ বা নিবন্ধ লিখে, কেউ বলেন সংবাদ প্রতিবেদনে। আর আমি বলেছি রম্যরচনা লিখে। সবাই একই কাজ করছি, শুধু মাধ্যম আলাদা। রম্যরচনা পড়ে মানুষ হা হা করে হাসলেও সে বড় কষ্টের হাসি।

ধন্যবাদ ভাই আহমেদ জী এস।

১২| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৩৬

শুভ_ঢাকা বলেছেন: হেনা ভাই, আগে এই লেখাটা পড়িনি। কিছুটা পড়ার পরা আর পড়তে পারলাম না অনেস্টলি। পাবলিক পরিবহনের দুর্ভোগ এতো সূক্ষ্ম ডিটেইলস আপনি লিখেছেন। যেন মনে হচ্ছিল আমি নিজে স্বয়ং বাসের ভিতরে আর আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে, লিটরেলি সাফ্যাকেশন শুরু হয়ে গেছে। আমি আক্ষরিক অর্থেই দুর্বল চিত্তের মানুষ। স্যরি ভাই আপনার এই রম্য হজম করতে পারলাম না। মাঝ রাস্তায় পড়া বন্ধ করে শেষের প্যারাটা পড়ে আপনার রম্য পড়া ক্ষান্ত দিলাম।

২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। আমার লেখার একটা বৈশিষ্ট্য হলো সূক্ষ্ম ডিটেইলসে লেখা। এই কারণেই পাঠকের সামনে একটা ভিজুয়াল এফেক্ট ফুটে ওঠে।

যাই হোক, পরে সম্ভব হলে পড়বেন। সম্ভব না হলে কোন সমস্যা নাই। একজন লেখকের সব লেখাই যে পড়তে হবে এমন কোন কথা নাই। সত্য কথা বলার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। অবশ্যই শুভকামনা।

১৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:৩৮

সিদ্ধাচার্য লুইপা বলেছেন: মফস্বলের লোকাল বাসের সাথে ঢাকার লোকাল বাসের তফাত খুব একটা নেই। শুধু কিছু পরিচিত চিত্রের হালকা পর্থক্য হবে।

২৩ শে আগস্ট, ২০২০ ভোর ৫:৪৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। ঢাকার লোকাল বাসগুলি কমবেশি মফস্বলের মতোই।


ধন্যবাদ সিদ্ধাচার্য লুইপা।

১৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪৬

পুলক ঢালী বলেছেন: উহ্ ! কি মারাত্মক বর্ণনা। আমারও জানালা দিয়ে বমি করে দিতে ইচ্ছে হচ্ছিলো।
১। আমনে এই রামপুরা-সদরঘাট বাসের ছপি কৈ পাইলেন ? ওগুলা তো এ্যান্টিক হইয়া গ্যাছে।
২। আমনে এত সোঁন্দর ঢাকাইয়া ভাষা শিকলেন কৈত্থুন ???
আমনে যে ফন্ডিত মানু পদে পদে টের পাওয়া যায়।
ছাতার বহুমুখী ব্যবহারের যে নজির দেখাইলেন তাতে যাত্রীদের জন্য দুঃখ ভারাক্রান্ত মনেও হাসি বাইরাইয়া গেল।
এই না হলে গুরুজী !
ভুল একটা আছে ইনার্শিয়া অব মোশনের অপ-ব্যবহার তয় যে সিনেমা দেখার মত লেখছেন তাতে মাফ কইরা দিলাম হা হা হা ;) =p~ =p~ =p~

আপনার অসংখ্য লেখা আগে পড়ার সৌভাগ্য হয়নি।
রিপোষ্ট দিতে থাকুন বলতে পারছিনা কারন আপনি এক হাতে অনেক কষ্ট করে টাইপ করেন।
ভাল থাকুন হেনা ভাই।

২৫ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমার লেখা পড়ে মানুষ হাসে, আর আমি আপনার মন্তব্য পড়ে হাসি। এরকম হিউমারাস মন্তব্য ব্লগে খুব কম দেখা যায়। ওই দেখেন, আমার বুড়ি আমার হাসি দেখে নিজেও হাসছে। সে কিন্তু এই লেখাটা পড়েনি। বোকার হাসি, তাই না?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.