নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিনুল ইসলাম সুজন, সাংবাদিক

আমনুল ইসলাম সুজন

একজন নিরীহ শ্রমিক

আমনুল ইসলাম সুজন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফাঁসি-ই একমাত্র দাবি

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১২

ধর্ষণকারী এবং এ জাতীয় অপকর্মে জড়িত মদদদাতা/ সহায়তাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে জাতীয় কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরাম এর উদ্যোগে ০৩ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১১টায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ মানববন্ধনে ৩৭টিরও অধিক সংগঠনের প্রায় ৪০০ নারী-পুরুষ অংশ নেয়। এখান থেকে সারাদেশের ধর্ষণকারী, ধর্ষণের সাথে জড়িত এবং সহায়তাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করা হয়, গণমাধ্যমের জোরালো ভূমিকা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয়। সচেতন নাগরিক সমাজকে ধর্ষণের বিরুদ্ধে যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।



জাতীয় কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক জনাব নাছিমা আক্তার জলি বলেন, প্রতিদিন প্রত্রিকার পাতা খুললেই দেখা যায় কোথাও না কোথাও নারী ও কন্যাশিশুরা বিভিন্নমুখী নির্যাতনের শিকার। পত্রিকার তথ্য মোতাবেক স্বাধীনতার পরবর্তীকালে ২০১২ সালে ধর্ষণ ও গণধর্ষনের শিকার সর্বোচ্চ। এ সংখ্যা প্রায় ১১৫০ টি। অনেকের মতে এ সংখ্যার হার আরো বেশি যা প্রত্রিকায় প্রকাশিত হয়নি। আজকের মানববন্ধনের উদ্দেশ্য হলো ধর্ষণকারীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাস্তি নিশ্চিত করা। প্রতিবারের মতো এবারেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় কর্তৃক তদন্ত কমিটি গঠন ও রির্পোট প্রদানের কথা বলা পর্যন্তই যেন শেষ না হয়। জনাব নাছিমা আক্তার জলি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রীমহোদয় ও রাষ্ট্র প্রধানের নিকট নিবেদন করেন যে জনগনের ম্যন্ডেট নিয়ে তারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আছেন এবং এই রাষ্ট্রের অর্ধেক অংশ নারী ও কন্যাশিশু, তাই ধর্ষণকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য যেন তারা জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহন করেন। ধর্ষণকারীরা যেন আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে কোনভাবেই জামিন না পায়।



জাতীয় কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরামের সভাপতি ও দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এটা একটা জঘণ্যতম ঘটনা। তবে বাংলাদেশে এটা কোন বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা নয়। বছরের পর বছর ধরে নারী ও শিশুদের প্রতি অবহেলা চলছে। তিনি মহিলা ও শিশুবিষয়ক মাননীয় মন্ত্রীকে ময়নার খোঁজখবর নেবার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং একইসাথে প্রধানমন্ত্রীকে এই জঘণ্য ঘটনার প্রতিকার করার জন্য আহবান জানান, যাতে করে আর কোন ময়নার জন্য রাস্তায় মানববন্ধন করতে না হয়।



জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক দিলারা চৌধুরি বলেন, বাংলাদেশে নারীর অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। বিশ্বের সকল দেশের মধ্যে বাংলাদেশের নারীরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত। তিনি নারীকে নারী হিসেবে না দেখে মানুষ হিসেবে দেখার আহবান জানান। ডনফোরামের প্রতিনিধি জনাব কাজী বেবী, আইন খাতা-কলমে না রেখে বাস্তবায়ন করার আহবান জানান। এএসডি’র প্রতিনিধি জনাব সেলিনা বানু, প্রশ্ন রেখে যান যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রী নারী হওয়া সত্ত্বেও কেন আমাদের বিচার চেয়ে আজকে রাস্তায় দাড়াতে হচ্ছে। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবি সমিতির এ্যাডভোকেট রাশিদা হক বলেন,বছরের পর বছর ধরে নারীরা নির্যাতিত হয়ে আসছে। এর কোন সমাধান হচ্ছেনা। ময়নার ধর্ষণকারীরা যাতে কোনভাবেই আইনের ফাঁক-ফোকড় দিয়ে বেরিয়ে না যেতে পারে এবং দৃশ্যমান শাস্তি নিশ্চিত করার আহবান জানান।



ডাব্লিউবিবি-র প্রতিনিধি জনাব আমিনুল ইসলাম সুজন বলেন, সা¤প্রতিক ঘটে যাওয়া ঘটনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী, সোনিয়া গান্ধী থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ের মানুষ সোচ্চার হয়ে উঠেছে। কিন্তু সরকারী পর্যায় থেকে ময়নার ঘটনায় কোন বিবৃতি পাওয়া যায় নি। তিনি এই ঘটার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান। এক্ষেত্রে ফাঁসিই একমাত্র দাবি। এদের ফাঁসি নিশ্চিত করা গেলে দেশে ধর্ষণের হার কমে আসবে।



অধ্যাপক লতিফা আকন্দ যুব সমাজকে জোড়ালো কন্ঠে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর আহবান জানান। এছড়াও নারী উদ্যোক্তা জনাব তাজিমা হোসেন মজুমদার, টিমএসএস প্রতিনিধি জনাব রেহানা পারভিন, অপরাজেয় বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি জনাব আতিকুর রহমান, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিনিধি জনাব জনা, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি জনাব মুর্শিক’ল ইসলাম শিমূলসহ অনেক সংগঠনের প্রতিনিধিগণ এই জঘন্য ঘটনার দ্রুত বিচার কার্য সম্পন্ন করে দোষীদের জনসম্মুখে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:২২

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো লিখেছেন ++++++++++

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৭

আমনুল ইসলাম সুজন বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.