![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখক নই তবু চেষ্টা করি লিখতে, লেখা পরিনত হয়েছে আমার নেশাতে। খুব ভাল লিখতে পারি তা না, যখন একাকি থাকি একাকি অনুভব করি নিজের একাকিত্ব ভুলে থাকার চেষ্টা করি লেখার মাধ্যমে। মনে হয় লেখাতেই যেন সব সুখ লেখার মাঝেই দিতে পারি নিজের দুঃখ গুলোকে নতুন রুপ। তাই আমি লিখতে ভালবাসি লেখা যেমন আমার নেশা লেখায় ভালবাসা
প্রতিটি লেখা কি কাল্পনিক হবে?? আজ না হয় আমার এক বন্ধুর সত্যিকারের প্রেম কাহীনি তুলেই ধরি!(আমার বন্ধুর মুখে শুনা হুবহু বর্ণনা করলাম)
জীবনটা কখনো কখনো ফিল্মি হলে মন্দ হয়না। কিছু সিনেমা এমনভাবে মিলে যায় যে তখন আবেগকে ধরে রাখা যায়না। ২০১০ সালে আমার জীবনে তেমন একটি ঘটনা ঘটেছিল। উদয় চোপরা’র ‘মেরে ইয়ার কি শাদী’ (জুলিয়া রবার্টসের My Best Friend's Wedding এর অনুকরনে নির্মিত, যা পরবর্তিতে দেখেছিলাম) সিনেমাটির সাথে আমার জীবনের মিল খোঁজে পেয়েছিলাম।
যখন এই সিনেমাটি দেখছিলাম তখন অনেক অজানা প্রশ্নের জবাব জানতে পারি। আবেগ আপ্লুত হয়ে নিজেকে ধরে রাখতে পারছিলাম না। বার বার শুধু একই আক্ষেপ মানে জাগছিল কি ভুল আমি করলাম ! কেন এই সিনেমাটি আরো আগে দেখলাম না। তাহলে আমার জীবনটা আজ হয়তো অন্য রকম হতো পারত !!
কাহিনীর সুত্রপাত সেই কৈশরে। আমরা শৈশব জীবনে খুব ঝগড়া করতাম, ঝগড়ার মাঝেও আমাদের বন্ধুত্বই কারণ ছিল। পরে আস্তে আস্তে যত বড় হতে লাগলাম সব কিছু বুঝতে শিখলাম ঝগড়াটা কমে গিয়ে ভালো বন্ধুতে পরিনত হলাম কতম,আড্ডা, কত খুনসুটি ! আমাদের মাঝে শুধুই বন্ধুত্ব ছিল। কখনই প্রেমভাব মনে আসেনি। বরং আমি যখন অন্য মেয়ের পেছনে ঘুরতাম সেটাতে ও উৎসাহ দিত। সে তার মেয়েলী সব ব্যক্তিগত কথাও আমার সাতে শেয়ার করত, জীবনের সকল বিষয়ে আমার সাথে শেয়ার করে আমার পরামর্শ নিত।
শুধু এই একটা কথা ছাড়া যে ওর সাথে আমার এক বন্ধুর সম্পর্ক হয়ে গেছে,
আর আমি দেরিতে হলেও জানতে পারলাম আমার বন্ধুর সাথে তার আবেগের বসে করা প্রথম সম্পর্ক ভাঙ্গতে গিয়ে জানতে পারি আমি তাকে ভালবাসি জানতে পেরেও বলতে পারিনি! কারণ ফ্যামিলি কি মনে করবে?? আমি কি তার উপযুক্ত? আমাকে কি সে পছন্দ করবে?? সে কি মনে করবে বন্ধুত্ব ভেঙ্গে যাবে না তো?? আর আমরা রাজি থাকলেও ফ্যামিলি কি রাজি হবে?? কারণ আমি তো এখনো ছাত্র জীবনই শেষ করিনি এগুলো ভেবেই বলিনি। ওর সম্পর্কটা হিংসায় পড়ে ঠিকই ভেঙ্গেছি।
এর মাঝে দ্বিতীয় সম্পর্কে জড়ানোর আগে সে কেন জানি কলেজ থেকে আমার বাড়িতে আমার কাছেই বার বার ছুটে আসত পরামর্শ নিতে আমার খারাপ লাগত তবুও কিছু বলতাম না চুপ করে থাকতাম এভাবে অনেক দিন এসেছে আমার কাছে কিন্তু আমি হা/না কিছুই বলতাম না। হয়ত তখন যদি আমি প্রপোস করতাম আমার টাই নিত সে কারণ আমি তার ছোট বেলা থেকেই বন্ধু বেষ্ট ফ্রেন্ড।এভাবে একদিন সে আমাকে না বলেই সম্পর্ক টাতে জড়িয়ে পরেছে।৬ মাস পর জানতে পারি তার রিলেশন টা হয়ে গেছে, সেদিন কথায় কথায় ও জানালো তার সাথে ওই ছেলেটার সম্পর্ক হয়ে গেছে, আমার খুশী হওয়া উচিৎ ছিল, কিন্তু আমি খুশী হতে পারছিলাম না। মনটা ভারী হয়ে আসছিল, চোখ দুটোও অশ্রুসিক্ত হওয়ার দ্বার প্রান্তে।কিন্তু কেন তা বুঝতে পারছিলাম না। খুব বেশীক্ষন ওদের বাসায় থাকতে পারলাম না। সোজা বের হয়ে আসলাম।
আবারও তার মামা বাবা ভাঙ্গার দায়িত্ব দেন আমাকে অনেক চেষ্ট করেও ভাঙ্গতে পারিনি শেষ মেষ সকলের প্রচেষ্টায় ভেঙ্গেছে।
যখন তার বিয়ের কথা অন্যত্র ঠিক হল আমি জানতে পারলাম, আমার মনের অবস্থা তখন এই শায়েরী’ মতো -
"Hai ajj meri yaar ki shadi magar main khush nahin hoon hai kissi k pyaar ki shadi magar main khush nahin hoon mainay roka ussay toka ussay samjhaya bhi deke wasta apni yari ka manaya bhi uski rah ka pathar bana aur kanta bhi phool ban kar us k samnay murjhaya bhi laikar k chal diya hai woh bahare dahaij main hai kissi k pyaar ki shadi magar main khush nahin hoon hai ajj meri yaar ki shadi magar main khush nahin hoon"
কিছু দিন আগে তার অন্যত্র বিয়ে হয়েছে এখন সে সুখেই আছে কিন্তু এখনো জানে না যে আমি এখনো তাকে সে সামান ভাবেই ভালবাসি।
মন্তব্য: কাউকে সত্যিকারে ভালবেসে থাকলে ডান-বাম না দেখেই বলে দাও নয়তো আমার মতই পস্তাবে।
২| ০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৫৮
আজব গোয়েন্দা বলেছেন: হুম আমার বন্ধুর ক্ষেত্রে হয়েছে না বলে পস্তানো টা। তবে এমন ভাবে ভালবাসতে আমি আর কাউকে দেখিনি, দেখিনি এমন কোন বন্ধুত্ব দুজনেই কিন্তু দুজনকে ভালবাসত কিন্তু একে অপরের প্রতি ফিলিংসটা অনুভব করতে পারত না।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:১৮
ভাঙ্গা ডানার পাখি বলেছেন: ভাই, কেউ বলে পস্তায় আর কেউ না বলে। তবে না বলে পস্তানোর চাইতে বলে পস্তানোই বেটার, অন্তুত নিজের কাছে শান্তি পাওয়া যায়।