নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
ওয়াসিংটন ডি. সি. তে গাড়ির নম্বর প্লেটে এখনো এই স্লোগানটা লেখা থাকে, TAXATION WITHOUT REPRESENTATION.
১৭৬৩ সালের আগে উপনিবেশ স্থাপনকারী আমেরিকানরা ব্রিটিশদের চাইতে কম কর প্রদান করতো. ব্রিটিশরা চিন্তা করলো প্রতিরক্ষা খাতে উপনিবেশ স্থাপনকারী আমেরিকানদের আরো বেশি কর প্রদান করা উচিৎ. ১৭৬৪ সালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জর্জ গ্রেনভিল সুগার এক্ট নাম একটা আইন পাস করলেন. সুগার এক্ট বলা হলেও আইনটার প্রকৃত নাম আমেরিকান রেভিনিউ এক্ট. আর আইনটার মূল উদ্দেশ্য ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে গুড় আমদানির উপর বিশেষ করারোপ করা. এই আইনে আসলে গুড়ের উপর শুল্ক বাড়ানো হয় নাই বরং শুল্ক কমানো হয়েছিল. কিন্তু আইনটার উদ্দেশ্য ছিল কঠোর ভাবে চোরাচালান বন্ধ করে সঠিক ভাবে শুল্ক আদায়করা. এই সুগার এক্ট উপনিবেশ স্থাপনকারী আমেরিকানদেরকে ভীষণ ক্ষুব্দ করে তুলে. এরমধ্যে ১৭৬৪ সালেই আবার পাস হয় কারেন্সী এক্ট. এর আগে আমেরিকান উপনিবেশগুলি নিজেরাই তাদের টাকা ছাপতো. এই আইনের মাধ্যমে উপনিবেশে নিজেদের টাকা ছাপা নিষিদ্ধ করা হয়. এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে অসুবিধার সম্মুখীন হয়.
১৭৬৫ সালের স্ট্যাম্প এক্ট ছিল সবচাইতে ক্ষতিকারক. এই আইনের মাধ্যমে দলিলপত্র, সংবাদপত্র ও খেলার তাসের উপর করারোপ করা হয়. উপনিবেশ স্থাপনকারী আমেরিকানরা কর দিতে অনিচ্ছুক তা কিন্তু না, আসল ঘটনা হচ্ছে, তারা মনে করেছে এখানে একটা সাংবিধানিক প্রশ্ন জড়িত. তাদের যুক্তি ছিল, যেহেতু ব্রিটিশ সংসদে উপনিবেশ স্থাপনকারী আমেরিকানদের কোনো প্রতিনিধি নাই, সেহেতু তাদের উপর করারোপ করার কোনো অধিকার ব্রিটিশদের নাই. এই স্লোগানটা এখনো অমর হয়ে আছে, 'taxation without representation'. ব্রিটিশ সরকার আমেরিকাতে স্ট্যাম্প এক্ট প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হয়. উপনিবেশিক পরিষদগুলি স্ট্যাম্প এক্ট প্রত্যাখ্যান করলো এবং এই আইনকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে একটা সঙ্গবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য আমেরিকার বিভিন্ন উপনিবেশ থেকে প্রতিনিধিরা ১৭৬৫ সালের অক্টোবর মাসে 'স্ট্যাম্প এক্ট কংগ্রেস' এ সমবেত হয়. এই কংগ্রেস থেকে ব্রিটিশ পণ্য বর্জনের ডাক দেয়া হয় এবং ব্রিটিশ ব্যবসায়ীদের ঋণ পরিশোধ স্থগিত রাখা হয়. দাঙ্গাকারীরা ট্যাক্স কলেক্টরদের উপর হামলাচালায় এবং তাদের স্থাপনায় আক্রমণ করে. শেষপর্যন্ত ১৭৬৬ সালের ১লা মার্চ ব্রিটিশ সরকার স্ট্যাম্প এক্ট বাতিল করতে বাধ্য হয়. আবার একই সময়ে ডিক্লারেটরি এক্ট নাম আরও একটা কালাকানুন জারি করে. ওই আইনে বলা হয়, ব্রিটিশ সংসদ সকল আমেরিকান উপনিবেশের উপর সার্বভৌম. এই কালাকানুন উপনিবেশ স্থাপনকারীদের সংক্ষুব্দ করে তুলে.
এতকিছুর পরও ব্রিটিশদের কোনো বোধোদয় হয় নাই. ১৭৬৭ সালে অর্থমন্ত্রী (চ্যান্সেলর অফ দা এক্সচেকার) চার্লস টাউনশেন্ড সীসা, কাঁচ, রং, তৈল, এবং চায়ের উপর নতুন করে করারোপ করে. আবার উপনিবেশ স্থাপনকারী আমেরিকানরা ব্রিটিশ পণ্য বর্জন করে. ব্রিটিশরা আবারো পিছু হটতে বাধ্য হয়.
১০ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৭
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: Thank you. I have already corrected and updated the information.
২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:১৭
কলাবাগান১ বলেছেন: It is:
"Taxation without Representation" not "No taxation without representation".
All car license plates in the DC have this slogan.
০৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৪৩
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: Thank you. I appreciate you. You are absolutely correct. "Taxation without Representation" not "No taxation without representation". I had some confusion about the full text of the slogan; in full, “Taxation without representation is tyranny.”
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:১৫
কলাবাগান১ বলেছেন: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রা তাদের গাড়ীতে ও এই লাইসেন্স প্লেট লাগিয়ে থাকে। এটা হল ট্রাম্পের লিমোজিন বিস্ট এর লাইসেন্স প্লেট..-Taxation without Representation