নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
সিলোর যুদ্ধ
সিলোর যুদ্ধ, পিটসবার্গ যুদ্ধ নামেও পরিচিত। ১৮৬২ সালের ৬ থেকে ৭ এপ্রিল টেনেসি রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে এই গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ সংগঠিত হয়। মেজর জেনারেল ইউলিসিস এস. গ্রান্ট যুক্তরাষ্ট্র বাহিনীর (এই বাহিনীর নাম ছিল আর্মি অফ দ্য টেনেসি) নেতৃত্ব দেন। অপরদিকে কনফেডারেট বাহিনীর নেতৃত্ব দেন জেনারেল এলবার্ট সিডনি জনস্টোন, এবং সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন জেনারেল পিয়ের গুস্তাভ টউটেন্ট-বিওরিগার্ড। মেজর জেনারেল ইউলিসিস টেনেসি নদী বরাবর অগ্রসর হয়ে টেনেসি রাজ্যের পিটসবার্গ লান্ডিংএ সেনা ছাউনি স্থাপন করেন। অপরদিকে জেনারেল এলবার্ট জনস্টোন মিসিসিপি রাজ্যের কোরিন্থা সেনাঘাঁটি থেকে অতর্কিত ভাবে যুক্তরাষ্ট্র বাহিনীকে আক্রমণ করে। যুদ্ধের ময়দানে কনফেডারেট বাহিনীর প্রধান জেনারেল এলবার্ট জনস্টোন নিহত হন। সেকেন্ড ইন কমান্ড জেনারেল বিওরিগার্ড কনফেডারেট বাহিনীর নেতৃত্ব গ্রহণ করে যুদ্ধ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেন। ঐ রাতেই মেজর জেনেরাল ডন কার্লস বুইলের নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রের আরো তিন ডিভিশন সৈন্য জেনারেল গ্রান্টের বাহিনীর সাথে যোগ দিয়ে শক্তি বৃদ্ধি করে। শক্তিবৃদ্ধির পর পরেরদিন যুক্তরাষ্ট্র বাহিনী অপ্রত্যাশিত ভাবে কনফেডারেট বাহিনীর উপর পাল্টা আক্রমণ করে। এই আক্রমণের ফলে কনফেডারেট বাহিনী আগের দিন যে সাফল্য অর্জন করে ছিল তা সম্পূর্ণ পাল্টে যায়।
কনফেডারেট বাহিনী পশ্চাদপসরণে বাধ্য হয়। মিসিসিপির উত্তর দিকে অগ্রসরমান যুক্তরাষ্ট্র বাহিনীর অগ্রযাত্রাকে প্রতিহত করার কনফেডারেটদের স্বপ্ন ম্লান হয়ে যায়। ওই সময়ে সিলোর যুদ্ধকে বলা হয় আমেরিকার ইতিহাসের সবচাইতে রক্তাক্ত যুদ্ধ। অবশ্য পরের বছর চ্যান্সেলরভিলের যুদ্ধ এটাকেও ছাড়িয়ে যায়। তবে পরবর্তীতে প্রমাণিত হয় তিনদিন ব্যাপী গেটিসবার্গ যুদ্ধ ছিল আমেরিকার ইতিহাসে সবচাইতে রক্তক্ষয়ী।
যুদ্বের ক্ষয়ক্ষতি
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে মারা যায় ১,৭৫৪ জন, আহত হয় ৮,৪০৮ জন এবং নিখুঁজ হয় ২,৮৮৫ জন। অপরদিকে কনফেডারেটদের পক্ষে মারা যায় ১,৭২৮ জন, আহত হয় ৮,০১২ জন এবং নিখুঁজ হয় ৯৫৯ জন। এই যুদ্বে কনফেডারেট বাহিনীর কমান্ডার, জেনারেল এলবার্ট সিডনি জনস্টোন নিহত হন। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র বাহিনীর নিহতদের মধ্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওয়ালস ছিলেন সর্বোচ্চ পদাধিকারী।
২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:১৩
প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: লিখে যান । পড়ছি মনযোগের সহিত। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
গৃহযুদ্ধ বেশক্সী হয়ে যাচ্ছে, থামানো যায় না?