নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
১৮৬৫ দলের ১৪ এপ্রিল রাত ১০:১৫ মিনিটে বিশিষ্ট নাট্যাভিনেতা জন উইলকেস বোথ প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনকে মাথায় গুলি করে হত্যা করে। প্রেসিডেন্ট লিংকন ওয়াশিংটন ডিসির ফোর্ড'স থিয়েটারে আওয়ার আমেরিকান কাজিন (Our American Cousin) নাটকের অভিনয় দেখছিলেন। আমেরিকার গৃহযুদ্ধের শেষ দিকে কনফেডারেট বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল রবার্ট এডওয়ার্ড লি যুক্তরাষ্ট্র বাহিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল ইউলিসিস এস. গ্রান্টের নিকট আত্মসমর্পণ করার পাঁচ দিন পূর্বে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়।
আব্রাহাম লিংকন হচ্ছেন যুক্তরাষ্টের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট যিনি প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় মৃতবরণ করেন, এবং প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি আততায়ীর হাতে নিহত হন। এর আগে প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় ৯ম প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম হেনরি হ্যারিসন ১৮৪১ সালে, ১২শ প্রেসিডেন্ট জাচারী টেলর ১৮৫০ সালে, ২৯শ প্রেসিডেন্ট ওয়ারেন হার্ডিং ১৯২৩ সালে এবং ৩২শ প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাংকলিন ডিলান রুজভেল্ট ১৯৪৫ সালে নিহত হন, তাদের সবার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়। যুক্তরাষ্টের চারজন প্রেসিডেন্ট আততায়ীর হাতে নিহত হন । তার মধ্যে প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন প্রথম, তারপর ২০শ প্রেসিডেন্ট জেমস এ. গারফিল্ড ১৮৮১ সালে, ২৫শ প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম ম্যাককিনলে ১৯০১ সালে এবং ৩৫শ প্রেসিডেন্ট জন এফ. কেনেডি ১৯৬৩ সালে আততায়ীর হাতে নিহত হন।
অবশ্য প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন নিহত হওয়ার প্রায় ৩০ বছর পূর্বে ১৮৩৫ সালে ৭ম প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জ্যাকসনকে হত্যার একটা প্রচেষ্টা নেয়া হয়ে ছিল, কিন্তু তা ব্যর্থ হয়। এমনকি ১৮৬৪ সালের আগস্ট মাসে প্রেসিডেন্ট লিংকনকে হত্যার আরেকটা প্রচেষ্টা নেয়া হয়ে ছিল, যা সফল হয়নি। প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের হত্যাকান্ডটা ছিল অত্যান্ত পরিকল্পিত ও গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। যদিও বিখ্যাত অভিনেতা জন উইলকেস বোথ প্রেসিডেন্ট লিংকনকে হত্যা করে, কিন্তু এর পিছনে কনফেডারেট রাষ্ট্রের সমর্থকদের ভূমিকা ছিল।
বোথের সাথে আরো তিন জন আততায়ী ছিল। তার মধ্যে লিউইস পাওয়াল এবং ডেভিড হেরোল্ডের দায়িত্ব ছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রী উইলিয়াম এইচ. সিউয়ার্ডকে হত্যা করা; আর জর্জ এডজার্ডদের দিয়ীত্ব ছিল ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জনসনকে হত্যা করার। তাদের হত্যা প্রচেষ্টা ব্যার্থ হয়। তাদের উদ্দ্যেশ ছিল একই সাথে সরকারের শীর্ষ তিনজনকে হত্যা করতে পারলে যুক্তরাষ্টের সরকার ব্যবস্থা ভেঙ্গে পরবে। এতে কনফেডারেটরা শক্তিশালী অবস্থানে চলে আসবে।
দ্বিতীয় পর্ব
©somewhere in net ltd.