নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আব্রাহাম লিংকন হত্যাকান্ড -- তৃতীয় পর্ব

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৪৯

চার্লস লেলে নামের ২৩ বছর বয়সী একজন ডাক্তার ঘটনা স্থলে উপস্থিত ছিলেন। তিনিও নাটক দেখতে এসেছিলেন। ফার্স্ট লেডির চিৎকার শুনে তিনি দ্রুত প্রেসিডেন্টের বক্সে যেয়ে দেখেন প্রেসিডেন্ট লিংকন চেয়ারে কাত হয়ে পরে আছেন, তার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। কয়েকজন সৈন্য ধরাধরি করে প্রেসিডেন্ট লিংকনকে ফোর্ড'স থিয়েটারের উল্টা দিকের পিটার্সন হাউসে নিয়ে যায়। সার্জন জেনারেল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অভিমত দেন যে প্রেসিডেন্টকে বাঁচানো যাবে না এবং সম্ভবত রাতেই মারা যাবেন।

পরেরদিন সকাল ৭:২২ মিনিটে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের মৃত্যু সংবাদ ঘোষণা করার আগে পর্যন্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জনসন, মন্ত্রিসভার সদস্যগণ এবং প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ট কিছু বন্ধু তার শয্যা পশে দাঁড়িয়ে থাকেন। পাশের ঘরেই ফার্স্ট লেডি ও তাঁদের ছেলে রবার্ট শোকে-দুঃখে শয্যাসায়ি ছিলেন।

প্রেসিডেন্টের মরদেহ জাতীয় পতাকায় আচ্ছাদিত একটা অস্থায়ী কফিনে করে অশ্বরাহী বাহিনীর পাহারায় হোয়াইট হাউস নেয়ে আসা হয়। সেখানে কয়েকজন সার্জন প্রেসিডেন্ট লিংকনের মরদেহের ময়নাতদন্ত করেন। ময়নাতদন্তের সময় লিংকনের মগজ থেকে একটা গুলি বের করে আনা হয়। ময়নাতদন্ত চলার সময় ফার্স্ট লেডি মেরি লিংকন সার্জেনদের কাছে এক পত্রে অনুরোধ করেন প্রেসিডেন্ট লিংকনের মাথার এক গুছা চুল তার জন্য সংরক্ষণ করার।

প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের মৃত্যু সংবাদ সারা দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পরে। দিনের শেষ ভাগে দেশব্যাপী জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়, সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ায় মানুষজন আনন্দ উৎসব করছিলো, তা প্রেসিডেন্ট লিংকনের মৃত্যুতে শোকে নিমজ্জিত হয়ে যায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.