নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্রীতদাস প্রথা -প্রথম পর্ব

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০৮

অষ্টাদশ এবং ঊনবিংশ শতাব্দীতে এমনকি স্বাধীনতার পর এবং গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দাসপ্রথা বৈধ ছিল। প্রথমতঃ আফ্রিকানদের এবং পরে আফ্রিকান আমিরিকানদেরকে দাস হিসাবে ক্রয়-বিক্রয় করা হতো। উত্তর আমেরিকাতে ব্রিটিশদের দ্বারা স্থাপিত উপনিবেশগুলিতে শুরু থেকেই দাসপ্রথা বৈধ ছিল। এমনকি ১৭৭৬ সালে যখন মূল তেরটি রাজ্য নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীনতা ঘোষণা করে তখনও ওই রাজ্যগুলিতে দাসপ্রথা বৈধ ছিল। স্বাধীনতা ঘোষণার সময় মূল তেরটি রাজ্য হচ্ছে, নিউ হ্যাম্পশায়ার, ম্যাসাচুসেট্স, কানেক্টিকাট, রোডস আইল্যান্ড, নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, পেনসিলভানিয়া, ডেলাওয়্যার, মেরিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা, সাউথ ক্যারোলিনা এবং জর্জিয়া।

আমেরিকান বিপ্লবের সময় থেকে দাস ব্যবসা শুধুমাত্র আফ্রিকান বংশুদ্ভূত মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে দেয়া হয়। অর্থাৎ দাস হিসাবে শুধুমাত্র আফ্রিকান বংশুদ্ভূত মানুষদের কেনাবেঁচা করা যাবে। ১৭৮৯ সালে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুমোদন করা হয় তখন খুবেই অল্পসংখ্যক কাল মানুষেরই ভোটাধিকার ছিল। তখন অবশ্য যে সমস্ত পুরুষমানুষ সম্পত্তি র মালিক ছিল শুধুমাত্র তাদেরই ভোটাধিকার ছিল। বিপ্লব চলাকালীন সময়ে এবং বিপ্লব-উত্তর সময়ে উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে দাসপ্রথা বিলুপ্তের জন্য আইন পাস হয় এবং একই সংগে সমগ্র আমেরিকা থেকে দাসপ্রথা বিলুপ্তের আন্দোলন শুরু হয়। উত্তরের রাজ্যগুলিতে দাসের চাইতে মুক্ত শ্রমিকের সংখ্যাই বেশী ছিল এবং এই রাজ্যগুলির অর্থনীতি শিল্পের উপর নির্ভরশীল ছিল। অষ্টাদশ শতাব্দী শেষ হওয়ার আগেই এই রাজ্যগুলি থেকে দাসপ্রথা বিলুপ্ত হয়ে যায়। কিন্তু ১৭৭৩ সালে এলি হুইটনি কর্তৃক কটন জিন আবিষ্কার হওয়ার ফলে দক্ষিনাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে দাসপ্রথার গুরুত্ব বেড়ে যায়। (কটন জিন এক ধরনের মেশিন যার দ্বারা তুলার আঁশ গুলিকে দ্রুত এর বীচি থেকে আলাদা করা যায়।) এই মেশিন আবিষ্কারের ফলে তুলা উৎপাদন বেড়ে যায়। দাসশ্রমিকের চাহিদাও বেড়ে যায়। দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির অর্থনীতি তুলা চাষের উপর নির্ভরশীল ছিল। দক্ষিনাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি চেষ্টা করতে থাকে যাতে পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতেও দাসপ্রথার বিস্তারলাভ করে। এতে করে কেন্দ্রীয় সরকারে তাদের রাজনৈতিক শক্তি বৃদ্ধি পাবে। তারা তাদের সুবিধামতো দাসপ্রথার পক্ষে আইন পাস করতে পারবে। এমনকি তারা কিউবাকেও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যুক্ত করতে চেয়েছিল যাতে দাসপ্রথা প্রচলিত আছে এমন এলাকার সংখ্যা বাড়ে। দাসপ্রথার পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্র দুই মেরুতে বিভক্ত হয়ে পরে। ম্যাসন-ডিক্সন লাইন নামক একটা কাল্পনিক রেখা বরাবর যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যগুলি দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়। এই লাইনের উত্তরের রাজ্যগুলি মুক্তরাজ্য আর দক্ষিণের রাজ্যগুলি দাসরাজ্য হিসাবে পরিচিত হয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.