নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে পুনর্গঠনের সময় কালকে দুই অর্থে বিবেচনা করা হয়: প্রথম অর্থে ১৮৬৫ থেকে ১৮৭৭ সাল পর্যন্ত গৃহযুদ্ধের (১৮৬১ থেকে ১৮৬৫) পর সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রের পুনর্গঠন; দ্বিতীয় অর্থে ১৮৬৩ থেকে ১৮৭৭ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির পুনর্গঠন।
পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার সময় গৃহযুদ্ধের স্মৃতিকে তিনটি ভিন্নভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করা হয়: প্রথমতঃ পুনর্মিলন মূলক দৃষ্টিভঙ্গি অর্থাৎ যুদ্ধের সময় মৃত্যু ও সম্পদ হানির ঘটনাকে মেনে নেয়া; দ্বিতীয়তঃ সাদা আধিপত্যবাদী (white supremacist) দৃষ্টিভঙ্গি, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল সন্ত্রাস ও সহিংসতা; এবং তৃতীয়তঃ দাসত্ব-মোচনের পক্ষাবলম্বী দৃষ্টিভঙ্গি, যার উদ্দেশ্য ছিল আফ্রিকান-আমেরিকানদের পূর্ণ স্বাধীনতা, নাগরিকত্ব এবং সাংবিধানিক সমঅধিকার।
১৮৬৩ থেকে ১৮৬৫ সল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন এবং প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জনসন উভয়ই একটা মধ্যপন্থা নীতি অবলম্বন করেন যাতে দক্ষিণের রাজ্যগুলি যত দ্রুত সম্ভব যুক্তরাষ্ট্রে আবার ফিরে আসে। কিন্তু প্রগতিশীল রিপাবলিকানরা সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীতে আফ্রিকান আমেরিকানদের আরো বেশী অধিকারের বিধান রাখার জন্য কংগ্রেসে দাবি জানাতে থাকে। প্রেসিডেন্ট জনসন সাবেক কনফেডারেটদের প্রতি উদার নীতি গ্রহণ করেন। প্রেসিডেন্ট লিংকন তার শেষ ভাষণে সব মুক্ত মানুষের ভোটাধিকারের পক্ষে তার অভিমত দেন। কিন্তু জনসন এই মতের বিরোধিতা করেন।
প্রেসিডেন্ট জনসন প্রতিটি সাবেক কনফেডারেট রাজ্যে একজন করে প্রাদেশিক গভর্নর নিয়োগ করেন এবং প্রতিটি রাজ্যে নতুন করে সংবিধান প্রণয়নের জন্য নির্বাচিত সাংবিধানিক পরিষদ গঠন করা হয়। যেহেতু দক্ষিণের রাজ্যগুলিকে দাসপ্রথা বাতিল করতে জোর করে বাধ্য করা হয়ে ছিল, তাই তারা কালোদের অধিকারকে মেনে নিতে পারেনি। দক্ষিণের রাজ্যগুলি কালোদের অধিকারকে খর্ব করে কিছু কাল আইন (black codes) প্রণয়ন করে, যেমন কালোদের কোনো ভোটাধিকার থাকবে না, কালোরা জুড়ি হিসাবে বিচার কাজ করতে পারবে না ইত্যাদি। এককথায় সাবেক দাসরা তাদের সমান এই কথা সাদারা কিছুতেই মানতে পারছিলো না।
©somewhere in net ltd.