নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঊনবিংশ শতাব্দীতে আমেরিকার জীবন ব্যবস্থা -- দ্বিতীয় পর্ব

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০৮

যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে বসতি স্থাপনকে উৎসাহিত করার জন্য ১৮৬২ সালে হোমস্টেডার এক্ট (Homesteader Act) পাস করা হয়। এই আইনে বিধান রাখা হয়, কেউ যদি এই রাজ্যগুলিতে বসতি স্থাপন করে এবং কম পক্ষে ৫ বছর ওই স্থানে বসবাস করে তা হলে সরকার প্রত্যেক বসতি স্থাপনকারীকে বিনামূল্যে ১৬০ একর জমি প্রদান করবে। এই আইন দ্বারা প্রলুব্ধ হয়ে এবং উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপ থেকে অনেক লোক যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে বসতি স্থাপন করে। এদেরকে বলা হতো হোমস্টেডার। ফলে ঊনবিংশ শতাব্দীতে যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। ১৮৬০ সালে যেখানে জনসংখ্যা ছিল ৩ কোটি ১০ লক্ষ, ১৯০০ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭ কোটি ৬০ লক্ষে।

ঊনবিংশ শতাব্দীতে নতুন নতুন কৃষি প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি আবিষ্কার হওয়ায় পশ্চিমাঞ্চলে বসতি স্থাপনকারীরা ফসল উৎপাদনে অনেক সাফল্য লাভ করে। কিন্তু পশ্চিমাঞ্চলে হোমস্টেডারদের জীবনযাপন অনেক কঠিন ছিল। গৃহ নির্মাণের উপকরণ সহজলভ্য ছিলো না। প্রথম দিকে তারা এক রুমের বাড়ি বানাত। কাঠের ফ্রেমের ছাদ দিয়ে ছাপড়ার ওয়াল করে বাড়ি বানানো হত। আবার কেনো কোনো ঘর কাঠের খাম দিয়ে কাঠামো বানিয়ে মাঝখানে মাটির ওয়ালের মত বানানো হত যাতে বাতাস ঢুকতে না পারে। ছাদে বিছানো হতো কাঠের টাইলস। প্রথম দিকে ফ্লোর ছিল মাটির তৈরি পরে অবশ্য কাঠ দিয়ে ফ্লোর বানান হতো। রান্নাবান্না করা হতো লোহার চুলায় এবং ঘর আলোকিত করার জন্য হারিকেন জাতীয় বাতি ব্যবহার করা হতো। নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কারের ফলে এবং অন্যান উপকরণ সহজ লভ্য হওয়ার ফলে ধীরে ধীরে জীবনযাপন আরামদায়ক হতে থাকে।

কাউবয়
ঘোড়ায় চড়ে যারা পশুচারণ করতো তাদেরকে কাউবয় বলা হতো। আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চলে অনেক পশু খামার ছিল। কাউবয়রা এই সমস্ত খামারে পশুচারণ করতো। তাদের বেতন ছিল খুব কম এবং সারা দিন অনেক ঘন্টা কাজ করতে হতো। তারা বিশেষ ধরণের পোশাক পড়তো। ঝোপঝাড়ের আঘাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পায়ে চেপ নামের চামড়ার আবরণ পড়তো। এবং সূর্য তাপ ও বৃষ্টি থেকে মাথা রক্ষা করার জন্য স্টেটসন্স নামের চওড়া কিনার যুক্ত এক ধরণের টুপি মাথায় দিতো। তাদের ঘোড়াকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য লোহার পাত যুক্ত এক ধরনের জুতা পায়ে দিতো। প্রথম দিকে কাউবয়রা স্বাধীন ভাবে তাদের পশুপালকে যে কোনো জমিতে নিয়ে ঘাস খাওয়াতো। কিন্তু ১৮৭৪ সালে কাঁটাতার আবিষ্কার হলে, ভূমির মালিকরা নিজ নিজ জমিতে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে দিলে, কাউবয়দের যথেচ্ছা বিচরণ সীমিত হয়ে আসে। প্রতিবছর কাউবয়রা তাদের পশুগুলিকে বিক্রি করার জন্য দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে যে সমস্ত রেল স্টেশনে পশু পরিবহনের সুবিধা আছে সেই সব জায়গায় যেতো। ১৮৮৬-৮৭ সালে প্রচন্ড শীতে প্রচুর গবাদি পশুর মৃত্যু হয়, তাছাড়া কাঁটাতারের বেড়া দেয়াতে পশুর চারণভূমি সমিতি হয়ে আসে। তার উপর রেললাইনের ব্যাপক সম্প্রসারণের কারণে কাউবয়দের পেশা অ-লাভজনক হয়ে উঠে, ফলে ধীরে ধীরে কাউবয়ের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.