নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
তোলপাড় করা বিশের দশক -১
বিংশ শতাব্দীর বিশের দশক ছিল সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নাটকীয় পরিবর্তনের সময়। এই সময়কে বলা হয় সমৃদ্ধির সময়। এই সময়ে প্রথমবারের মতো অধিক সংখ্যক আমেরিকান গ্রামের চাইতে শহরে বাস করতে থাকে। ১৯২০ থেকে ১৯২৯ সালের মধ্যে জাতীয় সম্পদ বৃদ্ধি পেয়ে দ্বিগুনেরও বেশী হয়ে যায়। ১৯১২ সালে মাত্র শতকরা ১৬ ভাগ বাড়িতে বৈদুত্যিক বাতি ছিল। ১৯২৭ সালের মধ্যে শতকরা ৬৩ ভাগ বাড়িতে বৈদুত্যিক সরঞ্জাম যেমন-ফ্রিজ, ইস্ত্রি, বৈদ্যুতিক পাখা ছিল। ওই সময়ে প্রত্যেকের বাড়িতেই রেডিও ছিল। এই সময়ে মটর গাড়ি সহজ লোভ্য হয়ে যায়। শতকরা ৪০ ভাগ বাড়িতেই একটা করে গাড়ি ছিল। ওই সময়ে আমেরিকানদের জীবনমান বিশ্বের মধ্যে সবচাইতে উন্নত ছিল। অর্থনীতিক প্রবৃদ্ধি অধিকাংশ আমেরিকানের জীবনে সমৃদ্ধি নিয়ে আসে। সেই সাথে আসে নতুন এক ভোগবাদী জীবন ব্যবস্থা বা consumer society । মানুষ পরিণত হয় পণ্য-দাসে (consumerism)। দেশ ব্যাপী বিজ্ঞাপন ও চেইন ষ্টোরের কল্যাণে সারা আমেরিকার মানুষ একই ধরণের পণ্য কিনার সুযোগ পায়। সারা আমেরিকার মানুষ একই ধরণের গান শোনা বা নাটক, সিনেমা দেখার সুযোগ লাভ করে। এমনকি তারা একই ধরণের কথ্যভাষা (slang) ব্যবহার করতে থাকে। তবে অনেকেই এই ধরণের নতুন, শহুরে ও উগ্র সংস্কৃতিতে স্বচ্ছন্দ বোধ করছিলো না।
নতুন এক মহিলা সমাজ
তোলপাড় করা বিশের দশকের সবচাইতে উল্ল্যেখযোগ্য ঘটনা হলো, নতুন এক মহিলা সমাজ। তারা পোশাকে-আশাকে, বেশভূষায়, চলনে-বলনে আগের প্রচলিত মহিলা সমাজের চাইতে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এই সময়ে তরুণীরা লম্বা চুলের বদলে বব কাট চুল রাখতে শুরু করে, শর্ট স্কার্ট পরতে শুরু করে। তারা মদ খেয়ে মাতাল হওয়াকে খারাপ কিছু মনে করতো না। তারা ওই সময় থেকে প্রকাশ্যে সিগারেট খেতে শুরু করে। তারা এমন সব বিষয় ও প্রসঙ্গে কথা বলতে থাকে যা আগের দিনের মহিলারা বলতো না। পুরুষদের সাথে মেলামেশার ব্যাপারেও বেশ খোলামেলা আচরণ করতে থাকে। তবে ওই সময়ে অধিকাংশ মহিলাই এই ধরণের আচরণ না করলেও তারা আগের মহিলা সমাজের চাইতে নজিরবিহীন স্বাধীনতা লাভ করে।
আগেই উল্ল্যেখ করা হয়েছে, ১৯২০ সালে সংবিধানের ১৯ তম সংশোধনীর মাধ্যমে মহিলারা তাদের ভোটাধিকার লাভ করে। ওই সময়ে লক্ষ লক্ষ মহিলা অফিস-আদালতে চাকরী লাভ করে, যাকে হোয়াইট-কলার জব বলে ( যেমন স্টেনোগ্রাফার, অফিস সেক্রেটারি ইত্যাদি )। এতে মহিলারাও নতুন বিকশিত ভোগবাদী অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়। নব আবিষ্কৃত জন্ম-নিরোধ সামগ্রী মহিলাদের কম সন্তান নেয়ার ইচ্ছাকে সহজ করে দেয়। ওই সময়ে আবিষ্কৃত নতুন নতুন যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি যেমন, ওয়াশিং মেশিন, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ইত্যাদি মহিলাদের ঘরের কাজকেও অনেক সহজ করে দেয়। ফলে মহিলারা ঘরে বাইরে সব জায়গায় অনেক স্বাধীনতা লাভ করে।
©somewhere in net ltd.