নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চীন বাংলাদেশের শিল্প অঞ্চলকে উন্নীত করার মহা-পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে

২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:১৪

চীন এশিয়া এবং এশিয়ার বাইরে বাণিজ্য এবং পরিবহন করিডোর নির্মাণের জন্য বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, নেপাল এবং পাকিস্তানে সমুদ্র বন্দর, বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং রাস্তা নির্মাণে জন্য কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে।

চীন বাংলাদেশে ৭৫০ একর জায়গার উপর একটা শিল্প এলাকা গড়ে তুলছে, যেখানে শুধুমাত্র চীন উদ্যোক্তারা শিল্প স্থাপন করতে পারবে। এখানে উৎপাদিত পণ্য সরাসরি বিদেশে রফতানি হবে। এই শিল্প-কারখানাগুলোতে হাজার হাজার বাংলাদেশির কর্মসংস্থান হবে।

এই বিশেষ শিল্প এলাকা গড়ে তোলার জন্য চীনের সরকারি প্রতিষ্ঠান চাইনা হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি এবং বাংলাদেশ সরকার যৌথ ভাবে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল অথরিটি (BSEZA) গঠন করেছে। এর ৭০ ভাগ মালিকানা চীনের এবং ৩০ ভাগ মালিকানা বাংলাদেশের। এই শিল্প পার্কটি চট্টগ্রামে স্থাপিত হবে। পাঁচ বছরের মধ্যে এটা পূর্ণমাত্রায় উৎপাদন শুরু করবে।

এছাড়াও চীন আগামী কয়েক বছরে বাংলাদেশে সড়ক, অবকাঠামো প্রকল্প এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। এই বিনিয়োগ হবে খুবেই সহজ শর্ত ঋণের মাধ্যমে। সুদের হার হবে সর্বোচ্চ শতকরা ২ ভাগ এবং ২০ বছর মেয়াদি।

তবে শ্রীলংকাতে হাম্বানটোটা বন্দর নির্মাণ নিয়ে চীন এবং শ্রীলংকা উভয় দেশ সমালোচিত হচ্ছে। সমালোচকরা বলছেন, এত বিপুল ঋণ গ্রহণের ফলে শ্রীলংকা ঋণগ্রস্ত দেশে পরিণত হয়েছে। আর এই কৌশলগত বন্দরটি নিয়ন্ত্রণ করছে চীন, যা ইন্ডিয়ার মাথা ব্যথার কারণ।

বাংলাদেশে চীন শিল্প পার্ক গড়ার ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা হচ্ছে ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া। বাংলাদেশে ভূমি অধিগ্রহণ খুবই জটিল এবং ধীরগতি প্রক্রিয়া।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংগালীরা আরবে গিয়ে উট চরাক, আর চীনরা এসে শিল্প গড়ে লাভ করে যাক; মেয়েগুলোকে চীনাদের কাছে বিয়ে দেয়ার ব্যবস্হা করলে আরো ভালো হতো, চীনে মেয়ে কম।

২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:৫৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


যেকোনো দেশের উন্নয়নের জন্য বিদেশী বিনিয়োগ প্রয়োজন।
যে কারণে পৃথিবীর সব দেশই বিদেশী বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে।
এমনকি আমেরিকার মত দেশে বিদেশী বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে।

যত বেশি বিনিয়োগ তত কর্ম সংস্থান।
এখানে কর্ম সংস্থান হলে বাঙালিদের আরবে গিয়ে আর উট চরাতে হবে না।
দেশেই চীন কোম্পানিতে কাজ করতে পারবে। চীনারা সারা পৃথিবীতেই শিল্প গড়ছে এবং লাভ করছে, বাংলাদেশ এর ব্যতিক্রম হবে কেন?


চীনারাও মানুষ, কোন বাঙালি মেয়ে যদি চীন বিয়ে, সুখে-শান্তিতে থাকতে চায় অসুবিধা কি?

২| ২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:৩৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: অনেক ভাল লাগার একটা পোস্ট। সংবাদটি জানা ছিল; তবে আপনার লেখায় নতুনত্ব আছে এজন্য বেশি ভাল লাগলো। আশা করি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চীনের বিপুল এ বিনিয়োগ যথেষ্ট অবদান রাখবে। আর দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে চীনের বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই।

শুভ কামনা রইলো আলী আকন্দ ভাই। পোস্ট লাইক দিলাম।

২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:১২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে--এই ধরণের খবরে সবারই ভাল লাগার কথা।
সংবাদটি আমিও পড়েছিলাম। আজ মনে হল, এই পজিটিভ খবরটি সবার সাথে শেয়ার করি। তাছাড়া চীন আমাদের উন্নয়নের সহযোগী এই কথাটাও আমাদের মনে রাখতে হবে।

আমাদের অনেকগুলি ব্রিজ চীনারা নির্মাণ করে দিয়েছে। আগারগাঁওয়ে আমাদের একমাত্র আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র যা চীনারা বিনা-মূল্যে আমাদেরকে নির্মাণ করে দিয়েছে। চীনারা আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কি অবিশ্বাস্য প্রস্তাব দিয়েছে তা শুনলে বিস্মিত হবেন।

আমাদের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলি চীন এবং ইন্ডিয়া থেকে কাপড় আমদানি করে। অনেক সময় এই কাপড় আমদানিতে দেরি হলে মূল অর্ডারই বাতিল হয়ে যায়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য চীন প্রস্তাব করেছে, তারা জায়গা এবং অনুমতি পেলে ১০০ টেক্সটাইল মিল এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশে নির্মাণ করবে। বাংলাদেশকে আর কাপড় আমদানি করতে হবে না। এক ঢিলে দুই পাখি-হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থান এবং গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলির কাপড়ের যোগান সহজ হবে।

একটা বিশেষ দেশের কারণে এখনও বাংলাদেশ এই প্রস্তাবে সাড়া দেয় নাই।

৩| ২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


@কাওসার চৌধুরী ,

ভালো বলেছেন, চীনারা বিনিয়োগ করুক, বাংগালীরা উট চরাক ও মালয়েশিয়ায় পাম গাছে পানি দেক, আপনি ব্লগে গল্প লিখেন।

২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:২১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আমি এটার জবাব আপনার ১ নং মন্তব্য দিয়েছি। তারপরও আরো একটু যোগ করি বিদেশী বিনিয়োগ খারাপ কিছু না। অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানের জন্য বিনিয়োগ আমাদের দরকার। এটা যে কোন দেশ থেকেই আসতে পারে। বিনিয়োগকারীর অবশ্যই স্বার্থ আছে, আমাদেরও স্বার্থ আছে।

যে উট চড়ায় বা যে পাম গাছে পানি দেয় সে কিন্তু বিনিয়োগকারী না।

বিনিয়োগটা আসবে হয় দেশি সরকার, বা বিদেশী সরকার, বা দেশি পুঁজিপতি বা বিদেশী পুঁজিপতির কাছ থেকে।

যে উট চড়ায় বা যে পাম গাছে পানি দেয় সে এই বিনিয়োগ থেকে সুবিধা নিবে।

৪| ২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪২

সনেট কবি বলেছেন: সু-খবর

২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:২৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


এই সুখবরটা দেয়ার জন্যই সবার সাথে শেয়ার করলাম।
বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষের জীবন মান বাড়ছে--এই ধরণের খবর শুনলে বেশ ভাল লাগে।

বাংলাদেশের যে কোন পজিটিভ খবরে মনটা ভরে যায়।

৫| ২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: @চাঁদগাজী,


"ভালো বলেছেন, চীনারা বিনিয়োগ করুক, বাংগালীরা উট চরাক ও মালয়েশিয়ায় পাম গাছে পানি দেক, আপনি ব্লগে গল্প লিখেন।"....

স্যার, আপনার এই কমেন্ট দেখে কিছু একটি লেখতে চেয়েছিলাম। আপনি কমেন্টে আমার নাম নেওয়ায় সুযোগটা পেয়ে গেলাম। আপনার এই কথাগুলোর মর্ম আমি বুঝি। কতটুকু দেশপ্রেম আর দূরদর্শী চিন্তা থাকলে এমন মন্তব্য করা যায়, এটা আমি বুঝি। স্যার, এজন্য আমি আপনাকে এতো রেসপেক্ট করি।

আমি যহেতু প্রবন্ধ লেখি; সেহেতু আপনার এ কমেন্টের উপর দীর্ঘ একটি প্রবন্ধ লেখে ফেলতে পারি। আপনার সুস্থতা সব সময় কামনা করি, স্যার। ভাল থাকবেন সব সময়।

২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


যেহেতু চাঁদগাজী আপনার ২ নং মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন ৩ নং মন্তব্যে, আবার আপনি তার জবাব দিয়েছেন ৫ নং মন্তব্যে,
তাই আপনার ৫ নং মন্তব্যের জবাব দেয়া থেকে আমি বিরত থাকলাম।

৬| ২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: চীন তো ব্যবসা বানিজ্যে সারা বিশ্ব দখল করে নিয়েছে।
চীন মালোশিয়াতে ঝাঁকিয়ে বসেছে।
চীন আচরন ইদানিং আমার কাছে ভালো ঠেকছে না।

২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:৪১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


ব্যবসাটা হচ্ছে লেনদেন।
ব্যবসা দিয়ে কোন কিছু দখল করা যায় না।
ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকে।
কেউ কেউ ব্যবসায় লোকসান করে ব্যবসা গুটিয়ে নেয়।
আবার কেউ কেউ ব্যবসায় লাভ করতে করতে নতুন নতুন ব্যবসা চালু করে।
চীনারা ব্যবসা করতে আসছে।
ইন্ডিয়া আসুক, বাঁধা তো নাই। ইন্ডিয়া যেমন তারা কয়লা দিয়ে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে।
পৃথিবীর যে জন দেশ ব্যবসা করতে আসুক।
বাংলাদেশে কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন আছে। সেখানে কোরিয়ানরা বিনিয়োগ করেছে।

৭| ২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:৫৫

সিগন্যাস বলেছেন: চীন সরকার বর্তমানে নিজের প্রভাত বিস্তার করতে ব্যস্ত।অর্থনৈতিক উন্নয়ন হলো একটা মুখোশ মাত্র।চীনারা বাংলাদেশে স্থায়ী আসন গড়তেই এইসব করছে।ভবিষৎ এ যদি কখনো চীন-ভারত সংঘর্ষ হয় তবে বাংলাদেশ চীনের জন্য ভাল কাভার হবে।চীনারা হচ্ছে আবাল জাতি।দক্ষিণ কোরিয়া,জার্মানি,আমেরিকার প্রযুক্তি চুরি করে নিজেদের নামে চালিয়ে দেওয়াই এই জাতীর কাজ।

২৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৭:২২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


১. মন্তব্য -- "চীন সরকার বর্তমানে নিজের প্রভাত বিস্তার করতে ব্যস্ত।"
উত্তর -- জাতীয় নিরাপত্তা এবং অর্থনীতি উন্নয়নের স্বার্থে যেকোনো শক্তিশালী রাষ্ট্র তার প্রভাব বিস্তারে ব্যস্ত থাকতেই পারে। আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং কূটনীতিতে এটা কোন বেআইনি কাজ না।

২. মন্তব্য -- "অর্থনৈতিক উন্নয়ন হলো একটা মুখোশ মাত্র।"
উত্তর -- যেকোনো দেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নির্ধারিত হয় সেই দেশের জাতীয় স্বার্থের দ্বারা। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড একটা লেনদেন। কোন রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা নাই বিনা স্বার্থে বাংলাদেশের উন্নয়ন করে দিবে। একটাই বিচার্য বিষয় বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে কি না।

৩. মন্তব্য -- "চীনারা বাংলাদেশে স্থায়ী আসন গড়তেই এইসব করছে। ভবিষ্যৎ এ যদি কখনো চীন-ভারত সংঘর্ষ হয় তবে বাংলাদেশ চীনের জন্য ভাল কাভার হবে।"
উত্তর -- চীনারা বাংলাদেশের রাজনীতির ব্যাপারে বেশ ওয়াকিবহাল। ভৌগোলিক কারণে চীন-ইন্ডিয়া যুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে প্রয়োজন হবে ইন্ডিয়ার। কারণ যুদ্ধের শুরুতেই চীন বাংলাদেশ এবং নেপালের মাঝখানে ২২ মাইল লম্বা শিলিগুড়ি করিডোর বা চিকেন নেকটা বন্ধ করে দিবে। ফলে ইন্ডিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় ৭টা রাজ্য পশ্চিম অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। তখন ইন্ডিয়ার পূর্বাঞ্চলে যাওয়ার একমাত্র পথ হবে বাংলাদেশের উপর দিয়ে।

৪. মন্তব্য -- "চীনারা হচ্ছে আবাল জাতি। দক্ষিণ কোরিয়া,জার্মানি,আমেরিকার প্রযুক্তি চুরি করে নিজেদের নামে চালিয়ে দেওয়াই এই জাতীর কাজ।"
উত্তর -- এই বিষয়ে কোন বিতর্কে না যে, তর্কের খাতিরে আপনার মন্তব্য যদি মেনে নেওয়া হয়। তা হলে আমাদের অসুবিধা কোথায়। আমাদের তো কোন প্রযুক্তি বা জ্ঞান নেই যা চীনারা আমাদের কাছ থেকে চুরি করে নিয়ে যাবে।

সবশেষে বলবো, আমাদের জাতীয় স্বার্থে চীনাদের সহায়তা নেয়া প্রয়োজন। শুধু খেয়াল রাখতে হবে আমাদের জাতীয় স্বার্থ। আমি আগেই বলেছি, ব্যবসা হল লেনদেন। ব্যবসা মানে কাউকে সাহায্য করা না।

৮| ২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:৫৭

রাকু হাসান বলেছেন: জমি অধিগ্রহণ নিয়ে যেন দীর্ঘ না হয় ,সেই প্রত্যাশা । সুখবর...ভারত কে পাশ কাটিয়ে শ্রীলংকা কি এই সুযোগ দিবে !

২৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৭:৩৭

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আমরাও প্রত্যাশা করি দ্রুত জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হবে। কিন্তু আশা আর বাস্তবতা ভিন্ন। আমাদের জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত আইনগুলি জটিল এবং বিচার ব্যবস্থা ধীরগতি সম্পন্ন। এইগুলি নিয়ে অনেক মামলা-মোকদ্দমা হয় এবং হবে। এতে অনেক সময় নষ্ট হয়।

আপনি লিখেছেন, "সুখবর...ভারত কে পাশ কাটিয়ে শ্রীলংকা কি এই সুযোগ দিবে !"

এটা দ্বারা কোন সুযোগের কথা বলছেন, আমি বুঝতে পারছি না।
এটা যদি হয় শ্রীলংকার হাম্বানটোটা বন্দর বিষয়ে, তা হলে উত্তর হচ্ছে, হাম্বানটোটা বন্দর, যার বর্তমান নাম মাগমপুরা মাহিন্দা রাজাপাকসে পোর্ট ২০১৭ সালের জুন মাস থেকে চীনারা পরিচালনা করছে। চায়না মার্চেন্টস পোর্টস কোম্পানি (CMPort) ১.১২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে এই বন্দর নির্মাণ করেছে। এটা ইন্ডিয়ার এত কাছে যে এটা ইন্ডিয়ার মাথা ব্যথার কারণ।

৯| ২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, "যেকোনো দেশের উন্নয়নের জন্য বিদেশী বিনিয়োগ প্রয়োজন। "

-আপনি মনে হয় তোতা পাখী; যা শুনেছেন তাই বলছেন?

২৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৮:১৩

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট (FDI) হচ্ছে বর্তমানে উন্নয়ন বিনিয়োগের প্রধান সূত্র।
উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে কে কত বেশি বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে পারে।
বিনিয়োগ মানেই কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ মানেই অর্থনৈতিক উন্নতি।

এখানে প্রথম ২০টা দেশের তালিকা দিলাম। এক নম্বরে যুক্তরাষ্ট্র আর ২০ নাম্বারে ইন্ডিয়া।
এই লিস্টে ১৩১ টা দেশের নাম আছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ ৯১ তম।

Rank Country FDI (Millions of USD)

1 United States 4,084,000
2 United Kingdom 2,027,000
3 Hong Kong 1,901,000
4 China 1,514,000
5 Ireland 1,477,000
6 Germany 1,455,000
7 Switzerland 1,230,000
8 Singapore 1,158,000
9 Belgium 1,093,000
10 Canada 1,045,000
11 France 842,500
12 Brazil 828,700
13 Spain 772,100
14 Australia 647,700
15 Netherlands 561,400
16 Mexico 499,400
17 Italy 495,200
18 Russia 479,700
19 Sweden 405,100
20 India 367,500

পুরা তালিকা এই লিংকে দেখুন। Click This Link
ইন্ডিয়া কি ভাবে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে, এই লিংকগুলি দেখুন।
https://www.statista.com/statistics/715539/india-fdi-inflow-amount-for-all-sectors/
https://www.ibef.org/economy/foreign-direct-investment.aspx
https://en.wikipedia.org/wiki/Foreign_direct_investment_in_India

১০| ২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


@রাজীব নুর ,

বাংগালীদের টাকা বালিশের নীচে পঁচতেছে; আর কিছু বাংগালী ঘরের ভিটা ও বউ'এর শেষ নাকফুলটাও বিক্রয় করে মানুষ লিবিয়া যাচ্ছে!

চীনারা দরকার মতো ঘুষ দেয়, ওভার-ইনভয়েস করে, আন্ডার ইনভয়েস করে; আমাদের প্রশাসনের সাথে চীনা চোরদের মিল আছে।

বিনিয়োগ করার দরকার বাংগালীদের, চীনারা সবার্ধিক টেকনোলোজী দিতে পারে।

২৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৮:১৬

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


যেহেতু এই মন্তব্যটা রাজীব নুরকে উদ্দেশ্য করে লেখা, আশা করি তিনিই উত্তর দিবেন।
আমি উত্তর দানে বিরত থাকলাম।

১১| ২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আমার দু'টি কমেন্টে আপনার চমৎকার দু'টি মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো। অনেক ভাল লাগা ভাই।

২৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৮:২১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আপনার মন্তব্যগুলি ছিল গঠনমূলক এবং বুদ্ধিদীপ্ত। আমি চেষ্টা করেছি আমার বিবেচনায় সঠিক উত্তর দিতে। আমার উত্তর যদি আপনাকে সন্তুষ্ট করে থাকে, তা হলে আমিও খুশি।

১২| ২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কোরিয়ান ইপিজেড পুরোপুরি চালু হতে ১৫ বছরের বেশী সময় লেগেছে। চীনা ইপিজেড ৫ বছর বললেও আরো বেশী সময় লাগবে। তবে দ্রুত হলে ভাল। সরকারী কাজ গুলোতে আরো দ্রুততা ও স্বচ্ছতা দরকার। বেসরকারী ইপিজেড গুলো ঠিক মত অপারেশনে চলে যেতে পারলে আশা করা যায় ব্যপক কর্মসংস্থান হবে...

২৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৩২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আমি আগেই আরেকটা মন্তব্যের জবাবে, কি কারণে চালু করতে দেড়ি হয় তার একটা কারণ বলেছি।
কারণ ১। ভূমি অধিগ্রহণে আইনগত জটিলতা।
কারণ ২। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সমন্বয়হীনতার।
কারণ ৩। বিভিন্ন পরিসেবার অপ্রতুলতা। যেমন-গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির সংযোগের অভাব।
কারণ ৪। বিভিন্ন সংস্থা থেকে ছাড়পত্র পেতে বিলম্ব।
কারণ ৫। নেতিবাচক মনোভাব। যেমন কেউ কেউ চায় না, এটা চালু হউক। ইত্যাদি।

আমি আপনার সাথে এক মত যে, বিদেশী বিনিয়োগ বাড়লে, এবং সবগুলি প্রকল্প চালু হলে ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে। মানুষের আয় বাড়বে। মানুষ অনেক ভাল থাকতে পারবে।

১৩| ২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:০৩

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: প্রতেকটা বিষয়ের পজেটিভ ও নেগেটিভ থাকে। তবে চিনারা আমাদের মত আবালদের চেয়ে অনেক বুদ্ধিমান ও ধুর্ত প্রানী ও খাট জাতি। এজন্য সন্ধেয়জনকভাবে নেগেটিভটাই ধরে রাখতে হবে। আমাদের বলদ পেয়ে পজেটিভ বুঝিয়ে দিলেও এসবের অন্তরালে বহু রহস্য লুকিয়ে আছে। যেগুলো আমাদের জন্য প্রথম দিকে মঙ্গলজনক মনে হলেও পরবর্তিতে নিশ্চই এর মাসুল বা খেশারত ব্যপকভাবে দিতে হবে আমাদের। এটুকু নিশ্চিৎ বুঝে নিতে হয়।

২৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৪৩

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আমি আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত।
বুঝে-শুনে আগতে হবে। জাতীয় স্বার্থ সবার আগে।
যেকোনো ব্যবসায়িক লেনদেন বুঝেশুঝেই করতে হয়।
বুঝেশুঝে না করলে যে কোন সাধারণ কেনাকাটাতেও আপনি ঠকে যেতে পারেন।
যেমন, আপনি মাছ কিনতে গেলেন। দোকানদার আপনাকে পচা মাছ দিয়ে দিতে পারে, অথবা দাম বেশি রাখতে পারে, অথবা ওজনে কম দিতে পারে, অথবা সবগুলিই করতে পারে।
এই ভয়ে তো আপনি মাছ কিনা বাদ দিতে পারবেন না।
আপনাকে সতর্ক হতে হবে যাতে দোকানদার এর কোনটাই করতে না পারে।
বরং আপনার লক্ষ্য হবে কি ভাবে কম দামে ভাল মাছটা কেনা যায়।

১৪| ২৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৭:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, "
যে উট চড়ায় বা যে পাম গাছে পানি দেয় সে কিন্তু বিনিয়োগকারী না।
বিনিয়োগটা আসবে হয় দেশি সরকার, বা বিদেশী সরকার, বা দেশি পুঁজিপতি বা বিদেশী পুঁজিপতির কাছ থেকে।
যে উট চড়ায় বা যে পাম গাছে পানি দেয় সে এই বিনিয়োগ থেকে সুবিধা নিবে। "

-আমি ভেবেছিলাম আপনি তোতা পাখী; এখন দেখছি আপনি আসলে ডোডো পাখী

২৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৫১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আপনার ৯ নং মন্তব্যের জবাবে বিস্তারিত বলেছি।
তাছাড়া অন্যান্য জবাবেও এই বক্তব্যগুলি উঠে এসেছে।
সামগ্রিকভাবে পড়লে এবং পর্যালোচনা করলে আশা করি আপনার উত্তর পাবেন।

আপনি অনেক ধৈর্য ধরে একাধিক মন্তব্য করে আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

তারপরও যদি সুনির্দিষ্ট কোন মন্তব্য থাকে তাহলে আরও আলোচনা করা যেতে পারে।

১৫| ২৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:০০

চেংকু প্যাঁক বলেছেন: "পাঁদগাজী একটা বালছিঁড়া আবাল" - এইটার আংরেজি ট্রানশ্লেসন কি হবে বস? /:)

২৯ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আপনার মন্তব্য প্রাসঙ্গিক না বিধায় জবাব দানে বিরত থাকলাম।

১৬| ২৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩০

টারজান০০০০৭ বলেছেন:
একটা কৌতুক মনে পড়িল !
----
এক চোর কাফন চুরি করিত। তাহার মরার পর তাহার ছেলেও কাফন চুরি করা শুরু করিল ! অতিরিক্ত , কাফন চুরি করিয়া মৃতদেহের পশ্চাৎদশে বাঁশ দিয়া আসিত !
লোকে ইহা দেখিয়া বলিত , ওর বাপতো ভালোই আছিলো , শুধু কাফন চুরি করিত ! পোলাতো আরেক কাঠি বাড়া ! হোগায় বাঁশও দিয়া আসে !
-----
সাম্রাজ্য বিস্তারকারী শক্তিগুলির মধ্যে ব্রিটিশ ও আমেরিকানদের সভ্য ধরা হয় ! ইহারা গরু মারিয়া জুতা দান করিয়া থাকে ! আর ইহাতেই তাহাদের ঘেটুপুত্রগন তাহাদের গুণগানে ঢেরা পিটাইয়া হয়রান ! বাকিগুলোর যাহা ইতিহাস , জুতাও পাওয়া যাইবে কিনা সন্দেহ !

চীন কড়ি দিয়া দুনিয়া কিনিতেছে ! আমাদেরও কিনিবে ! নিজ জাতিরে পুন্দাইতে যাহারা সিদ্ধহস্ত, তাহারা ক্রীতদাসদের সাথে কেমন আচরণ করিবে তাহা বলাই বাহুল্য ! তাই পশ্চিমাদের বগলের তলার চেয়ে চীনের বগলে দুর্গন্ধ কম ইহা বলা যাইতেছে না ! তবে শত্রুর শত্রু বন্ধু হইয়া থাকে, এই নিয়মে চীনের বগল এখন ভালো মনে হইতাছে ! নাহয় চীনাদের মতন খাচ্চর জাতি দুনিয়ায় কম আছে, শুধু ভারতীয়রাই হইতে পারে বোধহয় !

২৯ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


১. পৃথিবীর ইতিহাস সাম্রাজ্য বিস্তারের ইতিহাস।
কোন সাম্রাজ্য বাদী শক্তিই বিজিত জাতির সাথে সভ্য আচরণ করে না। যেমন একজন ধর্ষণকারী ধর্ষিতার সাথে সভ্য আচরণ করে না।
ধর্ষণকারীর ভয়ে যেমন একজন মানুষ ঘরে বন্দি হয়ে থাকতে পারে না। তেমনি সাম্রাজ্যবাদীদের ভয়ে কোন জাতিও তার আন্তর্জাতিক যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, বা বিদেশী বিনিয়োগ বন্ধ রাখতে পারে না।

২. চীন কড়ি দিয়া দুনিয়া কিনিতেছে যেমন সত্য, আবার একথা সত্য যে একসময় চীনের হাতে কোন কড়ি ছিলোনা।
পক্ষান্তরে এই কথাও সত্য যে কড়ি ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, এবং মানবিক উন্নয়ন সম্ভব না।

৩. মৌর্য সম্রাট অশোক ২৭২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সিংহাসনে আরোহণ করেই সাম্রাজ্য বিস্তারে মনোনিবেশ করেন। উত্তরে হিন্দুকুশ পর্বতমালা থেকে শুরু করে দাক্ষিণাত্যের কিছু অংশ বাদ দিয়ে সমগ্র ভারতবর্ষ তাঁর করায়ত্ত হয়। তাঁর রাজত্বকালের অষ্টম বর্ষে তিনি কলিঙ্গ আক্রমণ করেন। এই ভয়াবহ যুদ্ধে প্রায় এক লক্ষ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষ নিহত হন এবং দেড় লক্ষ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষ নির্বাসিত হন। এই নির্বাসিত লোকগুলি উত্তর-পূর্ব দিক দিয়ে চীনে প্রবেশ করে। চীন তাদের আশ্রয় শুধু দেয় নাই, তারাও বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত হয়।

১৭| ২৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৪

একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: কোনো দেশকে নিজের কুক্ষিগত করার আধুনিক হাতিয়ার হল সেই দেশ কে ঋণ দেওয়া যা কখনো সেই দেশ শোধ করতে পরবে না । চিন এই "চেকবুক পলিসি" মাধ্যমে এশিয়ান ও আফ্রিকান কয়েকটি দেশকে ইতিমধ্যে কুক্ষিগত করে সেনাছাউনি,সামরিক বন্দর গড়ে তুলেছে এবং সেই দেশের রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ ভাবে মাথা গলাচ্ছে।

২৯ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


সব কিছুর জন্য অন্যকে দায়ী করলে চলবে না।
দায়দায়িত্ব নিজেকেও নিতে হবে।

রাষ্ট্রীয় পর্যায় বাদ দিলেও, ব্যক্তি পর্যায়ের অনেক লোক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বিপদে পড়েছে। আবার অনেকেই ওই ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সফল ব্যবসায়ী হয়েছে।

একজন সফল হবেন না ব্যর্থ হবেন তা নির্ভর করবে, তার নিজের দক্ষতা, প্রচেষ্টা, এবং ব্যবস্থাপনার উপর।
যে রাষ্ট্রগুলি ব্যবস্থাপনায় দক্ষ অর্থাৎ ভাল সরকার ব্যবস্থা আছে, তারা ঋণ নিয়ে ভাল করছে।

সরকার ব্যবস্থা যদি ঠিক না থাকে, তা হলে, ঋণ বা কোন কিছু না দিয়েও শুধু মাথা হাতিয়ে বিদেশী রাষ্ট্র সেনা-ছাউনি,সামরিক বন্দর গড়ে তুলেতে পারে এবং অন্য দেশের রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ ভাবে মাথা গলাতে পারে।

এমন অনেক পশ্চিমা রাষ্ট্র আছে যারা আমাদেরকে এক পয়সাও ঋণ বা সাহায্য করে না, কিন্তু আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে।

১৮| ০১ লা জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৫৯

রিফাত হোসেন বলেছেন: জনাব মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
সব কিছুর জন্য অন্যকে দায়ী করলে চলবে না।
দায়দায়িত্ব নিজেকেও নিতে হবে।

রাষ্ট্রীয় পর্যায় বাদ দিলেও, ব্যক্তি পর্যায়ের অনেক লোক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বিপদে পড়েছে। আবার অনেকেই ওই ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সফল ব্যবসায়ী হয়েছে।

একজন সফল হবেন না ব্যর্থ হবেন তা নির্ভর করবে, তার নিজের দক্ষতা, প্রচেষ্টা, এবং ব্যবস্থাপনার উপর।
যে রাষ্ট্রগুলি ব্যবস্থাপনায় দক্ষ অর্থাৎ ভাল সরকার ব্যবস্থা আছে, তারা ঋণ নিয়ে ভাল করছে।

সরকার ব্যবস্থা যদি ঠিক না থাকে, তা হলে, ঋণ বা কোন কিছু না দিয়েও শুধু মাথা হাতিয়ে বিদেশী রাষ্ট্র সেনা-ছাউনি,সামরিক বন্দর গড়ে তুলেতে পারে এবং অন্য দেশের রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ ভাবে মাথা গলাতে পারে।

এমন অনেক পশ্চিমা রাষ্ট্র আছে যারা আমাদেরকে এক পয়সাও ঋণ বা সাহায্য করে না, কিন্তু আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে।
--
একমত

উপরের মন্তব্যটি অজানা ভুল বশত কপি পেস্ট এ বড় হয়ে গিয়েছে। মুছে দিতে পারেন।

০২ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


১৮ নং মন্তব্যটি ঠিক মত কপি পেস্ট না হওয়াতে মুঝে দিলাম।
একমত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
তবে কিছু নিজস্ব মতামত প্রদান করলে, জানতে বুঝতে সুবিধা হয়।

১৯| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আমি কপি পেষ্ট করলাম মাত্র কারণ আমার মনের কথা সব শৈবাল আহম্মেদ ভাই বলেছেন: প্রতেকটা বিষয়ের পজেটিভ ও নেগেটিভ থাকে। তবে চিনারা আমাদের মত আবালদের চেয়ে অনেক বুদ্ধিমান ও ধুর্ত প্রানী ও খাট জাতি। এজন্য সন্ধেয়জনকভাবে নেগেটিভটাই ধরে রাখতে হবে। আমাদের বলদ পেয়ে পজেটিভ বুঝিয়ে দিলেও এসবের অন্তরালে বহু রহস্য লুকিয়ে আছে। যেগুলো আমাদের জন্য প্রথম দিকে মঙ্গলজনক মনে হলেও পরবর্তিতে নিশ্চই এর মাসুল বা খেশারত ব্যপকভাবে দিতে হবে আমাদের। এটুকু নিশ্চিৎ বুঝে নিতে হয়।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আমিও আমরা নিজের উত্তর কপি পেস্ট করলাম। কারণ শৈবাল আহম্মেদের মন্তব্যের জবাব আমি ইতোমধ্যে দিয়েছি।

আমি আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত।
বুঝে-শুনে আগতে হবে। জাতীয় স্বার্থ সবার আগে।
যেকোনো ব্যবসায়িক লেনদেন বুঝেশুঝেই করতে হয়।
বুঝেশুঝে না করলে যে কোন সাধারণ কেনাকাটাতেও আপনি ঠকে যেতে পারেন।
যেমন, আপনি মাছ কিনতে গেলেন। দোকানদার আপনাকে পচা মাছ দিয়ে দিতে পারে, অথবা দাম বেশি রাখতে পারে, অথবা ওজনে কম দিতে পারে, অথবা সবগুলিই করতে পারে।
এই ভয়ে তো আপনি মাছ কিনা বাদ দিতে পারবেন না।
আপনাকে সতর্ক হতে হবে যাতে দোকানদার এর কোনটাই করতে না পারে।
বরং আপনার লক্ষ্য হবে কি ভাবে কম দামে ভাল মাছটা কেনা যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.