নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অর্ধ সত্য আসলে সম্পূর্ণ মিথ্যা

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪


মির্জা আব্বাস যখন ঢাকার মেয়র ছিলেন তখন নামকরা একটা দৈনিক পত্রিকা পরিসংখ্যান এবং তথ্য দিয়ে বলেছিল, ঢাকার জলাবদ্ধতা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য মির্জা আব্বাস দায়ী। তিনি ঢাকা সিটি কর্পোরেশন চালাতে ব্যর্থ। সব কিছু থাকার পরেও তার অযোগ্যতার জন্য তিনি ব্যর্থ হচ্ছেন। কথাটা ছিল আংশিক সত্য অর্থাৎ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

কিছুদিন পর যখন মোহাম্মদ হানিফ ঢাকার মেয়র হলেন তখন ওই একই দৈনিক, আশ্চর্যজনক ভাবে, একই পরিসংখ্যান এবং তথ্য দিয়ে বলেছিল, ঢাকার জলাবদ্ধতা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নগরবাসী দায়ী। তিনি ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ঠিক ভাবেই চালাচ্ছেন। নগরবাসীর সচেতনতার অভাবে তিনি ঠিক ভাবে কাজ করতে পারছেন না। এই কথাটাও ছিল আংশিক সত্য অর্থাৎ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

এখন যখন পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে, তখন সেই অর্ধ সত্য অর্থাৎ সম্পূর্ণ মিথ্যা কথাটা জোরেশোরে প্রচার করা হচ্ছে যে, জলাবদ্ধতা এবং অন্যান্য অসুবিধার জন্য জনগণই দায়ী।

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:০০

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: সবাই দায়ী। বেশী দায়ভার মেয়রের এবং সরকারের।

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


তাত্ত্বিক ভাবে এই কথা ঠিক সবাই দায়ী।
কারণ তাত্ত্বিক ভাবে জনগণের দ্বারাই সরকার।
একটা দেশের জনগণ যেরকম সরকার বা কর্তৃপক্ষও সেরকমই হয়।
কিন্তু প্রাথমিক এবং প্রধান দায়িত্ব সরকার বা কর্তৃপক্ষের।
তাদের দায়িত্ব হল সঠিক নীতি নির্ধারণ এবং তা যথাযথ ভাবে প্রয়োগ করা।

জনগণ যাতে সঠিক ভাবে আইন মেনে চলে তা নিশ্চিত করাও সরকার বা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।
কেউ যদি আইন না মানে তা হলে তাকে আইনের আওতায় আনাও সরকার বা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।

২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: মির্জা আব্বাস, হানিফ এবং উনার পুত্র খোকন এরা কেউই যোগ্য না।
আমাদের দরকার যোগ্যতা।

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


কে যোগ্য বা কে যোগ্য না তা নিয়ে বিতর্ক করে আমরা সমাধান করতে পারবো না।
প্রথমে দরকার সত্যটা জানা।
অর্ধ সত্য, যা আসলে মিথ্যা, তা দিয়ে সমস্যাকে চিহ্নিত করতে পারবো না।
আর সমস্যা যদি চিহ্নিত করতে না পারি, তা হলে সমাধানও করতে পারবো না।
আমরা সবসময় অর্ধ সত্য কথাটা বলতে পছন্দ করি, যা শুনতে সত্যর মত হলেও অর্ধ সত্য আসলে সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এখন মিথ্যা কথা দিয়ে তো সত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন না।

৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



রাজধানীতে বিভিন্ন সংস্থা তাদের নিজস্ব বিধি-বিধান দ্বারা পরিচালিত। এদের কারো সাথে কারো সমন্বয় নেই। কারো ওপর কারো নিয়ন্ত্রণও নেই। আবার এক বা একাধিক সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান ক্ষেত্র বিশেষে একই ধরনের কাজ করে থাকে। এতে আরো জটিলতার সৃষ্টি হয়। এজন্য সেবাদানকারী সব সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে একই ছাতার নিচে আনতে পারলে সেটা হবে সবচেয়ে উত্তম। যানজট, জলাবদ্ধতা, ড্রেনেজ সমস্যা, গ্যাস-বিদ্যুৎসহ নানাবিধ সমস্যায় নগরবাসী অতিষ্ঠ। এ অবস্থায় আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসন করে সেবামূলক সংস্থাগুলো যাতে জনদুর্ভোগ লাঘবে একসাথে কাজ করতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। তখন আর একে অন্যের ওপর দায় চাপিয়ে পার পাবে না।

নগরীতে চিহ্নিত খাল বেদখল, ত্রুটিপূর্ণ ড্রেনেজ ও আবর্জনার কারণে জলাবদ্ধতা বাড়ছে। এ সমস্যা নিরসনের জন্য দ্রুত খালগুলোকে দখলমুক্ত করতে হবে। সঙ্গে খালের গভীরতা, পরিচ্ছন্নতা ও একটি সমসাময়িক মাস্টার প্ল্যান গ্রহণের জন্য সম্মিলিত পদক্ষেপ নিতে হবে।

ঢাকার জলাবদ্ধতার দায় সরকারের; এছাড়া ঢাকা একটি অপরিকল্পিত নগরী; প্রথম থেকেই এ বিষয়টি ইগনোর করা হয়েছে; এর দায় জনগনের উপরও বর্তায়; খাল নালা দখল, অসচেতন মানসিকতা এবং দুর্নীতিও এর জন্য দায়ী।

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:১৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আপনি সংক্ষেপে খুব সুন্দর ভাবে সমস্যাগুলিকে চিহ্নিত করেছেন। এর সমাধান সূত্রও উল্লেখ করেছেন।

ঠিক একই ভাষায় এই কতগুলি আমি পত্রিকাতে পড়ছি এবং বিভিন্ন টকশোতে, সেমিনার, আলোচনা সভাতে শুনে আসছি দীর্ঘদিন যাবত, বলতে পারেন স্বাধীনতার পর থেকেই। এই কথাগুলি পড়লে এবং আলোচনা শুনলে মনে হয় সবাই সমস্যাগুলি সম্পর্কে শুধু জানেই না, এর প্রতিকার সম্পর্কেও জানে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সবাই যেখানে সমস্যাগুলি, এর কারণ এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে জানে, তাহলে সমাধানের ক্ষেত্রে সমস্যা কোথায়?

৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫১

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: দায় সবারই আছে। তবে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে, জনগণের উপর দায়ভার চাপিয়ে ক্ষমতাসীনরা নিজেদের অযোগ্যতার প্রমাণ দিচ্ছেন।

রাজনীতির নামে নোংরামি, সন্ত্রাসী বন্ধ না হলে যোগ্য মানুষের হাতে ক্ষমতা যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। নোংরা মানুষগুলোকে সরানোর দায়িত্ব পাব্লিককেই নিতে হবে।

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৪১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


কোন একটা নিদিষ্ট সরকার, বা কর্তৃপক্ষ অথবা কোন নিদিষ্ট শাসনামল নিয়ে আমি আলোচনা করছি না।

কাকে সরালে কি সমাধান হবে এটাও আলোচনা বিষয় না।

আমরা অর্ধ সত্য বলে প্রকৃত পক্ষে মিথ্যা প্রচার করছি -- এটাই আমি বলতে চেয়েছি।

৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫১

আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। আমি নিজেও 'কে দায়ী সরকার নাকি জনগণ?' শিরোনামে একটি লেখা লিখতে যাচ্ছিলাম। ভালো হল এখানে বিষয়টা আলোচনা করা যাবে।

আমাদের মাঝে এখনও কিছু বলদ নাকি চতুর প্রকৃতির নাকি হালুয়া-রুটির ভাগিদার নাকি প্রোপাগণ্ডাবাজ লোকের ধারণা রয়েছে যে সকল প্রকার বিশৃঙ্খলার জন্য জনগণই দায়ী। কথাটি আপনার পোস্ট অনুযায়ী বলা যায় আংশিক সত্য অর্থাৎ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আর এই মিথ্যা কথাটি এই শ্রেণির লোকগুলো গগনবিদারী চিৎকারে অাকাশ-বাতাশ প্রকম্পিত করে ফেলছে। অথচ এই শ্রেণি জানেই না 'কল্যাণকর রাষ্ট্রের ধারণা' বা জেনেও নিজেদের সুবিধার জন্য প্রোপাগণ্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। এদের সাথে কিছু মানুষ না বুঝেই হা-হুকারি দিয়ে অবুঝের মতো অাচরণ করছে।

মানুষ স্বভাবতই পশু প্রবৃত্তির। মানুষের এই পশুত্বকে নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি প্রটেকটিভ সিস্টেম দরকার। আর এই সিস্টেমটা দাঁড় করানোর দ্বায়িত্ব হচ্ছে প্রথমে পরিবার পরে রাষ্ট্রের। পরিবার বা রাষ্ট্র যখন এই সিস্টেম (যেটাকে আমরা আইনের শাসন বলে থাকি) দাঁড় করতে ব্যর্থ হয় তখনই মানুষের সেই পশুত্ব ওভার্টলি দৃশ্যগোচর হবে। আমাদের এ দেশে এটাই হচ্ছে।

একটা উদাহরণ দেই। ধরুন, এ দেশের জনগণ খারাপ। তাহলে এই খারাপ জনগণেরা কীভাবে উন্নত বিশ্বে গিয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখে। তারা তো সেখানেও বিশৃঙ্খলা করার কথা। নিজেদের দীর্ঘদিনের বাঁদর স্বভাব হয়ত সহজেই ত্যাগ করতে পারে না ফলে নিজের গোষ্ঠির মধ্যে কামড়াকামড়ি করলেও ঐ দেশের অাইনের প্রতি শতভাগ শ্রদ্ধা বজায় রেখে চলে। ভালো করেই জানে যে আইন ভাঙলে জরিমানা না হয় গারদ। যে লোক ঢাকা এয়ারপোর্টে চকলেট খেয়ে মোড়কটা অবহেলায় ছুঁড়ে ফেলছে, সেই একই লোক কয়েকঘন্টা বাদে বাইরের এয়ারপোর্টে মোড়ক ফেলার জন্য বিন খুঁজে ফিরে। না পেলে পকেটে ভরে বাড়ি নিয়ে যায়। কেন?

এখন বাংলাদেশের কথা চিন্তা করুন। এখানে অন্যায়কে ন্যায়ের মোড়কে বোতলবন্দি করে সবকিছু বাজারজাত করা হচ্ছে। এই পরিবেশে মানুষ নামের দুপেয়ে বাঁদরেরা নৃত্যকোদনই তো করবে।

দেশে অাইনের প্রয়োগ সঠিক হোক। ন্যায়বিচার নিশ্চিত হোক। এরপর যদি জনগণ রাষ্ট্রের কথা না মানে তখন আপনি দোষ দেন যে 'জনগণই খারাপ'।

মনে রাখা দরকার নীতিবান পিতা-মাতার পরিবারে সাধারণত ছেলে-মেয়েরা নীতিবানই হয়। আর নিচু মূল্যবোধের পরিবারে মানে কুলাঙ্গার পরিবারে বেড়ে উঠা..রাষ্ট্রকে পরিবারের সাথে তুলনা করলে আমাদের এটা বুঝতে সহজ হওয়ার কথা।

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৫১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


চমৎকার মন্তব্য।

এই প্রথম (আমি ব্লগে এই পর্যন্ত যত মন্তব্য পেয়েছি) একজন পাঠক, আমি অন্তর্নিহিত ভাবে কি বলতে চাই বা বলতে চেয়েছি তা সঠিক ভাবে অনুধাবন করতে পেরেছেন।

এই পোস্টার মূল সুর বা মূল বক্তব্য এটাই।

বাংলাদেশের জনগণকে প্রথমেই বুঝতে হবে রাষ্ট্র কি?
তারপর সরকার কি?

বাংলাদেশের মানুষ রাজনীতি বুঝে কিন্তু রাষ্ট্র এবং সরকার বুঝে না। সমস্যা এইখানেই।

৬| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন:

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৫২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


এটা এই পোস্টার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বিধায় জবাব দানে বিরত থাকলাম।

৭| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আখেনটাখেন-এর সাথে সহমত। গতকালই রাজীব নূরের পোস্টে মন্তব্য করেছি - এখনকার অবস্থার জন্য আমাদের চেয়ে বেশী দায়ি কর্তাব্যক্তিরা। সাধারণ মানুষ খাল, নদী দখল করে না, দূষণ করে না। আখেনটাখেন-এর উদাহরণ দিয়েই বলি, একই ড্রাইভার দেশের সিগনাল মানে না, কিন্তু বাইরে গিয়ে ফাঁকা রাস্তা পেলেও সিগনাল ক্রস করে না...

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৫৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আসলে ৫ নং মন্তব্যে আখেনাটেন যা বলেছেন, এটাই মূল কথা।
মূল জায়গায় যদি না যান, তাহলে সমস্যার সমাধান করে পারবেন না।
আমরা যেহেতু মূল জায়গায় নেই, তাই ৪০/৫০ বছর ধরে একই কথা বলে যাচ্ছি তার কোন সমাধান নাই।

৮| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



"এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সবাই যেখানে সমস্যাগুলি, এর কারণ এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে জানে, তাহলে সমাধানের ক্ষেত্রে সমস্যা কোথায়?"

সমস্যাটি মূলত মানসিকতায়; পাশাপাশি, সমস্যা চিহ্নিত করা যত সহজ এর সমাধান ততো সহজ নয়। এগুলো সমাধানে লাগে নেতৃত্বগুন, দায়বদ্ধতা আর দেশপ্রেম; যার কোনটিই আমাদের নেই।

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:২১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


যদি শেষ কথা হয়, "এগুলো সমাধানে লাগে নেতৃত্বগুণ, দায়বদ্ধতা আর দেশপ্রেম; যার কোনটিই আমাদের নেই।"
তা হলে তো এগুলি নিয়ে আলোচনা করেও কোন লাভ নাই।
যে ভাবে চলছে, চলতে থাকবে।

আমি বিশ্বাস করি এটা শেষ কথা নয়। বাংলাদেশকে একটা কার্যকর রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। রাষ্ট্র এবং সরকারের ধারণাটা আমাদের কাছে পরিষ্কার হতে হবে।

৯| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২৯

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: সব রসুনেরই একই গোড়া ,,
তাহারা তাদের চিন্তা ধারা কে দেশের জন্য কাজে খুব কমই লাগায় । তারা তাদের অর্থনৌতিক র‌্যাংকিং এবং নিজেদের বিলাসিতায় মগ্ন ।

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:২৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


এই "রসুনগুলি" করা?
তাদের "গড়াটাই" বা কোথায় বা কি?
"তাহারা তাদের চিন্তা ধারা কে দেশের জন্য কাজে খুব কমই লাগায় । ......" এই "তাহারা" আসলে "কাহারা"?

১০| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১৮

হযবরলঃ বলেছেন: আপনার পোস্টের বক্তব্যও অর্ধ সত্য আসলে সম্পূর্ণ মিথ্যা ..............

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


সত্যের স্বার্থে আপনার কথা মানতে আমার কোন আপত্তি নাই।
কিন্তু আপনি আপনার বক্তব্যের সমর্থনে কোন যুক্তি, এবং/ অথবা তথ্য উপস্থাপন করেন নাই।

এটা অনেকটা ছোটবেলার ঝগড়া মত। ঝগড়া করার মত কোন ভাষা খুঁজে না পেলে, একজন যে কথাটা বলতো, অন্যজন তাই পুনরাবৃত্তি করতো। যেমন-- একজন বলছে, তুই খারাপ। উত্তরে অপরজন বলছে, তুই খারাপ।

১১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



"আমি বিশ্বাস করি এটা শেষ কথা নয়। বাংলাদেশকে একটা কার্যকর রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। রাষ্ট্র এবং সরকারের ধারণাটা আমাদের কাছে পরিষ্কার হতে হবে।"......

এখানে আমাদের বলতে রাজনৈতিক নেতৃত্ব আর আমলাদের বুজিয়েছি; আমাদের এই ক্ষমতা অবশ্যই আছে; কিন্তু যারা পারবে তাদের নেতা/মেয়র/এমপি/মিনিস্টারয়/প্রাইম মিনিস্টার হওয়ার কোন চান্স নেই; কারণ এই ক্ষমতার সিন্ডিকেট দুইটি পরটিবারের হাতে!!

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:৪০

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আমার মতে যাদের নেতা/মেয়র/এমপি/মিনিস্টারয়/প্রাইম মিনিস্টার হওয়ার কোন চান্স নেই, তাদের হাতে কোন ক্ষমতাও নেই।

ক্ষমতা আসলে ঐক্যবদ্ধ মানুষের হাতে।

মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

দুই পরিবারের হাতে যে ক্ষমতা তা মানুষেই তাদেরকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে দিয়েছে।

১২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ছবিটা দিয়েছিলাম এই জন্য যে, কয়লা চুরির তদন্ত শুরু করে বিচার করার বদলে ব্লেম গেম শুরু হয়ে গিয়েছে। এই ধারাই চলছে এই দেশে। অথচ সমস্যার সমাধানটা জরুরী। সরকার দায়ী নাকি আমরা দায়ী সেটা বিচার করা নয়...

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:৪৭

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


এই কারণেই একটা কার্যকরী রাষ্ট্রে প্রয়োজন। একটি কার্যকরী রাষ্ট্রের প্রধান বৈশিষ্ট্যই হল একটা কার্যকরী বিচার ব্যবস্থা। একটা কার্যকরী বিচার ব্যবস্থাই পারে প্রকৃত দোষীকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে। ব্লেম গেম বা একে অন্যকে দায়ী করার প্রবণতা তখনি চলতে থাকে যখন কোন কার্যকর বিচার ব্যবস্থা না থাকে।

আর আমার মূল পোস্টের উদাহরণের মত, সুবিধাবাদীরা একেক সময় একেক জনকে দায়ী করতে থাকে।

১৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩০

হযবরলঃ বলেছেন: যাক আপনার প্রতি মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু কথা বলতেই হয়। প্রথম কথা হচ্ছে কোন পত্রিকা যদি এ রকম কথা বলে থাকে তবে সে পত্রিকাটির রেফারেন্স দিলে আপনার বক্তব্য আরো দৃড় হতো এবং বক্তব্যটি বুঝতে সুবিধা হতো।

তারপরও আপনার বক্তব্যকে সত্য বলে ধরে নিচ্ছি। যদি পত্রিকাটি দলকানা হয় তাহলে তো কথায় নেই, এ রকম বক্তব্য দিতেই পারে। যদি তা নাও হয় তারপরও আপনার পোস্টের শিরোনামের বক্তব্য কে সঠিক বলা যায় না। যদি ঐ পত্রিকাটার প্রথম কথা মিথ্যা হয় তারমানে দাড়ায় মেয়র মির্জা আব্বাস ঢাকার জলাব্ধতা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য দায়ী না। কিন্তু একজন মেয়র তার নিজস্ব এলাকার এধরনের সমস্যার জন্য কিছু না কিছু দায়ী, তাহলে এ কথাটিও পুরোপুরি সত্য না।

আবার যদি বলা হয় এ ধরনের সমস্যার জন্য জনগন দায়ী না তাহলেও ভুল বলা হবে। কারণ এ ধরনের সমস্যার জন্য জনগনের অসচেতনতাও অনেক অংশে দায়ী।

প্রকৃতপক্ষে এসব ক্ষেত্রে এককভাবে কারও ঘাড়েই সম্পুর্ন দায় চাপানো যায় না। তারপরও কারও নিজস্ব বিশ্লেষণে (যদি সৎভাবে বিশ্লেষন করা হয়) যার দায় বেশি মনে হয় বিষয়টি তার ঘাড়েই চাপানো হয়।

আর যদি বলেন ব্ক্তব্যটি ৫০:৫০ হয়েছে তাহলেও বলতে হয় যে আপনি এমন কোন কোন তধ্য, উপাত্ত উপস্থাপন করেননি যা থেকে বিষয়টি ৫০:৫০ না ৭৫:২৫ তা বোঝা যায়।

কোন ব্যাক্তির দায় বা দায়িত্বের গণ্ডি কখনও পরম নয়, বরং আপেক্ষিক এবং দৃষ্টি ভঙির পরিবর্তনের সাথে সাথে বিষয়টি পরিবর্তিত হয় (পক্ষপাতিত্ত্ব না করেও) তাই এক্ষেত্রে আংশিক সত্য কে পুরো মিথ্যে তত্ত্ব প্রয়োগ করা যায় না।


এতো কথা টাইপ করতে আলসেমি লাগছিলো তাই উপরে সংক্ষিপ্ত মন্তব্য। ধন্যবাদ।

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:২২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


১. কিছু কথা বলার জন্য ধন্যবাদ। আমরা তো কিছু কথা শুনতেই চাই।

২. পত্রিকাটির রেফারেন্স দিলে আমার বক্তব্য আরো দৃঢ় হতো এবং বক্তব্যটি বুঝতে সুবিধা হতো -- এই কথা সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত।
তবে রেফারেন্স না দেয়ার কারণ --
প্রথমত -- এই মুহূর্তে পত্রিকার নামটা ছাড়া সন তারিখ কিছুই আমার মনে নেই। সন তারিখ ছাড়া শুধুমাত্র পত্রিকার নাম দিলে এটা কোন কার্যকর রেফারেন্স হিসাবে গণ্য হবে না।
দ্বিতীয় -- অনাবশ্যক বিতর্ক এড়ানো জন্য ইচ্ছা করেই পত্রিকার নাম উল্লেখ করি নাই। অনেকেই মূল বক্তব্য বাদ দিয়ে এই পত্রিকা নিয়েই বিতর্কে মেতে উঠবেন।
তৃতীয়ত -- পত্রিকাটি এখানে মুখ্য বিষয় নয়। এটা একটা অর্ধ সত্যের উদাহরণ মাত্র। এই উদাহরণ দিয়ে আমি বুঝাতে চেয়েছি, মানুষ স্বার্থের কারণে, একেক সময় একেক জনকে দায়ী করছেন।

৩. আপনি ২ থেকে ৫ অনুচ্ছেদ পর্যন্ত যে মতামত দিয়েছেন, তা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আমার বক্তব্যকেই সমর্থন করেছেন, ভিন্ন ভাষায়, ভিন্ন আঙ্গিকে।

৪. আপনি লিখেছেন, "প্রকৃতপক্ষে এসব ক্ষেত্রে এককভাবে কারও ঘাড়েই সম্পূর্ণ দায় চাপানো যায় না।" আমি তো এই কথাই বলতে চেয়েছি। আমি যে উদাহরণটা দিয়েছি, তাতে দেখেন, প্রথম পরিস্থিতিতে মেয়রকে একক ভাবে দায়ী করা হয়েছে, আবার দ্বিতীয় পরিস্থিতিতে জনগণকে একক ভাবে দায়ী করা হয়েছে। আমার এই পোস্ট দেয়ার পিছনের কারণ হচ্ছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছু কিছু পত্রিকা এবং এমনকি এই ব্লগেও একক ভাবে জনগণকে দায়ী করা হচ্ছে।

৫. "তাই এক্ষেত্রে আংশিক সত্য কে পুরো মিথ্যে তত্ত্ব প্রয়াগ করা যায় না।" আপনার এই বক্তব্য আপনার ১০ নং মন্তব্যের সাথে স্ববিরোধী। আপনি আপনারা ১০ নং মন্তব্যে বলেছেন, "আপনার পেস্টের বক্তব্যও অর্ধ সত্য আসলে সম্পূর্ণ মিথ্যা".
আপনি তো নিজেই আমার বর্তমান পোষ্টের ক্ষেত্রে 'আংশিক সত্য কে পুরো মিথ্যে তত্ত্ব প্রয়াগ' করেছেন।

সবশেষে আলসেমি ভেঙ্গে চমৎকার আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।

১৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫১

আশরাফুল অ্যাস্ট্রো বলেছেন: আমরা উদুর পিণ্ডি বুদুর ঘাড়ে চাপাতেই বেশি পারদর্শী ।গত বছর উবায়দুল কাদের সাহেব বলেছিলেন ,আগামী বছর জলাবদ্ধতা থাকবে না ।কিন্তু সাহারা খাতুনের ৪৮ ঘণ্টার মতো তার আগামী বছর এখনো আসেনি।
আমি ধরে নিলাম, সম্পূর্ণ দায় জনগনের । জনগনের ফেলা পানির বোতল আর প্লাস্টিকেই পানি আবদ্ধ হয়ে আছে। কিন্তু জনগনের তাকায় পালা বিভিন্ন হাতিগুলোর কাজ তো নিয়মিত বিরতিতে জনগনের ফেলা প্ল্যাস্টিক গুলো পরিস্কার করা ,তারা সেই কাজটি করেনি কেন ? গত এক বছরে সরকার জনগনের সচেতনতার জন্য সভা সেমিনার করেনি কেন ,যাতে তারা সচেতন হয় । রেডিও ,ত টিভিতে উন্নয়নের বিজ্ঞাপন কিংবা বছর জুড়ে রামপাল নিয়ে সাফাই বিজ্ঞাপন প্রচার হলেও পরিচ্ছন্ন শহর নিয়ে কেন এমন জনসচেতনতা মূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করেনি সরকার ।
মেনে নিলাম জনগনের সব দায় । তাহলে সাইদ খোকন সাহেব জনগনকে নিয়ে রাস্তা ঝাড়ু দিয়ে গিনেজ বুকে রেকর্ড করলেও তিনি পয়নালা পরিস্কারের কোন রেকর্ড গরলেন না কেন ???
আমি মেনে নিলাম সব দায় জনগনের । সরকারের কোন দায় নেই , বিনা পয়সায় ক্ষমতাসীনদের দলীয় প্রতিকের শোডাউনের জন্য জনগণ সব দায় মাথায় পেতে নিয়েছে ।ভবিষ্যতেও নিবে ।

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


যখন কারো কোন জবাবদিহিতার দায়বদ্ধতা থাকে না, তখন দায়িত্ব এড়ানোর জন্য এই ব্লেম গেম চলতে থাকে।
যতক্ষণ না জবাবদিহিতার আওতায় আনতে পারবেন, ততক্ষণ উদুর পিণ্ডি বুদুর ঘরেই চেপে থাকবে।

আমি প্রথমেই একটা পত্রিকার উদাহরণ দিয়েছি, এখানে পত্রিকাটা মুখ্য না, এটা বুঝানোর জন্য যে স্বার্থের কারণে কি ভাবে দায়দায়িত্ব একজনের ঘাড় থেকে আরেকজনের ঘাড়ে চালান দিয়ে দিচ্ছে।

১৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কোন ব্যক্তিকে দোষ দিয়ে লাভ নেই।
দোষ বিভিন্ন আমলে ক্ষমতাসিনদের সুনজরে থাকা কিছু অসৎ লোক।
ঘুষ তদ্বিরের মাধ্যমে শহরের প্রধান চারটি খাল দখল হয়ে যাওয়া।
ধোলাইখাল,
জনপদ এলাকায়,
হাতিরপুলের পাশে খুব চোওড়া একটা খাল ছিল, ঢাবি বুয়েট হয়ে বুড়িগঙ্গা।
পান্থ পথের পাসে লম্বা খাল (হাতির ঝিল ধানমন্ডি হয়ে বালু নদী পর্যন্ত)
শাজাহানপুরেও একটা খাল দেখেছিলাম
আরো অনেক খাল ছিল মনে পরছে না।

রাস্তার নীচে মামুলি আন্ডার ড্রেনের মত কিছু করে পুরো খাল দখল করে ফেলা হয়েছে।
অতচ খাল ও ২০০ ফুট খালপার সরকারি খাস জমি।

এইসব খাল দখল মুক্ত করে খনন করে চালু করে দিলে বৃষ্টির পানি নেমে যাওয়ার কথা।

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:০৯

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আপনি যে সমস্যাগুলি কথা বলেছেন, ঢাকাবাসী তথা দেশবাসী কম বেশি জানে। কিন্তু যেহেতু কার্যকর জবাবদিহিতা নাই এবং বিচার ব্যবস্থা প্রকৃতপক্ষে কার্যকর না তাই কাউকেই জবাবদিহিতার আওতায় আনতে পারবেন না। যেহেতু কাউকেই জবাবদিহিতার আওতায় আনতে পারবেন না, তাই যা অতীতে ঘটেছে, বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে তা ঘটতে থাকবে।

সমস্যা যখন প্রকট হবে, মানুষ দু একটা কথা বলবে। একে অপকে দায়ী করে কালক্ষেপণ করবে। তারপর ভুলে যাবে। তারপর নতুন সমস্যায় পরলে আবার কিছু বলাবলি হবে। তারপর আবার ভুলে যাবে বা ওই ব্যবস্থার সাথে অভ্যস্ত হয়ে যাবে।

১৬| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:০৫

নিভৃতেনৈঃশব্দে বলেছেন: পুরোপুরি একমত ....লেখার মূলবক্তব্যের সাথে I
এখানে জনগণের ওপর দোষ চাপানোর সুযোগ কিন্তু খুব কম I বর্জ্যগুলো কোথাওতো ফেলতে হবে মানুষের I সেই সুযোগ ঠিক ভাবে প্রোভাইড করা গেলে অল্প কিছু মানুষ হয়তো সেটা ঠিক ভাবে ব্যবহার করবে না কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই সেটা ঠিক ভাবে ব্যবহার করেন I তাতেতো এতো বড় নাগরিক বিপর্যয় ঘটার কোনো কাৰণ নেই I সরকার বর্জ্য অপসারণের নূন্যতম ব্যবস্থা করতেই ব্যর্থ হয়েছে I সেজন্যই এই অবস্থা I এটা অস্বীকার করা আর মিথ্যে বলা একই কথা I

একটা গণতান্ত্রিক দেশে নাগরিক অসুবিধার জন্য জনগণকে দায়ী করাই যায় এটা বলে যে তারা কেন ব্যাপারগুলো সরকারের কানে তোলে না বা জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে দৃষিট আকর্ষণের কাজটা করে না I কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাপারে কথাটাতো সত্যি হবে না I দেশেতো গণতন্ত্রই নেই I তিনশো আসনে ১৫৩ জন বিনা নির্বাচনে ক্ষমতার গদিতে বসে আছেন আর বাকিরা ভোট না পেয়ে I এই ক্ষমতা দখলকারীরা কি জন্যগনের সুবিধার দিকে কখনো দৃষ্টি দিয়েছেন না তার চিন্তা করেছেন I ঈশ্বরের মতো ক্ষমতাশালী এই সরকারেরই সব দায়িত্ব নিতে হবে এই ব্যর্থতার জন্য I তারা যথেষ্ট সময় ও সুযোগ পেয়েছেন এই কাজগুলো করার কিন্তু ওই যে বললাম তাদরাতো কখনো জনগণের প্রয়োজনের কথা চিন্তা করেন নি কাৰণ তারাতো জনগণের ভোটে নির্বাচিত না I তাদেরতো জনগণকে খুশি করার দরকার নেই I তাদের খুশি করতে হবে অন্য কোনো প্রভুকে I শেইম !

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১৯

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আপনি সমস্যার অনেক গভীরে প্রবেশ করেছেন।

আমি এই কথাটাই বলার চেষ্টা করছি যে কার্যকর জবাবদিহিতা ছারা একটা কার্যকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয় না।
আর একটা কার্যকর রাষ্ট্র ছারা জনগণ এবং কর্তৃপক্ষের দায় দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট ভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায় না।
ফলে ব্লেম গেম চলতে থাকে।

সুবিধাবাদীরা সুযোগ বুঝে এখনও এর ঘাড়ে কখনও ওর ঘাড়ে দোষ চাপাতে থাকে।
আমি একটা উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছি, সুবিধা মত কি ভাবে একই দায় কখনও কর্তৃপক্ষের ঘাড়ে কখনও জনগণের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।

১৭| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন:
কে যোগ্য বা কে যোগ্য না তা নিয়ে বিতর্ক করে আমরা সমাধান করতে পারবো না।
প্রথমে দরকার সত্যটা জানা।
অর্ধ সত্য, যা আসলে মিথ্যা, তা দিয়ে সমস্যাকে চিহ্নিত করতে পারবো না।
আর সমস্যা যদি চিহ্নিত করতে না পারি, তা হলে সমাধানও করতে পারবো না।
আমরা সবসময় অর্ধ সত্য কথাটা বলতে পছন্দ করি, যা শুনতে সত্যর মত হলেও অর্ধ সত্য আসলে সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এখন মিথ্যা কথা দিয়ে তো সত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন না।

ধন্যবাদ সুন্দরভাবে মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য।

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:২৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আপনার ২নং মন্তব্যের জবাবে আমি যা বলেছি আপনি এখানে তা উদ্ধৃত করেছেন।
আপনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে আমি কৃতজ্ঞ।

১৮| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০৯

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন:
''কোন একটা নিদিষ্ট সরকার, বা কর্তৃপক্ষ অথবা কোন নিদিষ্ট শাসনামল নিয়ে আমি আলোচনা করছি না। কাকে সরালে কি সমাধান হবে এটাও আলোচনা বিষয় না। আমরা অর্ধ সত্য বলে প্রকৃত পক্ষে মিথ্যা প্রচার করছি -- এটাই আমি বলতে চেয়েছি।'' - জ্বী জনাব, আপনার আলোচনার বিষয়বস্তু বুঝতে পেরেছি। কিন্তু আমরা যে অবস্থার মধ্যে আছি সেটা থেকে বেরুনোর উপায় খুঁজা বা ভাবাও তো আমাদের নাগরিক দায়িত্ব।

দেশের আইন-কানুন শক্ত না হলে এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা না থাকলে মিডিয়া নিজেদের স্বার্থে সুবিধামতো পক্ষে বিপক্ষে কথা বলবে।- এটা স্বাভাবিক। সুতরাং, অর্ধ সত্যের নামে মিথ্যা প্রচার প্রচারণাসহ যাবতীয় দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হলে আমাদের আরো সচেতন হতে হবে। রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য তুলনামূলক সৎ ও যোগ্যদের নির্বাচিত করতে হবে। এটাই বলতে চেয়েছি।

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩৩

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


"আমরা যে অবস্থার মধ্যে আছি সেটা থেকে বেরুনোর উপায় খুঁজা বা ভাবাও তো আমাদের নাগরিক দায়িত্ব।" --- এই কথার সাথে আমি একমত।
আর একমত বলেই এবং নাগরিক দায়িত্ব বোধ থেকেই সমস্যাটার গভীরে প্রবেশ করার চেষ্টা করছি।
প্রচলিত ধারায় যদি একে অন্যকে দোষ দিতে থাকি তা হলে তো সমাধান হবে না।

"দেশের আইন-কানুন শক্ত না হলে এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা না থাকলে মিডিয়া নিজেদের স্বার্থে সুবিধা মতো পক্ষে বিপক্ষে কথা বলবে।- এটা স্বাভাবিক।" -- এই কথার সাথেও একমত।
তাই প্রথমেই একটা উদাহরণ দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করলাম যে, কি ভাবে যখন যেমন ইচ্ছা দায়িত্ব একবার এর আরেকবার ওর বলে প্রচার করা হচ্ছে। সমস্যা সমস্যার জায়গায় থেকে যাচ্ছে। মানুষ কষ্ট করছে।

১৯| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


নগরের জলাবদ্ধতা ও মেয়রের ভুমিকা নিয়ে, কি লিখলে, তা সম্পর্ণ সত্য হবে?

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


একটা কার্যকর রাষ্ট্রের ধারণাকে বিবেচনায় রেখে নগরের জলাবদ্ধতা ও মেয়রের ভূমিকা নিয়ে লিখলে, তা সম্পূর্ণ সত্য হবে।

২০| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

চেংকু প্যাঁক বলেছেন: বাংলাদেশে আরবান/রিজিওনাল প্লানিং ঠিকমত হয় না, বা কোনরকম হলেও ঠিকমত বাস্তবায়ন হয় না। পাকিস্তান আমলে ঢাকার উন্নয়ন একধরণের পরিকল্পনার উপরে হত, দেশ স্বাধীনের পর ইন্সটিটিউশন গুলি দুর্নীতিবাজদের কবলে পড়ে ফাংশনালিটি হারিয়ে ফেলে, তার ফলাফল হল আজকের বাংলাদেশ।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আপনার ২০ এবং ২১ নং মন্তব্যের জবাব একসাথেই দিচ্ছি।

২১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭

চেংকু প্যাঁক বলেছেন: বর্তমান প্রধানমন্ত্রির সদিচ্ছা আছে, কিন্তু দুর্নীতিবাজ দল এবং ইন্ডিয়ার দালালে ভর্তি ডিসফাংশনাল প্রশাসন যন্ত্র উনার সদিচ্ছা বাস্তবায়নে বড় বাঁধা। আমি আশা করব মাননীয় প্রধানমন্ত্রি সামনের টার্মে ক্ষমতায় আসলে প্রশাসন যন্ত্রের সচ্ছতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধির দিকে মনোযোগ দিবেন, নাইলে উনার ভিশন ২০২১ -২০৪১ বাস্তবায়ন করা অসম্ভব।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



আপনি সুন্দরভাবে চার/পাঁচটা লাইনে আরো জোরালো ভাবে আমার কথাগুলি ফুটিয়ে তুলেছেন।
আপনি দুইটা ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করেছেন এতে আপনার বক্তব্য আরো জোরালো হয়েছে। -- ফাংশনালিটি এবং ডিসফাংশনাল।
আমি বাংলায় বলেছি, "কার্যকর" এবং "অকার্যকর", একবার দুবার না বহুবার। আপনি যদি ঠিক আগের মন্তব্যের (১৯ নং) জবাব দেখেন, তাহলে দেখবেন আমি বলেছি, কার্যকর রাষ্ট্রের কথা।

আপনি বলেছেন, "বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা আছে, কিন্তু দুর্নীতিবাজ দল এবং ইন্ডিয়ার দালালে ভর্তি ডিসফাংশনাল প্রশাসন যন্ত্র উনার সদিচ্ছা বাস্তবায়নে বড় বাঁধা।"
বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা আছে কি নাই, এই বিতর্কে না যেয়ে, কথাটাকে সত্য হিসাবে ধরে নিলে, এই কথাটাই হবে একটা অকার্যকর রাষ্ট্রের সবচেয় বড় উদাহরণ। একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁর ইচ্ছা বাস্তবায়ন করতে পারছেন না, তারই সর্বময় ক্ষমতার অধীনে থাকা প্রশাসন যন্ত্রে কারণে, এর অর্থই হচ্ছে রাষ্ট্র সম্পূর্ণভাবে অকার্যকর।

সর্বশেষ কথা, একটা অকার্যকর রাষ্ট্র কখনই তার নাগরিকদের সুযোগ সুবিধা কোনদিনই পূরণ করতে পারবে না। বরং "উন্নয়নের সাবমেরিন" মহাসড়ক দিয়ে চলতে থাকবে। কখনও কখনও "উন্নয়ন" রিকশা থেকে মহাসড়কের পানিতে পরে তলিয়ে যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.