নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুব্বাত আস সাখরা বা ডোম অফ দ্য রক (Dome of the Rock)

০৬ ই মে, ২০২০ রাত ১০:২৭

কুব্বাত আস সাখরা বা ডোম অফ দ্য রক (Dome of the Rock)



কুব্বাত আস সাখরা বা ডোম অফ দ্য রক কোন মসজিদ বা এবাদতখানা নয়। আরবিতে কুব্বাহ হলো গম্বুজ আর সাখরাহ হলো পাথর। বাংলায় যার অর্থ দাঁড়ায়, "পাথরের (উপর নির্মিত) গম্বুজ"; হিব্রুতে বলে কিপ্পা হা-সেলা।

সেকেন্ড টেম্পল বা দ্বিতীয় বাইতুল মুকাদ্দাস রোমানরা ধ্বংস করে দিয়েছিল। রোমানরা সেখানে জুপিটারের মন্দির বানিয়েছিল, সেটির জায়গায় উমাইয়া খলিফা আব্দুল মালিক এই ডোম অফ দ্য রক বা কুব্বাতুস সাখরাহ নির্মাণ করেন।

৬৯১ সালে উমাইয়া খলিফা আব্দুল মালিক এটি নির্মাণ করেন। এই স্থাপনাটি অষ্টাভুজাকৃতির। এটা মুসলিম সাম্রাজ্যের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্য নিদর্শন। এর নকশা এবং অলংকরণে সমসাময়িক বাইজেন্টাইন স্থাপত্যশৈলী এবং স্বতন্ত্র ইসলামিক ট্র্যাডিশনের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

১০১৫ সালে গম্বুজটি ধ্বংস হয়ে যায় কিন্তু ১০২২-২৩ সালে পুনর্নির্মিত হয়।

১১৮৭ সালে সালাহউদ্দিন জেরুজালেম জয় করার পর কুব্বাত আস সাখরা বা ডোম অফ দ্য রকের উপরের ক্রুশ নামিয়ে সেখানে ক্রিসেন্ট লাগিয়ে দেন।

সুলতান সুলেমান তার রাজত্বকালে (১৫২০-১৫৬৬) এ স্থাপত্যের বাহিরে পুরোটা জুড়ে টাইলস লাগানো হয়। আর ভেতরে লাগানো আছে মোজাইক ও মার্বেল যাতে সুরা ইয়াসিন লিখিত আছে। তার উপরে লেখা হয় সুরা ইসরা বা সুরা বনী ইসরাইল, কারণ সেখানে নবী (সা) এর এই বাইতুল মুকাদ্দাসে আসার কথা লিখিত আছে।

১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধের সময় কুব্বাত আস সাখরা বা ডোম অফ দ্য রকের মাথায় ইসরায়েলের পতাকা ওড়ানো হয়। কিন্তু শীঘ্রই ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মোশে দায়ানের নির্দেশে সেটি নামিয়ে ফেলা হয় এবং এর দায়িত্ব দেয়া হয় মুসলিম সংগঠন ওয়াকফের হাতে। এখনো ওয়াকফের হাতেই এর অধিকার রয়েছে।

১৯৯৩ সালে জর্ডানের বাদশাহ হুসাইন তার একটি বাড়ি বিক্রি করে পাওয়া ৮.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে ৮০ কেজি সোনা কিনে তা দান করে দেন এ কুব্বাত আস সাখরা বা ডোম অফ দ্য রকের জন্য। সেই সোনাই আজ জ্বলজ্বল করে ডোম অফ দ্য রকের গম্বুজে।

আমি আগেই বলেছি কুব্বাত আস সাখরা বা ডোম অফ দ্য রক কোন মসজিদ বা এবাদতখানা নয়। তাহলে এর মধ্যে কি আছে? এরমধ্য আছে একটা পবিত্র পাথর এবং এই পাথরের নিচে আছে একটা গুহা।



এ পাথর হচ্ছে এই পুরো আল হারাম আশ শরীফ বা টেম্পল মাউন্টের অন্তর্গত সবচেয়ে পবিত্র জিনিস।

হাদিসের বর্ণনা মতে, এ পাথরের ওপর ভর রেখে হযরত হযরত মুহাম্মদ (সা) উর্ধ্বারোহণ করেন মিরাজের রাত্রিতে। আর, ইহুদী বিশ্বাস অনুযায়ী, এটির নাম ভিত্তিপ্রস্তর, বা ফাউন্ডেশন স্টোন। হিব্রুতে ডাকা হয় এভেন হা-স্তিয়া। এটিই হোলি অফ দ্য হোলিজ এর অবস্থান বলে বিশ্বাস করা হয়। ইহুদিদের আছে এই পাথরটাই মূল কিবলা। হযরত উমর (রাঃ) এই পাথরটিকে সালাম দিয়ে ছিলেন, "আসসালামু আলাইকুম"; পাথরটি উত্তর দিয়েছিল, "ওয়ালাইকুম আসসালাম"



গম্বুজটির ঠিক নিচে এই পাথরটি। আর পাথরটির দক্ষিণ পূর্ব কোনায় একটা গর্ত আছে। এই গর্ত দিয়ে প্রাকৃতিক এবং মানব সৃষ্ট একটা গুহাতে প্রবেশ করা যায়। এই গুহাটির নাম বির আল-আরুয়াহ বা আত্মার কূপ (Well of Souls); এই গুহার ভিতরে নামাজ পড়ার জায়গা আছে। গুহাটির আয়তন প্রায় ৬৫ বর্গফুট এবং উচ্চতা ৪ ফুট ১১ ইঞ্চি থেকে ৮ ফুট ২ ইঞ্চি পর্যন্ত।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০২০ রাত ১০:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: খুব ভালো একটি পোষ্ট দিয়েছেন।

০৭ ই মে, ২০২০ রাত ১১:২৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


ধন্যবাদ

২| ০৭ ই মে, ২০২০ রাত ১২:৩৪

সুপারডুপার বলেছেন:



আপনি লিখেছেন : কুব্বাত আস সাখরা বা ডোম অফ দ্য রক কোন মসজিদ বা এবাদতখানা নয়।

- গম্বুজটির ঠিক নিচে বা পাথরটির উপরে ছাড়া অন্য সব জায়গায় মুসলিম মহিলা -পুরুষ উভয়েই ইবাদত করেন ও শুক্রবারে এখানে শুধু মহিলারা জুমআর নামাজ পড়েন।

আপনি লিখেছেন : হযরত উমর (রাঃ) এই পাথরটিকে সালাম দিয়ে ছিলেন, "আসসালামু আলাইকুম"; পাথরটি উত্তর দিয়েছিল, "ওয়ালাইকুম আসসালাম"

- যেকেউ যেকোনো পাথরকে সালাম দিয়ে , মনে মনে ভেবে নিতে পারে পাথরটিও সালামের উত্তর দিয়েছে। আর তার যদি হাদিস লেখার ক্ষমতা থাকে, সে সেখানেও এটা লিখে দিতে পারে।

০৭ ই মে, ২০২০ রাত ১১:৪৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



আমি আবারো বলছি, "কুব্বাত আস সাখরা বা ডোম অফ দ্য রক কোন মসজিদ বা এবাদতখানা নয়।"
আপনি যা বলেছেন তাতেও এই কথাকেই সমর্থন করে।

সম্পূর্ণ কমপ্লেক্সটার নাম আল হারাম আশ শরীফ বা টেম্পল মাউন্ট (Temple Mount)
এই আল হারাম আশ শরীফ কমপ্লেক্সের ভিতর অনেকগুলি স্থাপনা আছে। তারমধ্যে একটা আল আকসা মসজিদ, আরেকটা কুব্বাত আস সাখরা বা ডোম অফ দ্য রক (Dome of the Rock)

আল আকসা মসজিদের জামাত অনেক সময় মসজিদ ভরে কুব্বাত আস সাখরা বা ডোম অফ দ্য রক পর্যন্ত চলে আসে।
কিন্তু কুব্বাত আস সাখরা বা ডোম অফ দ্য রকের ভিতরে কোন নামাজ হয় না।

আপনি ঠিকেই বলেছেন ডোমটার ঠিক নিচে পাথরটা অবস্থিত।
মূলত কুব্বাত আস সাখরা বা ডোম অফ দ্য রক বানানোই হয়েছে পাথরটাকে কেন্দ্র করে।
আর কুব্বাত আস সাখরার অর্থ হচ্ছে "পাথরের (উপর নির্মিত) গম্বুজ"

দ্বিতীয় প্রসঙ্গে আমি কোন মন্তব্য করবো না।
সংবিধান এবং আইনের সীমারেখার মধ্যে প্রতিটা মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে।
আমি মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা, বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি।

সবশেষে, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ০৮ ই মে, ২০২০ রাত ১:০৯

সুপারডুপার বলেছেন: আমি সেখানে গিয়েছি বলেই বলতে পারলাম।

আপনার এই কথাটি খুব ভালো লাগলো।
"
সংবিধান এবং আইনের সীমারেখার মধ্যে প্রতিটা মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে।
আমি মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা, বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি।
"

আপনাকেও ধন্যবাদ। অনেক অনেক শুভকামনা। ভালো থাকবেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.