নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
ওমর ইবনে সাঈদ
সেনেগালের আলেম-আমেরিকার ক্রীতদাস
১৭৭০ সালে সেনেগালের এক সম্ভ্রান্ত ও ধনী পরিবারে ওমর ইবনে সাঈদ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি উচ্চ শিক্ষিত একজন ইসলাম ধর্মের আলেম। তিনি তার ২৫ বছরের শিক্ষা জীবনে গণিতশাস্ত্র থেকে শুরু করে ধর্ম তত্ত্ব নিয়ে পড়াশুনা করেন। তিনি আরবি ভাষার একজন সুপণ্ডিত।
ওমর ইবনে সাইদ শিলালিপি, এলিজা ওয়েন জার্নাল, ওয়েন এন্ড ব্যারি ফ্যামিলি পেপারস, নিউ হ্যানওভার কাউন্টি পাবলিক লাইব্রেরি, উইলমিংটন, নর্থ ক্যারোলিনা
১৮০৭ সালে সেনেগাল দখলকে কেন্দ্র করে ব্রিটিশ এবং ফরাসি বাহিনীর যুদ্ধে তিনি ফরাসীদের দ্বারা বন্দি হন। তখন তার বয়স ৩৭ বছর। তারপর ফরাসীরা তাঁকে আমেরিকাতে দাস হিসাবে বিক্রি করে দেয়।
আমেরিকার সাউথ ক্যারোলিনার চার্লেস্টোনের এক ব্যক্তি ফরাসীদের কাছ থেকে ওমর ইবনে সাঈদকে দাস হিসাবে ক্রয় করেন। এই ব্যক্তি ছিল খুবই নির্মম এবং অত্যাচারী। মালিকের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ওমর ইবনে সাঈদ সেখান থেকে পালিয়ে নর্থ ক্যারোলিনার ফায়েটেবিলে চলে আসেন। কিন্তু সেখানে তিনি আবার ধরা পরে যান। জেমস ওয়েন, যিনি নর্থ ক্যারোলিন থেকে নির্বাচিত যুক্তরাষ্ট্র হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভ সদস্য, ওমর ইবনে সাঈদকে দাস হিসাবে কিনে নেন।
১৮৬৪ সালে ৯০ বছর বয়সে ওমর ইবনে সাঈদ দাস হিসাবেই মৃত্যুবরণ করেন। নর্থ ক্যারোলিনাতে তাকে দাফন করা হয়।
ওমর ইবনে সাঈদ দাস হিসাবে বন্দি অবস্থায় আরবিতে ১৪ টি বই লিখেন। ১৮৩১ সালে আরবিতে লেখা তার আত্মজীবনী "A Muslim American Slave, The Life of Omar Ibn Said" প্রসিদ্ধ। এই বইতে তার আত্মজীবনী লেখার পাশাপাশি মানুষকে ইসলামের দিকে আহবান করেন। তিনি তার আত্মজীবনী শুরু করেন পবিত্র কোরআনের সূরা মূলক থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে, "তাবারাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মুলকু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির" অর্থাৎ পবিত্র তিনি, যাঁর হাতে রাজত্ব। তিনি সবকিছুর উপর সর্বশক্তিমান।
১৮৩১ সালে ওমর ইবনে সাইদের নিজের হাতে আরবিতে লেখা আত্মজীবনীর প্রথম পৃষ্ঠা
ওমর ইবনে সাইদ সংগ্রহ, লাইব্রেরি অফ কংগ্রেসের, ওয়াশিংটন ডিসি
ওমর ইবনে সাঈদের লেখা বইগুলি এতদিন ব্যক্তি মালিকানাধীন ছিল। ২০১৭ সালে লাইব্রেরি অফ কংগ্রেস তার আত্মজীবনী বইটি কিনে নিয়ে সংরক্ষণ করেছে। বাকি সবগুলি বই ইসলামিক বিষয়ের উপর লেখা। এই বইগুলি বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অফ নর্থ ক্যারোলিনার উইলসন লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত আছে।
তিনি আরবিতে বাইবেল অনুবাদ করেন। বাইবেলের শুরুতে তিনি পবিত্র কোরআনের সূরা নসর থেকে লেখেন, "যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন, তখন আপনি আপনার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাকারী।" এই বাইবেলটি নর্থ ক্যারোলিনার ডেভিডসন কলেজের লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত আছে।
১৮১৯ সালে ওমর ইবনে সাঈদ তার মালিক, জেমস ওয়েনের ভাই মেজর জন ওয়েনকে আরবি ভাষায় একটা গুরুত্বপূর্ণ চিঠি লেখেন। সূরা মূলক সহ পবিত্র কোরআন থেকে অসংখ্য আয়াত এই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। তাছাড়া কিছু জ্যামিতিক সংকেত এই চিঠিতে ব্যবহার করা হয়। এই সংকেতগুলির পুরাপুরি অর্থ উদঘাটন করা না গেলেও ধারণা করা হয় আমেরিকার গৃহযুদ্ধের আগাম সংকেত এতে ছিল। এখানে উল্লেখ্য এই চিঠি লেখা হয়েছে ১৮১৯ সালে আর গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে ১৮৬১ সালে। অর্থাৎ এই চিঠি লেখার ৪২ বছর পরে। এই চিঠিটি ম্যাসাচুসেটসের এন্ডোভার থিওলজিকাল সেমিনারিতে সংরক্ষিত আছে।
০৩ রা জুন, ২০২০ রাত ১১:২৩
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ।
২| ০৩ রা জুন, ২০২০ রাত ১০:২৯
আমি সাজিদ বলেছেন: ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস!
০৩ রা জুন, ২০২০ রাত ১১:২৫
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
আমরা জানি না।
হতো আল্লাহর ইচ্ছা এই ভাবেই ইসলামকে আমেরিকাতে পরিচিত করাবেন।
৩| ০৩ রা জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৩
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: বুকমার্কড
৪| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ রাত ১২:০১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: নাম শুনেছি আজ পড়লাম
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জুন, ২০২০ রাত ১০:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম ওমর ইবনে সাঈদকে।