নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
স্থাপত্য কেবল আমাদের জীবনের পটভূমি নয়। এটি আমাদের মনোজগতকেও গঠন করে।
স্থাপত্য প্রতিদিন আমাদের চারপাশ, আমাদের মেজাজ, ব্যক্তিত্ব এবং স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে।
আমরা যদি স্থাপত্যের এই প্রভাবগুলিকে চিনতে না পারি তবে স্থাপত্য আমাদেরকে সবসময় নিজের ইচ্ছামত নিয়ন্ত্রণ করবে।
আমাদের প্রত্যেকের কাছেই আমাদের চারপাশকে উন্নত জীবনের জন্য পরিবর্তন করার ক্ষমতা আছে।
স্থাপত্য নকশার কারণে একটা লাইব্রেরিতে গেলে একজন মানুষের নিজেকে আরও স্মার্ট বোধ করতে পারে, অনুরূপ ভাবে একটা জিম একজন মানুষের কাছে আরো স্বাস্থ্যকর মনে হতে পারে এবং একটা বিমানবন্দরে নিরাপত্তা লাইনের দৈর্ঘ্যের উপর ভিত্তি করে যাত্রীদেরকে নার্ভাস বা উত্তেজিত করতে পারে।
আমরা এটি উপলব্ধি করি বা না করি, স্থাপত্য প্রতিদিন আমাদের জীবন পরিবর্তন করছে। এটি আমাদের চিন্তাভাবনা, অনুভূতি, আচরণ এবং বিশ্বাসকে গাইড করে। এটি আমাদের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে এবং আমরা যা মনোযোগ দিই তা পরিবর্তন করে। উদাহরণ স্বরূপ:
১. কোন রুগীর রুমে কম আলো বা অন্ধকার থাকলে সেই রোগীকে বেশি ব্যথানাশক ব্যবহার করতে দেখা যায়। এই রকম রুমে থাকা রোগীর মানসিক চাপ বেশি থাকে এবং মৃত্যুর হার বেশি।
২. কোন স্কুল বিল্ডিঙের লেআউট ডিজাইনে খারাপ হলে ওই স্কুলের ছাত্রদের জ্ঞানীয় বিকাশ ২৫ শতাংশ কম হতে পারে।
৩. ট্রাফিক জেমে বসে থাকলে মানসিক চাপ বাড়তে থাকে ফলে রাতের বেলা গার্হস্থ্য সহিংসতার হার ৯ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।
কিভাবে আর্কিটেকচার কাজ করে?
বাড়িতে, কর্মক্ষেত্রে এবং দৈনন্দিন জীবন জুড়ে, আমাদের চারপাশ কীভাবে সাজানো হয়েছে তা আমাদেরকে প্রভাবিত করে।
উদাহরণস্বরূপ, গ্রোসারী ষ্টোরে যেসব পণ্যে তাদের লাভ বেশি হয় সেইগুলি ক্রেতাদের চোখের সমান বরাবর তাকগুলিতে রাখে। ক্রেতারা এই পণ্যগুলি আগে দেখেন এবং কিনে ফেলেন। আবার এই ধরণের দোকানে যে মিউজিক বাজানো হয় তার তাল আর ক্রেতার কার্ট নিয়ে চলার গতির তাল একই মাত্রায় রাখা হয়।
এটি একটি উদাহরণ মাত্র। স্থাপত্যের প্রভাব সর্বত্র।
ঘরের ছাদ নিচু হলে ওই ঘরে যারা কাজ করবে তাদের মনোযোগ বাড়বে।
ঘরের ছাদ উঁচু হলে ওই ঘরে যারা কাজ করবে তারা আরো সৃজনশীল হবে৷
অফিস কক্ষ যদি বেশি খোলামেলা হয় তাহলে কর্মচারীরা অসুস্থতাজনিত ছুটি বেশি নিবে।
ক্লাস রুমে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করলে সেই ক্লাসের ছাত্ররা সাধারণ অসুখ-বিসুখে কম ভুগবে।
রোগীরা তাদের চিকিৎসকদের সাথে পর্দার পরিবর্তে ওয়াল দেয়া রুমে খোলামেলা কথা বলতে গোপনীয়তা অনুভব করে।
যদিও আমরা এই সমস্ত স্থানগুলিকে নিজেরাই পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখি না, তবে সুসংবাদটি হল যে একবার আমরা যদি স্থাপত্যের শক্তি সম্পর্কে উপলব্ধি করতে পারি তাহলে ভাল কিছু করা শুরু করতে পারবো।
১৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৫২
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: ভালো লাগার তো কোন বিকল্প নাই।
২| ১৫ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৫৭
এইযেদুনিয়া বলেছেন: informative post. it helps us to think.
১৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৫৫
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: চিন্তাটাই আমরা চাই।
চিন্তা করলেই সমস্যাগুলির সমাধান বের হয়ে আসবে।
চিন্তাশীল মানুষের খুব অভাব।
চিন্তাশীল মানুষ দরকার।
৩| ১৫ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৫২
প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট
১৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৫৬
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: আমরা যদি ভাবতে শিখি তাহলে অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারবো।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: পোস্ট টি ভালো লাগলো।