নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
বিগ ব্যাং-এর পর বিশ্ব অনেক দ্রুত গতিতে সম্প্রসারণ হতে থাকে।
বিশ্বের সম্প্রসারণ যত বাড়তে থেকে সম্প্রসারণের গতি তত কমতে থাকে।
সম্প্রসারণের গতি যত কমতে থাকে সময় তত দ্রুত প্রবাহিত হতে থাকে।
মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের কারণে বিগ ব্যাং-এর পরে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলি এখন ধীর হয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে।
মহাবিশ্বের শুরুতে সম্প্রসারণের গতি ছিল বেশি তাই ঐ মুহূর্তে সময় আজকের চেয়ে অনেক গুণ ধীর গতিতে প্রবাহিত হয়েছিল।
আলবার্ট আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব অনুসারে সময় এবং স্থান একে অপরের সাথে জড়িত।
এর মানে হল স্থান-কালের ফ্যাব্রিক সমতল নয় কিন্তু ভর এবং শক্তির উপস্থিতি দ্বারা বাঁকা এবং বিকৃত।
সময় এখনকার তুলনায় পাঁচগুণ ধীর গতিতে প্রবাহিত হয়েছিল এই তত্ত্বটি হচ্ছে আলবার্ট আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে। সাধারণ আপেক্ষিকতা বলে যে ভর এবং শক্তির উপস্থিতি স্থান-কালের ফ্যাব্রিককে বক্র করে। যত বেশি ভর এবং শক্তি থাকবে স্থান-কালের বক্রতা তত বেশি হবে।
প্রারম্ভিক মহাবিশ্ব খুব ঘন এবং গরম ছিল তাই এটিতে প্রচুর ভর এবং শক্তি ছিল। এর মানে হল যে মহাবিশ্বের প্রথম দিকে স্থান-কালের ফ্যাব্রিক খুব বাঁকা ছিল। ফলস্বরূপ সময় এখনকার তুলনায় প্রারম্ভিক মহাবিশ্বে আরও ধীর গতিতে প্রবাহিত হয়েছিল।
এই বছর সিডনি ইউনিভার্সিটির জেরেন্ট লুইসের নেতৃত্বে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একটি দল প্রাথমিক মহাবিশ্ব অধ্যয়নের জন্য কোয়াসার ব্যবহার করেছিল। কোয়াসারগুলি অবিশ্বাস্য ভাবে উজ্জ্বল বস্তু যা সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল দ্বারা চালিত হয়। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন যে কোয়াসার থেকে আলোর ওঠানামা বর্তমান মহাবিশ্বে কোয়াসারের অবস্থানের তুলনায় পাঁচগুণ ধীর। এটি ইঙ্গিত করে যে ঐ সময় এখনকার তুলনায় প্রথম মহাবিশ্বে পাঁচ গুণ ধীর গতিতে প্রবাহিত হয়েছিল।
এই আবিষ্কারটি আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্বের সরাসরি প্রমাণ। এটা প্রমাণ হওয়াতে মহাবিশ্বের প্রাথমিক বিবর্তনের নতুন ধারণার সৃষ্টি হয়েছে।
সাধারণ আপেক্ষিকতায় সময় প্রসারণ কীভাবে কাজ করে তার আরও বিশদ ব্যাখ্যা কয়েকটি উদাহরণ থেকে পাওয়া যাবে:
কল্পনা করুন একটি মহাকাশযান খুব উচ্চ গতিতে ভ্রমণ করছে। মহাকাশযানটি ভ্রমণ করার সাথে সাথে এটি তার চারপাশে স্থান-কালের ফ্যাব্রিককে বিকৃত করবে। স্থান-কালের এই বিপর্যয়ের কারণে সময় মহাকাশযানের বাইরের তুলনায় ভিতরে ধীর গতিতে প্রবাহিত হয়।
স্পেস-শিপের গতির উপর নির্ভর করে সময় প্রসারণের পরিমাণ। মহাকাশযান যত দ্রুত ভ্রমণ করবে সময়ের প্রসারণ তত বেশি হবে।
প্রারম্ভিক মহাবিশ্বে সম্প্রসারণের হার খুব বেশি ছিল। এর ফলে স্থান-কালের ফ্যাব্রিকটি খুব বাঁকা হয়েছিল। ফলস্বরূপ সময় এখনকার তুলনায় প্রারম্ভিক মহাবিশ্বে আরও ধীর গতিতে প্রবাহিত হয়েছিল।
প্রারম্ভিক মহাবিশ্বে সময় পাঁচগুণ ধীর গতিতে প্রবাহিত হওয়ার আবিষ্কারটি তাৎপর্যপূর্ণ। এটি মহাবিশ্বের প্রাথমিক বিবর্তনের নতুন অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে এবং আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্বকে নিশ্চিত করে।
২| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:০০
কামাল১৮ বলেছেন: মনে হয় কোন বিজ্ঞানের বিষয় না।প্রমান হলো বিজ্ঞান।
১৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:০৫
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: এই বছর সিডনি ইউনিভার্সিটির জেরেন্ট লুইসের নেতৃত্বে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একটি দল প্রাথমিক মহাবিশ্ব অধ্যয়নের জন্য কোয়াসার ব্যবহার করেছিল। কোয়াসারগুলি অবিশ্বাস্য ভাবে উজ্জ্বল বস্তু যা সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল দ্বারা চালিত হয়। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন যে কোয়াসার থেকে আলোর ওঠানামা বর্তমান মহাবিশ্বে কোয়াসারের অবস্থানের তুলনায় পাঁচগুণ ধীর। এটি ইঙ্গিত করে যে ঐ সময় এখনকার তুলনায় প্রথম মহাবিশ্বে পাঁচ গুণ ধীর গতিতে প্রবাহিত হয়েছিল
এই আবিষ্কারটি আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্বের সরাসরি প্রমাণ। এটা প্রমাণ হওয়াতে মহাবিশ্বের প্রাথমিক বিবর্তনের নতুন ধারণার সৃষ্টি হয়েছে।
৩| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৩৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আসলে সময় বলতে কিছু নেই, সময় শুধুই সংখ্যা মাত্র। ঘড়ি কোম্পানিগুলোই মূলত সময় আবিষ্কার করেছে।
১৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:০৩
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: আলবার্ট আইনস্টাইন প্রমাণ করেছেন যে সময় এবং স্থান অবিচ্ছেদ্য
৪| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৫৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের গতি আগের চেয়ে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতি কমার কথা শুনি নাই। আলোর গতির চেয়েও বেশী গতিতে মহাবিশ্ব প্রসারিত হচ্ছে এবং এই গতি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
১৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১:১১
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: নাসার মতে বিগ ব্যাং-এর ৪০০ মিলিয়ন বছর পরে মহাকর্ষের কারণে সম্প্রসারণের গতি কমে আসে।
আবার ৫ থেকে ৬ বিলিয়ন বছর পরে আরেকটা রহস্যময় শক্তির উদ্ভব হয় যাকে বলা হয় ডার্ক এনার্জি।
এই ডার্ক এনার্জি এখন আবার সম্প্রাসনকে ত্বরান্বিত করতে শুরু করেছে।
আমি যে সময়ের কথা বলেছি সেটা বিগ ব্যাং-এর ৪০০ মিলিয়ন বছর থেকে ৬ বিলিয়ন বছরের সময়ের কথা। এই সময়ে সম্প্রসারণের গতি কম ছিল।
বিষয়গুলি বেশ জটিল। আমি সূত্র দিয়ে দিচ্ছি:
https://www.space.com/52-the-expanding-universe-from-the-big-bang-to-today.html
https://map.gsfc.nasa.gov/media/060915/index.html
৫| ১৮ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:০০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: 'সময়ের গতি' একটা জটিল ও দুর্বোধ্য বিষয়। আপনি চেষ্টা করেছেন উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর জন্য, তবু আমার কাছে ক্লিয়ার হয় নি ব্যাপারটা।
জ্যাকের কথাটা ভালো লেগেছে।
১৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৩৮
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন এটা একটা জটিল এবং দুর্বোধ্য বিষয়।
তবে চেষ্টা করলে পুরাপুরি না বুঝলেও একটা ধারণা পাওয়া যায়।
সময়ের ধরণটা বুঝার জন্য আমি অনেক চেষ্টা করেছি।
অবশেষে পুরাপুরি বুঝতে না পারলেও বেশ পরিষ্কার ধারণা পেয়েছি।
আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বটা বুঝার চেষ্টা করলে এটা ধারণা পাবেন।
অনেক কথা সঠিক না হওয়া সত্ত্বেও অনেক সময় আমাদের ভাল লাগে।
৬| ১৮ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: বড় জটিল বিষয় নিয়ে লিখেছেন।
১৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৪০
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: বিষয়টা জটিল হলেও কষ্ট করে বুঝে ফেলতে পারলে অথবা পরিষ্কার একটা ধারণা নিতে পারলে জীবনের অর্থই পাল্টে যাবে।
৭| ১৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:৪২
অপলক বলেছেন: এরকম আরও লেখা চাই... ভাল থাকবেন।
১৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৪৪
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: এটা আমার একটা প্রিয় বিষয়।
তবে খুব ভাল ধারণা নাই।
তবে জানা, বুঝার এবং ধারণা নেয়ার চেষ্টা করছি।
যখন একটু বুঝতে পারি বা কোন একটা ধারণা পাই তখন সেটা নিয়ে লেখি।
আরো কিছু ধারণা পেলে নিশ্চয় আরো লেখব।
৮| ২০ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৪
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমারও কেনো যেনো মনে হয় । সময় বলে আসলে কিছু নেই। সবই মায়া। চলচ্চিত্রের একেকটা ফিল্মের মতো রয়েছে সময়ের একেকটা একক। এর আলাদা অস্তিত্ব টি কেমান আমি নিজেই বিভ্রান্তের মাঝে থাকি সময় নিয়ে। ভ্রম নিয়ে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৩৮
ফেনা বলেছেন: হুম, ভাল পোষ্ট।
কেমন আছেন আপনি?