নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
ব্রিকস ডলারের বিকল্প হিসাবে নিজস্ব মুদ্রা চালু করার পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে।
ইন্ডিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর পরিষ্কার ভাবে বলে দিয়েছেন বর্তমানে তাদের ব্রিকস মুদ্রা চালু করার কোন পরিকল্পনা নাই।
রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে চীন এবং রাশিয়া ডলারের উপর নির্ভরতা কমাতে বিশ্ব বাণিজ্যকে ডি-ডলারাইজেশন করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকে।
রাশিয়ার উপর আমেরিকা এবং ইউরোপের দেয়া স্যাংশনকে কাজে লাগিয়ে চীন তার দীর্ঘ দিনের স্বপন বাস্তবায়নের জন্য জোর তৎপরতা চালাতে শুরু করে।
চীন বারবার তার ব্যবসায়িক অংশীদারদেরকে ডলারের পরিবর্তে রেনমিনবি ব্যবহার করে পণ্য চুক্তি নিষ্পত্তি করতে বলেছে। একই সময়ে পুতিন গত বছর বলেছিলেন যে রাশিয়া ব্রাজিলিয়ান রিয়াল, ভারতীয় রুপি, চীনা ইউয়ান, রাশিয়ান রুবেল এবং দক্ষিণ আফ্রিকান রেন্ড সমন্বয় করে একটি নতুন রিজার্ভ তৈরি করতে "সমস্ত ন্যায্য অংশীদারদের সাথে কাজ করতে" প্রস্তুত।
ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকার নেতারাও গত মাসে ডলারের আধিপত্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলেছিলেন যে আগস্টে জোহানেসবার্গে ব্রিকস গ্রুপের পরবর্তী বৈঠকে ব্রিকস মুদ্রার বিষয়টি "এজেন্ডায়" থাকবে। কিন্তু ইন্ডিয়া এখন উল্টা দিকে হাঁটা শুরু করেছে।
২০ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:১৩
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: সম্মেলনের পর বিষয়টা পরিষ্কার হবে।তবে বিষয়টা কঠিন।অনেকেই বিকল্প মুদ্রায় ব্যবসা করছে।ডলারের ব্যবহার অনেক কমে গেছে।
নিশ্চয়ই সম্মেলনের পর পরিষ্কার হবে।
তবে ইন্ডিয়া নানান কারণে ডলার ছেড়ে চীনের নেতৃত্বের অধীনে যাবে না এটা নিশ্চিত। এটাও আরো পরে পরিষ্কার হবে।
ডলারের ব্যবহার কত কমেছে তা যদি সূত্র উল্লেখ করে এটা পরিসংখ্যান প্রদান করেন তাহলে আপনার বক্তব্য অনেক গ্রহণ যোগ্য হবে।
২| ২০ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৪৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পৃথক মুদ্রা চালু করার মত যোগ্যতা এখনও ব্রিকস অর্জন করে নি।
২০ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১:১২
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: চেষ্টা করছে।
তবে চেষ্টা করছে এমন সব দেশ মিলে যাদের মধ্যে নূন্যতম ঐক্য নাই।
কমন সেন্স বলে না ইন্ডিয়া এবং চীন মিলে একটা কমন মুদ্রা চালু করতে পারবে।
আরো অনেক ফ্যাক্টর আছে যেগুলির কারণে একেবারেই সম্ভব না।
তবে চেষ্টা করছে।
৩| ২০ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: কাজটা ভাল হয়েছে। অযথাই আমাদের মত ছোট দেশ ফ্যাসাদে পড়ে যেত।
২০ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:১৭
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: কেউ পছন্দ করুক বা না করুক আন্তর্জাতিক যোগাযোগের জন্য যেমন ইংরেজি ভাষার প্রয়োজন হয় ঠিক তেমনি আন্তর্জাতিক ব্যবসার জন্য ডলারের প্রয়োজন।
সীমিত পর্যায়ে আঞ্চলিক ভাবে অন্য মুদ্রায় লেনদেন করা যায় কিন্তু এতে অনেক অসুবিধে আছে।
অনেকগুলি অসুবিধা আছে।
বর্তমানে ঘটে যাওয়া একটা অসুবিধার উদাহরণ দেখা যাক:
প্রথম দিকে রাশিয়া ইন্ডিয়াকে তেলের মূল্য চীনা মুদ্রা ইউয়ানে পরিশোধ করতে বলল।
ইন্ডিয়া তাই করলো।
কিন্তু এক পর্যায়ে ইন্ডিয়ার রিজার্ভে থাকা ইউয়ান শেষ হয়ে যায়।
কারণ ইন্ডিয়া চীনে রফতানি করে যে পরিমাণ ইউয়ান রিজার্ভ করেছে এর বেশি তার কাছে নাই।
তারপর রাশিয়া বলল ঠিক আছে ইন্ডিয়ান রুপিতে মূল্য পরিশোধ কর।
ইন্ডিয়া মহা আনন্দে তাই করতে থাকলো।
রাশিয়ার একাউন্ট ভরে উঠলো ইন্ডিয়ান রুপিতে।
এখন যখন রাশিয়া ইন্ডিয়ান রুপিতে অন্য দেশ থেকে কিছু কিনতে গেল তখন কোন একটা দেশও ইন্ডিয়ান রুপিতে ব্যবসা করতে চাইলো না।
রাশিয়া পড়লো বিপদে।
রাশিয়া ইন্ডিয়াকে বলল তোমার রুপি তো আমি চালাতে পারছি না।
ইন্ডিয়ার সাফ জবাব, আমি কি করবো?
তুমি বলেছিলে রুপিতে তেলের মূল্য পরিশোধ করতে হবে।
আমি তো রূপিতেই পরিশোধ করেছি।
আমার কাছে তোমার কোন পাওনা নাই।
আমি তেলের দাম পরিশোধ করে দিয়েছি।
সর্বশেষ কথা।
টাকার ধারণাটা একটা বিশ্বাস।
একটা কাগজের উপর ১০০ বা ৫০০ বা যে সংখ্যাই লেখা থাকুক না কেন বিশ্বাস করলে এটার মূল্য ঐ সংখ্যার সমান।
বিশ্বাস না করলে এটা শুধু মাত্র এক টুকরো কাগজ।
চীন, রাশিয়া, ইন্ডিয়া বা ব্রিকসকে বিশ্বের সবাই বিশ্বাস করে না।
৪| ২০ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:০০
রাজীব নুর বলেছেন: সময় সব কিছু ঠিক করে দেয়।
২০ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:১৯
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: এই কথা সত্য।
তবে সময় রোলার কোস্টারের মত।
বেঠিককে যেমন ঠিক করে দেয় আবার ঠিককেও বেঠিক করে দেয়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:১২
কামাল১৮ বলেছেন: সন্মেলনের পর বিষয়টা পরিস্কার হবে।তবে বিষয়টা কঠিন।অনেকেই বিকল্প মুদ্রায় ব্যবসা করছে।ডলারের ব্যবহার অনেক কমে গেছে।