নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
ইন্ডিয়ার সরকার স্বীকার করেছে যে ডলারের উপর নির্ভরতা কমানোর কৌশল হিসাবে তেলের দাম রুপিতে পরিশোধ করার প্রচেষ্টা ব্যর্থতার সম্মুখীন হয়েছে। ইন্ডিয়ার এই উদ্যোগের লক্ষ্য ছিল ডলারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলি যেমন রাশিয়া, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রভৃতি দেশগুলি থেকে ইন্ডিয়ার স্থানীয় মুদ্রায় তেল কিনবে, কিন্তু ইন্ডিয়ান সরকার এখন স্বীকার করেছে যে এটি সফল হয় নাই।
ইন্ডিয়ার ডি-ডলারাইজেশন প্রচেষ্টা সমস্যার মুখোমুখি:
সংযুক্ত আরব আমিরাতের তেল কোম্পানিগুলি ইন্ডিয়ার রুপি গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে। তারা কারণ হিসাবে বলেছে রুপিকে অন্যান্য প্রধান মুদ্রায় রূপান্তর করতে অনেক ব্যয়বহুল। তাছাড়া রুপি ডলারের বিপরীতে একটি দুর্বল মুদ্রা। রুপিকে সহজেই অন্যান্য প্রধান মুদ্রায় রূপান্তর করা যায় না ইত্যাদি। এই সব কারণে তেল রফতানিকারী দেশগুলি মনে করে রুপি একটি প্রতিকূল এবং অসুবিধাজনক অর্থ প্রদানের পদ্ধতি। এই সব জটিলতার কারণে ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানিকৃত অপরিশোধিত তেলর কোনও মূল্য এখন পর্যন্ত নিষ্পত্তি হয়নি।
ডি-ডলারাইজেশন প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে ইন্ডিয়ান অয়েল কোম্পানি (IOC) ডলারের পরিবর্তে রুপিতে মূল্য গ্রহণ করলে প্রচলিত মূল্যের উপরে একটি প্রিমিয়াম প্রদান করেছে। ইন্ডিয়ান অয়েল কোম্পানির বাইরে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং তেল পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংস (পিএসইউ) এর মতো ইন্ডিয়ার উল্লেখযোগ্য তেল আমদানিকারকরা এখনও কোনও দেশের সাথে রুপিতে অর্থ প্রদানের চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি। ২০২২ সালের ১১ জুলাই থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া আন্তঃ-সীমান্ত লেনদেনের জন্য ডলারের উপর নির্ভরতা কমাতে তেল আমদানিকারকদের রুপি দিয়ে এবং অন্যান্য পণ্য রপ্তানিকারকদেরকে রুপিতে মূল্য পরিশোধ করতে এবং গ্রহণ করতে আইনগত অনুমতি দিয়েছে।
তেল খাতে বিপত্তি সত্ত্বেও ডি-ডলারাইজেশন নীতি অন্যান্য পণ্য বাণিজ্য লেনদেনে কিছুটা সাফল্য অর্জন করেছে। ইন্ডিয়ার আঞ্চলিক প্রতিপক্ষ চীন কয়েকটি তেল রফতানিকারক দেশের সাথে চীনা মুদ্রা ইউয়ানে লেনদেন করার জন্য সফলভাবে চুক্তি করেছে।
রুপিতে মূল্য পরিশোধের সমস্যার সমাধান ইন্ডিয়া এখনো বের করতে পারে নাই:
রুপি দিয়ে কি ভাবে লেনদেন করা যায় এই পেমেন্ট মেকানিজম ইন্ডিয়া এখনো বের করতে পারে নাই। একটি অর্থবছর শেষ হয়ে গেছে কিন্তু ইন্ডিয়া রুপি সমস্যার কারণে এখনো আমদানি মূল্য পরিশোধ করতে পারে নাই। আমদানি মূল্য পরিশোধ করার ব্যর্থতা লেনদেনের জন্য প্রাথমিক মুদ্রা হিসাবে রুপির কার্যকারিতা সম্পর্কে তেল রফতানিকারকদের সন্দেহ এবং আশংকাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। ইন্ডিয়ান অয়েল কোম্পানি এবং অন্যান্য বড় তেল আমদানিকারক সংস্থাগুলি রুপি পেমেন্ট করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এই সত্যটি আরও জোর দেয় যে ইন্ডিয়ার ডি-ডলারাইজেশন কৌশলের ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা অর্জনে ইন্ডিয়াকে আরো চড়াই উৎরাই পার হতে হবে।
ডলারকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে রুপিতে বাণিজ্য করার ইন্ডিয়ার স্বপ্ন ব্যর্থ হওয়ায় বিশ্বব্যাপী ডি-ডলারাইজেশন প্রচেষ্টা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক গতিশীলতার বিকাশ অব্যাহত থাকায়, মুদ্রা লেনদেনের জটিলতা এবং ভূ-রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপ ডি-ডলারাইজেশন নীতির সাফল্য বা ব্যর্থতা জন্য মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। ইন্ডিয়ার ব্যর্থতা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অঙ্গনে দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসা ব্যবস্থাকে পুনর্নির্মাণের জটিলতার ক্ষেত্রে একটি কেস স্টাডি হিসাবে কাজ করছে।
[তথ্য যাচাই, পর্যালোচনা, বিশ্লেষণ ইত্যাদির ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নেয়া হয়েছে।]
তথ্য সূত্র: Cryptopolitan, msn.com, impriindia.com, businessinsider.com
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:০২
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
দেশের চিন্তায় মাথা নষ্ট করবেন কেন?
ভারত আছে না?
ওরা আপনার হয়ে চিন্তা করে দিবে।
২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২০
বিজন রয় বলেছেন: ডলারকে পরাজিত করা অত সহজ না।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:০৫
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
চেষ্টা করতে দোষ কি?
সবারই তো কিছু স্বাদ-আহ্লাদ আছে।
৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: পুরো বিশ্ব চলছে ডলারের উপর। ডলার অনেক শক্তিশালী কারেন্সী।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:১০
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
সে কারণেই তো ডি-ডলারাইজেশন স্বপ্ন।
যদি পুরো বিশ্ব চলত রুপিতে!
অথবা যদি রুপি হতো অনেক শক্তিশালী কারেন্সি।
স্বপন দেখতে তো কোন দোষ নাই।
আর কারো প্ৰচেষ্টাকে খাটো করে দেখার সুযোগ নাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩১
সোহানী বলেছেন: ভারতীয় অর্থনীতি নিয়ে চিন্তিত না। দেশের চিন্তায় মাথা নষ্ট।