নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

লোহিত সাগরের শিপিং রুটে হুথি হামলা চীনকে ঘূর্ণাবর্তে ফেলে দিয়েছে:

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৩০

লোহিত সাগরের শিপিং রুটে হুথির হামলা চীনের অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি জটিল অবস্থা তৈরি করেছে। কারণগুলি নিম্নরূপ:

অর্থনৈতিক প্রভাবসমূহ:

বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছে:

লোহিত সাগর বিশ্ব বাণিজ্য বিশেষ করে তেল এবং এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে পণ্য চলাচলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র পথ। সুয়েজ খাল লোহিত সাগরকে ভূমধ্যসাগরের সাথে সংযুক্ত করেছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ চোকপয়েন্ট এবং আফ্রিকা মহাদেশ চারপাশ ঘুরে যাওয়ার চেয়ে অনেক সংক্ষিপ্ত একটা পথ। হুথি হামলার ফলে এই পথে জাহাজ চলাচলে বীমা খরচ এবং শিপিং বিলম্ব বেড়ে গেছে। এরফলে চীনা আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। এতে চীনের ক্ষণভঙ্গুর অর্থনীতি আরো চাপের মধ্যে পড়েছে।

সরবরাহ চেইন সমস্যা:

নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে জাহাজ চলাচলে বিলম্ব এবং পুনরায় নতুন রুট নির্ধারণ করার ফলে চীনের জটিল সরবরাহ শৃঙ্খলকে মারাত্মক ভাবে ব্যাহত করছে। এতে পণ্য সরবরাহে ঘাটতি হচ্ছে এবং ভোক্তাদেরকে বেশি মূল্য পরিশোধ করতে হবে। কবিড মহামারীর পর থেকেই চীনের সাপ্লাই চেইনে সমস্যা দেখা দিয়েছিল, এখন নতুন করে হুতি হামলায় চীনের এই সমস্যা আরো প্রকট হয়েছে। চীনের সাপ্লাই চেইনে সমস্যার কারণের শিল্পোন্নত দেশগুলি আরো জোরেশোরে বিকল্প বাজার খুঁজবে।

কূটনৈতিক দ্বিধা:

ভারসাম্যপূর্ণ জোট:

মধ্যপ্রাচ্যের জটিল এবং নোংরা রাজনীতিতে প্রবেশের পর এটা চীনের প্রথম পরীক্ষা। ইয়েমেনি সংঘাতের প্রধান খেলোয়াড় সৌদি আরব এবং হুথিদের সমর্থনকারী ইরান উভয়ের সাথেই চীনের সুসম্পর্ক রয়েছে। সম্প্রতি কালে চীনের মধ্যস্থতায় ইরান এবং সৌদি আরবের মধ্যে একটি সমঝোতা ছুটি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এটাকে চীনের বিরাট কূটনৈতিক বিজয় হিসাবে দেখা হয়। চীনের ধারণা ইরান সৌদি বিরোধ বোধ হয় একটা ভূরাজনৈতিক বিষয়। কিন্তু চীনের পক্ষে অনুধাবন করা সম্ভব হচ্ছে না যে ইরান-সৌদি বিরোধ শুধুমাত্র ভূরাজনৈতিক বিরোধ না, এটা দুইটি কট্টরপন্থী ধর্মীয় মতবাদের মধ্যে একটা ধর্মীয় বিরোধ। কোন ধর্মীয় বিরোধে একই সাথে উভয় পক্ষের বিজয় অর্জন সম্ভব না, যেটাকে ইংরেজিতে বলে উইন উইন সিচেআসন। ধর্মীয় বিরোধে একপক্ষ সম্পূর্ণ নির্মূল হবে আরেক পক্ষ সম্পূর্ণ বিজয়ী হবে অর্থাৎ জিরো সাম গেইম।

এইরকম পরিস্থিতিতে চীন যদি হুথিদের কঠোরভাবে নিন্দা করে বা কোন ব্যবস্থা নেয় তাহলে ইরান ক্ষুব্ধ হবে। আবার যদি হুতিদের বিরুদ্ধে কোন কিছু না বলে নীরব থাকে তাহলে নিজের অর্থনীতির ক্ষতি হবে এবং সৌদি আরবের সাথে সম্পর্ক নষ্ট হবে। তাছাড়া সমুদ্র নিরাপত্তার প্রতি চীনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়তে পারে। এখানে উল্লেখ্য যে বাণিজ্যের স্বার্থে পৃথিবীর সব দেশ সমুদ্র পথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়।

গোলযোগপূর্ণ নৌপথে বাণিজ্য:

আগেই উল্লেখ করেছি ইয়েমেনি সংঘাত জটিল ধরণের। এর কোনো সহজ সমাধান নেই। ইয়েমেনি সংঘাত কেন এত জটিল তা বুঝার জন্য ইয়েমেনের দেড় হাজার বছরে ইতিহাস অধ্যয়ন করতে হয়। উদাহরণ সরূপ বলা যায় ফিলিস্তিন নিয়ে বিক্ষোভ করলেও সৌদিদের হাতে নিহত ২৪ হাজার ইয়ামেনী নিয়ে মুসলিমরা নীরব থাকে। ইয়েমেনের ভিতর ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে কিন্তু জটিলতার কারণে কেউ মুখ খুলছে না। এই রকম পরিস্থিতিতে কোন পক্ষ নেওয়া বা হুতিদের উপর জোরপূর্বক হস্তক্ষেপের পক্ষে কথা বলা পাল্টাপাল্টি ব্যবস্থা হতে পারে। এতে চীনের পক্ষে এই জলসীমা দিয়ে নৌচলাচল করাই অসম্ভব করে তুলতে পারে।

চীনের সম্ভাব্য কৌশল:

কূটনীতির জন্য চাপ দেওয়া:

চীন ইয়েমেনে যুদ্ধরত পক্ষগুলির মধ্যে সংলাপ এবং উত্তেজনা কমাতে উৎসাহিত করতে তার কূটনৈতিক প্রভাবকে কাজে লাগাতে পারে। তবে এতে সাময়িক লাভ হলেও দীর্ঘ মেয়াদে কোন লাভ হবে না। চীনকে এইসব প্রচেষ্টা শুরু করার আগে খুলাফায়ে রাশেদীন, উমাইয়া খিলাফত, আব্বাসীয় খিলাফত, মামলুক সালতানাত, উসমানীয় সাম্রাজ্য, সাফাভিদ সাম্রাজ্য ইত্যাদি শাসন আমলের সংঘাত সংঘর্ষের ইতিহাস, জটিলতা, এবং মূল কারণগুলি জেনে নিতে হবে।

সামুদ্রিক সহযোগিতা:

ইতোমধ্যে আমেরিকার নেতৃত্বে ১২টি দেশ এই নৌপথের নিরাপত্তার জন্য যৌথ ভাবে টহল দিচ্ছে। আমেরিকা ইতোমধ্যে চীনকে এই যৌথ টহলে তাদের সাথে শরিক হতে আহবান জানিয়েছে। নানা সমীকরণ, জটিলতা ইত্যাদি কারণে চীন সরাসরি আমেরিকার আহবান প্রত্যাখ্যান করলেও কিভাবে যৌথ টহল বা তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে লোহিত সাগরকে সুরক্ষিত করার জন্য অন্যান্য দেশের সাথে কাজ করা যায় তার পথ খুঁজছে। চীন চিন্তা করছে এই সংঘাতে কোনো পক্ষ না নিয়ে শুধু নিরাপত্তা উদ্বেগ মোকাবেলার জন্য কাজ করা যায় কি না। তবে চীনের এই কৌশল বাস্তবে সম্ভব নয়। কারণ নিরাপত্তার জন্য হুতি হামলা মোকাবেলা করার মানেই হচ্ছে হুতিদের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া। এতে মধ্যপ্রাচ্যে খেলাধুলা করার চীনের শখ অঙ্কুরেই বিনষ্ট হবে।

বিকল্পে পথের সন্ধান করা:

লোহিত সাগরকে সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ করা সম্ভব না হলে চীন বিকল্প স্থলপথের সন্ধান করবে। বিকল্প পথ এখনো ব্যয়বহুল এবং সময় সাপেক্ষ। ইউরোপে পণ্য পরিবহনের জন্য এই অস্থির অঞ্চলের উপর নির্ভরতা কমাতে চীন স্থল করিডোর বা আর্কটিক শিপিং সম্প্রসারণের মতো বিকল্প বাণিজ্য রুটগুলি অন্বেষণ করতে পারে।

শেষ পর্যন্ত এই ঘূর্ণাবর্ত অতিক্রম করার জন্য চীনকে অর্থনৈতিক স্বার্থ, কূটনৈতিক বিবেচনা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার মধ্যে একটি সূক্ষ্ম ভারসাম্য আনতে হবে। চীন যেভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করবে তার প্রভাব চীনের অর্থনীতি এবং বৃহত্তর বিশ্ব সম্প্রদায়কে প্রভাবিত করবে।

এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে পরিস্থিতি অত্যন্ত অনিশ্চিত এবং জটিল এবং এর কোন সহজ উত্তর নেই। এখানে প্রদত্ত তথ্য চীনের চ্যালেঞ্জগুলি এবং তাদের মোকাবেলার সম্ভাব্য বিকল্পগুলি বোঝার জন্য একটি সূচনা বিন্দু মাত্র।


[তথ্য যাচাই, বিশ্লেষণ এবং অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নেয়া হয়েছে।]
সূত্র: Newsweek, Oman Observer, Yemen News Agency (SABA) ইত্যাদি

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

বিজন রয় বলেছেন: জটিল বিষয়!

তবে হুতি কোনো বিষয় না।

অন্যরা ধৈর্য ধরছে।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


চীনের জন্য বিষয়টা অনেক জটিল।
আমি এই ক্ষুদ্র পরিসর লেখায় কিছু মাত্র ইঙ্গিত করেছি।

চীন মধ্যপ্রাচ্যে খেলতে চায়।
এটা তার অনেক দিনের শখ, আবার অর্থনৈতিক প্রয়োজন।

"হুতি কোনো বিষয় না।" এটার সাথে আমি একমত নই।
কারণ হুতি কিন্তু আসলে হুতি না এটা ইরানের প্রক্সি।

বাবা আল মান্দাব প্রণালী, যেটা ইয়েমেনের পাশ দিয়ে গেছে, এটা সবার জন্যে হলেও চীনের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

চীন নির্বিঘ্নে এই অঞ্চলে দিয়ে পণ্য পরিবহন করতে চাইলে এই অঞ্চলকে শান্ত রাখতে হবে।
আর এই অঞ্চলকে শান্ত করতে হলে সামরিক বা কূটনৈতিক যে কোন পদক্ষেপ নিতে হবে।
এই অঞ্চলে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার চেয়ে সামরিক পদক্ষেপ অনেক সহজ।
কিন্তু সামরিক পদক্ষেপ নিতে গেলে হুতি তথা ইরান চীনের উপর নাখোশ হবে।
আর কোন পদক্ষেপ না নিলে সৌদি সহ আরব দেশগুলি নাখুশ হবে।
এটাই চীনের উভয় সংকট।

এখন আসেন চীন কেন ইরান এবং সৌদি উভয়কেই খুশি রাখতে চায়, যেটা প্রকৃতপক্ষে সম্ভব না।

চীনের বিপুল পরিমাণ তেলের চাহিদা।
এই চাহিদা একক ভাবে কোন দেশ সরবরাহ করতে পারে না।
চীন যেমন ইরান থেকে তেল আমদানি করে অনুরূপ ভাব সৌদি থেকেও বিপুল পরিমাণ তেল আমদানি করে।
তাছাড়া সৌদির সাথে চীনের প্রায় ৪৩০ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা হচ্ছে এবং অনেক মেগা প্রকল্পে চীন বিনিয়োগ করেছে এবং ভবিষ্যতে করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।

তাই চীনের অর্থনীতির জন্য সৌদির গুরুত্ব অপরিসীম।
অন্যদিকে চীনের প্রতিযোগী পশ্চিমা দেশগুলির সাথে ইরানের সম্পর্ক ভাল নয়।
এই উপাদানটা চীনের কূটনীতি এবং অর্থনীতির জন্য একটি প্রয়োজনীয় উপাদান।
তাছাড়া স্যাংশান প্রাপ্ত ইরানের সস্তা তেল লুটের মালের মত চীনের কাছে আকর্ষণীয়।

সব শেষে মধ্যপ্রাচ্যে খেলতে হলে দ্বিচারিতা, কপটতা, ভণ্ডামি, শঠতা, মুনাফেকি ইত্যাদি উপাদানের সাথে ব্যাল্যান্স করতে হবে।
প্রায় দেড় হাজার বছর ধরে ইউরোপ এবং এর ধারাবাহিকতায় আমেরিকা দীর্ঘ দিন এদের সাথে খেলে এই উপাদানগুলি সামান্য শিখতে পেরেছে।
নতুন খেলোয়াড় হিসাবে চীনকে এইগুলি রপ্ত করতে হবে।
সময় লাগবে।
গুড লাক চীন।

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: এটা সাময়িক সমস্যা।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩৬

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


পৃথিবীর সব সমস্যাই সাময়িক।
কোন সমস্যা স্থায়ী নয়।
কোনটা দ্রুত সমাধান হয় আবার কোনটা একটু সময় বেশি নেয়।

কিন্তু কোন কোন সমস্যার প্রভাব অনেক দীর্ঘস্থায়ী হয়।
যে প্রভাব আরো নতুন নতুন সমস্যার সৃষ্টি করে বা নতুন নতুন সম্ভাবনার সৃষ্ট করে।
এটা ভবিষ্যতের কথা।

কিন্তু এখন বর্তমানে চীন একটা উভয় সংকটে পড়েছে।
এটা কেটে গেলেও সুদূরপ্রসারী ভাবে এটা চীনকে ভাবাবে।

চীন এই বাণিজ্য পথ নিয়ে আগে কখনো তেমন চিন্তা করতো না।
তার সব চিন্তার কেন্দ্র বিন্দু ছিল মালাক্কা প্রণালী নিয়ে।
যে কারণে সে বেল্ট এন্ড রোড ইনেসিয়াটিভ (BRI) নিয়ে কাজ করছিল।

এই সমস্যা কেটে যাওয়ার পর তাকে ভাবতে হবে নতুন একটা বিকল্প পথ চালু করার কথা। একটা বিকল্প পথ এশিয়ার উপর দিয়ে ইউরোপ পৌঁছার জন্য রেল এবং সড়ক পথ এবং নৌপথে আর্কটিক অঞ্চল। দুইটা বিকল্পই কঠিন, সময় সাপেক্ষ, এবং ব্যয়বহুল। তার উপর আছে ভূরাজনীতি।

চলুক।
অসুবিধা কি?
এই ভাবেই বিশ্ব ইতিহাস এগিয়ে চলে।

৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০০

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: সামনে কি কি হবে, কে জানে!

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কেউ সঠিক ভাবে বলতে পারে না, শুধু অনুমান করতে পারে। অনেক সময় অনুমান মিলে যায় অনেক সময় মিলে না।

তবে অতীত ইতিহাস এবং অন্যান্য উপাদান বিশ্লেষণ করলে বলা যায় যে এই অঞ্চলে সংঘাত-সংঘর্ষ চলতে থাকবে।

কোন কোন সময় এই সংঘাত তীব্র হবে আবার কখনো স্তিমিত হয়ে আসবে।

কারণ এই অঞ্চলের মানুষ সংঘাত প্রিয়, জেদি, একগুঁয়ে এবং একরোখা। তারা প্রতিপক্ষকে মারতে পারলে মনে করে বিজয় অর্জিত হয়েছে এবং নিজে মারা গেলেও মনে করে বিজয় বিজয় অর্জিত হয়েছে।

যারা নিজের মৃত্যু এবং ধ্বংসকে বিজয় মনে করে তাদেরকে কেউ পরাজিত করতে পারে না এবং পারবে না।

৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: শি জিনপিকে আমার শ্বান্তশিষ্ট শ্বান্তিপ্রিয় মানুষ বলে মনে হয়।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৫৬

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


শি জিনপিং শান্তশিষ্ট এই কথা ঠিক। কিন্তু শান্তিপ্রিয় কি না সেটা নিশ্চিত ভাবে বলা যাবে না। যেহেতু চীনের ভিতরে রাজনৈতিক খবর বাইরে স্বাধীন ভাবে প্রচারিত হয় না তাই চীনের অভ্যন্তরীণ খবর সঠিক ভাবে জানা যায় না। তবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বা যাকে সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হয় তাকে কঠোর ভাবে নির্মূল করা হয়।

চীন কমিউনিস্ট পার্টির সর্বশেষ অধিবেশনে শির পাশে বসা ছিলেন পলিটব্যুরোর সদস্য এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও। উনার হাতে একটা কাগজ ছিল। মনে হচ্ছিল তিনি কিছু একটা এই কাগজ থেকে পড়তে চান। সঙ্গে সঙ্গে (অনুষ্ঠানটি লাইভ প্রচারিত হচ্ছিল বলে সবাই দেখতে পেরেছে) শির ইশারায় দুজন অফিসার এসে সাবেক প্রেসিডেন্টকে সবার সমানে টেনে হিঁচড়ে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।

ওই অধিবেশনে অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ এ কিং গ্যাং (Qin Gang) কে শির ইচ্ছায় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী করা হয়। কিন্তু ২৫ জুলাই ২০২৩ থেকে তিনি কোন কারণ ছাড়াই নিখোঁজ। তখন তাঁর অনেকগুলি আন্তর্জাতিক প্রোগ্রাম শিডিউল করা ছিল। কিন্তু তিনি সেই সব প্রোগ্রামে অনুপস্থিত। তারা স্থলে সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই (Wang Yi) হাজির হতে থাকলেন। এই ব্যাপারে চীন থেকে কোন ব্যাখ্যা বা কারণ বলা হয় নাই। সাংবাদিকরা এই ব্যাপারে প্রশ্ন করলে পরিষ্কার ভাবে বলে দেয়া হল, এই ব্যাপারে তারা কিছু বলবেন না। যেহেতু কোন তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয় নাই, তাই জল্পনা হচ্ছে যে শির সাথে বিরোধের কারণে নির্মম ভাবে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।

এই অধিবেশনেই লি সাংফু কে (Li Shangfu) প্রতিরক্ষা মন্ত্রী করা হল। তিনিও ২৪ অক্টোবর ২০২৩ থেকে নিখোঁজ। এখানেও জল্পনা শির সাথে বিরোধের কারণে নির্মম ভাবে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।

এই যদি হয় মন্ত্রীদের অবস্থা, তা হলে ভিন্নমত পোষণকারী সাধারণ মানুষের অবস্থা কত নির্মম হতে পারে অনুমান করতে পারেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.