নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৮

দক্ষিণ আফ্রিকা হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি আর্জি পেশ করেছে। ইতোমধ্যে দুই পক্ষের শুনানি শেষ হয়েছে। মামলাটি এখন চূড়ান্ত রায়ের অপেক্ষায় আছে। সাধারণ ভাবে মামলার বিষয়বস্তু বুঝার জন্য এই লেখা।

মামলার আর্জিতে উল্লেখিত দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান যুক্তি সমূহ:

১. জেনোসাইড কনভেনশনের লঙ্ঘন:

দক্ষিণ আফ্রিকা যুক্তি দেয় যে ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলের পদক্ষেপ, বিশেষ করে গাজায় গণহত্যা বা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশন দ্বারা সংজ্ঞায়িত একটি অপরাধ।

২. আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) কর্তৃক প্রদত্ত আগের রায়গুলি ইসরাইল কর্তৃক মেনে চলতে ব্যর্থতা:

দক্ষিণ আফ্রিকা দাবি করেছে যে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) আগের রায়গুলি ইসরাইল মেনে চলেনি। উদাহরণ হিসাবে বলা হয়, ২০০৪ সালের এক রায়ে দখলকৃত পশ্চিম তীরে একটি প্রাচীর ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল, যা ইসরাইল কার্যকর করে নাই৷

৩. ইসরাইল ক্রমাগত ভাবে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করছে:

পূর্ব জেরুজালেম এবং গাজা সহ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের চলমান দখলদারিত্ব আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে অবৈধ।

৪. ইসরাইলের বিরুদ্ধে তদন্ত এবং জবাবদিহিতার জন্য আহ্বান:

দক্ষিণ আফ্রিকা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) কে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের তদন্ত শুরু করার এবং আন্তর্জাতিক আইনের সম্ভাব্য লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি করার জন্য অনুরোধ করে।

দক্ষিণ আফ্রিকা কর্তৃক আনিত অভিযোগগুলির বিরুদ্ধে ইসরাইলের জবাব:

১. ফিলিস্তিনিদের ধ্বংস করার কোনো সুনির্দিষ্ট অভিপ্রায় নেই:

গণহত্যা কনভেনশনের অধীনে গণহত্যা প্রমাণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে কোন জাতীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার অভিপ্রায় থাকতে হবে। ইসরাইল যুক্তি দিচ্ছে যে ফিলিস্তিনি জাতীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার কোনো অভিপ্রায়কে ইসরাইলের নাই। তারা যুক্তি দেয় যে তাদের ক্রিয়াকলাপগুলি বেসামরিক লোকদের লক্ষ্য করে নয়, বরং হামাসকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হচ্ছে। তারা চেষ্টা করছে যাতে বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা হ্রাস করা যায়।

২. অস্তিত্বের হুমকির বিরুদ্ধে আত্মরক্ষা:

ইসরায়েল দাবি করে যে হামাসের চলমান রকেট হামলা এবং অন্যান্য আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষা হিসাবে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ইসরাইলের পদক্ষেপগুলি ন্যায়সঙ্গত। হামাসের এই হামলাগুলিকে ইসরাইল রাষ্ট্রের অস্তিত্বের হুমকি বলে তারা মনে করে।

৩. ঘটনা ও প্রেক্ষাপটের ভুল বর্ণনা:

ইসরায়েল দাবি করে যে দক্ষিণ আফ্রিকা সংঘাতের জটিল বাস্তবতাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে। সহিংসতা উস্কে দিতে এবং বেসামরিক লোকদেরকে মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে হামাসের ভূমিকাকে দক্ষিণ আফ্রিকা উপেক্ষা করেছে।

৪. আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করা হচ্ছে:

ইসরায়েল দাবি করে যে সামরিক অভিযানগুলি আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে করা হচ্ছে এবং বেসামরিক ক্ষতি কমানোর জন্য সমস্ত সম্ভাব্য সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।

৫. "দখল" পরিভাষা প্রত্যাখ্যান:

ইসরায়েল পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকায় তার উপস্থিতি বর্ণনা করার জন্য "দখল" শব্দটিকে কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করে। তারা যুক্তি দেয় যে এই অঞ্চলগুলি আগ্রাসনের মাধ্যমে নয়, বরং প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধে দখল করা হয়েছিল। তাই প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধের মাধ্যমে দখলকৃত অঞ্চলগুলি আইনি সংজ্ঞার আওতায় পড়ে না। ইসরাইলের যুক্তি হচ্ছে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে তারা আগ্রাসন চালিয়ে কোন জায়গা দখল করে নাই। তারা আজ পর্যন্ত কোন আক্রমণ আগে শুরু করে নাই বরং প্রথমে তাদের উপর আক্রমণ হয়েছে। তারা আত্মরক্ষার জন্য প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধ করে বিজয়ী হয়ে বিভিন্ন অঞ্চল দখল করেছে। তাই এটাকে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় "দখল" বলা যাবে না।

৬. আদালতের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে:

ইসরায়েল যুক্তি দেয় যে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়েরকৃত মামলাটি শুনানির জন্য এই আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) এর এখতিয়ারের অভাব রয়েছে। কারণ বিরোধটি এই আদালতের এখতিয়ার বহির্ভূত।

আদালতের এখতিয়ার ব্যাপারে ইসরাইলের যুক্তিসমূহ:

(ক) বিরোধের অভাব:

ইসরায়েলের মতে ইসরায়েল এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে কোন প্রকৃত আইনি বিরোধ নেই। দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরাইলের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার কোনো পূর্বপ্রয়াস ছাড়াই মামলাটি দায়ের করেছে। গণহত্যা কনভেনশনের বিধান অনুসারে এই ধরণের অভিযোগ দায়ের করার আগে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করা একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসাবে গণ্য করা হয়।। ইসরাইল যুক্তি দেখায় যে দক্ষিণ আফ্রিকা তার রাজনৈতিক এজেন্ডাকে বাস্তবায়ন করার জন্য সত্যিকারের আইনি বিরোধ ছাড়াই এই মামলাটি করেছে।

(খ) জেনোসাইড কনভেনশনের বাইরের বিষয়:

ইসরায়েল দাবি করে যে গাজার কথিত ঘটনাগুলি জেনোসাইড কনভেনশনের বিধানগুলির মধ্যে পড়ে না। তারা যুক্তি দেয় যে গণহত্যা কনভেনশনটি এমন কাজগুলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যা একটি জাতীয়, জাতিগত, বর্ণগত বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে ধ্বংস করার লক্ষ্য পরিচালিত হয়। পক্ষান্তরে গাজায় তাদের কর্মকাণ্ড হল একটি অ-রাষ্ট্রীয় সত্তা (non-state entity) হামাসের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা।

(গ) অস্থায়ী ব্যবস্থার অনুপযুক্ত ব্যবহার:

চূড়ান্ত রায় প্রকাশিত হওয়ার আগে ইস্রায়েলকে গাজায় তার সামরিক অভিযান বন্ধ করার নির্দেশ চেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) কাছে অস্থায়ী বা অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থার জন্য অনুরোধ করেছিল। ইসরায়েল যুক্তি দেয় যে এই ধরনের পদক্ষেপগুলি কেবলমাত্র সেই ক্ষেত্রেই প্রদান করা যায় যে যেখানে চরম জরুরি অবস্থা এবং অপূরণীয় ক্ষতি স্পষ্ট প্রতীয়মান। কিন্তু এই ক্ষেত্রে এই অবস্থা বিদ্যমান নয়। তাছাড়া এই ধরণের আগাম আদেশ দিলে মূল মামলার রায় প্রভাবিত হবে।

[তথ্য যাচাই, গবেষণা এবং বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নেয়া হয়েছে।]
সূত্র: আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) ওয়েব সাইট, The South African, The Times of Israel, Al Jazeera

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০৪

সোনাগাজী বলেছেন:


ইহা ইসরায়েলের উপর কোন ধরণের প্রভাব ফেলেছে?

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


সরাসরি কোন প্রভাব না পড়লেও এটাও ইসরাইলের উপর এক ধরণের চাপ।
ইসরাইল আরো সতর্ক হবে এবং শক্তির চেয়ে আরো বেশি কৌশলী হবে।
বেপরোয়া ভাব কিছু কমবে।
কথাবার্তায় আরো সংযত হবে। অর্থাৎ প্রকাশ্যে এমন কিছু আর বলবে না যেটা তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসাবে ব্যবহৃত হতে পারে।
যেমন মামলা শুরুর সাথে সাথেই নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষার কথা বলেছেন। তার এই স্টেটমেন্ট ইসরাইলের আইনজীবীরা কোর্টে উল্লেখ করেছেন। আগের বক্তব্য অন্য রকম ছিল।

টেকনিক্যাল কারণে মামলাটা ফেল করবে।
অর্থাৎ আদালতের এখতিয়ার বা jurisdiction এর কারণে সমস্যা হবে।

২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: রায়ে নতুন কিংবা ইসরাইলের জন্য কঠিন কোন আদেশ/ শাস্তি আসার সম্ভাবনা দেখছি না।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


সুচিন্তিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২৫

সোনাগাজী বলেছেন:



কোন আদলতে যাবার দরকার ছিলো?
জেনোসাইড ও ওয়ার-ক্রাইমের মাঝে কোনটা প্রমাণ করা সহজ হতো?

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:০৯

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


গণহত্যা এবং যুদ্ধাপরাধের মধ্যে মূল পার্থক্য হচ্ছে:

উদ্দেশ্য এবং অভিপ্রায়:

গণহত্যা প্রমাণের জন্য একটি জনগোষ্ঠীকে ধ্বংস করার জন্য নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য বা অভিপ্রায়ের প্রয়োজন হয়।

কিন্তু যুদ্ধাপরাধ প্রমাণের জন্য উদ্দেশ্য নির্বিশেষে সশস্ত্র সংঘাতের সময় আইন লঙ্ঘনের উপর ফোকাস করে।

তাই গণহত্যা প্রমাণ করা কঠিন। কিন্তু যুদ্ধাপরাধ প্রমাণ করা তুলনামূলক ভাবে সহজ। উদ্দেশ্য যাই থাকুক যুদ্ধের সময় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে এইটুকু প্রমাণ করলেই হয়।

এখন প্রশ্ন হল গাজার সংঘাতের বিষয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা কেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) পরিবর্তে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) বেছে নিয়েছে?

তার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে:

প্রথমত: মামলার ধরন:

১. আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলাগুলি রাষ্ট্র বনাম রাষ্ট্র। এই আদালত রাষ্ট্রের বিচার করতে পারে কিন্তু কোনো ব্যক্তি বিচার করতে পারে না।

২. পক্ষান্তরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সহ আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে সবচেয়ে গুরুতর অপরাধের জন্য কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত এবং বিচার করতে পারে।

দ্বিতীয়ত: দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশ্য:

১. দক্ষিণ আফ্রিকা গাজায় ক্রিয়াকলাপের জন্য একটি রাষ্ট্র হিসেবে ইসরাইলকে জবাবদিহি করতে চাচ্ছে। এটি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) এর এখতিয়ারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

২. দক্ষিণ আফ্রিকা রাষ্ট্র হিসাবে ইসরাইলকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। ইসরাইলের কোন ব্যক্তিকে দক্ষিণ আফ্রিকা টার্গেট করে নাই।

তৃতীয়ত: আইসিসির সমস্যা:

১. ইসরায়েল আইসিসির সদস্য নয়। তাই এই কোর্টের পক্ষে ইসরাইলের কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত বা বিচার করা কঠিন বা অসম্ভব ।

২. আইসিসির ফান্ডের অভাব আছে। তাই সম্পদের সীমাবদ্ধতা কারণে এবং বিচারাধীন অনেক মামলা থাকার কারণে এই আদালতে বিচার বিলম্বিত হয়।

চতুর্থত: আইসিজির সুবিধা:

১. আইসিজি যেহেতু কোন ব্যক্তির বিচার করে না, তাই ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব কম হয়। এতে আন্তর্জাতিক ভাবে সুবিধা হয়।

২. আইসিজের রায়গুলি মূলত একটা বিবৃতির মত বা মতামতের মত। যেমন কোন দেশে নির্বাচনের পর কোন রাষ্ট্র বলে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে আবার কোন দেশ বলে সুষ্ঠু হয় নাই। এই বিবৃতি দিয়ে কোন কিছু বাধ্য করা হয় না। এই আদালতের রায়টি এমন ধরণের। অর্থাৎ রাজনৈতিক বা কূটনৈতিক ভাবে এই রায় একটা দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যাবে।

৩. যদিও ইসরায়েল গণহত্যা কনভেনশনের স্বাক্ষরকারী নয়, তবে দক্ষিণ আফ্রিকা যুক্তি হচ্ছে যে গণহত্যা প্রতিরোধে একটি স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্র হিসাবে কনভেনশনের অধীনে তাদের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

পঞ্চমত: অতিরিক্ত বিবেচনা:

১. দক্ষিণ আফ্রিকা হয়ত আইসিজিকে আইসিসি অপেক্ষা একটি দ্রুত এবং আরও সহজলভ্য ফোরাম হিসেবে বিবেচনা করেছে।

২. রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক কারণগুলি সম্ভবত দক্ষিণ আফ্রিকার সিদ্ধান্তে ভূমিকা পালন করেছে।

সবশেষে কথা: আইসিজি বেছে নেওয়ার দক্ষিণ আফ্রিকার সিদ্ধান্ত তার নির্দিষ্ট আইনি লক্ষ্য এবং গাজায় ইসরায়েলের অভিযানের সমস্যা মোকাবেলার সবচেয়ে কার্যকর উপায় সম্পর্কিত কৌশলগত প্রতিফলন।

অনেকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করার কারণে আমি মূল পোস্ট হিসাবে এটা পোস্ট করবো।

৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:১৬

সোনাগাজী বলেছেন:



ভালো!

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


ধন্যবাদ।

৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

বিজন রয় বলেছেন: হামাস যতদিন থাকবে ততদিন এসব মামলায় কোনো লাভ নেই।
ততদিন ইসরাইল কঠোর থাকবে।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৩১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


হামাসের সাথে এই মামলার কোন সরাসরি সম্পর্ক নাই।

হামাসের হামলা এবং পরবর্তী ঘটনাসমূহ ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ সমস্যা এবং সংকটের ফসল।

কোন একজন শাসক যদি কোন বিশেষ ব্যক্তিগত কারণে ক্ষমতা ছেড়ে যেতে না চায় তাহলে রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হয়।

বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দীর্ঘ দিন ধরে ছলে বলে কৌশলে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে আছেন।

ধীরে ধীরে ব্যক্তির স্বার্থে রাষ্ট্রের প্ৰতিষ্ঠানগুলি দুর্বল হতে থাকে। যেমন তিনি এই কিছুদিন আগে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা খর্ব করে সরকারের হাতে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা নিয়েছেন।

অভ্যন্তরীণ চাপ তার দিক থেকে অন্য দিকে ঘুরে গেছে। আবার এই মামলার চাপ তার দিকে ঘুরে আসবে। তাকে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা ছাড়তে হবে এবং শেষ ঠিকানা সম্ভবত জেল।

৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: মামলা করে কোনো লাভ হবে না। ফলাফল শূন্য।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৩৬

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


কোন ঘটনাই ফলাফল শূন্য হয় না।
কম বা বেশি হয়। অতি সূক্ষ্ম থেকে অতি বৃহৎ।
কোন না কোন প্রভাব থাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.