নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস বা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) কি সরাসরি তার রায় কার্যকর করতে পারে?

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১৬

ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস বা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) কি সরাসরি তার রায় কার্যকর করতে পারে?

উত্তর হচ্ছে, না।
ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস বা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) সরাসরি তার রায় কার্যকর করতে পারে না। এই আদালতের ক্ষমতা সীমিত। রায় কার্যকর করা এবং রায়ের প্রতি সম্মতির জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলির সহযোগিতার উপর নির্ভর করতে হয়। এই আদালতের রায় আইনত ভাবে বাধ্যতামূলক, কিন্তু রায়টি প্রয়োগের প্রক্রিয়াগুলি জটিল এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছার উপর নির্ভর করে।

রায় সরাসরি কার্যকর করতে না পারার কারণসমূহ:

১. সীমিত প্রয়োগ ক্ষমতা:

আইসিজে প্রাথমিকভাবে একটি বিচার বিভাগীয় সংস্থা, অর্থাৎ এটা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নয়। আদালতের রায় কার্যকর করার জন্য এটির নিজস্ব কোন সেনাবাহিনী বা পুলিশ বাহিনীর নাই।

সদস্য রাষ্ট্রগুলির তাদের আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা মেনে চলা এবং আইনের শাসনকে সম্মান করার উপর এই আদালতের রায়ের কার্যকারিতা নির্ভর করে।

২. রায় বাস্তবায়নের সম্ভাব্য উপায়:

I. জনসাধারণের চাপ:
আইসিজে এর রায়গুলি উল্লেখযোগ্য ভাবে নৈতিক ও রাজনৈতিক ওজন বহন করে। নৈতিক এবং জনমতের চাপ রায় মেনে চলার জন্য রাষ্ট্রের উপর সম্ভাব্য চাপ সৃষ্টি করতে পারে৷

II. নিরাপত্তা পরিষদের হস্তক্ষেপ:
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার বা সামরিক পদক্ষেপের অনুমোদন দেওয়ার ক্ষমতা দিলে কখনও কখনও আইসিজে রায় কার্যকর করতে পারে।

III. কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক চাপ:
কোন একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র বা কতগুলি রাষ্ট্র একত্রিত হয়ে রায় বাস্তবায়নের জন্য কূটনৈতিক বা অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগ করতে পারে।

৩. প্রয়োগের চ্যালেঞ্জ:

(ক) রাজনৈতিক ইচ্ছার অভাব:
যদি কোন রাষ্ট্র তাদের জাতীয় স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর বা তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির বিপরীত বলে মনে করে তাহলে আইসিজে এর রায় মেনে চলতে অনিচ্ছুক হতে পারে।

(খ) শক্তিশালী রাষ্ট্র:
শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলি দুর্বল রাষ্ট্রগুলির তুলনায় আইসিজে এর রায় সহজেই উপেক্ষা করতে সক্ষম হতে পারে৷

(গ) জটিল আইনি সমস্যা:
আইসিজে এর রায়ের ব্যাখ্যা এবং প্রয়োগ জটিল হতে পারে, যার ফলে বিরোধ এবং আরও মামলা হতে পারে।

সাম্প্রতিক ঘটনা - ইসরায়েল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা:

অবৈধ দখলদারিত্ব, গণহত্যা এবং বর্ণবাদের অভিযোগ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার আনা বর্তমান মামলা আইসিজে এর রায় কার্যকর করার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার একটি প্রধান উদাহরণ হবে। এমনকি যদি আদালত দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে রায় দেয় তাহলে এই রায় বাস্তবায়নের জন্য উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক চাপ এবং সহযোগিতার প্রয়োজন হবে, যা এই পর্যায়ে অনিশ্চিত।

সামগ্রিক ভাবে:

যদিও আইসিজে সরাসরি তার রায় কার্যকর করতে পারে না, তবুও এটি আন্তর্জাতিক বিরোধ নিষ্পত্তি এবং আইনের শাসন বজায় রাখার জন্য একটি অপরিহার্য ফোরাম হিসাবে কাজ করছে। এই আদালতের রায় উল্লেখযোগ্য নৈতিক এবং রাজনৈতিক চাপ তৈরি করতে পারে এবং এর রায়গুলি আরও কূটনৈতিক এবং আইনি পদক্ষেপের ভিত্তি হিসাবে কাজ করতে পারে। যাইহোক এই আদালতের রায়ের কার্যকরী প্রয়োগ শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রগুলোর শুভ ইচ্ছা এবং সহযোগিতার উপর নির্ভর করে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: শক্তি প্রয়োগ ছাড়া ইসরাইলকে দমানোর কোন উপায় নেই আপাদত। আমি তো জনতাম হামাস বাহিনী অনেক শক্তিশালী হামাসের একজন সদস্যই নাকি একশত জন ইসরাইল বাহিনীকে কুপকাত করতে পারে। কিন্তু এভাবে আর কতকাল হামাস বাহিনী ইদুরের গর্তে লুকিয়ে থাকবে? তারা ইসরাইল বাহিনীকে প্রতিহত করতে পারছে না কেন?

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:০২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আমি তো বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলি এবং বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের বানানো ইউ টিউব ভিডিও থেকে প্রতিনিয়ত জানতে পারছি --

১. ইসরাইল শেষ।

২. লাখে লাখে মানুষ ইসরাইল ছেড়ে ইউরোপ আমেরিকাতে পালিয়ে যাচ্ছে।

৩. হামাসের হাতে হাজার হাজার ইসরাইলি সেনা নিহত এবং প্রায় অর্ধেক সেনাবাহিনী পুঙ্গ হয়ে যুদ্ধ করার ক্ষমতা হারিয়েছে।

৪. হামাস অনেক বিজয় অর্জন করেছে, যেমন--

ক. ইসরাইলে ঢুকে ১২ শত ইসরাইলীকে হত্যা করেছে।

খ. শত শত ইসরাইলি মহিলাকে ধর্ষণ করেছে।

গ. ২০ হাজার গাজা বাসি নিহত হয়ে প্রমাণ করেছে ইসরাইল বেসামরিক লোক হত্যা করছে।

ঘ. হাজার হাজার ইসরাইলি সৈন্য হত্যা করেছে।

ঙ. হাজার হাজার ইসরাইলি সৈন্য আহত হয়ে পুঙ্গ হয়ে গেছে।

চ. সারা পৃথিবীতে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ হচ্ছে ইত্যাদি।

একটা মাত্র যুদ্ধে হামাসের এতগুলি বিজয় অর্জিত হয়েছে বলে অনেকেই আনন্দ এবং গর্ব করছে।

আমি তো জনতাম হামাস বাহিনী অনেক শক্তিশালী হামাসের একজন সদস্যই নাকি একশত জন ইসরাইল বাহিনীকে কুপোকাত করতে পারে।

আপনার বিশ্বাস না হলে বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলির খবর দেখতে পারেন।
সেখান থেকে প্রকৃত খবর জানতে পারবেন যে হামাস বাহিনী কত শক্তিশালী।
হামাস কি ভাবে ইসরাইল বাহিনীকে কুপোকাত করছে।

কিন্তু এভাবে আর কতকাল হামাস বাহিনী ইঁদুরের গর্তে লুকিয়ে থাকবে?
তারা ইসরাইল বাহিনীকে প্রতিহত করতে পারছে না কেন?

বিশ্ব থেকে যত মানবিক ত্রাণ গাজ্জায় এসেছে তার ৭০ ভাগ তারা খরচ করে এই ইঁদুরে গর্ত তৈরি করতে।
এটা তাদের প্রিয় আবাসিক এলাকা।
তারা থাকে গর্তে এবং পরিবার পরিজন এবং শিশুরা থাকে উপরে।
সুতরাং এটাকে লুকিয়ে থাকা বলে না।
এটাই তাদের যুদ্ধের কৌশল।

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:১৯

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: তার মানে ইজরায়েলের এর বি[পক্ষে রায় আসলেও আদতে কিছুই হবে না।

অবশ্য দেশটা দক্ষিণ আফ্রিকা না হয়ে অন্য ইউরোপের কোনো শক্তিশালী দেশ বা আন্তর্জাতিক মহলে যথেষ্ট ক্ষমতাবান কোনো দেশ হলে দৃশ্যপট ভিন্ন হতো।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৩০

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


হ্যাঁ, আমি এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

এই আদালতের রায় কেন বাস্তবায়ন করা যায় না, বা কি কি অসুবিধা আছে।

তবে রায় বাস্তবায়ন করা না গেলেও এর কিছু লাভ আছে তাও আলোচনা করেছি।

আপনি যে আশা বা আকাঙ্ক্ষা বা আশঙ্কার কথা বলেছেন তার সবগুলি পয়েন্টই আমি আলোচনা করেছি।

৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


জানতে থাকুন। আপনাকে ধন্যবাদ।

৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:১৭

বিজন রয় বলেছেন: একদিন সত্যের জয় হবে। যারা সত্যের পক্ষে তারা জিতবে।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৯

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


এই কথা চরম সত্য যে একদিন সত্যের জয় হবে।
যারা সত্যের পক্ষে তারা জিতবে।


এখন প্রশ্ন হচ্ছে, করা সত্যের পক্ষে?
সব বিষয়েই সব পক্ষ মনে করে তারই সত্যের পক্ষে আছে।
আর ইতিহাসের বিজয় কিন্তু আপেক্ষিক গতিতে চলে।


তাই জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন:

কালের চক্র বক্রগতিতে ঘুরিতেছে অবিরত,
আজ দেখি যারা কালের শীর্ষে, কাল তারা পদানত।
আজি সম্রাট কালি সে বন্দী,
কুটীরে রাজার প্রতিদ্বন্দ্বী!
কংস-কারায় কংস-হন্তা জন্মিছে অনাগত,
তারই বুক ফেটে আসে নৃসিংহ, যারে করে পদাহত!


আজ যার শিরে হানিছে পাদুকা কাল তারে বলে পিতা,
চির-বন্দিনী হতেছে সহসা দেশ-দেশ-নন্দিতা।
দিকে দিকে ওই বাজিছে ডঙ্কা,
জাগে শংকর বিগত-শঙ্কা!
লঙ্কা-সায়রে কাঁদে বন্দিনী ভারত-লক্ষ্মী সীতা,
জ্বলিবে তাঁহারই আঁখির সুমুখে কাল রাবণের চিতা!



যুগে যুগে সে যে নব নব রূপে আসে মহাসেনাপতি,
যুগে যুগে হন শ্রীভগবান যে তাঁহারই রথ-সারথি!
যুগে যুগে আসে গীতা-উদ্‌গাতা
ন্যায়-পান্ডব-সৈন্যের ত্রাতা।
অশিব-দক্ষযজ্ঞে যখনই মরে স্বাধীনতা-সতী,
শিবের খড়্গে তখনই মুণ্ড হারায়েছে প্রজাপতি!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.