নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নেটিভ আমেরিকানরা একসময় আবার সাইবেরিয়ায় ফিরে গিয়েছিল।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫৪

৫০০ বছর আগে উত্তর-পূর্ব সাইবেরিয়ার কামচাটকা উপদ্বীপে একটি নদীর তীরে মারা যাওয়া তিন ব্যক্তির দেহাবশেষ একটি অপ্রত্যাশিত রহস্য প্রকাশ করেছে। তাদের ডিএনএ উত্তর আমেরিকার মানুষের সাথে মিল আছে। অন্যান্য প্রাচীন এবং আধুনিক জিনোমের সাথে তুলনা করলে দেখায় যে আজকের নেটিভ আমেরিকানদের পূর্বপুরুষরা এশিয়া থেকে আসলেও তাদের যাত্রা একমুখী ছিল না। অর্থাৎ এশিয়া এবং উত্তর আমেরিকার মধ্যে যাতায়াত ছিল। হাজার হাজার বছর ধরে, বেরিং সাগর অঞ্চলটি একটি আন্তঃমহাদেশীয় সংযোগ হিসাবে কাজ করেছিল। উভয় পরের মানুষরা নৌকায় করে যাতায়াত করেছে।

তবে এশিয়া থেকে মানুষ উত্তর আমেরিকাতে অভিবাসন করলে আবার কেন তারা উত্তর আমেরিকা থেকে এশিয়াতে ফিরে এসেছিল? এটা একটা জটিল প্রশ্ন। আবার বাস্তববাদী চিন্তা করলে এটা ভাবা যায় যে মানুষ ইচ্ছামত এবং সুবিধামত দুই মহাদেশের মধ্যে যাতায়াত করেছে।

প্রায় ২০ হাজার বছর আগে, সাইবেরিয়ায় বসবাসকারী লোকেরা বেরিং স্ট্রেইট পেরিয়ে আলাস্কায় যাত্রা করেছিল এবং আমেরিকার মধ্য দিয়ে দক্ষিণে ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই সময়ে সমুদ্রে পানির উচ্চতা অনেক কম ছিল। ফলে শিকারি-সংগ্রহকারী মানুষরা বরফজমা সমুদ্র পায়ে হেঁটে অতিক্রম করেছিল বা এর উপকূল বরাবর নৌকায় করে নতুন মহাদেশে পারি দিয়েছিল।

সাড়ে ১১ হাজার বছর আগে যখন বরফ যুগ শেষ হয়েছিল তখন হিমবাহ গলে গিয়েছিল। এতে বেরিং সাগরের পানি বেড়ে গিয়েছিল। সাগরের পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে এশিয়া এবং আমেরিকা এই দুটি মহাদেশের সহজ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। কিন্তু অভিবাসীদের আগমন অব্যাহত ছিল। ফলে আদিবাসী আমেরিকানদের সাথে পরে আসা এশিয়ানদের মিশ্রণের ফলে নতুন জেনেটিক ধারার সৃষ্টি হয়। ৫ হাজার বছর আগে মানুষ আলাস্কা এবং উত্তর কানাডা জুড়ে বসতি স্থাপন করেছিল।

গবেষকরা জেনেটিক এবং ভাষা গত প্রমাণের উপর ভিত্তি করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে ২২০০ থেকে ৫০০ বছর আগে, উত্তর-পশ্চিম আলাস্কায় বসবাসকারী মানুষরা বেরিং সাগর পারি দিয়ে সাইবেরিয়ায় ফিরে এসেছিল। অর্থাৎ ৫ হাজার বছর আগে সাইবেরিয়া থেকে মানুষ বেরিং সাগর পারি দিয়ে উত্তর আমেরিকার আলাস্কায় বসতি স্থাপন করলেও ৫০০ বছর আগে আবার আলাস্কা থেকে সাইবেরিয়াতে ফিরে গিয়েছিল।

রাশিয়ান প্রত্নতাত্ত্বিকরা কামচাটকা নদীর তীরে একটি স্থান খনন করে তিনজনের দেহাবশেষ খুঁজে পান। ডিএনএ বিশ্লেষণ করে গবেষকরা দেখতে পান যে এই লোকেরা আধুনিক সময়ের কামচাটকান জনসংখ্যার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। তবে তাদের জিনে উত্তর আমেরিকায় বসবাসকারী গোষ্ঠীগুলির সাথে মিল আছে।

এই গবেষণায় আবার উল্টো ঘটনা দেখা যায়। অর্থাৎ মানুষ আলাস্কা থেকে সাইবেরিয়ায় ৫ হাজার বছর আগে ফিরে এসেছিল। আবার দেড় হাজার বছর আগে সাইবেরিয়া থেকে আলাস্কা দিয়ে উত্তর আমেরিকায় বসতি স্থাপন করেছে।

তবে গত ৫ হাজার বছরের মধ্যে কতবার সাইবেরিয়া থেকে আলাস্কা আবার আলাস্কা থেকে সাইবেরিয়াতে মানুষ বসতি স্থাপন করে তা সঠিক ভাবে বলা সম্ভব না। তবে এটা নিশ্চিত করে বলা যায় একাধিক বার মানুষ এই দুই অঞ্চলের মধ্যে অভিবাসন করেছে।

সাইবেরিয়াতে পাওয়া ছয়টি জিনোম পর্যালোচনা করে গবেষণায় এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে সাইবেরিয়া একটা ক্রসরোড হিসাবে কাজ করেছে। অর্থাৎ মানুষ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সাইবেরিয়াতে এসে বসতি স্থাপন করেছে। আবার কিছু কাল পরে সাইবেরিয়া থেকে অন্য কোথাও চলে গেছে। সাড়ে পাঁচ থেকে সাড়ে সাত হাজার বছর আগে এই ছয় জন, যাদের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে, মঙ্গোলিয়ার নিকটবর্তী পার্বত্য আলতাই অঞ্চল থেকে সাইবেরিয়াতে এসেছে। আবার এই ছয় জন আলতাই শিকারি-সংগ্রাহকদের মধ্যে পাঁচজন এমন একটি জনসংখ্যার অন্তর্গত ছিল যা স্পষ্টতই পরবর্তীকালে বেশ কিছু বংশধারার জন্ম দিয়েছে যারা ব্রোঞ্জ যুগে মধ্য এশিয়ার ছড়িয়ে পড়েছিল। ছয়টি দেহাবশেষের মধ্যে একজনকে আচার-অনুষ্ঠান সহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল। ধারণা করা হয় তিনি একজন কবিরাজ বা ওঝা হতে পারেন। সে উত্তর-পূর্ব এশীয় বংশ থেকে এসেছে। আবার এশিয়ার পশ্চিম অংশেও এই বংশের জিনোম পাওয়া গেছে। চীনের সাথে রাশিয়ার সুদূর পূর্ব সীমান্তের কাছে ৭ হাজার বছর পুরানো একটি দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। তাদের পূর্বপুরুষের জাপানি দ্বীপপুঞ্জে বাস করত যারা জোমন পিপুল নামে পরিচিত। জোমন প্রায় ৩০ হাজার বছর আগে এই দ্বীপগুলি বসতি স্থাপন করেছিল, কিন্তু জিনোমটি থেকে জানা যায় যে দ্বীপবাসীরা মূল ভূখণ্ডের জনসংখ্যার সাথে অন্তত কিছু যোগাযোগ বজায় রেখেছিল।
সূত্র: https://www.science.org/


মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২৫

বিজন রয় বলেছেন: কত কত হাজার বছর ধরে মানুষ বসবাস করে আসছে পৃথিবীতে।
ভাবলে মাথা গুলিয়ে যায়।

আরো একটি ইতিহাস পড়া হলো আপনার বদৌলতে।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: যদি আমরা আধুনিক মানুষের কথা বলি, তাহলে পৃথিবীতে মানুষের বসবাসের সময়কাল প্রায় ২ লাখ বছর। আধুনিক মানুষ প্রথম আফ্রিকায় আবির্ভূত হয়েছিল প্রায় ২ লাখ বছর আগে। এরপর তারা পৃথিবীর অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।

কিন্তু যদি আমরা আরও বিস্তৃতভাবে "মানুষ" বলতে বুঝি, তাহলে পৃথিবীতে মানুষের বসবাসের সময়কাল আরও বেশি। কারণ, আধুনিক মানুষের আগেও পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের মানুষের অস্তিত্ব ছিল। যেমন, নিয়ান্ডারথাল মানুষ, হোমো হাইডেলবার্গেনসিস, হোমো হেবেলস, ইত্যাদি। এই প্রাচীন মানুষরা আধুনিক মানুষের পূর্বপুরুষ ছিল। তারা পৃথিবীতে প্রায় ৪ লাখ বছর ধরে বসবাস করত।

সুতরাং, পৃথিবীতে মানুষের বসবাসের সময়কাল প্রায় ২ লাখ থেকে ৪লাখ বছর।

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪১

কামাল১৮ বলেছেন: জিনোম পর্যালোচনা করেই জানা যায়, আজকের মানব জাতি বিবর্তনের মাধ্যমেই আজকের অবস্থানে এসেছে।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


হ্যাঁ, জিনোম পর্যালোচনা করেই জানা যায়, আজকের মানব জাতি বিবর্তনের মাধ্যমেই আজকের অবস্থানে এসেছে। জিনোম হল DNA এর একটি সম্পূর্ণ সেট, যা একটি জীবের বৈশিষ্ট্য এবং আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে। জিনোম পর্যালোচনা করে, বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে জিনের পার্থক্যগুলি অধ্যয়ন করতে পারেন। এই পার্থক্যগুলি বিবর্তনের প্রক্রিয়া দ্বারা তৈরি হয়।

মানুষের জিনোম পর্যালোচনা করে, বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে আধুনিক মানুষ এবং প্রাচীন মানুষের জিনোমে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। এই পার্থক্যগুলি প্রায় ২ লাখ বছর আগে শুরু হয়েছিল, যখন আধুনিক মানুষ আফ্রিকায় আবির্ভূত হয়েছিল। এরপর, আধুনিক মানুষ পৃথিবীর অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে এবং বিভিন্ন পরিবেশগত পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে শুরু করে। এই প্রক্রিয়াটিতে, জিনের মধ্যে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে, যা আধুনিক মানুষের শারীরিক এবং মানসিক বৈশিষ্ট্যগুলিকে প্রভাবিত করেছে।

জিনোম পর্যালোচনা থেকে জানা যায় যে, মানব বিবর্তন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। আধুনিক মানুষও এখনও বিবর্তনের মধ্য দিয়ে চলছে। এই প্রক্রিয়াটি খুব ধীর, কিন্তু এটি অব্যাহত রয়েছে।


মানব বিবর্তনের কিছু নির্দিষ্ট উদাহরণ হল:

১. মানুষের বুদ্ধিমত্তার বিকাশ

২. মানুষের শরীরের আকার এবং গঠনের পরিবর্তন

৩. মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি

৪. মানুষের নতুন নতুন দক্ষতা অর্জন


এই সমস্ত পরিবর্তনগুলি জিনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে ঘটেছে।

৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৪৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মানুষ যান্ত্রিক হয়েছে মাত্র২০০- ২৫০ বছর আগে।
মানুষ পাটি বোনা শিখেছে ১০ হাজার বছর আগে, এর আরো ২ হাজার বছর পর কাপড় বোনা শিখে।
এর পর ধারালো পাথরাস্ত্র বানানো সিখে এর পর পশু শিকার করে চামড়া দিয়ে দেহ আবৃত করা শিখে।
বস্ত্র ও উন্নত ধাতব অস্ত্র উদ্ভব হওয়ার পরেই ওরা খাদ্য সন্ধানে বা শত্রুপক্ষের ধাওয়া খেয়ে এদিক ওদিক চলে যায়, কিছু মানব গোষ্টি শিকারের পিছে পিছে আরো উত্তর দিকে গেলে হঠাৎ শীত এসে তুষারপাত শুরু হলে কিছু গোষ্ঠি পথ ভুলে আরো ডিপ নর্থে চলে যায় আর ফিরিতে পারেনি। সবুজ বিহীন উত্তর মেরুর কাছে হিমাঙ্কের নীচে ৫০ থেকে ৬০ ডিগ্রী হীমশীতল আবহাওয়ায় ছয়মাসের সুদীর্ঘ অন্ধকারে শুধু আমিষ খেয়ে বরফের ঠান্ডা ঘরে গাদাগাদি করে বেঁচে থাকা, যারা সাহসি ও বুদ্ধিমান তারাই লড়াই করে টিকে যায়। হাস্কি কুকুর পোষ মানায়, স্লেজ গাড়ী বানায়,

হাজার বছর পর একপর্যায়ে বেরিং প্রনালীর জমাট বরফের উপর দিয়ে এদের কয়েক উত্তর আমেরিকায় চলে আসে। সেটাও ইচ্ছাকৃত নয়, নিজেদের উষ্ণ অঞ্চলের পুর্ব অবস্থানে, আর খাদ্যের সন্ধানে, উষ্ণ অঞ্চলের সন্ধানে। পথ ভুলে।
এরাই নেটিভ আমারিকান (বা রেড ইন্ডিয়ান) আকাশের সুর্য তারকা দেখে নেভিগেশন তখনো শিখে উঠতে পারেনি।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৯

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


এই বক্তব্যটি বেশ সঠিক। মানুষ প্রায় 200-250 বছর আগে যান্ত্রিক হয়েছে। এর আগে, মানুষ প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করে এবং প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াগুলিকে কাজে লাগিয়ে তাদের জীবনধারণ করত। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে মানুষ আরও বেশি যান্ত্রিক হয়ে উঠেছে। তারা এখন বিভিন্ন মেশিন এবং সরঞ্জাম ব্যবহার করে তাদের কাজগুলি সম্পাদন করে।

মানুষ প্রথমে পাটি বোনা শিখেছে, তারপর কাপড় বোনা শিখেছে। এরপর তারা ধারালো পাথর তৈরি করতে শিখেছে এবং পশু শিকার করে চামড়া দিয়ে নিজেদের শরীর আবৃত করতে শিখেছে। এই সমস্ত আবিষ্কারগুলি মানুষকে আরও বেশি উন্নত জীবনযাপন করতে সাহায্য করেছে।

উত্তর আমেরিকায় নেটিভ আমেরিকানরা বেরিং প্রণালীতে জমে থাকা বরফের উপর দিয়ে উত্তর আমেরিকায় এসেছিল। তারা খাদ্যের সন্ধানে এবং উষ্ণ অঞ্চলে বসবাসের জন্য এই যাত্রা করেছিল।

মানুষ একটি ক্রমবর্ধমান এবং পরিবর্তনশীল প্রজাতি। আমরা ক্রমাগত নতুন জিনিস শিখছি এবং আমাদের জীবনযাপনকে উন্নত করার জন্য নতুন উপায় খুঁজছি।


এখানে কিছু অতিরিক্ত তথ্য:

১. প্রায় ১০ হাজার বছর আগে, মানুষ প্রথম পশুপালন শুরু করে। এটি তাদের খাদ্যের উৎসকে স্থিতিশীল করতে এবং তাদের আরও বেশি স্থায়ী বসতি স্থাপন করতে সাহায্য করেছিল।

২. প্রায় ৫ হাজার বছর আগে, মানুষ প্রথম কৃষি শুরু করে। এটি তাদের আরও বেশি খাদ্য উৎপাদন করতে সাহায্য করেছে এবং তাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে।

৩. প্রায় ৩ হাজার বছর আগে, মানুষ প্রথম ধাতুবিদ্যা আবিষ্কার করে। এটি তাদের আরও শক্তিশালী এবং টেকসই সরঞ্জাম এবং অস্ত্র তৈরি করতে সাহায্য করেছে।

৪. প্রায় দেড় হাজার বছর আগে, মানুষ প্রথম মুদ্রার ব্যবহার শুরু করে। এটি বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক বিকাশকে সহজতর করেছে।

৫. প্রায় পাঁচ শত বছর আগে, মানুষ প্রথম ছাপাখানা আবিষ্কার করে। এটি জ্ঞান এবং তথ্যের বিস্তারকে সহজতর করেছে।

৬. প্রায় দুই শত বছর আগে, মানুষ প্রথম যান্ত্রিক শিল্প বিপ্লব শুরু করে। এটি উৎপাদনশীলতা এবং মানব জীবনযাত্রার মানকে দ্রুত উন্নত করেছে।


এই সমস্ত আবিষ্কার এবং উদ্ভাবনগুলি মানুষকে আরও বেশি যান্ত্রিক হতে সাহায্য করেছে। আমরা এখন বিভিন্ন মেশিন এবং সরঞ্জাম ব্যবহার করে আমাদের কাজগুলি সম্পাদন করি। আমরা এখনও প্রকৃতির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত, তবে আমরা প্রযুক্তির উপরও নির্ভর করি।

৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:২০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


ধন্যবাদ।

৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৪৫

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: রিং অফ ফায়ার নিয়ে পড়াশুনার সময়ে কামচাটকা নিয়ে অনেক চমকপ্রদ ব্যাপার স্যাপার জেনেছিলাম। তাতে আগ্রহ পেয়েছিলাম অনেক।

আপনার লেখা পড়ে কামচাটকা নিয়ে জানার আগ্রহ আরও বেড়ে গেল।

কামচাটকা নিয়ে আরও বিস্তারিত কিছু জানলে, জানাবেন।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৩

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


কামচাটকা: আগুন ও বরফের দেশ

কামচাটকা, রাশিয়ার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত একটি উপদ্বীপ, এটি অবিশ্বাস্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বৈচিত্র্যময় বন্যপ্রাণী এবং অনন্য সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতার দেশ।

১. আগ্নেয়গিরি:

কামচাটকাকে বলা হয় আগ্নেয় কার্যকলাপের কেন্দ্রবিন্দু। এখানে তিন শতটিরও বেশি আগ্নেয়গিরি রয়েছে, যার মধ্যে ২৯ টি সক্রিয়। আইকনিক ক্লুচেভস্কায়া সোপকা ইউরেশিয়ার বৃহত্তম সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। এটা ১৫,৮৮১ ফুট উঁচু। এখানে জ্বলন্ত অগ্ন্যুৎপাত, বাষ্পীয় ফুমারেল এবং ফুটন্ত কাদা পুকুর দেখা একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা।

২. প্রাকৃতিক সৌন্দর্য:

আগ্নেয়গিরি ছাড়াও কামচাটকায় অনেক বৈচিত্র্যময় জিনিস আছে। বীচ, অ্যালডার এবং লার্চ গাছের ঘন বন। ঝর্ণা, হ্রদ এবং নদীর স্বচ্ছ পানিতে মাছের প্রাচুর্য। আগ্নেয় শিলা, উঁচু খাড়া পাহাড়, ঝর্ণাধারার জলপ্রপাত এবং বাষ্পীয় গরম ঝর্ণা উপত্যকায় নাটকীয় দৃশ্যাবলী তৈরি করে।

৩. বন্যপ্রাণীর স্বর্গ:

কামচাটকা বন্যপ্রাণী উৎসাহীদের জন্য একটি স্বর্গ। ইউরেশিয়ার বৃহত্তম স্থল শিকারী বাদামী ভাল্লুক, বনগুলিতে ঘুরে বেড়ায়। রেইনডিয়ার পালগুলি ঘাসের মাঠে চারণ করে। সীল পাথুরে উপকূলে রোদ পোহায়, যখন তিমি এবং ডলফিন সমুদ্রের গভীরে ভেসে যায়। পাখির পর্যবেক্ষকরা ৪ শতটিরও বেশি প্রজাতির মধ্যে স্টেলারের সমুদ্র ঈগল এবং তুষার বুলবুলি দেখতে পারেন।

৪. সাংস্কৃতিক তালিকা:

কামচাটকার আদিবাসী সম্প্রদায় কোরিয়াক এবং ইটেলমেন সহস্রাব্দ ধরে এই ভূমিতে বাস করে। তাদের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য তাদের সঙ্গীত, নৃত্য এবং গল্প বলায় স্পষ্ট। ঐতিহ্যবাহী গ্রামগুলি ঘুরলে তাদের প্রাচীন রীতিনীতি দেখতে পাবেন।

৫. অ্যাডভেঞ্চার:

ভ্রমণের সময় আগ্নেয়গিরি ল্যান্ডস্কেপগুলির মধ্য দিয়ে ট্রেকিং, বরফের নদীতে কায়কিং, স্বচ্ছ ঢালগুলিতে হেলি-স্কি এবং প্রাকৃতিক গরম ঝর্ণায় ডুবে থাকার মতো কামচাটকা সব স্তরের অ্যাডভেঞ্চারের অনেক কিছু আছে। যারা হাঁটা পছন্দ করেন তারা আইকনিক আভাচিনস্কি আগ্নেয়গিরি আরোহণ করতে পারেন। সেখানে রোমাঞ্চকররা সাদা পানির রাফটিং বা প্যারাগ্লাইডিংয়ের অ্যাড্রেনালিন রাশকে অনুভব করতে পারেন।

৬. চ্যালেঞ্জ এবং সৌন্দর্য:

কামচাটকা একটি দূরবর্তী এবং চ্যালেঞ্জিং গন্তব্য। জলবায়ু কঠোর, দীর্ঘ সময় ধরে প্রচুর ঠান্ডা শীত এবং খুব অল্প সময়ের জন্য শীতল গ্রীষ্ম কাল।

আমি কখনো যাই নাই।
ইন্টারনেট ঘেটে আপনার জন্য।
উপভোগ করুন।

৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮

শাহ আজিজ বলেছেন: ভাল লাগলো পড়ে । এরকম আরও লেখা চাই জ্ঞানার্জনের জন্য ।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৩৩

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


ধন্যবাদ।

৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: ইতিহাস আমার প্রিয় বিষয়।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৩৩

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:

ধন্যবাদ।

৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৫

বিজন রয় বলেছেন: সুতরাং, পৃথিবীতে মানুষের বসবাসের সময়কাল প্রায় ২ লাখ থেকে ৪লাখ বছর।

তখন পৃথিবীর এতসব যে ধর্ম, যার জন্য এত মারামারি, কাটাকটি, সেসব ধর্ম কোথায় ছিল?

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৪৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:

দুই থেকে চার লক্ষ বছরে মানুষের নিম্নলিখিত বিবর্তনগুলি হয়েছে:

১. মানুষের বুদ্ধিমত্তার বিকাশ

২. মানুষের শরীরের আকার এবং গঠনের পরিবর্তন

৩. মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি

৪. মানুষের নতুন নতুন দক্ষতা অর্জন

এই বিবর্তনগুলির ফলে বর্তমানে প্রচলিত ধর্মগুলির আবির্ভাব ঘটেছে।

যেমন, দুই লক্ষ বছর আগের মানুষের বুদ্ধিমত্তা আর এখনকার মানুষের বুদ্ধিমত্তা একরকম না। তাই বর্তমানে প্রচলিত ধর্ম দুই লক্ষ বছর আগের মানুষের বুদ্ধিমত্তার সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ নয়। আবার ঐ সময়ের ধর্ম বর্তমান সময়ের উপযোগী হবে না।

৯| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৫৮

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। কামচাটকা সম্পর্কিত তথ্যগুলোর জন্য। পোস্ট প্রিয়তে রেখে দিলাম।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৪৬

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.