নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
কাজের কোন স্বীকৃতি পাওয়া যাবেনা জেনেও অনেক মানুষ নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যান। এর কারণগুলো নিম্নরূপ:
কর্তব্যবোধ:
অনেক মানুষ তাদের কর্তব্যবোধ থেকে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যান। তারা মনে করেন যে, তাদের কাজের মাধ্যমে তারা সমাজের প্রতি তাদের কর্তব্য পালন করছেন।
মানুষ একটি সামাজিক জীব। তারা সমাজের অংশ এবং সমাজের অন্য সদস্যদের সাথে সম্পর্কযুক্ত। এই সম্পর্ক থেকেই মানুষের মধ্যে কর্তব্যবোধের জন্ম হয়। কর্তব্যবোধ হল এমন একটি ধারণা যা মানুষকে তাদের সমাজের প্রতি কিছু দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য করে।
কর্তব্যবোধ থেকে নিষ্ঠার সাথে কাজ করার অনেক কারণ রয়েছে।
প্রথমত, মানুষ মনে করে যে, তাদের কাজের মাধ্যমে তারা সমাজের প্রতি তাদের কর্তব্য পালন করছেন। তারা মনে করেন যে, তাদের কাজের মাধ্যমে তারা সমাজের উন্নতি ও কল্যাণে অবদান রাখতে পারছেন।
দ্বিতীয়ত, মানুষ মনে করে যে, তাদের কাজের মাধ্যমে তারা সমাজের অন্যান্য সদস্যদের প্রতি তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। তারা মনে করেন যে, তাদের কাজের মাধ্যমে তারা অন্যদের সাহায্য ও সমর্থন করতে পারছেন।
তৃতীয়ত, মানুষ মনে করে যে, তাদের কাজের মাধ্যমে তারা নিজের প্রতি তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। তারা মনে করেন যে, তাদের কাজের মাধ্যমে তারা নিজেদের সম্মান ও মর্যাদা বজায় রাখতে পারছেন।
আত্মবিশ্বাস:
অনেক মানুষ তাদের কাজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী হওয়ার কারণে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যান। তারা মনে করেন যে, তাদের কাজের মাধ্যমে তারা সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
আত্মবিশ্বাস হল এমন একটি ধারণা যা মানুষকে তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য অনুপ্রাণিত করে। আত্মবিশ্বাসী মানুষরা মনে করে যে, তারা যেকোনো কাজ করতে পারে এবং তারা অবশ্যই সফল হবে। এই আত্মবিশ্বাস তাদের নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে।
আত্মবিশ্বাস থেকে নিষ্ঠার সাথে কাজ করার অনেক কারণ রয়েছে।
প্রথমত, আত্মবিশ্বাসী মানুষরা মনে করে যে, তাদের কাজের মাধ্যমে তারা সফলতা অর্জন করতে পারবেন। তারা মনে করে যে, তাদের কাজের প্রতি তাদের প্রচেষ্টা ও নিষ্ঠা অবশ্যই ফলপ্রসূ হবে।
দ্বিতীয়ত, আত্মবিশ্বাসী মানুষরা মনে করে যে, তাদের কাজের মাধ্যমে তারা নিজেদের প্রতি সন্তুষ্ট হতে পারবেন। তারা মনে করে যে, তাদের কাজের মাধ্যমে তারা নিজেদের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারবেন।
তৃতীয়ত, আত্মবিশ্বাসী মানুষরা মনে করে যে, তাদের কাজের মাধ্যমে তারা অন্যদের অনুপ্রাণিত করতে পারবেন। তারা মনে করে যে, তাদের কাজের মাধ্যমে তারা অন্যদের সফল হতে সাহায্য করতে পারবেন।
আত্মতুষ্টি:
অনেক মানুষ কাজের মাধ্যমে আত্মতুষ্টি অর্জনের জন্য নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যান। তারা মনে করেন যে, তাদের কাজের মাধ্যমে তারা নিজেকে পূর্ণতা দিতে পারবেন।
মানুষের মনে আত্মতুষ্টি অর্জনের একটি প্রাকৃতিক চাহিদা রয়েছে। আত্মতুষ্টি হল এমন একটি অনুভূতি যা মানুষকে তাদের কাজের মাধ্যমে অর্জন করে। আত্মতুষ্টি মানুষকে তাদের জীবনকে অর্থপূর্ণ ও সন্তোষজনক করে তোলে।
কাজের মাধ্যমে আত্মতুষ্টি অর্জনের অনেক কারণ রয়েছে।
প্রথমত, কাজের মাধ্যমে মানুষ তাদের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারে। তারা তাদের দক্ষতা ও জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে কিছু সৃজনশীল বা মূল্যবান কাজ করতে পারে। এই কাজের মাধ্যমে তারা নিজেদের প্রতি সন্তুষ্ট হতে পারে।
দ্বিতীয়ত, কাজের মাধ্যমে মানুষ অন্যদের সাহায্য করতে পারে। তারা তাদের কাজের মাধ্যমে সমাজের উন্নতি ও কল্যাণে অবদান রাখতে পারে। এই কাজের মাধ্যমে তারা নিজেদের প্রতি গর্ব অনুভব করতে পারে।
তৃতীয়ত, কাজের মাধ্যমে মানুষ নিজেকে পূর্ণতা দিতে পারে। তারা তাদের কাজের মাধ্যমে নিজেদের জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে পারে। এই কাজের মাধ্যমে তারা জীবনে সার্থকতা অর্জন করতে পারে।
কাজের মাধ্যমে আত্মতুষ্টি অর্জনের জন্য নিষ্ঠার সাথে কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ। নিষ্ঠাপূর্ণ কাজের মাধ্যমে মানুষ তাদের কাজের প্রতি গভীর অনুভূতি তৈরি করতে পারে। এই অনুভূতি তাদের কাজের মাধ্যমে আত্মতুষ্টি অর্জনে সহায়তা করে।
সহানুভূতি:
অনেক মানুষ অন্যদের প্রতি সহানুভূতি থেকে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যান। তারা মনে করেন যে, তাদের কাজের মাধ্যমে তারা অন্যদের সাহায্য করতে পারবেন।
সহানুভূতি হল এমন একটি অনুভূতি যা মানুষ অন্যদের দুঃখ-কষ্ট অনুভব করতে পারে। সহানুভূতিশীল মানুষরা অন্যদের সাহায্য করতে চায়। এই সহানুভূতি তাদের নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে।
সহানুভূতি থেকে নিষ্ঠার সাথে কাজ করার অনেক কারণ রয়েছে।
প্রথমত, সহানুভূতিশীল মানুষরা মনে করে যে, তাদের কাজের মাধ্যমে তারা অন্যদের সাহায্য করতে পারবেন। তারা মনে করে যে, তাদের কাজের মাধ্যমে তারা অন্যদের দুঃখ-কষ্ট দূর করতে পারবেন।
দ্বিতীয়ত, সহানুভূতিশীল মানুষরা মনে করে যে, তাদের কাজের মাধ্যমে তারা অন্যদের জীবনকে আরও সুন্দর করে তুলতে পারবেন। তারা মনে করে যে, তাদের কাজের মাধ্যমে তারা অন্যদের জন্য একটি সুন্দর পৃথিবী তৈরি করতে পারবেন।
তৃতীয়ত, সহানুভূতিশীল মানুষরা মনে করে যে, তাদের কাজের মাধ্যমে তারা অন্যদের সাথে একটি গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবেন। তারা মনে করে যে, তাদের কাজের মাধ্যমে তারা অন্যদের ভালোবাসা ও সমর্থন পেতে পারবেন।
তাই আপনার কাজের জন্য কোন স্বীকৃতি পাওয়া আশা না করে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যান।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩১
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
আপনার প্রতি বিশ্বাস এবং পূর্ণ সহানুভূতি রেখে কয়েকটা কথা বলছি --
১. অধিকাংশ মানুষ কাজ করে স্বীকৃতি পাওয়ার আশায়। এটা কোন দোষের বিষয় না। এটাই মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা। তাই একটা শিশু যখন কোন একটা কাজ করে, যেমন একটা ছবি আঁকলে তা বড়দেরকে দেখায়, স্বীকৃতি পাওয়ার আশায়, যে সে খুব সুন্দর ছবি আঁকতে পারে। বড়রাও, ছবি যেমনই হউক, উৎসাহ দেয়ার জন্য বলে, খুব সুন্দর হয়েছে।
২. চাকুরীর ক্ষেত্রে --
(ক) চাকুরীর ক্ষেত্রে আপনি স্বাধীন না। আপনাকে আপনার নিয়োগকর্তা বা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ইচ্ছা অনুসারে কাজ করতে হবে অথবা চাকুরী ছেড়ে দিতে হবে।
(খ) মাস শেষে আপনাকে বেতন দিচ্ছে এটাই চাকুরীর স্বীকৃতি। আপনার কাজ পছন্দ না হলে দয়া করে আপনাকে চাকুরীতে রাখবে না।
২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১০
রাজীব নুর বলেছেন: আমি এক অফিসে কাজ করতাম। সেখানে টানা ছয় বছর কাজ করেছি। ছব্য বছরে ৬ দিন ছুটি নেই নাই। এমনকি কোনো দিন দেরী করে অফিসে যাই নাই। এবং অফিস ছুটি হওয়ার আগে অফিস থেকে বের হই নাই। অফিস আমাকে কোনো স্বীকৃতি দেয় নাই।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪২
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
আপনাকে আপনার অফিস স্বীকৃতি দেয় নাই, এটা কেন বলছেন?
বেতন দেয় নাই?
কাজ করিয়ে বেতন না দিলে সেটা দুর্নীতি।
চাকরীচ্যুত করেছে?
চাকুরিচ্যুত করলে মনে রাখবেন আপনার কাজ তাদের পছন্দ হয় নাই।
আপনাকে যে আপনার অফিস ছয় বছর বেতন দিয়েছে এটাই স্বীকৃতি।
আপনি যদি অফিসের কাজ ঠিকমত করতে না পারতেন তাহলে ছয় বছর না, এক মাস পরেই আপনাকে বিদায় করে দিত।
যারা চাকরি করে তাদের স্বীকৃতি হচ্ছে বেতন এবং পদোন্নতি।
পদোন্নতির ব্যাপারে অনেকের একটা ভুল ধারণা আছে যে ভাল কাজ করলেই পদোন্নতি হবে।
না, এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।
চাকুরীতে পদোন্নতির একটাই শর্ত সেটা হচ্ছে নিয়োগকর্তা বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সন্তুষ্টি অনুসারে কাজ করা।
৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯
বিজন রয় বলেছেন: কাজের কোন স্বীকৃতি পাওয়া যাবেনা জেনেও অনেক মানুষ নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যান............. এই জন্যই তো পৃথিবী এত উন্নত হয়েছে।
তবে কোথায় কাজ করছে এটা খেয়াল রাখতে হবে, উপরে রাজীর নূর যেমন বলেছেন।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪৬
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
এই জন্যই তো পৃথিবী এত উন্নত হয়েছে।
এই কথার সাথে একমত হয়ে আরো বলা যায়, এই জন্যই পৃথিবী সুন্দর হয়েছে, এবং বসবাসযোগ্য হয়েছে।
রাজীর নূরের উদাহরণের সাথে আমি ভিন্নমত পোষণ করে এই ব্যাপারে উপরে আমার মতামত দিয়েছি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৪৪
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: সেটাই করেছিলাম। উল্টো অপমান করেছিলো, ঘুষ দিয়ে চাকরি করবো না জন্য...
পরে এমন অবস্থা করেছিলো আমাকে, নিজ থেকে রিজাইন দিয়ে বের হতে হলো...