নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
জীবনে সফল হতে হলে নিজের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যগুলি স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে। এরপর সেই লক্ষ্যগুলি অর্জনের জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। এই পরিকল্পনা অনুসারে কাজ করা এবং অন্যের কথা বা কাজের দ্বারা প্রভাবিত হওয়া এড়াতে পারলে জীবনে সাফল্য অর্জনের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
নিজের পরিকল্পনা অনুসারে কাজ করা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
নিজের পরিকল্পনা অনুসারে কাজ করলে লক্ষ্য অর্জনের সম্ভাবনা বাড়ে। কারণ পরিকল্পনা লক্ষ্য অর্জনের জন্য নির্দিষ্ট পথ দেখায়। এটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে তা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে।
নিজের পরিকল্পনা অনুসারে কাজ করলে লক্ষ্যবদ্ধ থাকতে সাহায্য করে। কারণ পরিকল্পনা লক্ষ্যের দিকে মনোনিবেশ করতে সাহায্য করে। এটি অন্যদের কথা বা কাজের দ্বারা বিভ্রান্ত হতে বাধা দেয়।
নিজের পরিকল্পনা অনুসারে কাজ করলে তা আরও আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। কারণ কেউ যখন পরিকল্পনা অনুসারে কাজ করে এবং নিদিষ্ট লক্ষ্য অর্জন করে, তখন সে নিজের সম্পর্কে ভালো অনুভব করে। এটি মানুষকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তোলে এবং নতুন নতুন লক্ষ্য অর্জনের জন্য অনুপ্রাণিত করে।
অন্যের কথা বা কাজের প্রতিক্রিয়া দেখাতে কিছু করা কেন ক্ষতিকর?
অন্যের কথা বা কাজের প্রতিক্রিয়া দেখাতে কিছু করলে নিদিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে বাধা সৃষ্টি হয়। কারণ যখন কেউ অন্যদের কথা বা কাজের দ্বারা প্রভাবিত হয়, তখন সে নিজে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। সে তার মনের অজান্তেই অন্যদের চাওয়া বা আশা অনুসারে কাজ করতে বাধ্য হয়।
অন্যের কথা বা কাজের প্রতিক্রিয়া দেখাতে কিছু করলে আত্মবিশ্বাস কমে যায়। কারণ যখন কেউ অন্যদের চাওয়া বা আশা অনুসারে কাজ করে, তখন সে নিজের সম্পর্কে ভালো অনুভব করে না। এটি আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয় এবং লক্ষ্য অর্জনের জন্য অনুপ্রেরণা নষ্ট হয়ে যায়।
কীভাবে অন্যের কথা বা কাজের দ্বারা প্রভাবিত হওয়া এড়াবেন?
নিজের পরিকল্পনা অনুসারে কাজ করতে এবং অন্যের কথা বা কাজের দ্বারা প্রভাবিত হওয়া এড়াতে হলে আমাদেরকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মনে রাখা উচিত:
১. লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যগুলি স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করুন। লক্ষ্যগুলি অর্জনের জন্য কী কী করতে হবে তা স্পষ্টভাবে জানুন।
২. লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যগুলি অর্জনের জন্য একটি বাস্তববাদী পরিকল্পনা তৈরি করুন। পরিকল্পনাটি এমন হওয়া উচিত যা আপনি বাস্তবায়ন করতে পারেন।
৩. পরিকল্পনা অনুসারে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হোন। আপনার লক্ষ্যগুলি অর্জনের জন্য প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম করুন।
৪. অন্যের কথা বা কাজের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার কারণগুলি বুঝুন। আপনি কেন অন্যদের কথা বা কাজের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছেন তা বুঝতে চেষ্টা করুন।
৫. অন্যের কথা বা কাজের দ্বারা প্রভাবিত না হওয়ার জন্য কৌশল তৈরি করুন। যখন আপনি অন্যদের কথা বা কাজের দ্বারা প্রভাবিত হতে যাচ্ছেন তখন নিজেকে থামান এবং আপনার পরিকল্পনায় ফিরে আসুন।
এছাড়াও আমাদের নিজেদেরকে প্রশ্ন করা উচিত যে আমরা কীভাবে এবং কি কারণে অন্যদের কথা বা কাজের প্রতিক্রিয়ায় কিছু করি।
নিজেকে প্রশ্ন করুন:
আমরা কি অন্যদের প্রশংসা বা অনুমোদন পেতে চাই?
আমরা কি অন্যদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই?
আমরা কি অন্যদের দেখাতে চাই যে আমরা কতটা ভালো?
আমরা কি অন্যদের দেখাতে চাই যে আমরা কতটা শক্তিশালী বা ক্ষমতাবান?
যদি আমরা এই প্রশ্নগুলির উত্তর দিতে পারি, তাহলে আমরা বুঝতে পারব যে আমরা কেন অন্যদের কথা বা কাজের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছি। এরপর আমরা এই কারণগুলি মোকাবেলা করতে পদক্ষেপ নিতে পারি।
নিজের পরিকল্পনা অনুসারে কাজ করা এবং অন্যের কথা বা কাজের দ্বারা প্রভাবিত হওয়া এড়াতে পারলে আমরা জীবনে সাফল্য অর্জনের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারি।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৫
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
আমার মনে হয় ব্যস্ততার কারণে আপনি সবটা লেখা পড়ার সময় পান নাই। আপনার এই মন্তব্যের বিস্তারিত ব্যাখ্যা এবং বিশ্লেষণে লেখাতেই আছে।
এখানে নিজের পরিকল্পনা কথাটার অর্থ হচ্ছে অন্যের কথা বা কাজের প্রতিক্রিয়া হিসাবে কোন কাজ না করা। সক্রিয় বা proactive অর্থে নিজের পরিকল্পনা শব্দ-বন্ধ ব্যবহার করা হয়েছে। অধিকাংশ সময় মানুষ সক্রিয় বা নিজের পরিকল্পনা অনুসারে কাজ না করে অন্যের কথা বা কাজের প্রতিক্রিয়া বা reaction হিসাবে কাজ করে।
যখনি কোন মানুষ অন্য কোন মানুষের কোন কথা বা কাজের প্রতিক্রিয়া বা reaction হিসাবে কোন কাজ করে তখন সে তার মনের অজান্তেই সেই মানুষটির পরিকল্পনার অনুসারে কাজ করতে থাকে। এই অর্থে বলা হয়েছে আপনি আপনার নিজের পরিকল্পনা অনুসারে কাজ করুন।
আপনি আপনার মূল লক্ষ্য ঠিক রেখে স্থান, কাল, পাত্র অনুসারে পরিকল্পনা সমন্বয় করতে পারেন। এতে দোষের কিছু নাই। এমন কি মূল লক্ষ্য যদি জটিল এবং কঠিন হয় তখন বুদ্ধিমানরা একাধিক পরিকল্পনা করে রাখে। যেমন, প্ল্যান এ, প্ল্যান বি ইত্যাদি। প্ল্যান এ কার্যকর না হলে প্ল্যান বি, তাও না হলে প্ল্যান সি এই ভাবে এগুতে থাকে।
আশা করি বিষয়টি পরিষ্কার করতে পেরেছি।
২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২১
রাজীব নুর বলেছেন: কি সুন্দর ও সহজ করে লিখেছেন।
কিন্তু বাস্তব জীবন অনেক কঠিন।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২২
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
যেমন সুন্দর ও সহজ করে লিখেছি বাস্তব জীবনেও তেমনি সুন্দর এবং সহজ।
বাড়িতে বা স্কুলে এইগুলি আমাদেরকে শিখানো হয় না। তাই বাস্তব জীবনে এই কথাগুলি শুনলে অনেক কঠিন মনে হয়।
উদাহরণ সরূপ বলা যায়, যে সাঁতার জানে না, তার কাছে সাঁতার একটা শুধু একটা কঠিন বিষয় না, ভয়েরও বিষয়।
কিন্তু যে সাঁতার জানে বা যাকে ছোটবেলায় সাঁতার শিখানো হয়েছে, তার কাছে বিষয়টা একটা সুন্দর এবং সহজ বিষয়।
যে ছোটকালে বাবামায়ের কাছে বা স্কুলে সাঁতার শিখেছে সে তো ভাগ্যবান।
কিন্তু যে শিখে নাই তাকে দুর্ভাগ্যবান বলা যাবে না।
কারণ সে এখনো বা যেকোনো সময়ই শিখতে পারে, এমন কি বৃদ্ধ বয়সেও।
বরং তাকেই দুর্ভাগ্যবান বলা হবে যে এখনও শিখছে না বা শেখার চেষ্টা করছে না।
আমি আপনাকে নিশ্চিত করে বলতে পারি এই বিষয়গুলি কিছুদিন চর্চা করুন দেখবেন খুব সহজ।
সম্পূর্ণ জীবন ম্যাজিকের মত বদলে যাবে।
আপনি নিজেই আশ্চর্য হয়ে যাবেন, এত সহজ?
এতদিন কেন করি নাই?
ইস! আগে থেকে যদি করতাম জীবন কত সুন্দর হত!
যাইহোক, আফসোস করার দরকার নাই।
আজকে এবং এখন থেকে শুরু করেন।
যদি মনে করেন আগামীকাল থেকে শুরু করবেন, তাহলে মনে রাখুন "আগামী কাল" কোন দিন আপনার জীবনে আসবে না।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:১১
বিজন রয় বলেছেন: নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী সবসময় কাজ করা সম্ভব হয় না, কারণ প্রত্যেকে অন্যের উপর কিছুটা হলেও নির্ভর করতে হয়।