নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওয়াশিংটন ন্যাশনাল ক্যাথেড্রাল: বিশ্বাস ও সৌন্দর্যের আলোকবর্তিকা

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১৬



ওয়াশিংটন ন্যাশনাল ক্যাথেড্রাল, যার অফিসিয়াল নাম Cathedral Church of Saint Peter and Saint Paul in the City and Diocese of Washington । এই ন্যাশনাল ক্যাথেড্রালটি ওয়াশিংটন, ডি.সি.এর কেন্দ্রস্থলে গর্বের সাথে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। ভবনটির বিশালতা, কারুকাজ এবং চারিদিকের পরিবেশ বেশ আকর্ষণ করে।



ভবন নির্মাণে এক শতাব্দী:

আমেরিকার রাজধানীতে একটি জাতীয় ক্যাথেড্রাল নির্মাণের ধারণাটি ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে মাথায় আসে। তবে ১৮৯১ সাল পর্যন্ত এটি বর্তমান কাঠামোতে নির্মাণ শুরু হয়নি।



ক্যাথেড্রালের নকশা ইউরোপের বিখ্যাত ক্যাথেড্রাল, বিশেষ করে ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্সের ক্যাথেড্রালগুলির দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে করা হয়। নিও-গথিক স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত ভবনটির স্থপতি ছিলেন জর্জ ফ্রেডরিক বোডলি এবং ফিলিপ হুবার্ট ফ্রোহম্যান।



ক্যাথেড্রালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল ১৯০৭ সালে। আর এটি সম্পূর্ণ হতে প্রায় ৯০ বছর সময় লেগেছিল। স্থাপত্যবিদ, শিল্পী এবং সমর্থকদের অবিরাম অক্লান্ত শতাব্দী ব্যাপী পরিশ্রমের পর বিল্ডিংটি অবশেষে ১৯৯০ সালে উদ্বোধন করা হয়। প্রজন্মের পর প্রজন্মের দক্ষতা এবং কারুকার্যের প্রমাণ এই ক্যাথেড্রালের নকশা এবং নির্মাণ শৈলী।



উপাসনা এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের একটি মিলন স্থান:

আমেরিকার এপিস্কোপাল চার্চের কেন্দ্রস্থল হিসাবে ওয়াশিংটন ন্যাশনাল ক্যাথেড্রাল সারা বিশ্বের হাজার হাজার খ্রিস্টানদের উপাসনার স্থান হিসেবে বিবেচিত। ক্যাথেড্রালের প্রশস্ত নেভে (চার্চের কেন্দ্রে মূল প্রার্থনা স্থল) নিয়মিত প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয় এবং সারা বছর ধরে কনসার্ট, বক্তৃতা এবং সম্মেলন সহ বিভিন্ন বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।



এছাড়াও ক্যাথেড্রালটির ভিতরে অনেকগুলি চ্যাপেল আছে। প্রতিটি চ্যাপেলের আবার নিজস্ব অনন্য স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য এবং আধ্যাত্মিক পরিবেশ রয়েছে। এই চ্যাপেলগুলি বিয়ে, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া এবং ব্যক্তিগত প্রার্থনা সহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।



ক্যাথেড্রালের কারুকার্যময় রঙিন কাচের জানালাগুলি একটি বিশেষ আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য। এই জানালাগুলি বিশ্বের বিখ্যাত শিল্পীরা তৈরি করেছেন। বাইবেল, আমেরিকান ইতিহাস এবং সাধু সন্ন্যাসীদের জীবনের গল্প শিল্পীরা এই জানালাগুলিতে ফুটিয়ে তুলেছেন। জানালাগুলি সমস্ত ধর্মের দর্শনার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণা এবং সৌন্দর্যের উৎস। এই কাঁচের জানালাগুলির বিখ্যাত শিল্পীরা হচ্ছেন, লুই কমফোর্ট টিফানি (আমেরিকান) মার্ক চাগাল (রাশিয়ান-ফরাসি), কিমিকো নাকামুরা (জাপানি-আমেরিকান), গ্যজো সলিমসি (হাঙ্গেরিয়ান), প্যাট্রিক ক্রেগ (আইরিশ), হ্যান্স গটফ্রাইড ফন স্টকহাউসেন (জার্মান), মারিয়ানা গার্টনার (অস্ট্রিয়ান) এবং নিনেট গুডম্যান (আমেরিকান)।



আমেরিকার আশা ও ঐক্যের প্রতীক:

ওয়াশিংটন ন্যাশনাল ক্যাথেড্রাল আমেরিকার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এখানে উড্রো উইলসন এবং রোনাল্ড রিগান সহ বেশ কয়েকজন আমেরিকার প্রেসিডেন্টের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টের আয়োজন করেছে। নাগরিক অধিকার নেতা, শান্তি কর্মী এবং ট্র্যাজেডির শিকার সহ সকল স্তরের মানুষের জন্য ক্যাথেড্রালটি তীর্থস্থানের মত।



ক্যাথেড্রালের ইতিহাস এবং প্রতীকবাদ এটিকে আমেরিকানদের ঐক্যবদ্ধ করে এমন মূল্যবোধের একটি শক্তিশালী প্রতীক। এটি আমেরিকানদের আশা ও ঐক্যের জায়গা। এখানে সকল পটভূমির মানুষ শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ নিয়ে একত্রিত হতে পারে।



ভ্রমণকারীদের অবশ্যই দেখার গন্তব্য:

ওয়াশিংটন, ডিসি তে যারা ভ্রমণ করতে আসেন তাদের জন্য ওয়াশিংটন ন্যাশনাল ক্যাথেড্রালটি একটি অবশ্যই দেখার গন্তব্য। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী ছাড়াও যারা স্থাপত্য এবং শিল্পের সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান তাদেরকে এই ক্যাথেড্রালটি ভ্রমণ করতে পারেন।

ছবি: মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় তোলা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:০২

রাজীব নুর বলেছেন: ছবি গুলো দেখলাম।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৬

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:

ধন্যবাদ। লেখাটাও পড়েন।

২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১২

বিজন রয় বলেছেন: দারুন।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


ধন্যবাদ! ভাল লেগেছে জেনে আমিও খুশি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.