নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশী আমেরিকানরা এইবার কার পক্ষে ভোট দিবে?

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৩৫



অধিকাংশ বাংলাদেশী আমেরিকানরা ঐতিহ্যগতভাবে ডেমোক্রেটিক পার্টির সমর্থক। তবে রিপাবলিকান পার্টিরও কিছু সমর্থক আছে।

অধিকাংশ বাংলাদেশী আমেরিকান দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকাতে বসবাস করলেও তারা ধর্মীয় এবং সামাজিক রক্ষণশীলতার কারণে আমেরিকার মূল স্রোত ধারার সাথে তেমন একটা মিশে না। ফলে আমেরিকান সমাজের মূল সমস্যা এবং আলোচিত বিষয়গুলি তাদেরকে প্রভাবিত করে না অথবা তারা এই বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দেয়া না। যেমন নির্বাচনের সময় অর্থনীতি, স্বাস্থ্যসেবা, জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন, পররাষ্ট্র নীতি ইত্যাদি নিয়ে অধিকাংশ আমেরিকান ভোটার বিবেচনা করলেও বাংলাদেশী আমেরিকানরা তেমন গুরুত্ব দেয় না। তাছাড়াও কিছু সামাজিক বিষয় যেমন, গর্ভপাত, সমকামিতা, মাদক সমস্যা, গান কন্ট্রোল ইত্যাদি বিষয়গুলি নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা হয়। কিন্তু অধিকাংশ বাংলাদেশী মার্কিন এই সামাজিক বিষয়গুলিকেও অগ্রাধিকার দেয় না। বরং এর পরিবর্তে আমেরিকার বৈদেশিক নীতি, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য এবং মুসলিম দেশগুলিতে আমেরিকা কি ভূমিকা পালন করছে তার উপর নজর দেয়। তাছাড়া বেশিরভাগ বাংলাদেশি আমেরিকানরা মূলধারার আমেরিকান রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে না ফলে প্রার্থীর ক্যারিশমা, যোগ্যতা বা দক্ষতা দ্বারাও তারা প্রভাবিত হয় না।



এইবার নির্বাচনের পূর্বে বাংলাদেশী আমেরিকানরা তাদের পছন্দের একটা বিষয় নিয়ে বেশ সক্রিয় হয় উঠেছে। সেটা হচ্ছে ইসরাইল হামাস সংঘর্ষ। সম্প্রতি ইসরায়েলের সাথে গাজা সংঘাতের কারণে বাংলাদেশি আমেরিকানরা নিজেদেরকে একটি কঠিন অবস্থানে খুঁজে পেয়েছে। আমেরিকার মুসলিম ভোটারের সংখ্যা এক শতাংশের কম হলেও তারা প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছে যে তারা বাইডেনকে তার মধ্যপ্রাচ্য নীতির কারণে সমর্থন করবেন না এবং ভোট দিবে না। তারা বাইডেনকে যুদ্ধ অপরাধী, গণহত্যাকারী, নারী ও শিশু হত্যাকারী হিসাবে ঘোষণা করেছে। তবে তারা এটাও বিশ্বাস করেন না যে ট্রাম্প মুসলিম স্বার্থের কথা চিন্তা করেন। এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশি আমেরিকানদের একটি অন্ধ বৃত্তে আটকে ফেলেছে। আসন্ন নির্বাচনে তারা কাকে ভোট দেবে তা নিশ্চিত নয়।



অন্ধ বৃত্তে আটকা পড়ার কারণে তারা ভোট না দিলে তা ফলাফলের উপর প্রভাব ফেলতে পারবে না। কারণ আমেরিকান মুসলিমদের ভোট এক শতাংশেরও কম।



যাইহোক এই ধরণের রক্ষণশীল নীতি এই সম্প্রদায়কে আমেরিকার সমাজ ব্যবস্থায় আরও প্রান্তিক করবে এবং মূলধারার আমেরিকান রাজনীতি থেকে তাদের বিচ্ছিন্ন করবে।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:২০

ধুলো মেঘ বলেছেন: আমি ভোটার হলে জয়নাল কাকুরে হাতি মার্কায় ভোট দিতাম। ওনার সময়ে আর কিছু না হোক দুনিয়ার মানুষ অনেক শান্তিতে ছিল। ঐ চার বছর কোন বিবাদ-ফ্যাসাদ হয়নাই সারা দুনিয়া জুড়ে।

তবে বদি মামু বাঙালি ভোট আগেই কিনে রেখেছে, তাই বলার কিছু নাই।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


কথাটা তো সেখানেই।
প্যাঁচটাও সেখানেই।
লেখাটা পড়লে দেখবেন বাঙালি আপনার বদি মামুর সাথে আড়ি দিছে।

তারা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছে তিনি খারাপ মানুষ।
তাই তারা তাকে ভোট দিবে না।
এখন আপনার বদি মামুর কি হবে?

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৪২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

বাংলাদেশীরা যে দেশেই যায় তারা সেখানে বিএনপি, আওয়ামী লীগের শাখা খোলে। অথচ তাদের দলের সংবিধান বা গঠনতন্ত্রে এটা নেই। তার মনে দাঁড়ালো এটা অবৈধ।
এই অবৈধ কাজটি এরা করে গলা উচিয়ে।

ঢাকায় কি ডেমোক্রেটিক/রিপাবলিকান পার্টির কোন শাখা আছে?
তারা কি এখানে মিছিল করে? কালো পতাকা উড়ায়?!

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৫৯

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


শুধু তাই না।
তারা কমিটি বানিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুমোদনের জন্য ঢাকায় পাঠায়।
ঢাকা থেকে ব্যক্তি যোগাযোগের মাধ্যমে অনুমোদন নিয়ে আসে।
ঢাকার নেতারা এখানকার অবস্থা সম্পর্কে না জেনেই ব্যক্তি যোগাযোগের মাধ্যমে অনুমোদন দেয়।
ফলে এখানে কমিটি নিয়ে মারামারি হাতাহাতি হয়।

এই বার ডিসিতে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে (প্রতিবারেই কোন না কোন কিছু হয়) দুই গ্রুপ চেয়ার দিয়ে মারামারি করেছে।

বাংলাদেশের নেতারা আবার ডিসির সবচেয়ে দামি হোটেলে উঠে।
এইসব মারামারি, উচ্চস্বরে কথাবার্তা ইত্যাদি কারণে হোটেল কর্তৃপক্ষ বেশ অসন্তুষ্ট।
এই বার দামি হোটেল পেতে বেশ কষ্ট হয়েছে।

এইসব দলবাজির কারণে বাঙালিরা এখানকার মূলধারার রাজনীতির সাথে যুক্ত হয় না।
ফলে নিজেদের স্বার্থ, অভাব-অভিযোগগুলি তারা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরতে পারে না।
এখানকার সকল স্তরের স্থানীয় কর্তৃপক্ষগুলি জনগণের ভোটে নির্বাচিত এবং বেশ শক্তিশালী।
এইগুলিতে অংশ নিলে স্থানীয় ভাবে বাঙালি কম্যুনিটি অনেক সুবিধা পেতো।

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৫৬

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

বাংলাদেশীরা যে দেশেই যায় তারা সেখানে বিএনপি, আওয়ামী লীগের শাখা খোলে। অথচ তাদের দলের সংবিধান বা গঠনতন্ত্রে এটা নেই। তার মনে দাঁড়ালো এটা অবৈধ।
এই অবৈধ কাজটি এরা করে গলা উচিয়ে।

ঢাকায় কি ডেমোক্রেটিক/রিপাবলিকান পার্টির কোন শাখা আছে?
তারা কি এখানে মিছিল করে? কালো পতাকা উড়ায়?!








একমত।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


তাহলে আমার আগের মন্তব্য পড়ুন।

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০২

রাজীব নুর বলেছেন: আর যাইহোক, ট্রাম্পকে দিবে না।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


ট্রাম্প খারাপ, বাইডেন খারাপ, আমেরিকা খারাপ, সব খারাপ।

শুধু আমি আর আমার মামা চাচারা ভাল।

৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১৮

ঢে্উটিন বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

বাংলাদেশীরা যে দেশেই যায় তারা সেখানে বিএনপি, আওয়ামী লীগের শাখা খোলে। অথচ তাদের দলের সংবিধান বা গঠনতন্ত্রে এটা নেই। তার মনে দাঁড়ালো এটা অবৈধ।
এই অবৈধ কাজটি এরা করে গলা উচিয়ে।

ঢাকায় কি ডেমোক্রেটিক/রিপাবলিকান পার্টির কোন শাখা আছে?
তারা কি এখানে মিছিল করে? কালো পতাকা উড়ায়?

বাংলাদেশে কতজন আমেরিকান স্হায়ীভাবে বসবাস করে, আর আমেরিকায় কতজন বাংলাদেশি স্হায়ীভাবে বসবাস করে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.