নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামিক স্থাপত্য

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৬

১. ইসলামিক স্থাপত্য হল ইসলাম ধর্মের সাথে যুক্ত একটি স্থাপত্য শৈলী।
২.মেসোপটেমিয়ান এবং রোমানদের মত বিভিন্ন স্থাপত্য শৈলীর সংমিশ্রণে ইসলামী স্থাপত্য ধারা গড়ে উঠেছে।
৩. ক্রম বিবর্তনের ধারায় ইসলামিক স্থাপত্য অন্যান্য সমসাময়িক শৈলী যেমন চীনা স্থাপত্য এবং মুঘল স্থাপত্য দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল।
৪. ইসলামিক স্থাপত্যের ১০টি স্বতন্ত্র উপাদান:

(i) গম্বুজ

গম্বুজ একটি গোলার্ধীয় কাঠামো। এটা সাধারণত ছাদ এবং সিলিংয়ের একটি অংশ। গম্বুজগুলি গোলার্ধয় কাঠামো, ড্রাম বা ইন্টারলকিং পেন্ডেনটিভের একটি কাঠামোর উপর স্থাপিত। কোন কোন গম্বুজের শীর্ষে ওকুলাস থাকে যার মধ্যে দিয়ে প্রাকৃতিক আলো আসতে পারে।

মেসোপটেমিয়ান স্থাপত্যে প্রথম গম্বুজ দেখা যায়। উসমানীয় আমলে বাইজেন্টাইন গম্বুজের মডেল দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ইসলামিক স্থাপত্যে গম্বুজ প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি হিসাবে গণ্য হয়। বিভিন্ন ধরণের গম্বুজের মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজ গম্বুজ, মৌচাক গম্বুজ, বন্ধনী গম্বুজ, কভড ডোম, কম্পাউন্ড গম্বুজ, ক্রসড-আর্ক গম্বুজ, উপবৃত্তাকার গম্বুজ, জিওডেসিক গম্বুজ ইত্যাদি।

(ii) খিলান

খিলান ইসলামী স্থাপত্যে একটা বিশিষ্ট উপাদান। সাধারণত ভবন এবং কক্ষের প্রবেশদ্বারগুলিকে এই খিলান স্থাপন করা হয়। বিভিন্ন ধরনের খিলানের মধ্যে রয়েছে পয়েন্টেড আর্চ, ওজি আর্চ, হর্সশু আর্চ এবং মাল্টিফয়েল আর্চ।

(iii) মুকারনাস

মুকারনাগুলি স্ট্যালাকটাইট বা মৌচাকের মতো। গম্বুজের নিচের অংশ, পেন্ডেন্টিভ, খিলান, ইত্যাদি অংশে সাধারণত মুকারনাস নকশা করা হয়।

'মুকারনাস' শব্দটি আরবি শব্দ 'কারনাসি' থেকে এসেছে যার অর্থ 'জটিল কাজ'। মুকারনা ইসলামিক স্থাপত্যের একটি অবিচ্ছেদ্য। কারণ এটি ইসলামী আদর্শের বিশালতা এবং জটিলতার প্রতীক।

মুকারনাস মেসোপটেমিয়া অঞ্চল এবং উত্তর-পূর্ব ইরান অঞ্চলে প্রথম ব্যবহার শুরু হয়েছিল।

(iv) মিনার

মিনারগুলি টাওয়ার আকারে মসজিদের স্থাপত্যের একটি অংশ হিসাবে স্থাপন করা হয়। কোন কোন মিনারে স্তরে স্তরে বারান্দার মত থাকে। মিনারগুলি মানুষকে মসজিদের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাক্ষুষ সহায়ক হিসাবে কাজ করে। এইগুলি আজানের জন্য সুউচ্চ স্থান হিসাবে ব্যবহৃত হয়। মিনারের ভিত্তি সাধারণত বর্গাকার হয়। একটা মসজিদে মিনার সংখ্যা এক থেকে ছয় পর্যন্ত হতে পারে। এই মিনারগুলো 'ইসলামের ল্যান্ডমার্ক' হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। ভারতের কুতুব মিনার এবং ইরাকের সামারার সর্পিল মিনার ইসলামিক স্থাপত্যের অন্তর্গত বিখ্যাত মিনার।

(v) মিহরাব

মিহরাব এমন একটি স্থাপত্য উপাদান যা কিবলার দিক নির্দেশ করে। এটি একটি মসজিদের দেয়ালে একটি অর্ধবৃত্তাকার কুলুঙ্গি হিসাবে নির্মাণ করা হয়। এটাকে সাধারণত কিবলা প্রাচীর বা কিবলা হিসাবে সম্বোধন করা হয়। এটা নামাজের দিক নির্দেশ করতে সাহায্য করে।

(vi) আরোবেসক শিল্প

ইসলামিক অলংকরণের মধ্যে রয়েছে জ্যামিতিক নকশা, ফুলের নকশা এবং ক্যালিগ্রাফি। রোমান, গ্রীক এবং সাসানীয় সংস্কৃতি ইসলামিক স্থাপত্যের এই ধারা দ্বারা অনুপ্রাণিত করেছে। ইসলামী শিল্প ও স্থাপত্য সাধারণত আট কোনা বিশিষ্ট তারকা বৈশিষ্ট্যযুক্ত। ইসলামিক কিংবদন্তি অনুসারে এই তারকাগুলি জিন বা অশুভ বস্তুকে প্রতিহত করতে পারে। সমস্ত ইসলামিক অলংকার প্রতিসম এবং সাধারণত একটি সর্পিল পথ অনুসরণ করে যেখান থেকে পাতা ও ফুল ফুটে। নির্বিঘ্ন ইসলামিক নকশার কোনো অংশই দৃশ্যমান প্রাধান্য পায় না এবং নকশাটি পুনরাবৃত্তি এবং মোটিফগুলির যত্নশীল বিন্যাসের মাধ্যমে একটি অস্থির সমুদ্রের অনুকরণ করে।

(vii) হাইপোস্টাইল হল

হাইপোস্টাইল হল স্থাপত্য রীতিটি উমাইয়া রাজবংশের সময় ইসলামী স্থাপত্যে ব্যবহৃত হয়। এই হলগুলির আকৃতি সাধারণত আয়তক্ষেত্রাকার বা বর্গাকার হয়। কলামগুলি একটি গ্রিড প্যাটার্ন অনুসারে সাজানো হয়। কলামগুলি সীমাহীন বিস্তৃতির ধারণা প্রদান করে। এইগুলি আধ্যাত্মিক রূপক এবং দৃশ্যমান নান্দনিকতা বৃদ্ধি করে যা বিদ্যমান বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং সভ্যতার পিছনের শক্তিকে ব্যাখ্যা করে।

(viii) উঠান

ইসলামিক স্থাপত্যের অন্তর্গত বেশিরভাগ মসজিদ এবং প্রাসাদগুলিতে বড় উঠোন রয়েছে যা উৎসবের সময় অথবা জুম্মা বা ঈদের নামাজের সময় বিশাল সমাবেশ করতে পারে। এই উঠানগুলোকে ঘিরে রয়েছে তোরণ। এই উঠানগুলোতে লোকদের নামাজের আগে অজু করার জন্য ফোয়ারা রয়েছে।

(ix ) উদ্যান
ইসলামী স্থাপত্য রীতিতে বাগান বা উদ্যান একটি অপরিহার্য উপাদান। উদ্যানগুলিতে বড় মার্বেল ফোয়ারা, পদ্ম এবং লিলি দ্বারা সজ্জিত পুকুরের মতো পানির উৎস থাকে। এই বাগানগুলিতে প্রায়ই একটি চতুর্ভুজ বিন্যাস থাকে। পবিত্র কোরআনে বাগানের অনেক উল্লেখ রয়েছে যা পৃথিবীতে স্বর্গের প্রতীক। ইসলামিক স্থাপত্যে উদ্যানগুলিও প্রশান্তি এবং মানসিক অনুভূতির সাথে যুক্ত।

(x) ইওয়ান

ইওয়ান হল একটি আয়তক্ষেত্রাকার হল যার তিন দিকে দেয়াল এবং একটি দিক খোলা এবং উপরে একটি খিলানযুক্ত ছাদ থাকে। পিশতাক হচ্ছে ইওয়ানের প্রবেশদ্বার। ইওয়ানগুলি ক্যালিগ্রাফি, চকচকে টাইলওয়ার্ক এবং জ্যামিতিক নকশা দিয়ে সজ্জিত। খিলানযুক্ত পোর্টালটি উঠানের দিকে খোলা থাকে।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৪৩

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: চমৎকার। জানলাম আজ সবগুলো স্থাপত্যেরর...

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:০০

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:

ধন্যবাদ।

২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:০১

কামাল১৮ বলেছেন: গম্বুজের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নাই।কাবা ঘরে কোন গম্বুজ নাই।হোয়াট হাউজে গম্বুজ আছে ভিক্টোরিয়া ম্যামোরিয়ালেও গম্বুজ আছে।অনেক মন্দিরে গম্বুজ আছে।এটা একটা স্থাপত্য রীতি।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৩৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আপনি একদম ঠিক বলেছেন।
এই জন্য আমার লেখার শিরোনাম
ইসলামিক স্থাপত্য।
ইসলাম ধর্ম আর ইসলামিক স্থাপত্য এক জিনিস না।

ইসলামিক স্থাপত্য একটা স্থাপত্য রীতি।
যেমন গ্রীক ও রোমান ক্লাসিক্যাল আর্কিটেকচার, গথিক আর্কিটেকচার, বারোক, নিওক্লাসিক্যাল আর্কিটেকচার, ভিক্টোরিয়ান আর্কিটেকচার, আধুনিক আর্কিটেকচার ইত্যাদি।

স্বতন্ত্র ধারা হিসাবে স্থাপত্য শিল্পে ইসলামিক স্থাপত্যকে একটি প্রভাবশালী ধারা হিসাবে স্বীকার করা হয়। আমি এখানে আলোচনা করেছি ইসলামিক স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ে। অর্থাৎ কি কি বৈশিষ্ট্য থাকলে আমরা একটা ভবনকে ইসলামিক স্থাপিত শৈলী বলবো। এটা মসজিদ, মন্দির যাই হউক না কেন।

ইসলামিক স্থাপত্যে গম্বুজ অনেকগুলি উপাদানের মধ্যে একটি উপাদান।

আমি আমার লেখায় উল্লেখ করেছি,
মেসোপটেমিয়ান স্থাপত্যে প্রথম গম্বুজ দেখা যায়। উসমানীয় আমলে বাইজেন্টাইন গম্বুজের মডেল দ্বারা ইসলামী স্থাপত্য প্রভাবিত হয়।
ইসলামিক স্থাপত্যে গম্বুজ প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি হিসাবে গণ্য হয়।

অর্থাৎ ইসলাম প্রচারের বহু আগেই মেসোপটেমিয়ান স্থাপত্যে প্রথম গম্বুজ ব্যবহার করা হয়। পুরাতন কোন বৈশিষ্ট্যের সাথে নতুন কোন বৈশিষ্ট্য সংযোজন করে নতুন স্থাপত্য ধারা সৃষ্টি হয়। ইসলামিক স্থাপত্যে গম্বুজের সাথে আরো অনেক নতুন বৈশিষ্ট্য যোগ করা হয়েছে। ফলে নতুন একটা ধারার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এর নাম দিয়েছেন ইসলামিক স্থাপত্য।

হোয়াট হাউজে কোন গম্বুজ নাই। হোয়াট হাউজের স্থাপত্য রীতি হচ্ছে নিওক্লাসিক্যাল। কিন্তু ক্যাপিটল বিল্ডিং সহ অনেক বিল্ডিংয়েই গম্বুজ আছে। আমেরিকার ক্যাপিটল বিল্ডিঙের রীতি নিওক্লাসিক্যাল হলেও রোমান এবং গ্রীক রীতির সংমিশ্রণ করা হয়েছে।

সুন্দর আলোচনার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:৪২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:



স্থাপত্য কৌশলে শিক্ষা ও বিজ্ঞানে ভারত উপমহাদেশ আরবদের অনেক আগে ৬০০০ বছর পূর্বে ই সমৃদ্ধ ছিল।

পরে বহিরাগত দখলদার মঙ্গল হালাকু বখতিয়ার ডাকাতরা ভারতের অনেক অংশ দখল করে। এবং ধ্বংসকাণ্ড করে লুটতরাজ করে অনেক মনি মুক্তা হীরা জহরত নিয়ে যায়।
পরে মুঘলরা কয়েক শত বছর রাজত্ব করেছিল। এবং অনেক স্থাপনা নির্মাণ করেছিল।
ইমারত নির্মাণের সময় বেশিরভাগ ইমারত আদি ভারতের কালের গর্ভে দেবে যাওয়া ইমারত কাঠামোর উপরে তৈরি হয়েছে, অনেক ধর্মশালা মন্দিরের উপর ও নির্মিত হয়েছিল। মুঘলরা সহজে কাজ করার জন্য এ শক্ত ভিত্তি বেছে নিয়েছিল।
এ কারণেই দ্রুত বড় বড় ইমারত স্থাপত্য নিদর্শন গড়তে পেরেছিল।
এ কারণে বেশিরভাগ মোগল কীর্তি নিচে দেখা যায় ভিত্তি ভিন্ন ধরনের প্রাচীন ইট। প্রাচীন পাথরের দেওয়াল।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৪১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


মূল পোষ্টের সাথে আপনার মন্তব্য প্রাসঙ্গিক না।

৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:০৫

আলামিন১০৪ বলেছেন: শিল্প ছাড়াও এসব স্থাপত্য শৈলীর আরেকটি উদ্দেশ্য ছিল সেকালে আর তা হলো, Tension (টান) সহিষ্ণু Reinforced Cement Concrete তথনো আবিস্কার হয়নি তাই পাকা সমতল ছাদ এর বিকল্প হিসেবে গম্বুজ এবং লিনটেল এর বিকল্প হিসেবে খিলান এর ব্যবহার হতো।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৪৭

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


স্থাপত্য রীতির সাথে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিঙের সম্পর্ক আছে।
স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং একটা স্বতন্ত্র প্রসঙ্গ।

আমি এখানে শুধু ইসলামিক স্থাপত্যের বৈশিষ্টগুলি আলোচনা করেছি।

তবে তথ্যগুলি সংযোজন করার জন্য ধন্যবাদ।
অনেকেরই কাছেই ধারণাটা পরিষ্কার হবে।

৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:২০

আলামিন১০৪ বলেছেন: @হাসান, বখতিয়ারের উদ্দেশ্য ডাকাতি ছিল না, ছিল, ইসলাম প্রচার ও রাজ্য জয়। ভারতীয় উপমহাদেশের আদিবাসি হলো অনার্য দ্রাবিড় গোষ্ঠী । বাংলাদেশের কালো বেটে কাউকে দেখলে বুঝবেন এদের মধ্যে দ্রাবিড়ের জিনের প্রকটতা রয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিন ভারত ও শ্রীলঙ্কার তামিল সম্প্রদায় বহিরাগত আর্যের মিশ্রণ থেকে বেচে গিয়েছে (?)। আপনার লজিকে আর্যরা ডাকাত। আপনার রক্ত তাহলে ডাকাতের রক্ত। ইংরেজ, পর্তুগীজ, ওলন্দাজ এরা আরো বড় ডাকাত।
বখতিয়ার সত্য প্রচারে ব্রত না হলে, এ অঞ্চলে আপনি আমি আজ প্রত্যুষে গোবর দিয়ে ঘর লেপতাম।

৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৫২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


ভিনদেশী ডাকাতেরা বার বার এই জনপদ, এই দেশ আক্রমন করেছে।
দখল করে নিয়েছে সব।
সেই সব ডাকাতদের তাড়াতে রক্ত ধরেছে কত মানুষের।

৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: আহামরি কিছু না।
আধুনিক স্থাপত্য গুলো দেখলে বিস্ময় জাগে।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৩৯

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:




বিশ্বে বিভিন্ন স্থাপত্য রীতি প্রচলিত আছে।
একেকটা একেক ধরণের।
তার মধ্যে ইসলামিক স্থাপত্য রীতি একটি।

স্থপতিরা যখন কোন ভবনের নকশা করেন তখন হয় কোন একটা রীতিকে অনুসরণ করেন অথবা একাধিক রীতির মিশ্রণ করেন।

ভাল লাগা মন্দ লাগা ব্যক্তির নিজস্ব ব্যাপার। আপনার ইসলামিক স্থাপত্য রীতি ভালো নাও লাগতে পারে।
এতে দোষের কিছু নাই।
যেকোনো জিনিস ভাল লাগা বা না লাগা ব্যক্তির মানসিক গঠন, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি অনেক মনস্তাত্ত্বিক উপাদানের উপর নির্ভর করে।

৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৫৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট !

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০০

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:




ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ।

৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:৩৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার এই পোস্টটি ভালো লাগলো মোহাম্মদ আলী আকন্দ ভাই। ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীর একটা সুন্দর ধারণা পাওয়া গেল।

বেশ কিছু বছর আগে ইসলামিক আর্টের উপর একখানা বই পড়েছিলাম। কানাডা আসার পরেও বইটা আমাদের সাথে ছিলো। আপনার এই পোস্টটা পড়ে সেই বইটা আবারো পড়ার আগ্রহ তৈরী হলো।

আপনার উল্লেখিত আরোবেকস শিল্পের বেশ কিছু ছবি সেখানে ছিলো। আপনার যুক্ত করা প্রত্যেকটি ছবিই এক কথায় অপূর্ব।
আপনি লিখেছেন উঠান, উদ্যান এইগুলো ইসলামিক স্থাপত্যের অপরিহার্য উপাদান। এই কথাটা আগে শুনেছিলাম, নতুন করে আবার বিষয়টা অনুভব করে চমৎকৃত হলাম।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:১৩

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার এই বিষয়ে আগ্রহ আমাকে অভিভূত করেছে।
আমি অবশ্য ইসলামী স্থাপত্যের পাশাপাশি গ্রীক, রোমান, ক্লাসিক্যাল এবং নিওক্লাসিক্যাল স্থাপত্য ধারাও ভীষণ ভাবে পছন্দ করি।
আপনার আগ্রহের কারণে ইসলামিক আরবেস্ক আর্টের কয়েকটা ছবি সংযোজন করলাম।

১০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:২৮

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: মুকারনাসের কি অন্য কোনো প্রচলিত শব্দ আছে?

আরোবেসক নকশা গুলো আমার ভীষণ পছন্দের। কিন্তু দুই পর পরই ফেসবুকে, এমন নকশাযুক্ত জায়নামাজের ছবি দিয়ে তার মধ্যে মানুষজন ইলুমিনাতি খুঁজে পায়। ষড়যন্ত্র খুঁজে পায়।

অনেক গুলো বিষয় নিয়ে জানলাম, ধন্যবাদ৷

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩৩

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
মুকারনাস একটি স্থাপত্য নকশার নাম।
আমার জানা মতে ইংরেজিতে এর কোন প্রতিশব্দ নাই।
তবে এটা বুঝানোর জন্য কিছু ইংরেজি টার্ম ব্যবহার করা হয়, যেমন --


Honeycomb vaulting
Stalactite vaulting
Three-dimensional ornamental vaulting
Squinch-derived ornamentation
Hanging ornament
Carved honeycomb
Sculptural rosette ইত্যাদি।

১১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩৬

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:

ঘুরতে আসার জন্য ধন্যবাদ।
মন্তব্যগুলোর মাধ্যমে আরো নতুন কিছু ভাবনা যুক্ত হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.