নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
আমেরিকাতে নির্বাচন প্রক্রিয়া অত্যন্ত ব্যয়বহুল। গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের হিসাব থেকে দেখা যায় জানুয়ারি ১, ২০১৯ থেকে ডিসেম্বর ৩১, ২০২০ পর্যন্ত উভয় প্রার্থী মোট ৪.১ বিলিয়ন ডলার নির্বাচনের জন্য খরচ করেছেন।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে:
১. বিজ্ঞাপনের খরচ:
ব্যাপক সংখ্যক ভোটারের কাছে পৌঁছানোর জন্য প্রার্থীদের টিভি, রেডিও এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হয়। বিজ্ঞাপনের খরচ অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
২. ভ্রমণ এবং ইভেন্ট:
ইভেন্ট, সমাবেশ এবং তহবিল সংগ্রহকারীদের হোস্ট করতে প্রার্থীদেরকে সারা আমেরিকা জুড়ে ব্যাপকভাবে ভ্রমণ করতে হয়। এই ভ্রমণের জন্য পরিবহন খরচ, ভেন্যু ভাড়া এবং কর্মীদের জন্য তহবিল প্রয়োজন হয়।
৩. স্টাফ এবং পরামর্শদাতা:
প্রচারাভিযানের জন্য কর্মী, পরামর্শদাতা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ করতে হয়, যেমন পোলিং এজেন্ট, মেসেজিং করার কর্মী, ভোটার হতে এবং ভোটারদেরকে ভোট দিতে উৎসাহিত করতে কর্মী ইত্যাদি। এই সব স্টাফ এবং পরামর্শদাতাদের বেতন বাবদ অনেক টাকা খরচ করতে হয়।
৪. গ্রাউন্ড গেম:
সমর্থকদেরকে একত্রিত করে প্রার্থীর পক্ষে জোয়ার সৃষ্ট করার জন্য একটি শক্ত গ্রাউন্ড গেম তৈরি করতে হয়। এই কাজগুলি যারা করে তাদের পিছনেও একটা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ টাকা খরচ করতে হয়।
৫. আইনের বাধ্যবাধকতাগুলি পূরণ করা:
প্রচারাভিযানগুলিকে অবশ্যই আইন অনুসরণ করে করতে হবে। আইন ঠিক মত মানা হচ্ছে কি না তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানোর জন্য প্রতিনিয়ত রিপোর্টিং করতে হবে এবং জনসমক্ষে তা প্রকাশ করতে হবে। এই প্রক্রিয়া বেশ সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল। অসংখ্য আইনজীবী, আইন বিশেষজ্ঞ, একাউন্টেন্ট প্ৰভৃতি বিশেষজ্ঞ দল এই লক্ষ্যে কাজ করে। এই সব বিশেষজ্ঞদের ফি বাবদ বিপুল পরিমাণ খরচ হয়।
৬. তহবিল সংগ্রহের জন্য খরচ:
তহবিল সংগ্রহ করতে যেয়ে অনেক তহবিল খরচ হয়। প্রার্থী নিজে তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানগুলিকে আয়োজন করে। এই সব অনুষ্ঠান আয়োজন আবার ব্যয়বহুল। অনুষ্ঠানের জন্য হল ভাড়া এবং কর্মী নিয়োগ দিতে হয়।
৭. দীর্ঘ প্রচারাভিযান চক্র:
আমেরিকার প্রেসিডেন্টের প্রচারাভিযান সাধারণত অন্যান্য দেশের তুলনায় দীর্ঘস্থায়ী হয়। কম পক্ষে দুই বছর আগে থেকেই প্রচারণা শুরু হয়ে যায়। তাই এত দীর্ঘ সময় ধরে প্রচারণা চালানোর জন্য খরচের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়।
৮. জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয়:
আমেরিকায় বসবাস, যাতায়াত, ভেন্যু ভাড়া, কর্মচারীদের বেতন, বিশেষজ্ঞদের ফি ইত্যাদি খরচ তুলনামূলক ভাবে বেশি। যার মানে হচ্ছে প্রার্থীদের প্রচারণার অবকাঠামো বজায় রাখতে এবং ব্যাপকভাবে ভ্রমণ করার জন্য অনেক খরচ করতে হয়।
এইসব কারণে আমেরিকাতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের খরচ এত বেশি।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৯
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
নির্বাচন গণতন্ত্রে একটি উপাদান মাত্র।
নির্বাচন মানেই গণতন্ত্র না।
গণতন্ত্র একটা মানসিকতা বা মনোভাব।
গণতন্ত্রের মানসিকতা না থাকলে শতকরা একশত ভাব অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেও ক্ষমতায় আসলে যে কেউ অগণতান্ত্রিক আচরণ করতে পারে।
২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের মতো ছোট দেশে কোটি টাকার উপরে খরচ হয়।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৫২
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
দিন দিন খরচ বাড়ছে।
৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০৫
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: এইতো দেখি বড় লোকের ব্যাপার স্যাপার...
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৫৭
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
ভাল কিছু পেতে হলে তো খরচ করতে হবে।
সস্তার তিন অবস্থা -- নষ্ট, কষ্ট এবং অপমান।
৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:১৬
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: এই অর্থের স্পনসর কারা হয়? মানে কোন ধরণের কোম্পানি?
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:৫২
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
বিদেশি রাষ্ট্র, কোম্পানি বা ব্যক্তি ব্যতীত আমেরিকার যেকোনো নাগরিক, কোম্পানি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ক্লাব, সংগঠন অর্থাৎ যে কেউ টাকা দিতে পারে।
নানা পদ্ধতিতে তারা এই টাকা সংগ্রহ করে।
যেমন --
১. আমেরিকাতে ভোটার হওয়ার সময় ভোটার কোন পার্টির সমর্থক তা উল্লেখ করতে হয় বা বলতে হয় যে সে স্বতন্ত্র বা ইন্ডিপেন্ডেন্ট। ভোটার পরিচয়ে সেটা উল্লেখ থাকে। একজন ভোটার হওয়ার সময় যে পার্টির নাম উল্লেখ করেছে সেই পার্টি চিঠির মাধ্যমে বা ইমেইলে দান করার জন্য অনুরোধ করবে।
২. টেলিভিশন, পত্রিকা এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন দিয়ে টাকা সংগ্রহ করবে।
৩. ফান্ড রাইজিং ইভেন্ট। টাকা তোলার জন্য এই ধরণের ইভেন্টগুলির আয়োজন করা হয়।
৪. বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা ধনী ব্যক্তি বিপুল পরিমাণ টাকা ডোনেশন দেয়।
৫. বিভিন্ন সামাজিক সংঘটন তাদের লক্ষ্যের সাথে যেই পার্টির আদর্শের মিল আছে তারাও বিপুল পরিমাণ টাকা দান করে।
৬. বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ যেমন সাবেক প্রেসিডেন্ট, রাজনীতিবিদ, শিল্পী-সাহিত্যিক, খেলোয়াড় অর্থাৎ যার যে ধরণের প্রভাব আছে তা ব্যবহার করে টাকা সংগ্রহ করে।
এই দান সম্পূর্ণ স্বচ্ছ। কারণ উভয় পক্ষকে টাকার পরিমাণ প্রকাশ্যে ঘোষণা করতে হয়। নির্বাচন কর্তৃপক্ষ এবং রাজস্ব বিভাগের কাছে আয় ব্যয়ের হিসাব দিতে হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:১৩
এম ডি মুসা বলেছেন: গনতন্ত্র হলেও আমি দেখেছি অনেক দেশের গনতন্ত্র নিজের তন্ত্র বানিয়ে ফেলে ক্ষমতা পাওয়ার পর!