নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যদি আর না ফিরি তোমাদের ভিড়ে/কোলাহলে-কলহাস্যে ঝিনুকের তীরে/তবে ক্ষমা করো প্রিয়, তুমি ক্ষমা করো আমায়...

আকাশ মামুন

পলায়নপর পথহারা এক পথিক আমি ঘরে ফেরার তাড়া নেই/ভুলের বোঝা মাথায় নিয়ে নত মাথায় ফিরবো ঘরে/কোথাও এমন ঘর নেই..

আকাশ মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাতে অস্ত্র পেলে নিরিহ মানুষেরও চোখ পড়ে নিরিহ পশু-পাখির দিকে

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

আজ বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের গুলি চালানো নিয়ে বাসে নানা মুনির(!) নানা মত শুনতে পেলাম।

-একজন বললেন, কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভে গুলি চালিয়ে পুলিশ বাড়াবাড়ি করলো!!



- দ্বিতীয়জন বললেন, ঠিকই আছে। শেয়ার বাজার দুর্নীতি, পদ্মা সেতু দুর্নীতি, হল মার্ক কেলেঙ্গারিসহ সরকারের সকল দুর্নীতির বিরুদ্ধে কিছু করতে পারলো না কিন্তু ঠিকই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে টালবাহানা করছে। তো ওদের তো মরাই উচিত।



-তৃতীয়জন বললেন আরে ভাই স্বৈরাচারী কথা বলছেন কেন? রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির মিছিল মিটিং করা রাজনৈতিক অধিকার।



- পিছন থেকে একজন বলে উঠলেন সব জামাত-শিবের খেল। সবে তো শুরু।



বেশ হট্টগোল বেধে গেল।



আমি গুরুকে জিজ্ঞেস করলাম গুরু, গুরু দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে বিএনপির বিক্ষোভে সরকার গুলি চালালো, কাজটা কি ঠিক হলো??

গুরুঃ বেশ কিছুক্ষণ ভেবে গুরু উত্তর দিলেন, বন্যপ্রাণী নিধন আইনের প্রয়োগ না থাকলে হাতে বন্দুক পেলে নিরিহ মানুষেরও চোখ পড়ে পশু-পাখির দিকে। তাছাড়া আমাদের রাজনীতিতে গুলি চালানো নতুন কোন বিষয় নয়। হাসিনা সরকার যেমন আহরহ গুলি চালাচ্ছে ৯৫ এর খালেদা সরকারও সারের দাবিতে ১৪ জন কৃষকে গুলি করে হত্যা করেছে। ২০০১ এর খালেদা সরকারও বিদ্যুতের দাবিতে বিক্ষুব্ধ জনতার উপর গুলিচালিয়েছে। এখন একটা বিষয় হলো হাসিনা সরকার ভিশন ২১ নিয়ে ক্ষমতায় বসেছে। বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় ক্ষমতায় ২১ করতে হবে। তাই একটু দমন পিড়ন তো চালাতেই হবে।



তাছাড়া যে দুর্নীতির অভিযোগ আছে তাতে সামনের বার সরকার ক্ষমতায় না যেতে পারলে ২০০১ এর বিএনপি সরকারের অবস্থাই হবে। ইতোমধ্যে বরিশালে পদ্মা সেতুর স্বপ্ন পূরণ করতে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত কতরে প্রধানমন্ত্রী ভোট চেয়েছেন। সেটা বোঝা যায় যখন জামায়াত নিশিদ্ধ করার দাবি সব মহলে উঠলেও তা নিশিদ্ধের প্রক্রিয়া নেয়া হচ্ছে না। কারণ সরকার জানে এই মুহুর্তে জামায়াত নিশিদ্ধ করলে ভোটের রাজনীতিতে বিএনপির কাছে হেরে যাবে। তাই টালবাহানা যাই হোক জামায়াত নিশিদ্ধ সরকার করছে না। আর গোলাম আযমের মামলার শুনানি শেষ করে রায় দিচ্ছে না। যাদের রায় হলো সেটাও যে কার্যকর হবে তা বলা যাচ্ছে না। এমন সময় রায় দেয়া হলো বা ভবিষ্যতে হবে যে আপিলের রায় পেতেই সরকারের মেয়াদ শেষ। ফলে আর একবার রায় কার্যকর করার ইস্যুতে ভোট প্রার্থনার সুযোগ থেকেই যাচ্ছে। তাই ভিশন ২১ সফল হতেও পারে।



কিন্তু বিএনপি বিরোধীদল হিসেবে দায়ীত্ব পালনে ব্যর্থ তারা কি বলে ভোট চাইবে? সরকারে গেলেই বা সফল হবে কি করে?



হু ইস্যু একটা বিএনপির জন্য আছে । সেটা হলো নির্যাতিত দল। ক্ষমতায় গিয়ে প্রতিশোধের সুযোগ চেয়ে ভোট চাইতে পারে। তবে তোর-আমার বাঁশই থাকলো।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: হু ইস্যু একটা বিএনপির জন্য আছে । সেটা হলো নির্যাতিত দল। ক্ষমতায় গিয়ে প্রতিশোধের সুযোগ চেয়ে ভোট চাইতে পারে।
আর নিরিহ দাড়িওয়ালা গুলোকে ছেড়ে ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.