নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সদা সত্যের পক্ষে

আকাশ ইকবালট

সবার উপরে মানুষ সত্য, তার উপরে নাই।

আকাশ ইকবালট › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই প্রথম সরাসরি হুমকি

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫২



আসলে। সরাসরি হুমকি না পাওয়ার আগে এতটা বুঝতে পারিনি যে হুমকি পাওয়ার পর কেমন লাগে নিজের মনে। হ্যাঁ, এটা ঠিক এর আগে অনেক হুমকি পেয়েছি। কিন্তু সে সময় মোবাইলে না হয় ফেসবুকে অথবা মেইলে। কিন্তু এই প্রথম হুমকি পেয়েছি প্রকাশ্যে সরাসরি। তাহলে আসল ঘটনায় আসি। আজ থেকে তিন দিন আগের ঘটনা এটি। অফিস থেকে এ্যাসাইনমেন্ট দিয়েছে অমুক স্কুলে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে আসতে। আমিও গেলাম। বেশ ভালোই তথ্য সংগ্রহ করছি। হঠাৎ আমার এক বছরের জুনিয়র কিছু ছাত্রলীগ শিবির পোলাপাইন আমাকে ডাক দিলো। আমিও গেলাম। ঐ দলের নেতা সে এক সময় শিবির করত। এখন ছাত্রলীগ করে।
নেতা: ভাইয়া শুনেছি আপনি নাকি কোনো ধর্ম বিশ্বাস করেন না?
আমি: কে বলেছে তোমাদের?
নেতা সহ অন্যরাও: আমরা শুনেছি।
আমি: দেখ এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
সবাই: এটা কেমন ব্যক্তিগত ব্যাপার। যে আল্লহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন সে আল্লাহ কে আপনি বিশ্বাস করেন না।
আমি: ভাই তোমাদের সাথে আমি জগড়া করবো না। আমার সোজা কথা হচ্ছে, আমার বিশ্বাস হয় না, তাই আমি করি না। আর আমি তোমাদের কোনো ক্ষতিও করছি না। তোমরা পালন কর তোমাদের ধর্ম। আমি করছি আমার বিশ্বাস।
সবাই: এই শালারপুত তুই কি কইছোস? মাদারির ছোদ তোর সাথে এতক্ষণ ভালো করে কথা বলছি এটা তোর সু ভাগ্য।
আমি: দেখ তোমরা গালিগালাছ করিয়ো না।
অন্য একজন: গালালির কি দেখেছিস তুই? এমন মারা মারমু তোর ঘুষ্ঠির নাম ভুলে যাবি।
ওহ হ্যাঁ, এরি মধ্যে আমার চৌদ্দ গৌষ্ঠর নাম নিয়ে ওরা শুরু করেছে ওয়াজ মাহফিল।
এক জন আমার হাত থেকে ক্যামেরা নিয়ে নিলো। আরেক জন্য আমাকে নিয়ে টানা টানি শুরু করে দিলো।
আমি কোনো ভাবে তাদের কে বুঝাতে পারছি না যে আমি কোনো অন্যায় করছি না। আমি আমার বিশ্বাস নিয়ে আছি।
ওরা বলল, তুই একটা মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করার পরও আল্লাহ বিশ্বাস করস না।
তুই তো জাহান্নামের আগুনে পুড়বি।
আমি বললাম, আমি জাহান্নামে গেলে সাথে কি তোমরা জাবে?
কেন যাব?
তুই একাই যাবি?
তো আমি শুধু একা জাহান্নামে গেলে তোমাদের সমস্যা কোথায় সেটা তো আমি বুঝতে ছিনা। আর আমি তো ফেসবুক বা অন্য কোথাও ধর্মের বিরুদ্ধে লিখছি না। এটা ঠিক আজ থেকে ৬ মাস আগেও ধর্মে বিরুদ্ধে লিখছি কিন্তু এখন নয়।
না তুই ধর্মের বিরুদ্ধে লিখছ না লিখবি সেটা কোনো ব্যাপার নয়, তুই তো মানস না। আল্লারে।
ওহ আল্লাহ আমরা এখন কি করবো? এই কাফেরের বাচ্ছারে কি আমরা জবাই করে দিবো।
আমি তো ভয় পেয়ে গেলাম।
হঠাৎ পেছন থেকে লোক জন আসতে শুরু করলে ওরা সবাই পালিয়ে যায়। আর বলে যায় তুই যদি ইসলাম না মানস ধর্মে বিশ্বাসি না হস তাহলে তোকেও অভিজিৎদের মত শেষ করে দিবে।
এই ঘটনা প্রায় লোকের কানে গিয়ে পৌঁছেছে এতি মধ্যে।
আমিও এখন খুব বিপদে আছি। বন্ধু বান্ধব অনেকে জানতো। এখন সবাই জানে। অনেকে আমার সাথে কথা বলছে না। অনেকে আমার সাথে সম্পর্ক শেষ করে দিয়েছে।
আমার একমাত্র প্রেমিকা সেও আমাকে ওকে আর না কল দিতে বলেছে।
শেষ পর্যন্ত পুলিশের কাছে গেলে ডায়েরি করতে পুলিশ ও দেশ ছেড়ে দিতে বলেছে।
কিন্তু আমি দেশ ছাড়বো কেন? আমি তো অন্যায় কিছু করছি না। শুধু সত্যি কথা বলছি।
আর অনেক দিন ধরে আমি সামাজিক যোগাযোগের মধ্যে লেখালেখিও বন্ধ করে দিয়েছি। দিয়েছি লাইক বা কমেন্ট করা। প্রায় নিজের মনে মনে বিশ্বাস করার মধ্যে নিজেকে নিয়ে এসেছি। শুধু প্রব্লেম না হয়। তবুও সমস্যা হচ্ছে। এদিক দিয়ে আমার গ্রামের বাড়িতেও হুমকি দিচ্ছে।
আর সবচেয়ে বেশি মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে আমার সম্পাদক সাহেব কে। কারণ তিনি এটা জানার পরও আমাকে ওনার পত্রিকায় কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। কেন আমাকে বের করে দিচ্ছে না।
আজ দুইদিনে প্রায় ১০টির অধিক কল এসেছে অচেনা নাম্বার থেকে। সে নাম্বারগুলো থেকে ও মন্দ ভাষায় গালাগাল করছে । আর হুমকি তো দিয়ে যাচ্ছেই অনরগল।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯

বিজন রয় বলেছেন: খারাপ কথা। সাবধানে থাকুন।

২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: এইভাবে দেশ চলে না। আপনি সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন। তাছাড়া পত্রিকায়ও কাজ করছেন যেহেতু।

আর ফাও যদি এখানে বকর বকর করেন তাইলে কিচ্ছু বলার নাই।

৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৭

আকাশ ইকবালট বলেছেন: সাবধানে আছি দাদা।

৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭

আকাশ ইকবালট বলেছেন: ভাইর।
আমি এমন একটা জায়গায় আছি এখানে সংবাদ সম্মেলন তো দুরের কথা ওদের বিরুদ্ধে যে থানা সাধারণ ডায়েরি করতে গিয়েছি সেটা শুনলে আমাকে তো মারবেই সাথে আমার পরিবার কেও।
আর সব চেয়ে বড় কথা হলো আমি সংবাদ সম্মেলন করতে পারতাম। যদি কোনো জঙ্গি ঘুষ্ঠি আমাকে হুমকি দিতো। কিন্তা আমাকে তো হুমকি দিয়েছে ছাত্রলীঘ।
তার থেকে ও বড় কথা হচ্ছে আমার সম্পাদক বা পত্রিকা আমাকে সমর্থন করছে না। যদি আমাকে আমার আমার সংগঠন সমর্থন দিতো তাহলে আমি করা প্রযোজন হতো না ওরাই করতো।
গত দুই দিন আগে আমার অফিসে সমস্ত সাংবাদিক দের নিয়ে একটা মিটিং ডেকেছে সম্পাদক। সেখানে সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আমি যদি তাদের তিনটা সর্তের বাইরে যাই তাহলে আমাকে অফিস থেকে বের করে দিবে। আর আামার সাথে তাহরের কোনো সম্পর্ক থাকবে না।
আমি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির সাথে ও কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, আমাকে সমর্থন করতে পারবে না। তবে ওনার সাথে ভালো সম্পর্ক থাকাতে তিনি আমাকে একটা সুগোগ দিয়েছেন। বলেছে, আমি যাতে আর ধর্ম বা ধর্মীয় বিষয় নিয়ে না লিখি।
তো আমি কি করতে পারি এই অবস্থায় আপনি বলুন।

৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৬

রাশেদ রাহাত বলেছেন: এইতো কয়েকদিন আগে আমার এক বড় ভাই (রুমমেট) বলছিলো...
"মনে কর তুমি কোন ধর্মে বিশ্বাস করো না, আর আমি যে কোন একটাতে করি। তারপর বললেন… ধরেই নিলাম যে কোন কেয়ামত নাই, কোন পুন্মজন্ম নেই, কোন সৃষ্টিকর্তা নেই।" যদি এমন হয় "তাহলে বিশ্বাস অবিশ্বাসী উভয়েই বেঁচে গেলো।"
কিন্ত যদি সবগুলো ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী এই কেয়ামত, পরকাল, কবর আজাব অনুষ্ঠিত হয় তাহলে "ক্ষতি কার হল...? তোমার না আমার...?"

এখন একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম হিসেবে আমার উত্তর টা কি ছিলো তা তো আপনি বুঝতেই পারছেন!

এই কথোপকথন থেকে নিজের লাভ/ক্ষতি একটি বার বের করার চেষ্টা করবেন ভ্রাতা।

এই ব্লগে আমি নতুন। তাই আপনাকে কোন উপদেশ দেবার চেষ্টা করিনি। একটি উদাহরণ দিয়েছি মাত্র।
কারণ সূত্র অনুযায়ীঃ ১০টি উপদেশ= ১টি উদাহরণ।


৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৬

মোবাশ্বের হোসেন বলেছেন: ধর্ম বিশ্বাস না করা যার ব্যক্তিগত ব্যাপার যতক্ষণ না সে ধর্মের ব্যাপারে কঠাক্ষ কটুক্তি বা যারা বিশ্বাস করে তাদের বিশ্বাসের প্রতি আঘাত না করে , আপনার বিশ্বাস প্রতিপালন করা আপনার অধিকার , তবে এতে কারো কিছু করার অধিকার নাই , এটা আপনার সাংবিধানিক অধিকার , তবে যদি আপনার কোনো লেখায় উল্লেখিত কিছু পাওয়া যাই তবে অবশ্যই আপনি প্রতিপক্ষের ল্যক্ষ বস্তুতে পরিনত হবেন , সেটা লিগ / দল / শিবির যার মাধ্যমেই হোক। সমস্যা হচ্ছে গোড়ায়, মুক্ত চিন্তা বা মুক্তমনার নাম দিয়া যখন শুধু মাত্র একটি ধর্ম কে ল্যক্ষ করে, তার বিশ্বাসের প্রতি ক্রমান্নয়ে আঘাত আঘাত করা হয় , আর রাষ্টীয় ভাবে যখন তারা কোনো আইনের আওতায় আসে না তখন হামলা হুমকির মত অনাকিংকিত ঘটনার বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশ ও ভারত ছাড়া কোথাও কোনো নাস্তিক মনীষী একটি ধর্মকে লক্ষ্য করে কোনো প্রচরণা চালায়নি , পশ্চিমা বিশ্বের নাস্তিক মনীষীরা যদি ধর্ম সম্পর্কে লেখে তবে সকল ধর্মেঁর ধমীয় ব্যবস্তা সম্পর্কে লেখেছেন , আপনার জানা উচিত ভারতের মত ধর্ম নিরেপক্ষ দেশেও আজ যদি আপনি স্যংখা গরিষ্ট ধর্ম মতের বিরদ্ধে লেখেন তবে পরিনিতিটা কি হয় তা দেখার জন্য একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। শুধু মাত্র খাদ্য অভ্যাসের অংশ হিসাবে যারা গরু খাই আর গরু খাওয়ার মিথ্যা গুজব চড়িয়ে মানুষ হত্যার মত জঘন্য ধর্মীয় উম্মদমার বিরিদ্ধে পারলে কিছু লেখেন , তা অব্যশই পারবেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.