![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষ হতে চেয়েছিলাম।
আমাদের দেশে আইন বা সংবিধান পরিবর্তন হয়ে গেছে গরিবের পান্তা ভাতের মত। ২৭ তারিখে নাকি আবারও পান্তা ভাতের আয়োজন করতে যাচ্ছে সরকার। সরকার খুবই কৌশলী। দেশ বিরোধী, সংবিধান বিরোধী বা গণ-বিরোধী কোন আইন পাশ করতে চাইলে প্রথমে আদালতের ঘাড়ে বন্দু ফেলে বৈধ করে নেওয়া নেয়। বিচারপতিরাও সেই অবৈধ কাজ গুলো করতে বাধ্য। কেননা বাহাত্তরের সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ পুনঃস্থাপনের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদের আদেশ অমান্য করলে যে কোন মূহুর্তে অপসারণ হতে পারে। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীও একই কায়দায় পরিবর্তন করে জনগনের ঘাড়ে চাপিয়ে দিল ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধর্মহীনতা। রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে সংবিধান থেকে মুছে দিতে একই পথ বেছে নিতে যাচ্ছে সরকার। তবে এবারের আয়োজনটা দেশের জনগন খুবই গুরুত্বের সাথে দেখছে। কেননা সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগন যাকে প্রাণের চেয়েও বেশি যাকে ভালবাসে সেখানেই আঘাত করতে যাচ্ছে সরকার। মনে হয় না জনগন খুব সহজে ছেড়ে দেবে।
ইসলাম বিরোধীরা ধর্মনিরপেক্ষতার দোহায় দিয়ে বলে থাকেন রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধান বিরোধী। আমার মূল আলোচ্য বিষয় হল সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার অসারতা। যা কিনা সংবিধানের চারটি মূলনীতির একটি। তবে চারটি মূলনীতি একটি অপরটির সাথে উতপ্রোতভাবে জড়িত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গভীরে চোখ রাখলে দেখা যাবে যে মূলনীতিগুলো একটা অপরটির সাথে সাংঘর্ষিক এবং রাষ্ট্র বিরোধী। আসুন একটু খতিয়ে দেখি।
প্রথমত আসি জাতীয়তাবাদ। জাতীয়তাবাদ হিসেবে সংবিধানে বলা আছে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের কথা। অথচ এ দেশ বাঙ্গালী ছাড়াও অন্যান্য জাতির আবাসস্থল। আমরা জানি যে একটি চক্র পার্বত্য চট্রগ্রাম কে নিয়ে স্বাধীন জুমল্যান্ড করার ষড়যন্ত্র করছে। সংবিধানে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের কথা বলায় তাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছে। এতে প্রমান হয় যে জাতীয়তাবাদ মূলনীতিটি বিতর্কিত এবং দেশ বিরোধী।
দ্বিতীয়ত আসি সমাজতন্ত্র। এটি এমন একটি মতবাদ যার জন্মস্থান তৎকালিন সোভিয়েত ইউনিয়ন বর্তমান রাশিয়ায়। যার রাজনৈতিক গুরু লেনিন ও তার অনুসারীরা খুবই চমকপ্রদ স্লোগান তুলে মানুষ কে আকৃষ্ট করেছিল। যেমন, "কেউ খাবে আর খাবে না, তা হবে না, তা হবে না"। যখন ক্ষমতায় গেল তখন বেরিয়ে আসল আসল চেহারা। জনগনের সকল ধরনের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল এই ডিক্টেটর। কোন প্রকার প্রতিবাদ করলেই স্বশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হত পৃথিবীর শীতলতম স্থান সাইবেরিয়ায়। সেখান থেকে ফিরে আসার রেকর্ড নাই বললেই চলে। এভাবে কত লক্ষ কয়েদিকে যে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। কিন্তু জনগনকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। তারা প্রতিবাদ করে সমাজতন্ত্রের মত স্বৈরাচারী মতবাদ থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করেছে। শেষ পর্যন্ত টিকতে না পেরে সমাজতন্ত্র তার নিজের জন্মস্থানেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু খুবই আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, সেই মৃত মতবাদ কে বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। এখন আমার নিজেরই আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে হচ্ছে।
এখন আসি গণতন্ত্র এবং ধর্ম নিরপেক্ষতায়। গণতন্ত্র কে লিংকন সাহেবের সংগায় সংগায়ীত করি আর অন্যান্য রাষ্ট্র বিজ্ঞানীদের ভাষায় সংগায়ীত করি; সবকিছুর মূল কথা হল, একটি রাষ্ট্রের জনগনই সবকিছু। তারা সংখ্যা গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে আইন প্রনয়ণ করবে, রাষ্ট পরিচালনা করবে এবং জাতীয় কোন ইস্যুতে সরাসরি মতামত প্রধান করবে। সুতরাং সংবিধানের মূলনীতি নির্ধারনে আমরা গণতন্ত্রকে মানদণ্ড হিসেবে ধরতে পারি। উপরে উল্লেখ করেছি কেন জনগন বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ এবং সমাজতন্ত্রকে মূলনীতি হিসেবে মেনে নেয়নি। এখন আমরা দেখব গণতন্ত্রের মানদণ্ডে বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার অবস্থান। ধর্মনিরপেক্ষতা একটি বিশ্বাস, যেমন করে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানও একটি বিশ্বাস। ২০০১ এর আদমশুমারি অনুসারে বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ৮৯.৭ শতাংশ মুসলিম এবং ৯.২ শতাংশ হিন্দু ধর্মাবলম্বী। বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মালম্বীরা মোট জনসংখ্যার ১.২ শতাংশ। বাংলাদেশে ধর্মহীন বা ধর্মের ব্যাপারে নিরপেক্ষতা অবলম্বনকারী(যারা বলে আমি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান কোনটাই না) বা এথিস্টদের সংখ্যা দশমিক কত পার্সেন্ট আমার জানা নেই। এখন আমাকে বলেন কোন যুক্তিতে আমাদের উপর ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ বিশ্বাস কে আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হল।
উপরের আলোচনা থেকে বুঝা গেল যে বাংলাদেশ সংবিধানের মূলনীতি গুলো একটি আরেকটির সাথে সাংঘর্ষিক। বিশেষ করে সংবিধানে একই সাথে গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা অবস্থান করতে পারে না । সুতরাং ধর্মনিরপেক্ষতার দোহায় দিয়ে যারা বলে থাকেন রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধান বিরোধী তারা এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কথাটা কতটা অযৌক্তিক এবং অমূলক।
সূত্র:
বাংলাদেশ সংবিধান
বাংলাপিডিয়া
উইকিপিডিয়া
২৬ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৮
আকদেনিজ বলেছেন: বুঝতে পারায় ধন্যবাদ।
২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯
অন্তহীন রাকিব বলেছেন: রাস্ট্রধর্ম ইসলাম হলে, হিন্দু বা বৌদ্ধ হবেনা কেনো
২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩
আকদেনিজ বলেছেন: হবে না কেন? অবশ্যই হবে। তবে সেটা নির্ধারিত হবে গণতান্ত্রিকভাবে। গণতান্ত্রিক মানদণ্ড অনুযায়ী আপনিই বলেন রাষ্ট্রধর্ম কি হওয়া উচিত?
৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮
পথে-ঘাটে বলেছেন: পক্ষে-বিপক্ষে লেখাগুলো পড়ে কনফিউশনে পড়ে গেলাম।
২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪
আকদেনিজ বলেছেন: ঠিক কোথায় বা কোন জায়গায় আপনি কনফউশনে পড়লেন জানালে খুশি হব।
ধন্যবাদ।
৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২০
বালক বন্ধু বলেছেন: এখন সংবিধান থেকে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম তুলে দিবে।
ধরে নিলাম রাষ্ট্র ধর্মের দরকার নেই।
কিন্তু এই রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম আছে বলেই কিছু কিছু মানুষ তাদের ক্ষোভ মেটাতে পারছে না। যেমন হিজাব নিষিদ্ধ করতে পারছে না, ওমুক স্থানে নামাজ পড়া যাবে না, ওমুক স্থানে কোরআন তেলওয়াত করা যাবে না, ইত্যাদি বলতে পারছে না।
আমার কাছে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম থাকাটা এর জন্যই জরুরি যে, এটা বাদ দেবার পর এর অযুহাতে কিছু মানুষ জোর করে আমাদের ব্যক্তি জীবন থেকেও ইসলামকে বাদ করে দিবে।
আর এ দেশের মানুষ কখনোই ধর্ম নিরপেক্ষ ছিল না। সবাই নিজ নিজ ধর্মের প্রতি ধার্মিক ছিল। কিছু মানুষ জোর করে আমাদের উপর এটা চাপিয়ে দিচ্ছে।
এই কিছু মানুষের মূল অংশটাই হল আধুনিক সুশীল জনগোষ্ঠী!
২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০
আকদেনিজ বলেছেন: অযৌক্তিক এবং অগণতান্ত্রিক একটা বিষয় আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। এক শ্রেণীর বুদ্ধিজীবি নামক বুদ্ধি প্রতিবন্ধিরা সেটাকে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে।
এই সুশীলরা এক সময় ইংরেজদের কে সাপোর্ট দিয়েছে। এরা আয়ুব খান, বাকশাল এমনকি এরশাদের মত স্বৈরশাকেরও পা চাটা গোলামি করেছে। ওরা এখন গোলামি করছে ডেমোক্রেসির লেবাস লাগানো ডিক্টেটরদের। যারা দেশ কে নিয়ে যাচ্ছে বিভক্তির দিকে।
ধন্যবাদ বালক বন্ধু মন্তব্যের জন্য।
৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২২
উদ্ধাস্ত৬১ বলেছেন: যেখানে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ গণতন্ত্রের বিরোধী সেখানে আমরা ধর্মনিরপেক্ষতার দোহায় দিয়ে অন্য একটি আইন কিভাবে বাতিল করতে পারি? ভাল একটা লেখা পোস্টের জন্য লেখক কে সাধুবাদ জানাই।
২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২
আকদেনিজ বলেছেন: সেটা করা হলে অবশ্যই অগণতান্ত্রিক।
ধন্যবাদ উদ্বাস্তু।
৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৯
মাই নেম ইজ খান-১ বলেছেন: ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ হয়ে ছিলো। এখন সংবিধান থেকে যদি এই ধর্মের নাম উঠেই যায় তাহলে দেশ ভাগ হয়ে লাভ কি???
আসুন আমরা দাদাদের সাথে মিশে যাই।।
ভাল পোস্ট। তবে, ব্লগ থেকে ব্যান খাইতে পারেন যে কোন মুহুর্তে। কারণ এখানে মুসলমানদের গুনগান করা যাবে না। ধর্ষকদের পক্ষে সাফাই গাইতে হবে।
২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৭
আকদেনিজ বলেছেন: আপনি বলেছেন, ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ হয়েছিলো। কথাটার সাথে সম্পূর্ণরুপে একমত হতে পারলাম না। কারন-
উপমহাদেশে মুসলমানরা বৃহৎ একটা সংখ্যা হলেও মোট জনসংখ্যা অনুযায়ী সংখ্যালঘু। শক্তিশালী জনগোষ্ঠী কর্তৃক অত্যাচারিত হওয়ার আশংকায় তারা আলাদা আবাসভূমি দাবি করেছিল। এর ভিত্তিতেই দেশ বিভাগ হয়েছিল। ঠিক একই কারনে পাকিস্থান থেকে পৃথক হয়েছে বাংলাদেশ।
সামুর ব্যপারে আমার ধারনা খুব ভাল।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩৩
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: ৪নং মন্তব্যে বলা হয়েছে: আমার কাছে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম থাকাটা এর জন্যই জরুরি যে, এটা বাদ দেবার পর এর অযুহাতে কিছু মানুষ জোর করে আমাদের ব্যক্তি জীবন থেকেও ইসলামকে বাদ করে দিবে। - বেশ এটিই যদি আশঙ্কা হয়ে থাকে তাহলে যুক্তিসঙ্গত হলো যার যার ধর্মপালনের স্বাধীনতা চাওয়া। তার চেয়ে বেশি কিছু তো দরকার পড়ে না।
২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪০
আকদেনিজ বলেছেন: আমরা অনেকেই ইসলাম সম্পর্কে পক্ষে-বিপক্ষে মন্তব্য করি না জেনে না বুঝেই। ইসলাম যে শুধু বিশ্বাসের নাম নয় এটা একটা বিশ্ব বিজয়ী আদর্শ এটাই আমরা জানি না বা উপলব্দি করতে পারি না। ইসলামের সৌন্দর্য্য উপলব্দি করতে হলে নিরপেক্ষ মন নিয়ে ইসলাম সম্পর্কে জানতে হবে, সে জন্য এর সম্পর্কে স্টাডি করা উচিত। আচ্ছা একটি বারও কি কৌতুহল জাগে না যে কোন সেই আদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে এদেশের মানুষ দলে দলে তাদের বিশ্বাস পরিবর্তন করেছে? এই আদর্শে বিশ্বাসী অর্থাৎ একজন মুসলিম নারীর কারনেই তো আজকের বিখ্যাত মরমি কবি লালন সাঁই। যাকে এক শ্রেনীর মানুষ বলেছে জাত চলে গেছে, আরেক শ্রেনীর মানুষ ভেবেছে মানুষ। আর প্রত্যেক কে মানুষ ভাবাই ইসলামের শিক্ষা। সুতরাং ইসলামী আইন বাস্তায়ন হলেই ধর্ম পালনের স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে।
পুনশ্চ: যারা ইসলামের পক্ষে তাদের পড়াশুনার চেয়ে আবেগটা একটু বেশিই মনে হয়। অথচ এ দেশে ইসলামী আইন বাস্তবায়নের যুক্তি গুলো খুবই শক্তিশালী এবং যুগোপযুগী। স্টাডির অভাবে এবং লেখনি যোগ্যতার অভাবে ইসলামের সৌন্দর্য্যে বিষয়টা উপস্থাপিত হতে পারছে না। এই সুযোগটা নিচ্ছে ইসলাম বিদ্বেষীরা।
২৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫১
আকদেনিজ বলেছেন: সংবিধানের (২) ধারা ক। প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানসহ অন্যান্য ধর্ম পালনে রাষ্ট্র সমমর্যাদা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করিবেন।
সংবিধান সকল ধর্মের সমমর্যাদা এবং সমঅধিকার নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু বাস্তব হল মুসলমানরা সেই সমঅধিকার ও সমমর্যাদা পাচ্ছে না।
৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৪
খালিদ হোসাইন বলেছেন: াংলাদেশের পচানব্বই ভাগ মুসলমান। রাস্ট্র ধর্ম চাই ইসলাম
২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:১১
আকদেনিজ বলেছেন: গণতান্ত্রিক দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগনের চাওয়া অনুযায়ী সব কিছু হওয়া উচিত।
আপনার চাওয়া পূরণ হোক।
৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০১
Mohammad Nejam Uddin বলেছেন: মানুষের তৈরি আইন কখনো দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না এটা ১০০% সত্য।আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা হলে প্রত্যেক ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।ইসলামে কোন ধরনের অন্যায়ের নাহান নেই।ইসলাম আমাদের চোর ধরান কৌশল শিখায়নি,শিখিয়েছে কিভাবে চুরি,দুর্নীতি থেকে বেঁচে থাকা যায়।তাই সকল ধর্মের শান্তির জন্য রাষ্টধর্ম ইসলাম বহাল রাখতে হবে এবং ইসলামী আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।
২৭ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩২
আকদেনিজ বলেছেন: ওরা যুক্তির ধারে কাছেও নাই। ওদের কথা হল, বিচার মানি তালগাছ।
ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
১০| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০৮
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার পোস্টের আলোচ্য বিষয় হল সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার অসারতা। এখানে আপনি চারটি পয়েন্টে কথা বলেছেন কিন্তু কথা গুলোর সাথে পয়েন্ট গুলোর অসাড়তার যোগসূত্র খুঁজে পাচ্ছি না এবং অনেক জায়গায় ঘটনার পরিবর্তে আপনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন
জাতীয়তাবাদের ক্ষেত্রে আপনি প্রধান কারন দেখালেন যে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ আছে বলেই পাহাড়ীরা তাদের নিজস্ব জাতীয়তাবাদের জন্য লড়াই করছে। কিন্তু কথা হলে স্বাধীনতাপরবর্তী বাঙ্গালী সেটলার আর সেনাবাহিনীর অব্যাহত গনহত্যা আর নির্য়াতন রুখতেই তাদের এই আন্দোলন। মৌলিক যে বিষয়গুলো নিয়ে যে দন্দ্ব ছিলো তা পার্বত্য চুক্তি হবার পর সেগুলো নিয়া আর কোনো উচ্চবাচ্য হয় নি
সমাজতন্ত্র রাশিয়া মার খেয়েছে বলে কেউ এর প্রয়োগ করবে না এটা ডাহা মিথ্যা কথা। পশ্চিমা ইউরোপের এমন অনেক কল্যাণমূলক রাস্ট্র গঠিত (সুইডেন, ডেনমার্ক ইত্যাদি) হয়েছে যারা সংবিধানে গনতন্ত্র দ্বারা চালিত হলেও শাসনতন্ত্কের বিভিন্ন জায়গায় সমাজতন্ত্র আর পুঁজিবাদের অভূতপূর্ব সমন্বয় ঘটাইছে। চীন এর সবচেয়ে বড় উদাহরন। আর যদি ব্যার্থতায় কথাই আসে তাহলে তেন সমৃদ্ধ বর্বর মিডল ঈস্টের দেশ সহ পৃথিবীর অনেক মুসলিম দেশ যেমন পাকিস্তান, আফগানিস্তান ইত্যাদি শরীয়াহ আইন দিয়ে শান্তি সমৃদ্ধি আনার চেস্টাতেও ব্যার্থ হয়েছে বহু আগেই
গনতন্ত্র আর সমাজতন্ত্র সেকশনের বড় ভুল হলো পৃথিবীর কেন সংবিধানই জনগন লেখে নাই। জাতীর বিবেক যারা তাঁরাই সংবিধান লিখেছেন। আমেরিকা থেকে শুরু করে বিশ্বের প্রতিটা দেশের সংবিধান রাস্ট্রের স্বর্ন সন্তান লিখে গেছেন। প্রয়োজনীয় নয় যে নির্বাচিত ব্যাক্তি হতে হবে তাকে। আর এই কথা পড়ার পর মনে হলো পোস্টের আসল পঁযেন্টগুলো অজ্ঞতা দ্বারা পরিপূর্ন
ভালো থাকবেন এবং একটু পড়াশোনা করবেন
২৭ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৯
আকদেনিজ বলেছেন: লারমা ও অন্যান্য পার্বত্য আদিবাসীর প্রতিনিধিগণ বাংলাদেশের সংবিধানের খসড়ার বিপক্ষে অবস্থান নেন। তাঁদের মতে ঐ সংবিধানে নৃজাতিগোষ্ঠীকে স্বীকৃতিসহ অ-মুসলিম ও অ-বাঙ্গালীদের সংস্কৃতিকে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। সরকারের নীতি কেবলমাত্র বাঙ্গালী সংস্কৃতি ও বাংলা ভাষাকে ঘিরে। এছাড়াও বাংলাদেশের সকল নাগরিককে বাঙ্গালী হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে।(উইকিপিডিয়া, পার্বত্য চট্টগ্রাম সংঘাত)
আপনি বলেছেন, "সেনাবাহিনীর গণহত্যার কথা"। পড়ুন সেই ইতিহাস কোথা থেকে শুরু--- ১৯৭৩ সালে লারমা ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) প্রতিষ্ঠা করেন। এ সমিতিতে স্থানীয় আদিবাসী ও উপজাতীয় লোকগণ সংশ্লিষ্ট ছিলেন। পিসিজেএসএসের সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনী সরকারী নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়। শেখ মুজিবের জরুরী শাসনামলে এ সঙ্কটের সূচনা ঘটে। ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যানবাহনে প্রথমবারের মতো আক্রমণ করে শান্তি বাহিনী। ভারত সরকার সীমান্তে ঘাঁটি গড়তে শান্তি বাহিনীকে সহায়তা করে।
শান্তি বাহিনী তাদের আক্রমণ পরিচালনার সুবিধার্থে এ অঞ্চলকে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে। স্থানীয় অধিবাসীদের জোরপূর্বক সংগঠনে যোগ দিতে বাধ্য করে ও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশিক্ষণ প্রদান করে। বাঙ্গালী পুলিশ ও সৈনিক, সরকারী কার্যালয়, সরকারী কর্মকর্তা ও এতদাঞ্চলের বাঙ্গালী অধিবাসীদেরকে লক্ষ্য করে আক্রমণ পরিচালনা করতে থাকে। এছাড়াও এ বাহিনীর বিপক্ষে অবস্থানরত যে-কোন আদিবাসী ও সরকারকে সমর্থনদানকারীকেও আক্রমণ করতে দ্বিধাবোধ করেনি।
সরকারী তথ্য মোতাবেক জানা যায় যে, ১৯৮০ থেকে ১৯৯১ সালের মধ্যে ১,১৮০ ব্যক্তি শান্তি বাহিনীর হাতে প্রাণ হারায়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, বাঙ্গালী বসবাসকারী, শান্তি বাহিনী ও এর সমর্থকেরা নৃজাতিগোষ্ঠী উচ্ছেদসহ মানবাধিকার হরণে সম্পৃক্ত হয়। (উইকিপিডিয়া, পার্বত্য চট্টগ্রাম সংঘাত)
জাতির স্বর্ণ সন্তানরা যেহেতু সংবিধান প্রণয়ন করে সেহেতু গণতন্ত্রের দরকার কি। আসুন আমরা সবাই চীনের মত ডিকটেটরশিপের দিকে হাটা দেয় অথবা সোভিয়েত ইউনিয়নের দিকে।
ইসলামী কল্যান রাষ্ট্রের নমুনা পাকিস্তান, আফগানিস্তান নয়। নবী(সা) প্রতিষ্ঠিত মদিনা রাষ্ট্র।
আমি তো জানি জাতীয় যে কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গণভোট হয়। সংবিধান কি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ইস্যু নয় কি? গণভোট হওয়ার পর সংখ্যা গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেটাই তো কার্যকর করা হবে। সেটাই তো রাষ্ট্রের স্বর্ণ সন্তানেরা লিপিবদ্ধ করবে।
ধন্যবাদ, আন্তরিকতাপূর্ণ মন্তব্যের জন্য। আপনিও ভাল থাকবেন।
১১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৩৪
বিজন রয় বলেছেন: আমি চাই বাংলাদেশে ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম হোক, যদি তারা একটু সুখি হতে পারে।
তারা ইসলামকে সঠিক ব্যবহার করে যদি শান্তিতে থাকতে পারে তো, অন্য ধর্মের লোকদেরও ভাল হবে। যদিও আরো ১০/১৫ বছর পরে এদেশে অন্য ধর্মের লোক আরো কমে আসবে।
এমনিতেই সারা মুসলিম বিশ্ব নানা সমস্যায় জর্জরিত, বাংলাদেশও এ বাইরে নয়।
বাংলাদেশের মুসলিমরা ভাল থাকুক এই শুভকামনা রইল।
২৭ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২৩
আকদেনিজ বলেছেন: ধন্যবাদ আন্তরিক মন্তব্যের জন্য।
২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৫৮
আকদেনিজ বলেছেন: তারা ইসলামকে সঠিক ব্যবহার করে যদি শান্তিতে থাকতে পারে তো, অন্য ধর্মের লোকদেরও ভাল হবে। যদিও আরো ১০/১৫ বছর পরে এদেশে অন্য ধর্মের লোক আরো কমে আসবে।
'এদেশে অন্য ধর্মের লোক কমে আসবে' কথাটা এমনভাবে বললেন যেন এত দিন ইসলামি আইন বাস্তবায়ন থাকায় অন্য ধর্মের লোক কমে এসেছে।
বাংলাদেশে তো কোন দিনই ইসলামী আইন বাস্তবায়ন হয়নি। বাংলাধেশে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ সহ কত বাদের দ্বারাই তো শাসিত হল। কনটাই শান্তি দিতে পারেনি। আসুন না একবার ইসলামের ছায়া তলে। দেশ কে সাজায় ইসলামের আইন দিয়ে।
ধন্যবাদ।
১২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪১
অসীমের সীমানা বলেছেন: যারা ভাবছেন রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম বাদ দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ হলে কারো ধর্ম পালনে কোন সমস্যা হবেনা, তারা দূরদৃষ্টি কে কাজে লাগাতে পারছেন না। আর কারো সমস্যা হোক না হোক খোদ মুসলমানরই বিপদে পড়বে নিজ দেশে নিজ ধর্মমতে চলতে। এখনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো সাহস পাচ্ছে হিজাব নিষিদ্ধ করতে( অথচ পর্দার বিধান প্রায় সব ধর্মে আছে) , শিক্ষক নামের পরিমলরা মাথার কাপড় সরিয়ে নিতে সাহস পাচ্ছে, গরু জবাই বন্ধের দাবী উঠতে পারছে এই মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশে, মাদ্রাসা লাইনে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা প্লেসে গিয়েও ভাল সাবজেক্ট পায়না সেরা বিদ্যাপীঠ গুলতে, হলে কারা নিয়মিত নামায পরে তাদের ফলো করা হচ্ছে, মুসল্লিদের গায়ে পুলিশের লাঠি উঠছে..... এরপর যদি রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম বাদ দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ হয়, আর কত কি যে দেখতে হবে......।
যারা ভুক্তভোগী শুধু তারাই বুঝে। আর আমরা কয়েকজন দূর থেকে তাদের দুর্দশা অনুভবের চেষ্টা করি।
২৭ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৬
আকদেনিজ বলেছেন: তারা যুক্তি মানতে চাই না। তাদের কথা হল, বিচার মানি তাল গাছ আমার।
ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
১৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২৫
ছাসা ডোনার বলেছেন: ধর্ম নিরপেক্ষতা আর ধর্মহীনতা এক নয়, আপনার ভাষাগত দুর্বলতা জনগনের সামনে তুলে ধরতে একটু লজ্জা পাওয়া উচিত।সংভিধানে কোন ধর্মের নাম উল্লেখ না থাকলে সেটাকে ধর্মহীনতা বলে না বা কাউকে ধর্ম পালনে নিষেধ করা হয় না। রাস্ট্রের কোন ধর্ম থাকতে পারে না। ধর্ম যার যার রাস্ট্র সবার।যারা এদেশ জন্মগ্রহন করবে সবার সমান অধিকার থাকবে। কে কোন ধর্মের অনুসারী হবে তাতে কারো মাথাব্যথা থাকবে না। আপনি যদি প্রকৃত মুসলমান হউন তাহলে হজরত মহম্মদ স: এর কথা মনে করে দেখুন" তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্ম আমাদের আমাদের ধর্ম"।
২৭ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩
আকদেনিজ বলেছেন: ধর্ম নিরপেক্ষতা আর ধর্মহীনতা এক নয়। দয়া করে অক্সফোর্ড ডিকশনারীটা খুলে দেখুন।
রাস্ট্রের কোন ধর্ম থাকতে পারে না। -- ধর্মনিরপেক্ষতা একটি বিশ্বাস, যেমন করে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানও একটি বিশ্বাস। ২০০১ এর আদমশুমারি অনুসারে বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ৮৯.৭ শতাংশ মুসলিম এবং ৯.২ শতাংশ হিন্দু ধর্মাবলম্বী। বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মালম্বীরা মোট জনসংখ্যার ১.২ শতাংশ। বাংলাদেশে ধর্মহীন বা ধর্মের ব্যাপারে নিরপেক্ষতা অবলম্বনকারী(যারা বলে আমি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান কোনটাই না) বা এথিস্টদের সংখ্যা দশমিক কত পার্সেন্ট আমার জানা নেই। এখন আমাকে বলেন কোন যুক্তিতে আমাদের উপর ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ বিশ্বাস কে আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হল।
আপনি যদি প্রকৃত মুসলমান হউন তাহলে হজরত মহম্মদ স: এর কথা মনে করে দেখুন" তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্ম আমাদের আমাদের ধর্ম"। অধিকাংশ মানুষ যে না বুঝেই ইসলাম সম্পর্কে মন্তব্য করে বা আপনি না বুঝেই এক জনের কথা আরেক জনের বলে চালিয়ে দিলেন এই মন্তব্যটি পড়েই বুঝা যায়।
ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
যেহেতু আপনি মনে করেন আমার লজ্জা পাওয়া উচিত সেহেতু আমি লজ্জিত।
১৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বিভিন্ন মন্তব্যের জবাবে আপনার জবাবগুলো দেখে মনে হচ্ছে ইসলাম সম্পর্কে মাশাল্লাহ আপনিই একমাত্র সঠিক জানেন। বাকিদের জানায় ভুল আছে।
২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৩
আকদেনিজ বলেছেন: সে দাবি করছি না ভাই। মানুষ হিসেবে সে দাবি করতেও পারি না। তবে যতটুকু জানি সেটা অন্যকে জানানো প্রয়োজন মনে করছি। আমার জানার মধ্যে ভুলও থাকতে পারে। কেউ যুক্তি প্রমাণ দিয়ে ধরিয়ে দিতে পারলে তাকে স্বাগতম।
১৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৯
হোয়াইট লায়ন বলেছেন: আসেন, আপনাকে সংবিধানে কি লেখা আছে আরেকবার মনে করিয়ে দেই। আমার ধারণা ওই চারটা শব্দ ছাড়া আপনি আর কিছু পরে দেখেন নাই।
দ্বিতীয় ভাগ
রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি
মূলনীতিসমূহ
৮৷ ১[ (১) জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা- এই নীতিসমূহ এবং তৎসহ এই নীতিসমূহ হইতে উদ্ভূত এই ভাগে বর্ণিত অন্য সকল নীতি রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি বলিয়া পরিগণিত হইবে।]
(২) এই ভাগে বর্ণিত নীতিসমূহ বাংলাদেশ-পরিচালনার মূলসূত্র হইবে, আইন-প্রণয়নকালে রাষ্ট্র তাহা প্রয়োগ করিবেন, এই সংবিধান ও বাংলাদেশের অন্যান্য আইনের ব্যাখ্যাদানের ক্ষেত্রে তাহা নির্দেশক হইবে এবং তাহা রাষ্ট্র ও নাগরিকদের কার্যের ভিত্তি হইবে, তবে এই সকল নীতি আদালতের মাধ্যমে বলবৎযোগ্য হইবে না৷
জাতীয়তাবাদ
১[ ৯। ভাষাগত ও সংস্কৃতিগত একক সত্তাবিশিষ্ট যে বাঙালী জাতি ঐক্যবদ্ধ ও সংকল্পবদ্ধ সংগ্রাম করিয়া জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন করিয়াছেন, সেই বাঙালী জাতির ঐক্য ও সংহতি হইবে বাঙালী জাতীয়তাবাদের ভিত্তি।]
সমাজতন্ত্র ও শোষণমুক্তি
১[ ১০।মানুষের উপর মানুষের শোষণ হইতে মুক্ত ন্যায়ানুগ ও সাম্যবাদী সমাজলাভ নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হইবে।]
গণতন্ত্র ও মানবাধিকার
১১৷ প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে ১[ * * *] ২[ এবং প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হইবে]৷
ধর্ম নিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা
১[ ১২। ধর্ম নিরপেক্ষতা নীতি বাস্তবায়নের জন্য
(ক) সর্ব প্রকার সাম্প্রদায়িকতা,
(খ) রাষ্ট্র কর্তৃক কোন ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা দান,
(গ) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মীয় অপব্যবহার,
(ঘ) কোন বিশেষ ধর্ম পালনকারী ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য বা তাহার উপর নিপীড়ন,
বিলোপ করা হইবে।]
এখন আপনি বলেন, কোন ধর্মকে যখন রাষ্ট্র নিজ ধর্ম বলে ঘোষণা করে, তখন কি তা ১২ নং ধারার সবগুলোকেই লংঘন করছে না? রাষ্ট্রের আবার ধর্ম কি? আর ইসলামের কথা আনবেন তো সংখ্যাগরিষ্ঠের কথা বলে, তাই না? তাহলে সেই ধর্ম কোন মাজহাব কিংবা সেই মাজহাবের কোন শাখা প্রশাখাকে ভিত্তি ধরে ঠিক করা হবে? একজন তো আবার আরেকজনকে দেখতে পারেন না।
আবার রাষ্ট্রের বিশেষ কোন ধর্ম থাকলে সেটার ভিত্তিতে কি সুবিধা হবে সেটাও যদি একটু বলতেন বুঝতে সুবিধা হত। এরপর আপনারাই দাবী করবেন যে রাষ্ট্রের ধর্ম ইসলাম তাই ইসলাম মেনে শরীয়া আইন চালু করা হোক। কিন্তু এই দেশে সম্পত্তি ভাগাভাগি ছাড়া আর কিছুতে শরীয়া আইন নাই। চুরির জন্য সৌদিদের মত একমাত্র শাস্তি হাত কর্তন কিংবা এই সেই অপরাধের জন্য প্রকাশ্যে কল্লা কর্তন, চাবুক, বেত্রাঘাত কিংবা দোররা মারা চালু করতে গেলে কোন সরকারের ছাল বাকল ঠিক থাকবে না। সংখ্যাগরিষ্ঠ ইসলামের অনুসারী এই দোহাই দিলেন তো, তাইলে এইটাও নিশ্চয়ই মানবেন এই দেশের ৮০ ভাগ মেয়ে পর্দা করে না। অর্ধেকের বেশি মুসলিম মসজিদের ধারে কাছে দিয়ে যায় না, হারাম জেনেও বিড়ি সিগারেট খায়। তাই এইদেশের ৮৭ ভাগ মানুষ সাচ্চা মুসলিম এবং রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম না থাকলে তাদের দ্বীন দুনিয়া চোখ মুখ সব আন্ধার হয়ে যাবে এমন ভাবার কোন কারন দেখছি না।
সংবিধানের লিঙ্ক
২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:০১
আকদেনিজ বলেছেন: (১২নং ধারা প্রসংগে)ক. ইসলামি রাষ্ট্রে সকলের সমান অধিকার। এখানে কোন সাম্প্রদায়িকতার সুযোগ নেয়।
খ. ধর্মনিরপেক্ষতা একটি বিশ্বাস, যেমন করে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানও একটি বিশ্বাস। রাষ্ট্র কোন বিশ্বাসে চলবে সেটা জনগনই নির্ধারন করবে।
গ.ধর্মীয় অপব্যবহার বলতে কি বুঝাতে চাচ্ছেন। যারা ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করে তারা নাকি যারা শুধু নির্বাচনের আগে মানুষ কে ধোঁকা দেয়ার জন্য মসজিদে যায়। নির্বাচনের প্রচারনা শাহ জালাল(র) মাজার থেকে যারা শুরু করে, যারা নির্বাচন এলেই মাথায় পট্রি বাঁধে হাতে তজবি নেয়।
ঘ. ধর্ম পালনকারী ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য বা তাহার উপর নিপীড়ন বাংলাদেশে যে পরিমানে হয়েছে পৃথিবীর অন্য কোথাও এত পরিমানে হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। বাংলাদেশে পুলিশ এবং সরকারী দলের কর্মীদের হাতে মুসলিম নিপীড়ন একটি কমন বিষয়। যেখানে ছাত্রলীগের হাতে বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ড ঘটায় সাড়া দুনিয়া তুলপাড় সেখানে মুসলমান মারা গেলে মনে যাক একটা কমেছে। তখন সবাই মুখে কুলুপ এঁটে রাখি।কারন মুসলমানদের পক্ষে কথা বললে ধর্মনিরপেক্ষতার ভাব মর্যাদা নষ্ট হয়ে অপবিত্র হয়ে যাবে। ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ধর্মেও কি মুসলমানদের ছায়া মাড়ালে অপবিত্র হয়ে যাবে? বাহ! ধর্মনিরপেক্ষতার কি সুন্দর জয়যাত্রা!
তাহলে সেই ধর্ম কোন মাজহাব কিংবা সেই মাজহাবের কোন শাখা প্রশাখাকে ভিত্তি ধরে ঠিক করা হবে? একজন তো আবার আরেকজনকে দেখতে পারেন না।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলের সংখ্যা কত? তারা একজন আরেক জন কে খুব দেখতে পারে, তাই না?
মুসলিমদের মাঝে বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য আছে ঠিকই। কিন্তু মৌলিক 'অবশ্য পালনীয়' বিষয়ে সবার অবস্থান এক।
আপনি বলেছেন দেশে কে কত পার্সেন্ট ইসলামী বিধান পালন করে বা না করে। আমাকে বলেন তো ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ নামক বিশ্বাস বা ধর্ম সম্পর্কে দেশের কত পার্সেন্ট মানুষ জানে? বিশ্বাস কতজন করে সেটা না হয় বাদই দিলাম।
আসলে, ধর্মনিরপেক্ষতা একটি বিশ্বাস, যেমন করে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানও একটি বিশ্বাস। ২০০১ এর আদমশুমারি অনুসারে বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ৮৯.৭ শতাংশ মুসলিম এবং ৯.২ শতাংশ হিন্দু ধর্মাবলম্বী। বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মালম্বীরা মোট জনসংখ্যার ১.২ শতাংশ। বাংলাদেশে ধর্মহীন বা ধর্মের ব্যাপারে নিরপেক্ষতা অবলম্বনকারী(যারা বলে আমি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান কোনটাই না) বা এথিস্টদের সংখ্যা দশমিক কত পার্সেন্ট আমার জানা নেই। এখন আমাকে বলেন কোন যুক্তিতে আমাদের উপর ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ বিশ্বাস কে আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হল।
১৬| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৬
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি ঠিক বুঝি না যে ইসলামে মিথ্যা বা অর্ধসত্য বা নিজের স্বার্থে একটা কথার দুমড়ানো মুচড়ানো ভাবে পরিবেশন করতে কঠোরভাবে মানা করা আছে, সে ইসলামের অনুসারী হয়ে বাংলাদেশের মোল্লারা মাইকের সামনে নামাজের আগে এবং পরে সমানে তার চর্চা করে। আর আপনাদের মতো তাদের প্রতিনিধিরা তাদের এসব চর্চা জারী রেখে একটা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর জন্য উষ্কে দেন যা সত্যি মুলসমান হিসেবে লজ্জাজনক। আপনার মিথ্যা গুলো ধরিয়ে দেই:
আপনি বলেছেন, "সেনাবাহিনীর গণহত্যার কথা"। পড়ুন সেই ইতিহাস কোথা থেকে শুরু--- ১৯৭৩ সালে লারমা ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) প্রতিষ্ঠা করেন। এ সমিতিতে স্থানীয় আদিবাসী ও উপজাতীয় লোকগণ সংশ্লিষ্ট ছিলেন। পিসিজেএসএসের সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনী সরকারী নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়। শেখ মুজিবের জরুরী শাসনামলে এ সঙ্কটের সূচনা ঘটে। ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যানবাহনে প্রথমবারের মতো আক্রমণ করে শান্তি বাহিনী। ভারত সরকার সীমান্তে ঘাঁটি গড়তে শান্তি বাহিনীকে সহায়তা করে।
পুরো উইকি থেকে কপি করেছেন। কিন্তু উইকিতেও যে ভুল থাকে কথার প্যাচে সেটা হয়তো জানেননা আর স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর সাথে কিজন্য দেখা করতে গিয়েছিলো সেটাও ঘাটপটি মেরে গেছেন। প্রথমে আসি সংবিধানে আসলেই তাদের কথা ছিলো কি নেই:
২৩ক। রাষ্ট্র বিভিন্ন উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আঞ্চলিক সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।]
এটা হলো পন্ঞ্চদশ সংশোধনী যা একবার উঠিয়ে দিলে পরে ২০১১ সালে আবারও সেটা লিখে দেয়া হয়। তার মানে হচ্ছে আপনি সংবিধানটি পড়েননি। না পড়েই তর্ক করতে এসেছেন। এখন আপনি প্রশ্ন করতে পারেন তাহলে শান্ত লারমা আলোচনা করতে গিয়েছিলো কেন? সেটা নিয়ে বেশ বড়সড় ইতিহাস ছিলো যা আপনার উইকি থেকেই কপি করলাম:
১৯৬২ সালে কাপ্তাই বাঁধ অবকাঠামো নির্মাণের ফলে লক্ষাধিক লোক স্থানচ্যুত হন। তাঁদের স্থানচ্যুতিতে তৎকালীন সরকার কোন গুরুত্ব দেয়নি ও হাজারো পরিবার ভারতে চলে যায়। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর পার্বত্য চট্টগ্রামের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী চাকমা রাজনীতিবিদ মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা স্বায়ত্ত্বশাসন ও ঐ অঞ্চলের জনগণের অধিকারকে স্বীকৃতি দেবার জন্য দাবী উত্থাপন করেন।
লারমা ও অন্যান্য পার্বত্য আদিবাসীর প্রতিনিধিগণ বাংলাদেশের সংবিধানের খসড়ার বিপক্ষে অবস্থান নেন। তাঁদের মতে ঐ সংবিধানে নৃজাতিগোষ্ঠীকে স্বীকৃতিসহ অ-মুসলিম ও অ-বাঙ্গালীদের সংস্কৃতিকে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। সরকারের নীতি কেবলমাত্র বাঙ্গালী সংস্কৃতি ও বাংলা ভাষাকে ঘিরে। এছাড়াও বাংলাদেশের সকল নাগরিককে বাঙ্গালী হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতিনিধি দলের নেতা হিসেবে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা’র আলোচনান্তে জানানো হয় যে, পার্বত্য নৃজাতিগোষ্ঠী বাঙ্গালী হিসেবে পরিচিতি লাভে একমত পোষণ করেছেন।[১৩][১৪] এছাড়াও শেখ মুজিব জানিয়েছেন যে, পার্বত্য এলাকায় মুসলিম বাঙ্গালীদেরকে জোরপূর্বক আবাসনের ফলে স্থানীয় বৌদ্ধ ও সংখ্যালঘু হিন্দু জনগোষ্ঠী মেনে নিতে পারছে না।
এর আরো একটা কারন ছিলো তৎকালীন পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজা পাকিস্থানী সেনাবাহিনীদের সাহায্য করে পাকিস্থানে আশ্রয় নেন। এই কারনে স্বাধীনতা পরবর্তী সহিংসতা রুখতে তারা এটা সামনে নিয়ে আসে। কিন্তু সেই কাজটা শেষ করার সময় মুজিবর রহমান জরূরী অবস্থা জারী করেন পুরো দেশে স্বাধীনতা পরবর্তী স হিংসতা আর বিভিন্ন কারনে। পরে উনি মারা গেলে কোনো সরকারই তাদের প্রতি নজর না দিয়ে উল্টো গনহত্যা চালায়। ৯৭ সালে যখন শান্তিচুক্তি হয় তখন সেটাতে লেখা ছিলো:
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটির সহিত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি
সমিতির স্বাক্ষরিত চুক্তিঃ
বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের আওতায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতার প্রতি পূর্ণ ও অবিচল আনুগত্য রাখিয়া পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে সকল নাগরিকের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক অধিকার সমুনড়বত এবং আর্থ-সামাজিক উনড়বয়ন প্রμিয়া তরাম্বিত করা এবং বাংলাদেশের সকল নাগরিকের স্ব স্ব অধিকার সংরক্ষণ ও উনড়বয়নের লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তরফ হইতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার অধিবাসীদের পক্ষ হইতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি নিমেড়ব বর্ণিত চারি খন্ড (ক, খ, গ, ঘ) সম্বলিত চুক্তিতে উপনীত হইলেন
এবং বর্তমানে তাদের যত দাবী দাওয়া তার সবগুলোই ভূমি বাটোয়ারা সংক্রান্ত। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে যা বাকী আছে সেটা হলো ভূমির যথাযত ব্যাবস্থাপনা পাহাড়ীদের জন্য।
দয়া করে সত্য কথাটা পুরোপুরি বলবেন নেক্সট টাইম!
জাতির স্বর্ণ সন্তানরা যেহেতু সংবিধান প্রণয়ন করে সেহেতু গণতন্ত্রের দরকার কি। আসুন আমরা সবাই চীনের মত ডিকটেটরশিপের দিকে হাটা দেয় অথবা সোভিয়েত ইউনিয়নের দিকে।
মনে হয় না জেনেই ঈমানী জোশেই ঝেড়ে দিলেন। চায়নায় ডিক্টেটর শীপ আছে কে বললো। পার্থক্য হলো তাদের গদবাধা গনতন্ত্র নাই, যেটা আছে সেটা অটোক্রেটিক ডেমোক্রেসি। এরা এদের প্রাদেশিক শাসনব্যাবস্থার জায়গায় প্রতিটা গ্রাম এবং শহরকে ভাগ করে সেখানে গনতান্ত্রিক পন্থায় একজনকে নির্বাচিত করে। সেই ওখানকার সবকিছু দেখেন। আমাদের দেশে যেমন বিভাগীয় মেয়র আছে, সেরকম চায়নাতেও। এরকম সিস্টেম সুইডেনেও আছে।কম্যিউন সিস্টেম। এটা হলো গনতন্ত্র আর সমাজতন্ত্রের সমন্বয়। চায়নাতে আগে প্রেসিডেন্ট দ্বারাই চলতো এখন তার ক্ষমতা খর্ব করে সে অংশ পরিবন্টন করা হইছে কংগ্রেসের মধ্যে যেমনটা আমেরিকায় হয়। চায়নার কম্যুনিস্ট পার্টি ছাড়াও আরও রাজনৈতিক দল আছে যার লিস্ট পাবেন এইখানে।
আর প্রেসিডেন্ট থাকলেই ডিকটেটরশীপ চালু হয় কে বললো? তাইলে আমেরিকাতেও ডিকটেটর শীপ চলে নাকি? আর ডেমোক্রেসী ইনডেক্সে রাশিয়ার র্যাংক জানেন? সেগুলো আর না বলি আর এখন রাশিয়ার গঠনতন্ত্র বর্ননা করার এনার্জী নেই। কোনো কমেন্ট বা পোস্ট পড়বার আগে একটু পড়ালেখা করেন।
সংবিধান কি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ইস্যু নয় কি? গণভোট হওয়ার পর সংখ্যা গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেটাই তো কার্যকর করা হবে।
বাহ! কি সুন্দর! সংবিধান পরিবর্তন করার নিয়মটাও জানেন না। ভাই স্বৈরাচার জিয়া আর এরশাদের আমল না যে জাতীর স্বর্নসন্তানরা আপনাদের বেতনভুক্ত কর্মচারী। আগে সিস্টেমটা জেনে আসেন আর এটাও জানেন সংবিধান পরিবর্তন করার জন্য উন্নত ও সভ্য দেশে শেষ কবে নির্বাচন হইছে আর বাংলাদেশ সংবিধান কিভাবে পরিবর্তন হয় !
আর দয়া করে সত্য কথা বলতে শিখুন আর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা ছাড়ুন। আল্লাহ নবী কে বিশ্বাস করলে সংখ্যালঘুদের হত্যা খুন ধর্ষন করবেন না আশা করি! মানুষ হোন!
২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২৩
আকদেনিজ বলেছেন: একটা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর জন্য উষ্কে দেন
অপ্রাসংগিক ভাবে দাঙ্গার কথা তুলেছেন। আমার কোন কথাটায় আপনার কাছে দাঙ্গা লাগানোর জন্য উস্কানির কথা বলা হয়েছে। আসলে যারা দাঙ্গার কথা সব সময় চিন্তা করে তারাই দাঙ্গা লাগাই। নাম দেয় অন্য কে।
আপনি ১০ং মন্তব্যে বাঙ্গালীদের কে সেটেলার বলেছেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামে আসলে সেটেলার কারা ? আসুন জেনে নেয়:
বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে সেটেলার শব্দটি খুবই সাধারন একটি শব্দ। সেটেলার বলতে বুঝায় শরণার্থী। অনেক আঞ্চলিক ভাষায় সেটেলারকে বাদাইম্যা বলে।
পরিভাষায়, কোন দেশ থেকে বিতাড়িত বা নির্যাতিত হয়ে অন্য কোন দেশে আশ্রয় গ্রহন করলে সে আশ্রিত দেশের সেটেলার বলা হয়। তবে প্রবাসীরা সেটেলারের মধ্যে পড়ে না। এবং যারা নিজ দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে গিয়ে বসবাস করে তারাও সেটেলারের মধ্যে পড়ে না।
পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন উপজাতিরা বাঙ্গালীদের সেটেলার বলে। যদিও বাঙ্গালীরা বাংলাদেশের অন্যান্য প্রান্ত থেকে এসে বসবাস করে। এবং অনেক বাঙ্গালী আদিকাল থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাস করে। তারা জন্ম থেকে জন্মান্তরে স্থায়ীভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম এ বসবাস করে আসছে। আর যারা অন্যান্য এলাকা থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে এসে বসবাস করে। তারাও বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বসবাস করে। অন্য কোন দেশ থেকে নয়। বাংলাদেশ এর নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের যে কোন প্রান্তে বসবাস করার অধিকার তাদের আছে। যে সকল উপজাতিরা বাঙ্গালীদের সেটেলার বলে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে চাকমারা। যদিও অধিকাংশ চাকমা বাঙ্গালীদের সাথে ভাই বন্ধু সম্পর্কের মাধ্যমে আবদ্ধ আছে। কিন্তু, কিছু উগ্রবাদী চাকমারা এইসব কথা বলে, বাঙ্গালীদের হুমকি ধমকি দিয়ে পার্বত্য অঞ্চলে প্রতিনিয়ত অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করে। তাদের উদ্দেশ্যও খুব সাধারন। তারা বাঙ্গালীদের সেটেলার বলে, নিজেদের আদিবাসী দাবি করে। পার্বত্য চট্টগ্রামকে জুম্মল্যান্ড নামক আলাদা একটি দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। চাকমাদের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় চাকমারা প্রকৃতপক্ষে চীনের ইউনান প্রদেশের আদি অধিবাসী। চীন থেকে চাকমাদের বিতাড়িত করা হয়। পরে তারা থাইল্যান্ডে বসবাস করা শুরু করে। কিন্তু, থাইল্যান্ড থেকেও তাদের বিতাড়িত করা হয়। এরপর তারা অন্যান্য দেশে আশ্রয় নেয়। ১৮শতাব্দীতে চাকমারা মায়ানমার থেকে এসে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে আশ্রয় নেয়। এবং সেখানে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করছে।
উল্লেখ্য যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে আরো আগে থেকেই বাঙ্গালীরা বসবাস করে আসছে।
এছাড়াও ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত অন্যান্য উপজাতী -রাও বিভিন্ন দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে বা নির্যাতিত হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে এসে বসবাস করে। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙ্গালীরা কোন ভাবেই পার্বত্য চট্টগ্রামের সেটেলার নয়। বরং, উপজাতিরাই পার্বত্য চট্টগ্রামে সেটেলার । আপনি উপজাতি সেটেলার কিনা আমার সন্দেহ হচ্ছে। আমি বুঝতে পারছি না বাংলাদেশের ভিতরে বাঙ্গালীদের কে সেটেলার বলার সাহস করে কি করে আর স্বাধীন জুমল্যান্ডের সপ্ন দেখেই বা কি করে?
১৯৬২ সালে কাপ্তাই বাঁধ অবকাঠামো নির্মাণের ফলে লক্ষাধিক লোক স্থানচ্যুত হন। এটা যদি অন্যায় হয়ে থাকে সেটা পাকিরা করেছে। তারই প্রতিশোধ হিসেবে শান্তি বাহিনী গঠন করে বাংলাদের উপর প্রতিশোধ নিবে। এটা কেমন কথা। নাকি তারা পাকিদের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছিল। সেটাই বাংলাদেশ সরকার দমন করেছে মাত্র। কেননা পাকিস্থান আমলে তো তাদের কোন আন্দোলন চোখে পড়ে নি।
যে ব্যাক্তি চীনেকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলে বা সেখানে গণতন্ত্র দেখে তাকে যুক্তি দিয়ে বুঝানোর ক্ষমতা আমার নাই।
ভাই সংবিধান পরিবর্তনের নিয়মটা জেনে আসলাম। সংবিধান পরিবর্তন করতে হলে প্রথমে আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে পক্ষে আইন পাশ করতে হবে। তারপর ভোটবিহীন নির্বাচনে পাশ হওয়া সংসদ সদস্যরা সেটা পাশ করবেন। তারপর পুতুল প্রেসিডেন্ট সেখানে সাক্ষর করিতে বাধ্য থাকিবেন।
( আমার মূল প্রবন্ধের একটি অংশ: সরকার খুবই কৌশলী। দেশ বিরোধী, সংবিধান বিরোধী বা গণ-বিরোধী কোন আইন পাশ করতে চাইলে প্রথমে আদালতের ঘাড়ে বন্দু ফেলে বৈধ করে নেওয়া নেয়। বিচারপতিরাও সেই অবৈধ কাজ গুলো করতে বাধ্য। কেননা বাহাত্তরের সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ পুনঃস্থাপনের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদের আদেশ অমান্য করলে যে কোন মূহুর্তে অপসারণ হতে পারে)
ধন্যবাদ সুন্দর আলোচনা মূলক মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন। লেখায় ব্যক্তিগত আক্রমন না করলে খুশি হব। আমি যদি করে থাকি সে জন্য দুঃখিত।
১৭| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১০
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আর যে মদিনার ইসলামের কথা বললেন, নবিজী সাঃ মারা যাবার আর কে এই ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে পারছে একটি জানাবেন? চার খলিফার তিনজনই তো নৃশংস ভাবে মুসলামনদের হাতেই মরছে। তারপর হযরত আলী রাঃ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিলো যেন কে?
কেউই যখন ইসলাম কায়েম করতে পারলো না তাইলে আপনেরা এমুন কুন তেতুল হুজুর যে পারবেন?
কয়টা ভিড্যু দেই দেখেন বর্বর ইসলামিক দেশ গুলার কাজ:
২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫৩
আকদেনিজ বলেছেন: যুক্তিতে না পারলে যেটা হয় আর কি। এখানেও ব্যাক্তিগত আক্রমন করেছেন। তাতে কোন সমস্যা নেই। "যার যার বুঝ দাড়ি কাইটা রাখ মুছ"।
পৃথীবিতে যেসব রাষ্ট্রনায়ক বিদ্রোহীদের হাতে বা বিচ্ছিন্ন ঘটনায় মারা যায় বা নিহত হয় তারা কি ব্যর্থ হয়ে গেল? খুবই হাস্যকর। অন্তত বাংলাদেশে এই কথা খাটবে না। আমেরিকা-টামেরিকা বাদই দিলাম।
বুঝা যাচ্ছে আপনি উইকিতে বিশ্বাসী না, ইউটিউবে বিশ্বাসী। কারন এই হতে পারে যে, ইউটিউব খুবই নিরপেক্ষ এবং সত্য। তবে আমার মতে সব ভিডিও সত্য নাও হতে পারে আবার সত্যও হতে পারে। যদি আপনি এগুলো ইসলামি রাষ্ট্রের নমুনা হিসেবে উল্লেখ করে থাকেন ক্ষেত্রে আমি বলব বর্তমানে উল্লেখ করার মত ইসলামি রাষ্ট্র নেই। ইসলামী রাষ্ট্রের উত্তম আদর্শ স্থাপন করে গেছেন নবী করীম(সা)। আর সেটা হল মদিনা রাষ্ট্র।
ধন্যবাদ ভাই ভাল থাকবেন।
১৮| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪১
হোয়াইট লায়ন বলেছেন: (১২নং ধারা প্রসংগে)ক. ইসলামি রাষ্ট্রে সকলের সমান অধিকার। এখানে কোন সাম্প্রদায়িকতার সুযোগ নেয়।
ইসলাম কি দাসপ্রথা সমর্থন করে না? কোরানের আয়াতে কি স্পষ্ট করে উল্লেখ নেই একজন কৃতদাস/কৃতদাসীর সাথে একজন মুক্ত মানুষের পার্থক্যের কথা? তাদের খর্বিত অধিকার আর শাস্তি কিংবা রক্তমুল্যের কথা? ইসলামকেই যদি মানেন, তবে এটাও মানবার কথা ইসলামী বিধান অনুযায়ীই ভেদাভেদের বিধান আছে মানুষে মানুষে। জেনে কথা বলেন তো?
খ. ধর্মনিরপেক্ষতা একটি বিশ্বাস, যেমন করে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানও একটি বিশ্বাস। রাষ্ট্র কোন বিশ্বাসে চলবে সেটা জনগনই নির্ধারন করবে।
ধর্মনিরপেক্ষতা আর নাস্তিকতাকে আপনি এক করে ফেলছেন। নাস্তিকতাবাদ একটি বিশ্বাস, ধর্মনিরপেক্ষতা একটি নীতি। রাষ্ট্র গনতান্ত্রিক, এবং সেই রাষ্ট্র তার সংবিধান মেনে চলতে বাধ্য। আদালত যদি রায় দেয় এটা সংবিধান পরিপন্থী, তবে রাষ্ট্র মানতে বাধ্য। আর ১২ নং ধারা থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে রায়টা কোনদিকে যাবে।
গ.ধর্মীয় অপব্যবহার বলতে কি বুঝাতে চাচ্ছেন। যারা ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করে তারা নাকি যারা শুধু নির্বাচনের আগে মানুষ কে ধোঁকা দেয়ার জন্য মসজিদে যায়। নির্বাচনের প্রচারনা শাহ জালাল(র) মাজার থেকে যারা শুরু করে, যারা নির্বাচন এলেই মাথায় পট্রি বাঁধে হাতে তজবি নেয়।
ধর্মীয় অপব্যবহার কি আপনি বুঝেন না? রাষ্ট্রের সাথে একটা ধর্মের নাম ঝুলায় দিবেন, আর সেইটার ফায়দা নিয়ে বলবেন একটা ইসলামি রাস্ট্রে এটা থাকতে পারবে না, সেটা হতে পারবে না। কিন্তু যারা শুকর, মদ খেতে পছন্দ করে ওদের শুকর কিংবা মদ প্রকাশ্যে বিক্রি করতে দিলে আপনার অসুবিধা কি হবে? ওরা তো আপনাদের খেতে বাধ্য করবে না আর আপনি হবেনও না যদি সাচ্চা মুসলমান হন, তাই না? কিন্তু যারা এসব চায় তাদের আপনারাই কিন্তু ধর্ম নষ্ট হয়ে গেলো জুজু তুলে বাধা দেবেন। এটা কি কারো ব্যক্তিগত অধিকারের লঙ্ঘন হবে না? না হলে কোন যুক্তিতে হবে না? যারা ধর্মগ্রন্থ্য অনুসারে সহীহ জীবনযাপন করে তাদের শতকরা পরিমাণটা আপনার মতে কত তাও একটু বলেন দেখি শুনি?
ঘ. ধর্ম পালনকারী ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য বা তাহার উপর নিপীড়ন বাংলাদেশে যে পরিমানে হয়েছে পৃথিবীর অন্য কোথাও এত পরিমানে হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। বাংলাদেশে পুলিশ এবং সরকারী দলের কর্মীদের হাতে মুসলিম নিপীড়ন একটি কমন বিষয়। যেখানে ছাত্রলীগের হাতে বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ড ঘটায় সাড়া দুনিয়া তুলপাড় সেখানে মুসলমান মারা গেলে মনে যাক একটা কমেছে। তখন সবাই মুখে কুলুপ এঁটে রাখি।কারন মুসলমানদের পক্ষে কথা বললে ধর্মনিরপেক্ষতার ভাব মর্যাদা নষ্ট হয়ে অপবিত্র হয়ে যাবে। ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ধর্মেও কি মুসলমানদের ছায়া মাড়ালে অপবিত্র হয়ে যাবে? বাহ! ধর্মনিরপেক্ষতার কি সুন্দর জয়যাত্রা!
হ্যা, আপনারা কেবল হরকতুল জিহাদরেই সম্ভবত ধর্ম পরিপুর্ণরুপে পালনকারী ভাবেন আর ধরে নেন তাদের উপর বর্বর নির্যাতন হচ্ছে। এদিকে রামুতে শত শত বোউদ্ধমন্দির আপনারা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিলেও তা কোন বড় ব্যাপার হয় না। ভাবছি রামুতে যদি বৌদ্ধরা একটা মসজিদের জানালার কাচ ভাংতো আপনারা কি করতেন। অন্যের ব্যাপারে চরম নির্যাতন হলেও আপনাদের ঈমানদন্ড একটুও দাড়ায় না।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলের সংখ্যা কত? তারা একজন আরেক জন কে খুব দেখতে পারে, তাই না?
রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের দেখতে না পারুক, সেটা রাষ্ট্রের বিষয় নয়। কারন দল রাষ্ট্র না। কিন্তু কয়েকটি দল বাদে সব দলই কিন্তু সকল ধর্মের মানুষের জন্য উন্মুক্ত। এখানে যদি দলের সাথেও বিশেষ ধর্ম বিশ্বাস জুড়ে দিতে চান তাহলে সেটাও দলের জন্য ক্ষতিকর হবে। আর রাষ্ট্র দলের নয়, সবার। আর তাই এখানে বিশেষ কিছু জুড়ে দেয়া গ্রহনযোগ্য নয়। আপনাকে একটা প্রশ্ন করেছিলাম, রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম না থাকলে বিশেষ কি ক্ষতি হবে দেশের, রাষ্ট্রের আচরনে বিশেষ কি ক্ষতিকর পরিবর্তন আসতে পারে, সেটার যদি একটা উত্তর দিতেন দয়া করে।
মুসলিমদের মাঝে বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য আছে ঠিকই। কিন্তু মৌলিক 'অবশ্য পালনীয়' বিষয়ে সবার অবস্থান এক।
রাষ্ট্র কি ব্যক্তি যে ধর্মের মৌলিক অবশ্য পালনীয় বিষয় তাকে মেনে চলতে বাধ্য করবেন? রাষ্ট্র যেমন একজন মুসলমানের, তেমনই একজন হিন্দুর।
আপনি বলেছেন দেশে কে কত পার্সেন্ট ইসলামী বিধান পালন করে বা না করে। আমাকে বলেন তো ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ নামক বিশ্বাস বা ধর্ম সম্পর্কে দেশের কত পার্সেন্ট মানুষ জানে? বিশ্বাস কতজন করে সেটা না হয় বাদই দিলাম।
আপনিও আমাকে বলেন, বাংলাদেশের মুসলমানদের কতজন জেনে কোরান পড়ে কিংবা নামাজের সময় অর্থ বুঝে সুরা উচ্চারণ করে? তবে আমার ধারণা দেশের আশি ভাগ মানুষ চায় যে যার যার মত ধর্ম পালন করবে, কেউ কারো ধ্ররম কিংবা বিশেষ আচার আচরণকে বাকা চোখে দেখে না। আমাদের দেশটা এ হিসেবে উদার এবং ধর্মনিরপেক্ষ। রাস্ট্রেরও তাই হওয়া উচিত।
আসলে, ধর্মনিরপেক্ষতা একটি বিশ্বাস, যেমন করে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানও একটি বিশ্বাস। ২০০১ এর আদমশুমারি অনুসারে বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ৮৯.৭ শতাংশ মুসলিম এবং ৯.২ শতাংশ হিন্দু ধর্মাবলম্বী। বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মালম্বীরা মোট জনসংখ্যার ১.২ শতাংশ। বাংলাদেশে ধর্মহীন বা ধর্মের ব্যাপারে নিরপেক্ষতা অবলম্বনকারী(যারা বলে আমি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান কোনটাই না) বা এথিস্টদের সংখ্যা দশমিক কত পার্সেন্ট আমার জানা নেই। এখন আমাকে বলেন কোন যুক্তিতে আমাদের উপর ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ বিশ্বাস কে আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হল।
ধর্মুনিরপেক্ষতাকে আপনি নাস্তিকতাবাদের সাথে গুলিয়ে ফেলছেন। আবারও বলি, এটা একটা নীতি। যে নীতির কারণে রাষ্ট্র তার নাগরিকদের বিশেষ কোন বিশ্বাসের কিংবা ধর্মের নামে তাদের অধিকারকে প্রভাবিত করবে না কিংবা চাপিয়ে দেবে না।
২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩
আকদেনিজ বলেছেন: ইসলাম কি দাসপ্রথা সমর্থন করে না? কোরানের আয়াতে কি স্পষ্ট করে উল্লেখ নেই একজন কৃতদাস/কৃতদাসীর সাথে একজন মুক্ত মানুষের পার্থক্যের কথা? তাদের খর্বিত অধিকার আর শাস্তি কিংবা রক্তমুল্যের কথা? ইসলামকেই যদি মানেন, তবে এটাও মানবার কথা ইসলামী বিধান অনুযায়ীই ভেদাভেদের বিধান আছে মানুষে মানুষে। জেনে কথা বলেন তো?
ক. দাসপ্রথা ইতিহাসের ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ডের এক জঘন্যতম উদাহরণ। মুসলিম নব্য শিক্ষিতদেরকে ইসলামের প্রতি বিরূপ ও শত্রুতাভাবাপন্ন করে তোলার জন্যে কমিউনিষ্টরা সাধারণ এই অস্ত্রটিই বেশী ব্যবহার করে থাকে।(আপনাকে কমিউনিষ্ট বলিনি)। তারা বিষয়টা কে এমন ভাবে উপস্থাপন করে যে ইসলামই দাস প্রথা চালু করেছে। অথচ এই ঘৃন্য প্রথা অনেক অগে থেকেই চলে আসছে। কিন্তু ইসলাম তাদের প্রতি সুবিচার করতে বলেছে।
ইসলামের বৈপ্লবিক ঘোষণা শুনুন:
বিশ্ব মানবতার এই অধঃপতনের যুগেই ইসলামের আবির্ভাব ঘটে: ইসলাম দাসদেরকে তাদের হারানো মর্যাদা পুনরায় ফিরিয়ে দিল। প্রভু ও দাস উভয় শ্রেণীকে সম্বোধন করে ইসলাম দ্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করল:
“তোমরা সবাই একই গোত্রের লোক।” –(সূরা আন নিসা: ২৫)
ইসলাম স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল: যে আমাদের কোন দাসকে হত্যা করবে তাকে উহার বদলা হিসেবে হত্যা করা হবে। যে তার নাক কেটে দিবে তার নাকও কেটে দেয়া হবে। যে তাকে খাসী (বা পুরুষত্বহীন) করে দেবে তাকেও তদ্রুপ করে দেয়া হবে।” [বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসা’ঈ।]
উহা দাস ও মুনিবদের নিকট সমস্ত মানুষের একই উৎস্থল, একই আবাসভূমি এবং একই প্রত্যাবর্তনস্থলের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে: “তোমরা সকলেই আদমের সন্তান এবং আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে মৃত্তিকা থেকে।” [মুসলিম ও আবু দাউদ] ইসলাম প্রভুকে কখনো প্রভু হিসেবে মর্যাদা দেয়নি; বরং মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব দেয়ার জন্যে তাকওয়া বা আল্লাহরভীতিকেই একমাত্র ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করেছে। বলা হয়েছে: “তাকওয়া ছাড়া কোন আরব কোন আজমীর চেয়ে, কোন শ্বেতাংগের চেয়ে কোন কৃষ্ণাংগ কিংবা কোন কৃষ্ণাংগের চেয়ে কোন শ্বেতাংগ মর্যাদা হাসিল করতে পারে না।” [আল বুখারী]
ইসলাম প্রভুদেরকে তাদের অধীনস্ত দাসদের সাথে ন্যায়বিচার ভিত্তিক ব্যবহারের জন্যে নির্দেশ দিয়েছে। আল্লাহ বলেন:
“মাতা-পিতার সাথে সদ্ব্যবহার কর, আত্মীয়, ইয়াতিম ও মিসকীনদের সাথে সদাচরণ কর এবং প্রতিবেশী আত্মীয়, অপরিচিত নিকটবর্তী জন, পার্শ্ববর্তী সহচর, মুসাফির (ভ্রমণকারী) এবং তোমাদের অধীনস্ত দাস-দাসীদের প্রতি এহ্সান ও বদান্যতা প্রদর্শন কর। নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ যে, আল্লাহ এমন ব্যক্তিকে পসন্দ করেন না, যে অহংকারী ও গর্বিত।” –(সূরা আন নিসা: ৩৬)
আমরা অনেকেই ইসলাম সম্পর্কে মন্তব্য করি না জেনে না বুঝেই। ইসলাম যে শুধু বিশ্বাসের নাম নয় এটা একটা বিশ্ব বিজয়ী আদর্শ এটাই আমরা জানি না বা উপলব্দি করতে পারি না। ইসলামের সৌন্দর্য্য উপলব্দি করতে হলে নিরপেক্ষ মন নিয়ে ইসলাম সম্পর্কে জানতে হবে, সে জন্য এর সম্পর্কে স্টাডি করা উচিত। আচ্ছা একটি বারও কি কৌতুহল জাগে না যে কোন সেই আদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে এদেশের মানুষ দলে দলে তাদের বিশ্বাস পরিবর্তন করেছে? নাকি দাস হওয়ার জন্য তারা ইসলাম গ্রহন করেছে?
ধর্মনিরপেক্ষতা আর নাস্তিকতাকে আপনি এক করে ফেলছেন। নাস্তিকতাবাদ একটি বিশ্বাস, ধর্মনিরপেক্ষতা একটি নীতি। রাষ্ট্র গনতান্ত্রিক, এবং সেই রাষ্ট্র তার সংবিধান মেনে চলতে বাধ্য। আদালত যদি রায় দেয় এটা সংবিধান পরিপন্থী, তবে রাষ্ট্র মানতে বাধ্য। আর ১২ নং ধারা থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে রায়টা কোনদিকে যাবে।
খ. আপনি গ্রহন করলেন ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি আর জনগন চাই ইসলামী নীতি।
রাষ্ট্র গনতান্ত্রিক, এবং সেই রাষ্ট্র তার সংবিধান মেনে চলতে বাধ্য। আদালত যদি রায় দেয় এটা সংবিধান পরিপন্থী, তবে রাষ্ট্র মানতে বাধ্য। আদালত যে রায় দিতে বাধ্য সেটা তো বলেননি ভাই। কেননা বাহাত্তরের সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ পুনঃস্থাপনের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। হায়রে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র!
ধর্মীয় অপব্যবহার কি আপনি বুঝেন না? রাষ্ট্রের সাথে একটা ধর্মের নাম ঝুলায় দিবেন, আর সেইটার ফায়দা নিয়ে বলবেন একটা ইসলামি রাস্ট্রে এটা থাকতে পারবে না, সেটা হতে পারবে না। কিন্তু যারা শুকর, মদ খেতে পছন্দ করে ওদের শুকর কিংবা মদ প্রকাশ্যে বিক্রি করতে দিলে আপনার অসুবিধা কি হবে? ওরা তো আপনাদের খেতে বাধ্য করবে না আর আপনি হবেনও না যদি সাচ্চা মুসলমান হন, তাই না? কিন্তু যারা এসব চায় তাদের আপনারাই কিন্তু ধর্ম নষ্ট হয়ে গেলো জুজু তুলে বাধা দেবেন। এটা কি কারো ব্যক্তিগত অধিকারের লঙ্ঘন হবে না? না হলে কোন যুক্তিতে হবে না? যারা ধর্মগ্রন্থ্য অনুসারে সহীহ জীবনযাপন করে তাদের শতকরা পরিমাণটা আপনার মতে কত তাও একটু বলেন দেখি শুনি?
গ. দ্বি-মুখী নীতি কাকে বলে? দ্বি-মুখী নীতি হল মুখে এক কাজে কর্মে আরেক। আমি মদ, শুকর খাব আর নির্বাচনের সময় জনগনকে দেখানোর জন্য হজ্ব করব, হাতে তজবি নিব, মাথায় পট্রি বাঁধব তা তো জনগন মেনে নেবে না। সাহস করে হয় বলব আমি মুসলমান, না হয় বলব আমি আমি মুসলমান না( যার যার বিশ্বাস বা নীতি)। ব্যাপারটা হল এ রকম, আমি নিজেকে দেশ প্রেমিক দাবি করব কিন্তু দালালি করব অন্য দেশের। এই ধরনের দ্বি-মুখী নীতি রাষ্ট্র মেনে নেবে না। এই ধরনের নীতি ধর্মনিরপেক্ষতাবাদে থাকতে পারে কিন্তু ইসলামে নেই। যদি এক নীতি বা এক বিশ্বাস ধর্মের উপর থাকেন তখন ইসলাম আপনার বিশ্বাস লালনের স্বাধীনতা দেবে। নিরপেক্ষ মন নিয়ে মুহাম্মদ(স)-এর আদর্শ জানুন তখন দেখতে পাবেন মদিনা রাষ্ট্রে অমুসলিমদের অধিকার ছিল ঠিক মুসলিমদের মতই। তাদের নিজীস্ব ধর্ম পালনের অধিকার ছিল।
হ্যা, আপনারা কেবল হরকতুল জিহাদরেই সম্ভবত ধর্ম পরিপুর্ণরুপে পালনকারী ভাবেন আর ধরে নেন তাদের উপর বর্বর নির্যাতন হচ্ছে। এদিকে রামুতে শত শত বোউদ্ধমন্দির আপনারা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিলেও তা কোন বড় ব্যাপার হয় না। ভাবছি রামুতে যদি বৌদ্ধরা একটা মসজিদের জানালার কাচ ভাংতো আপনারা কি করতেন। অন্যের ব্যাপারে চরম নির্যাতন হলেও আপনাদের ঈমানদন্ড একটুও দাড়ায় না।
ঘ. আপনি অপ্রসংগিকভাবে হরকতুল জিহাদের কথা তুলেছেন। আমি একটা কথা বুঝতে পারছি না, ইসলাম বিরোধীতাকারীরা ইসলামের সাথে কিছু বিভ্রান্ত মুসলিম কে এনে তুলনা করে। সঠিক ইসলাম তো মুহাম্মদ (স)-এর আদর্শে নিহিত। তাছাড়া আমি বলেছি রাজনৈতিক নির্যাতনের কথা। হরকতুল জিহাদ রাজনৈতিক দল নাকি? বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে যে ছাত্র গুলো এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে তারা কি হরকতুল জিহাদের লোক? (তাছাড়া রামুসহ কিছু ঘটনা আছে যেটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা করেছে এবং রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরকে দায়ী করছে। মিডিয়াতেও ঠিক একই ভাবে এসেছে। কোনটা যে বিশ্বাস করব কোনটা যে করব না সেটাই ঠিক করতে পারছি না। হতে পারে আপনারটা সত্য আবার নাও হতে পারে। সন্দেহের বশবর্তি হয়ে কাউকে কিছু বলা ঠিক না। আমার মনে হয় আর কি।)
রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের দেখতে না পারুক, সেটা রাষ্ট্রের বিষয় নয়। কারন দল রাষ্ট্র না। কিন্তু কয়েকটি দল বাদে সব দলই কিন্তু সকল ধর্মের মানুষের জন্য উন্মুক্ত। এখানে যদি দলের সাথেও বিশেষ ধর্ম বিশ্বাস জুড়ে দিতে চান তাহলে সেটাও দলের জন্য ক্ষতিকর হবে। আর রাষ্ট্র দলের নয়, সবার। আর তাই এখানে বিশেষ কিছু জুড়ে দেয়া গ্রহনযোগ্য নয়। আপনাকে একটা প্রশ্ন করেছিলাম, রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম না থাকলে বিশেষ কি ক্ষতি হবে দেশের, রাষ্ট্রের আচরনে বিশেষ কি ক্ষতিকর পরিবর্তন আসতে পারে, সেটার যদি একটা উত্তর দিতেন দয়া করে।
বাংলাদেশের জনগন ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের যে তিক্ত অভিজ্ঞতা লাভ (১৯৭২-৭৫ এবং ২০১১-১৬ সালে) করছে। এ দেশ কে সরকারি দল শুধু দলীয় সম্পত্তি মনে করে না। পারিবারিক সম্পত্তিও মনে করে। এই হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতার নমুনা।
আপনাকে একটা প্রশ্ন করেছিলাম, রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম না থাকলে বিশেষ কি ক্ষতি হবে দেশের, রাষ্ট্রের আচরনে বিশেষ কি ক্ষতিকর পরিবর্তন আসতে পারে, সেটার যদি একটা উত্তর দিতেন দয়া করে।
'আপনার মতে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের একটি দিক হল সকল ধর্মের ধর্ম পালনের স্বাধীনতা এবং বৈষম্য দূরীকরণ। ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ রাষ্ট্রের মূলনীতি হলে প্রথমে যে পরিবর্তনটা আসবে সেটা হল পারে সেটা হল "ধর্ম পালনের স্বাধীনতা এবং বৈষম্য দূরীকরণ" নীতিতে পরিবর্তন। অবশ্য ইতোমধ্যে পরিবর্তন হয়ে গেছে। নমুনা: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে হিজাব নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। শিক্ষক নামের পরিমলরা মাথার কাপড় সরিয়ে নিতে সাহস পাচ্ছ। গরু জবাই বন্ধের দাবী উঠছে। আযান নিষিদ্ধের দাবি উঠছে। মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশে মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেও নিজের ইচ্ছা মত সাবজেক্ট নিতে পারে না। মুসল্লিদের গায়ে পুলিশের লাঠি উঠছে..... যেহেতু মূলনীতিতে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ সেহেতু এসব হতেই পারে। তবে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকলে যেটা হবে সেটা হল এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করার কিছুটা হলেও বৈধতা পাওয়া যাবে। অন্যথায় ধর্মীয় অধিকারের জন্য প্রতিবাদ করার যৌক্তকতাটুকুও হারাবে। তখন ধর্মনিরপেক্ষতার দোহায় দিয়ে বলা হবে ইহা সংবিধান পরিপন্থী।
রাষ্ট্র কি ব্যক্তি যে ধর্মের মৌলিক অবশ্য পালনীয় বিষয় তাকে মেনে চলতে বাধ্য করবেন? রাষ্ট্র যেমন একজন মুসলমানের, তেমনই একজন হিন্দুর।
ইসলাম এমন এক জীবন বিধানের নাম। যেখানে ব্যাক্তি জীবন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, রাষ্ট্র, ব্যাবসা-বিদেশ নীতি, শত্রুতা-সম্প্রিতি অমুসলিমদের সাথে সুবিচার করাসহ সব কিছুর নীতিমালা দেওয়া আছে। সুতরাং ইসলাম নামক পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধানে প্রবেশ করুন।
আপনিও আমাকে বলেন, বাংলাদেশের মুসলমানদের কতজন জেনে কোরান পড়ে কিংবা নামাজের সময় অর্থ বুঝে সুরা উচ্চারণ করে? তবে আমার ধারণা দেশের আশি ভাগ মানুষ চায় যে যার যার মত ধর্ম পালন করবে, কেউ কারো ধ্ররম কিংবা বিশেষ আচার আচরণকে বাকা চোখে দেখে না। আমাদের দেশটা এ হিসেবে উদার এবং ধর্মনিরপেক্ষ। রাস্ট্রেরও তাই হওয়া উচিত।
উত্তর না দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন। আপনার সাথে আমি একমত। আমারও ধারনা দেশের আশি ভাগেরও বেশি মানুষ চাই যে, যার যার ধর্ম পালন করবে। কেউ করো ধর্ম কিংবা বৈধ বিশেষ আচরনকে বাঁকা চোখে দেখে না। আমাদের দেশটা এ হিসেবে উদার এবং যার যার ধর্মে ধর্মভীরু। রাষ্ট্রেরও তাই হওয়া উচিত।
এমনটা হয়েছে কারন এদেশে ৯০ পার্সেন্ট মুসলমানের বসবাস। তাদের জীবন বিধান ইসলাম তাদের কে উদারতা শিক্ষা দিয়েছে বলেই এমনটা হয়েছে। ভারতের দিকে তাকালে এর বিপরীত অবস্থা দেখতে পাবেন।
আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। সামুকেও ধন্যবাদ কারন তারা এমন একটা প্লাটফর্ম করে দেওয়ায় আমাদের আলোচনা থেকে জনগন কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা জেনে নিতে পারবে আশা করি।
১৯| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪০
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে সেটেলার শব্দটি খুবই সাধারন একটি শব্দ। সেটেলার বলতে বুঝায় শরণার্থী। অনেক আঞ্চলিক ভাষায় সেটেলারকে বাদাইম্যা বলে।
পরিভাষায়, কোন দেশ থেকে বিতাড়িত বা নির্যাতিত হয়ে অন্য কোন দেশে আশ্রয় গ্রহন করলে সে আশ্রিত দেশের সেটেলার বলা হয়। তবে প্রবাসীরা সেটেলারের মধ্যে পড়ে না। এবং যারা নিজ দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে গিয়ে বসবাস করে তারাও সেটেলারের মধ্যে পড়ে না।
পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন উপজাতিরা বাঙ্গালীদের সেটেলার বলে। যদিও বাঙ্গালীরা বাংলাদেশের অন্যান্য প্রান্ত থেকে এসে বসবাস করে। এবং অনেক বাঙ্গালী আদিকাল থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাস করে। তারা জন্ম থেকে জন্মান্তরে স্থায়ীভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম এ বসবাস করে আসছে। আর যারা অন্যান্য এলাকা থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে এসে বসবাস করে। তারাও বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বসবাস করে। অন্য কোন দেশ থেকে নয়। বাংলাদেশ এর নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের যে কোন প্রান্তে বসবাস করার অধিকার তাদের আছে। যে সকল উপজাতিরা বাঙ্গালীদের সেটেলার বলে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে চাকমারা। যদিও অধিকাংশ চাকমা বাঙ্গালীদের সাথে ভাই বন্ধু সম্পর্কের মাধ্যমে আবদ্ধ আছে। কিন্তু, কিছু উগ্রবাদী চাকমারা এইসব কথা বলে, বাঙ্গালীদের হুমকি ধমকি দিয়ে পার্বত্য অঞ্চলে প্রতিনিয়ত অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করে। তাদের উদ্দেশ্যও খুব সাধারন। তারা বাঙ্গালীদের সেটেলার বলে, নিজেদের আদিবাসী দাবি করে। পার্বত্য চট্টগ্রামকে জুম্মল্যান্ড নামক আলাদা একটি দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। চাকমাদের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় চাকমারা প্রকৃতপক্ষে চীনের ইউনান প্রদেশের আদি অধিবাসী। চীন থেকে চাকমাদের বিতাড়িত করা হয়। পরে তারা থাইল্যান্ডে বসবাস করা শুরু করে। কিন্তু, থাইল্যান্ড থেকেও তাদের বিতাড়িত করা হয়। এরপর তারা অন্যান্য দেশে আশ্রয় নেয়। ১৮শতাব্দীতে চাকমারা মায়ানমার থেকে এসে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে আশ্রয় নেয়। এবং সেখানে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করছে।
উল্লেখ্য যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে আরো আগে থেকেই বাঙ্গালীরা বসবাস করে আসছে।
এছাড়াও ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত অন্যান্য উপজাতী -রাও বিভিন্ন দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে বা নির্যাতিত হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে এসে বসবাস করে। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙ্গালীরা কোন ভাবেই পার্বত্য চট্টগ্রামের সেটেলার নয়। বরং, উপজাতিরাই পার্বত্য চট্টগ্রামে সেটেলার । আপনি উপজাতি সেটেলার কিনা আমার সন্দেহ হচ্ছে। আমি বুঝতে পারছি না বাংলাদেশের ভিতরে বাঙ্গালীদের কে সেটেলার বলার সাহস করে কি করে আর স্বাধীন জুমল্যান্ডের সপ্ন দেখেই বা কি করে?
তাইলে তো ভাই ওগো পিটানো জায়েজ, তাই না? আরেকটা কথা, মেজর জিয়া ক্ষমতা গ্রহনের কয়েক মাস পর রাঙ্গামাটি স্টেডিয়ামে সবাইকে ডাক দিয়া বলে অস্ত্রের বিনিময়ে গম আর কাজ। সবাই জড়ো হয় এবং স্টেডিয়ামের প্রধান ফলট আটকে ব্রাশফায়ার। এই ঘটনা ততকালীন সেনাদের কড়া হুকুমে চেপে যায়। এমনকি এর কোনো নথি পর্যন্ত নাই, তবে এর সাক্ষ্য পাবেন যারা বয়োঃবৃদ্ধ পাহাড়ী। আর চাকমারা এমনেই শান্তিপূর্ন, ভূদাই বলতে পারে। এখন যা সুযোগ সুবিধা যায় পাকীরা তাও দিতো না। বার্মাও তখন খুব একটা গা করতো না কারন পাকিস্থানকে তারা বাঘের মতো ডরাইতো এমনকি তখন পাকিদের কাছ থেকে তারা অস্ত্রও কিনতো। কিন্তু দেশ স্বাধীন হবার পর বার্মিজদের কাছ থেকে সেই ব্যাক আপ পায়। আর সেটেলারের আভিধানিক অর্থ বইলা তো লাভ নাই, লাভ হইলো সবাই ঐখানে সেটেলার কারে বলে সেইটাই। আর চট্টগ্রামে পয়দা লওয়া পার্বত্য চট্টগ্রামে পয়দা লওয়া....ভাই কই থাকনে?
সংবিধান পরিবর্তন করতে হলে প্রথমে আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে পক্ষে আইন পাশ করতে হবে। তারপর ভোটবিহীন নির্বাচনে পাশ হওয়া সংসদ সদস্যরা সেটা পাশ করবেন। তারপর পুতুল প্রেসিডেন্ট সেখানে সাক্ষর করিতে বাধ্য থাকিবেন।
ভাই, আদালতে আইন পাশ করতে হয় এইটা কুনজায়গায় লেখা পাইছেন একটু দেখবার মনচায়। আর ভোটারবিহীন বা দলবিহীন নির্বাচন হইছে এইটার কথা কইয়া লাভ নাই। লাভ হইতো যদি আপনেগো পক্ষ থিকা ভোটে খাড়াইয়া জিত্যা সংসদে বসতেন!সিস্টেমে আসেন ভাই।
কেননা সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগন যাকে প্রাণের চেয়েও বেশি যাকে ভালবাসে সেখানেই আঘাত করতে যাচ্ছে সরকার। মনে হয় না জনগন খুব সহজে ছেড়ে দেবে।
দেশ অচল না কইরা জন গনের নামে রায়ট লাগাইয়া অচল করবেন এটা বুঝতে কষ্ট হয় না। কারন হেফাজতের দিন ভর লুটপাতের পর রাইতের বেলা হাগার হাগার লাশের বিলাপ এখনও ভুলে নাই। ভুলে নাই নীচের কথা গুলো:
২৮ তারিখ জামাত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদিকে ৭১ এর মানবতা বিরোধী মামলায় ফাঁসি দেয়ার পর নোয়াখালীর রাজগাঞ্জবাজার গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা চালানো হয়। একজন আক্রান্ত ব্যক্তি Amnesty Internation কে জানায় যে জামাত-শিবিরের হরতাল সমর্থনকারীরা তাদের বাড়িঘরে হামলা চালায়, এসময় তাড়া প্রায় ৩০টি বাড়িতে আগুন দেয় যেগুলোতে প্রায় ৬৬টি পরিবার বাস করতো। তারা সেখানে মন্দির গুলোতেও আগুন দিয়েছে। একই দিনে বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলায় একটি গ্রামে ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় আরও মন্দিরে ভাংচুর করে।
পুরো মার্চ মাস জুড়েই লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, বাগেরহাট, মুন্সীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, চট্টগ্রাম, নাটোর, কুমিল্লা, নেত্রকোনা, বগুড়া, ভোলা, রংপুর, সিলেট, নেত্রকোনা সহ প্রায় সারা দেশেই হিন্দুসম্প্রদায়ের মানুষের উপর হামলা চালায় জামাত-শিবির। লুটপাট করে, ঘড় বাড়ি ও উপাসনালয় পুড়িয় দেয়।
এপ্রিলের ৫ তারিখ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে তিনটি মন্দিরে আগুন দেয় এবং এ মাসে আরও জায়গায় আগুন দেয় তারা। ২০১৩ প্রায় সারা বছরটি জুড়েই জামাত শিবিরের এ তাণ্ডব চলতে থাকে। ২৫শে নভেম্বর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করবার পর থেকে ১৮ দলীয় জোটের তীব্র ক্ষোভের স্বীকার হয় এই অমুসলিম সম্প্রদায় গুলো। ডিসেম্বরের ১২ তারিখ কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর করার পর হামলা চালায় হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর। কিছুদিন হ্রাস হামলা বন্ধ থাকলেও ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর তা আবারও শুরু হয়।
পনেরো বছর বয়সের দশম শ্রেণীর ছাত্রী পূর্ণিমা গণধর্ষণের শিকার হয়ে অনেকটা বাকরম্নদ্ধ হয়ে পড়েছিল। সিরাজগঞ্জের উলস্নাপাড়া থানার দেলুয়া গ্রামের অনিল কুমার শীলের পরিবারের ওপর ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী অক্টোবর মাসের ৮ তারিখ রাতে চালানো হয় বর্বরতম অত্যাচার-নির্যাতন-নিপীড়ন। রাতে জোরপূর্বক বাড়িতে ঢুকে অত্যাচার-নির্যাতনের এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা অনিল শীলের ছোট মেয়েকে তুলে নিয়ে সম্পূর্ণ বিবস্ত্র করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।তদন্ত কমিশন সরেজমিন তদনত্ম করতে গেলে বাগেরহাট সার্কিট হাউসে এসে নির্মম নির্যাতনের কাহিনী বর্ণনা করে গণধর্ষণের শিকার হওয়া ছবি রানী। ধর্ষণের সময় তার বয়স ছিল ২০ বছর। ছবি রানী কমিশনের সামনে বলে, ২০০২ সালের ২১ আগস্ট বিএনপি নেতা মলিস্নক মিজানুর রহমান ওরফে মজনু ও বাশার কাজীর নির্দেশে সন্ত্রাসী মজনু রহমান (বিএনপি থানা আহ্বায়ক), আবুল বাসার, তায়েব নুর, কামাল শিকারী, কামাল ইজারাদার, বজলুর রহমান, পলাশ, মাঝে শিকদার, ইল ফরাজী, হিমু কাজী, জিন্না নুর প্রহরী, ইমদাদ, এমএ মান্নান, হারম্নন মলিস্নক, মোসত্মাফিজুর রহমান, হাফিজ উদ্দিন, আলতাফরা সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টা থেকে সাড়ে ৭টায় তাকে বিএনপি অফিসে ডেকে নিয়ে গণর্ধষণ করে। পরে মাথার চুল কেটে দেয়। পরে নগ্ন ছবি করে যৌনাঙ্গে বালু ও কাঁচের গুঁড়া ঢুকিয়ে দেয়। পানি খেতে চাইলে প্রসাব করে তা খেতে দেয়। জবানবন্দী দেয়ার সময় তার শরীরের কয়েকটি চিহ্ন কমিশনের সদস্যদের দেখান। এ সময় ছবি রানী তদনত্ম কমিশনকে জানায়, বাগেরহাট আদালতে এ মামলা চলাকালে বিএনপির তখনকার সভাপতি ও বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম তাঁর বাগেরহাটের বাড়িতে ডেকে নিয়ে জোর করে মামলা মীমাংসাপত্রে স্বাৰর করিয়ে নেয় এবং সন্ত্রাসীর হুমকির মুখে সাৰী হাজির করতে না পারায় বাধ্য হয়ে মামলাটি প্রথমে ঢাকা, পরে খুলানা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্যনালে স্থানানত্মর করে।
আর ভাই ধর্ম নিরপেক্ষতা কি কোনো বিশ্বাস? কন না ভাই কই থিকা পাশ দিছেন? জানতে মন চায়। ও ভাই এই বিশ্বাসের কোনো ওহী বা রাসুল আইছে নাকি?
২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:০৫
আকদেনিজ বলেছেন: তাইলে তো ভাই ওগো পিটানো জায়েজ, তাই না? আরেকটা কথা, মেজর জিয়া ক্ষমতা গ্রহনের কয়েক মাস পর রাঙ্গামাটি স্টেডিয়ামে সবাইকে ডাক দিয়া বলে অস্ত্রের বিনিময়ে গম আর কাজ। সবাই জড়ো হয় এবং স্টেডিয়ামের প্রধান ফলট আটকে ব্রাশফায়ার। এই ঘটনা ততকালীন সেনাদের কড়া হুকুমে চেপে যায়। এমনকি এর কোনো নথি পর্যন্ত নাই, তবে এর সাক্ষ্য পাবেন যারা বয়োঃবৃদ্ধ পাহাড়ী। আর চাকমারা এমনেই শান্তিপূর্ন, ভূদাই বলতে পারে। এখন যা সুযোগ সুবিধা যায় পাকীরা তাও দিতো না। বার্মাও তখন খুব একটা গা করতো না কারন পাকিস্থানকে তারা বাঘের মতো ডরাইতো এমনকি তখন পাকিদের কাছ থেকে তারা অস্ত্রও কিনতো। কিন্তু দেশ স্বাধীন হবার পর বার্মিজদের কাছ থেকে সেই ব্যাক আপ পায়। আর সেটেলারের আভিধানিক অর্থ বইলা তো লাভ নাই, লাভ হইলো সবাই ঐখানে সেটেলার কারে বলে সেইটাই। আর চট্টগ্রামে পয়দা লওয়া পার্বত্য চট্টগ্রামে পয়দা লওয়া....ভাই কই থাকনে?
আপনি তো আবার উইকি বিশ্বাস করেন না। আমাকে বলেন ভিত্তিহীন একটা তথ্য বিশ্বাস করতে। যদি এটা সত্য হয় তাহলে এখানে আরেকটি মহা সত্য লুকিয়ে আছে এবং সেটা আপনিই মনের অজান্তে উপস্থাপন করেছেন। অস্ত্র জমা দেওয়ার বিনিময়ে গম আর কাজের কথা বলেছিলেন তৎকালীন সেনবাহীনি। এর মানে হল স্টেডিয়ামে যারা জড়ো হয়েছিল সবাই ছিল স্বসস্ত্র। অস্ত্র গুলো দিয়ে তারা কি করেছিল, কোথা থেকে এনেছিল। অস্ত্রগুলো বৈধ ছিল না অবৈধ ছিল। একটি স্বাধীন দেশে একদল স্বসস্ত্র লোক বাস করে আবার সে দেশের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরে। আপনার কি মনে হয় তাদের কে আদর করা উচিত ছিল? মূলত তৎকালীন পার্বত্য চট্রগ্রাম ছিল অনেকটা যুদ্ধ ক্ষেত্রের মত। স্বাধীন জুমল্যান্ড প্রতিষ্ঠার সপ্ন নিয়ে সর্বপ্রথম পরোক্ষ ভাবে যুদ্ধ ঘোষনা ১৯৭৩ সালে স্বসস্ত্র জঙ্গী বাহিনী, শান্তি বাহিনী গঠনের মধ্য দিয়ে। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জরুরী শাসনামলে এ সঙ্কটের সূচনা ঘটে। তবে শান্তি বাহিনী প্রকাশ্যে প্রথম যুদ্ধ ঘোষনা করে ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যানবাহনে প্রথমবারের মতো আক্রমণের মধ্য দিয়ে। আর ভারত সরকার সীমান্তে ঘাঁটি গড়তে শান্তি বাহিনীকে সহায়তা করে। মূলত তাদের কে উৎসাহ এবং ইন্দন যোগাচ্ছে ভারত। সীমান্তে ঘাঁটি গড়তে শান্তি বাহিনীকে সহায়তা এবং অস্ত্র দিয়ে সহযোগীতা সেটাই প্রমাণ করে। উদ্দেশ্য পার্বত্য চট্রগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছন্ন করে দূর্বল করে দেওয়া এবং সেখানকার প্রাকৃতিক সম্পদ গুলো বিনা বাধায় ভোগ-দখল করা। স্বসস্ত্র কোন জঙ্গী গুষ্টিকে কৌশলে দমন করা কি অন্যায়? বাংলাদেশের অখণ্ডতা রক্ষা করতে গিয়ে যদি এ ধরনের হাজারো অন্যায় করতে হয় তাহলেও সমস্যা নেই। যদি সেটা অন্যায় ছিল না; ছিল কর্তব্য। যে কোন মূল্যে বাংলাদেশের প্রতি ইন্চ্ঞি মাটি রক্ষ করা আমাদের কর্তব্য। সেনাবাহিনী সে দায়িত্বই পালন করেছে মাত্র।
আর চাকমারা এমনেই শান্তিপূর্ন, ভূদাই বলতে পারে। যাদের 'শান্তি বাহিনীর' মত একটি জঙ্গী এবং সন্ত্রাসী বাহিনী আছে তারা শান্তিপূর্নই বটে। বাঙ্গালী জাতি কে আপনি ভুদাই পাইছে যে আপনার কথা তারা বিশ্বাস করবে?
আমি জানি আপনি বাঙ্গালী না অবাঙ্গালী। ধরে নিচ্ছি আপনি বাঙ্গালী। যদি বাঙ্গালী হয়ে থাকেন তবে বলব বাঙ্গালী হয়েও আপনার মত বাঙ্গালী বিদ্বেষ পাকিরাও পোষণ করত কিনা সন্দেহ। এটা কোন সমস্যা না। শত্রুরা এদেশের মানুষের প্রতি যুগে যুগে বিদ্বেষ এবং বিরোধীতা করে আসছে। ইংরেজ আমলে কলকাতার বাবু সম্প্রদায়, তারপর আসল পাকি সম্প্রদায়, এখন সেটা আপনাদের মত কিছু ভ্রান্ত সম্প্রদায় অব্যাহত রেখেছে। যারা সপ্ন দেখে স্বাধীন জুমল্যান্ডের। যারা বলে বাঙ্গালীরা সেটেলার। আশ্চর্য এরা উড়ে এসে জুড়ে বসেছে অথচ বাঙ্গালীদের কে বলে সেটেলার। ব্যাপারটা অনেকটা ফিলিস্তিনে ইহুদী-মুসলমানদের মত অবস্থা। সেখানে ইহুদীরা মুসলমানদের বাপ-দাদার ভীটা থেকে উচ্ছেদ করে বলতে শুরু করল এটা আমাদের আদি ভূমি। যেমন ভাবে বাংলাদেশের উপজাতিরা নিজেদের কে দাবি করে আদিবাসি এবং তারাই এখানকার আদি অধিবাসী। আর সেখানে ইন্দন যোগাচ্ছে আন্তর্জাতিক একটি মহল। ঠিক এই ব্যাপারটিই ফিলিস্তিনে ঘটেছিল। হয়ত সেদিন বেশি দূরে নয় যে দিন আন্তর্জাতিক সহায়তায় বা চাপে বাঙ্গালীদেরকেও ফিলিস্তিনিদের মত উচ্ছেদ করা হবে। দোয়া করি এমন দিন যেন কোন দিনই না আসে।
আমার বাড়ি চট্রগ্রামে না হলেও আমি বাঙ্গালী এবং বাংলাদেশের নাগরিক।
ভাই, আদালতে আইন পাশ করতে হয় এইটা কুনজায়গায় লেখা পাইছেন একটু দেখবার মনচায়। আর ভোটারবিহীন বা দলবিহীন নির্বাচন হইছে এইটার কথা কইয়া লাভ নাই। লাভ হইতো যদি আপনেগো পক্ষ থিকা ভোটে খাড়াইয়া জিত্যা সংসদে বসতেন!সিস্টেমে আসেন ভাই।
খুচা না দিয়ে ভাল ভাবেই বলি। ভাইজান কষ্ট করে একটু নেটে সার্চ দিয়ে দেখবেন ৫ম সংশোধনী বাতিলের মাধ্যমে ১৯৭২-এর মূলনীতি পূনর্বহাল, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তকরণের রায় প্রথম কোথা থেকে এসেছিল?
আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে সংবিধান সংশোধন করে দলের অধিনে নির্বাচন দেয়ায় কেন যে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে আসে নাই সেটা আমার ভাল জানা থাকার কথা নয়, তারাই ভাল জানবে।
রাজনৈতিক আলোচনা করতে ইচ্ছুক নয়। কেননা দেশের কোন রাজনৈতিক দলের উপরেই আমার তেমন আস্থা নেই। এরা দলের স্বার্থে এমন কোন জঘন্য কাজ নেই যা তারা করতে পারে না। এসব নিউজের উপরও আমার আস্থা নেই। কারন সব পেপারই কোন না কোন দলের পা চাটে। বিশেষ করে সরকারের পা চাটার ব্যাপারে মুটামুটি প্রতিযোগিতা শুরু হয়। হায়! বাংলাদেশে একটা জনগণের পত্রিকা থাকত!
ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।
২০| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪১
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আর ভাই ধর্ম নিরপেক্ষতা কি কোনো বিশ্বাস? কন না ভাই কই থিকা পাশ দিছেন? জানতে মন চায়। ও ভাই এই বিশ্বাসের কোনো ওহী বা রাসুল আইছে নাকি?
২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৪২
আকদেনিজ বলেছেন: ১৮ নং মন্তব্যে সহ -ব্লগার হোয়াইট লায়ন বলেছিলেন, "ধর্মনিরপেক্ষতা একটি নীতি"।
আপনি হয়ত ধর্ম নিরপেক্ষ নীতিতে বিশ্বাসী। কিন্তু জনগণ ইসলামি নীতিতে বিশ্বাসী।
আমি পাশ নাকি ফেল সেটা না জানলেও চলবে। তবে এতুকু আহ্বান রইল যে, যুক্তির পথে আসুন।
সরি ভাই আমার কাছে বিশ্বাসের কোনো ওহী বা রাসুল আসে নাই।
ভাল থাকুন।
২১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৩৭
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: পোস্ট দিয়া সারতে পারি নাই, শুরু হইয়া মসজিদে ঘোষনা দিয়ে সংখ্যালঘু ধর্ষন জ্বালানী পুড়ানি।
বাংলাদেশের মোল্লারা সাক্ষাৎ ইবলিশ, ধর্ষক।
২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৪
আকদেনিজ বলেছেন: আপনি বলেছেন, "বাংলাদেশের মোল্লারা সাক্ষাৎ ইবলিশ, ধর্ষক"।
কারা যে সাম্প্রদায়িক উস্কানি মূলক কথা বলে, কারা যে রায়ট বা দাঙ্গা লাগায় সেটা ধর্ম নিরপেক্ষ নীতিতে বিশ্বাসীরা না বুঝলেও বা না বুঝার ভান করলেও জনগণ ঠিকই বুঝে।
বাংলাদেশের গ্রামগুলো তে প্রায় প্রতিদিন ব্যক্তিগত বা পারিবারিক কারনে এই ধরণের ঘটনা ঘটে। সেখানে কেউ জালিম আর কেউ বা জুলুমের শিকার হয়। সেগুলো আবার সামাজিকভাবে মিটমাট হয়। সেখানেও যে পক্ষপাতিত্ত হয় না এমনটা নয়। এবং সেটা অন্যায়ও বটে। এখানে পক্ষপাতিত্ত কিন্তু কে মুসলমান কে হিন্দু এই দেখে হয় না, এটা হয় মূলত শক্তির উপর নির্ভর করে। (আমি নিজেও একটা হিন্দু প্রধান এলাকায় বসবাস করি। আমাদের ওয়ার্ড মেম্বার হিন্দু।) পার্থক্য হল মুসলমানরা জুলুমের শিকার হলে কোন নিউজ হয় না, অন্য ধর্মের কারো কিছু হলে জিগির উঠে। ছাত্রলীগের হাতে বিশ্বজিৎ হত্যাই তার প্রমাণ। অথচ ছাত্রলীগের হাতে এর আগে বা পরে কত লোক মারা গেছে তার কোন হিসাব নেই।
তবে এ ধরনের যে কোন ঘটনাই অন্যায়। সেটা যেই করুক না কেন। এসব অন্যায় কিন্তু আমাদের জন্যই ঘটে। আপনি মুসলমানদের সম্পর্কে বলবেন "মোল্লারা সাক্ষাৎ ইবলিশ, ধর্ষক"। আমি হয়ত রাগের মাথায় আপনার ধর্মের সম্পর্কে আরও বাজে কোন কথা বললাম। এর পরই ছড়িয়ে পড়ল গুজব। গুজবের অনিবার্য ফল হল দাঙ্গা।
আসুন আমরা এসব ছেড়ে দিয়ে সমাজটা কে সুন্দর করি।
ভাল থাকুন ভাই।
২২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:০৭
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তাইলে পাহাড়ী মারা জায়েজ হইলে মোল্লা মারাও জায়েজ করা হোক যারা জঙ্গি এবং এমন সংখ্যালঘু খুন ধর্ষন ও জঙ্গি বোমাবাজীতে বিশ্বাস করে- এটা কি বলতে পারি!?
৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২৩
আকদেনিজ বলেছেন: তাইলে পাহাড়ী মারা জায়েজ হইলে মোল্লা মারাও জায়েজ করা হোক
'পাহাড়ি মারা বৈধ বা জায়েজ' একথা আমি বলিনি। 'শান্তি বাহিনীর' মত একটি জঙ্গী এবং সন্ত্রাসী বাহিনী কে দমন করা বৈধতার কথা বলেছি। আপনার কাছে কি মনে হয় তাদের কে মারা বৈধ না অবৈধ?
যারা বাংলাদেশের সেনা সদস্য মারতে পারে তাদের কাছে মোল্লা মারা কোন ব্যাপার না, সেটা জায়েজই হোক আর নাজায়েজই হোক। কোন ব্যপার না, চালিয়ে যান।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১
বিজন রয় বলেছেন: সুতরাং ধর্মনিরপেক্ষতার দোহায় দিয়ে যারা বলে থাকেন রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধান বিরোধী তারা এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কথাটা কতটা অযৌক্তিক এবং অমূলক।