নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনটা যদি তুষারের মতো...

আখেনাটেন

আমি আমাকে চিনব বলে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি একা একা, পাই নি একটুও কূল-কিনারা কিংবা তার কেশমাত্র দেখা। এভাবেই না চিনতে চিনতেই কি মহাকালের পথে আঁচড় কাটবে শেষ রেখা?

আখেনাটেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ অন্যরকম বদলা

২০ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৫৬



"When a man steals your wife, there is no better revenge than to let him keep her."--Sacha Guitry

হাওড়ে বহুবছর বাদে হঠাৎ দেড় মণ ওজনের বাঘা আইড় ধরা পড়লে মানুষ যেমন দেখার জন্য পঙ্গপালের মতো উষ্ঠাউষ্ঠি করে, ঠিক তেমনি আমাকে দেখার জন্য হাসপাতালেও একই অবস্থা। সেটা আমি স্পেশালভাবে বানানো ঢাকা মেডিকেলের কেবিনে শুয়েও টের পাচ্ছি। দেশের সব কয়টি টিভি চ্যানেলে আমাকে লাইভ দেখাচ্ছে কিংবা দেখানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিখ্যাত সংগীত শিল্পী কলিজা খান আমাকে নিয়ে নাকি ইতিমধ্যে গান বেঁধে ফেলেছে। সেই গান কখগ রেডিওর মাধ্যমে সারাদেশে নাকি ভীষণ হিট। এদিকে শুনলাম সাতাত্তর টিভি আমাকে নিয়ে এর মধ্যেই হৃদয়বিদারক আর্ট ফিল্ম বানিয়ে ফেলেছে। দেশের সঙ্গীত শিল্পী-রেডিও-টিভি চ্যানেলগুলোর এই করুণ অবস্থা দেখে এই কষ্টের মাঝেও হাসি পেল আমার। বহুদিন পর তাদের টিআরপি বাড়ানোর সুযোগ এসেছে।

প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। দেশে না হলে বিদেশে নেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। উনি নিয়মিতই হোমড়াচোমড়াদের জন্য এই নীতি চালু রেখেছেন। আমিও তাহলে জনগণ থেকে বের হয়ে ঐ বিশেষ কাতারে সামিল হলাম। যদিও টাকা আমার জন্য সমস্যা না। বরং সমস্যা এখন জাতীয় পর্যায়ে চলে গেছে। রাজনৈতিক নেতারা সেখানে ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে আর কি! নানাজন নানা মত দিচ্ছে কীভাবে এ অবস্থা থেকে আমার মুক্তি মিলবে।

শুধু ভাবছি আর ভাবছি! নায়লা কীভাবে পারল আমার উপর এইরকম ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ নিতে? আমি ঘুনাক্ষরেও একটিবারের জন্যে টের পাই নি। পেলে কি এই জীবন-মরণ অবস্থায় পড়তে হয়? তিরিশ বসন্ত পার না হতেই ভবলীলা সাঙ্গ হওয়ার দশা! যদিও ডাক্তারেরা বলছে এ যাত্রায় বেঁচে যেতে পারি, তবে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে সে জন্য। তো আসুন, শুনি কি ধরনের প্রতিশোধ নিল নায়লা আমার উপর।



নায়লা আমার বউ। একতরফা ভালোবাসার বউ। অবশ্য এখন আর নেই। বউয়ের সামনে ‘সাবেক’ শব্দটি জুড়ে গেছে। খবর পেয়েছি পাখি উড়ে অষ্ট্রেলিয়াতে মানিকের ডেরায় হাজির হয়েছে। সাত বছর সংসার করার পর ঘন্টি বাজিয়ে চলে গেল। আমার অবশ্য আক্ষেপ করাও মানায় না। যে অপরাধ করেছিলাম তার সাজা তো পেতে হবে। অথচ এই সাতটা বছর মনে হয়েছে কী স্বর্গ সুখেই না ছিলাম? নায়লার ব্যবহারে কখনও এতটুকু বোঝার উপায় ছিল না কি কঠিন প্রতিশোধ নিতে যাচ্ছে সে আমার উপর।

ভার্সিটিতে পড়ার সময় নায়লা ছিল আমাদের তিন বছরের জুনিয়র। আর মানিক ছিল আমার বুজম বন্ধু। মেধাবী মানিক বরাবর প্রেমের ব্যাপারে অপদার্থ গোছের হলেও পদার্থবিদ্যাতে সবসময়ই টপার হিসেবে থাকত। গোপনে গোপনে অনেকে তাকে পছন্দ করলেও ওর ঐ গোমড়ামুখো স্বভাবের কারণে কেউ প্রেম করার সাহস করত না। আমরা তৃতীয় বর্ষে পড়ার সময় নায়লা প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়। অসম্ভব সুন্দরী এই মেয়ে ডিপার্টমেন্ট তথা গোটা ক্যাম্পাসে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিল রূপের জৌলুসে। আমি আবার কিছুটা ‘হেই ড্যুড’ টাইপের ছিলাম। নায়লাকে দেখার পরে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি বিয়ে যদি কখনও করি একেই করব। যদিও আমি ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের সাথে পুরোপুরি জড়িত নয়। বরং বাপের অঢেল টাকার সুবাধে ক্যাম্পাসে 'হাতেম তাঈ' উপাধি পেয়েছি। মানিক আবার আমার জিগারের দোস্ত। সেই আমার পড়াশুনার নোটপত্র সরবরাহকারী।

মানিকের এই নোটপত্র পরের জেনারেশনরাও গ্রোগ্রাসে গিলত। ফলে রমণীমহলে ওর একটা বিশেষ অবস্থান ছিল। সেই সূত্র ধরেই নায়লাও মানিকের কাছাকাছি চলে আসে। তবে সেটা যে এতটা কাছাকাছি তা কেবল আমার ভালোবাসা প্রকাশ করার দিন বুঝতে পারি। আর হতাশ হয়ে তখনই মনে মনে ষড়যন্ত্রের বীজটা বুনে ফেলি।



মানিক ছিল গ্রামের এক অতি সাধারন ঘরের ছেলে। বাড়ি থেকে ঠিকমত টাকা পাঠাতে পারত না ওর বাবা। আমিই ওকে অনেকবার টাকা দিয়েছি। নায়লাও মফস্বল শহর থেকে পড়তে আসা।

পাশ করে বের হয়েই বাবাকে নানা উপায়ে বুঝিয়ে দিলাম যে ছেলে নালায়েক হয়ে গেছে। ছেড়ে দেওয়া পাঁঠার মতো যার-তার ক্ষেতে মুখ দেওয়ার চেয়ে স্থায়ী একটি ফসল ঘরে তুললে কেমন হয়? বাবা-মা খুশি হল। তাদের একমাত্র পোলা বিয়ের ইচ্ছে পোষণ করেছে। এরপর পাত্রীর সন্ধান দিলাম। নায়লা তখন সবেমাত্র তৃতীয় বর্ষে উঠেছে।

বিয়ের এন্তেজাম পাঠানো হল ওদের বাসায়। নায়লা এ কথা জানার পর আমার সাথে ভীষণ রাগারাগি। এদিকে মানিক তখন সদ্য পাশ করা বেকার। এই সুযোগটাই আমি সুকৌশলে নেওয়ার চেষ্টা করছি। জানি, শীঘ্রই ও চাকরি পেয়ে যাবে। আর তখন আমার জোরটাও কমে যাবে। আমি তখন দেশের অন্যতম বড় একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর। আমার পরিবারের ইতিহাস জেনে নায়লার পরিবার সটান খাড়া কন্যা সম্প্রদানে। কিন্তু নায়লা বসেছে বেঁকে।

একদিন মানিক আমাকে ডেকে হু হু করে কান্না। কাকুতি মিনতি। ওরা দুজন-দুজনে দিওয়ানা। ফিল্মি ডায়লগ দিচ্ছিল একে অপরকে ছাড়া নাকি বাঁচবে না। এগুলো শুনে আমার হাসি পাচ্ছিল। যে যাই বলুক আমার সোনার হরিণ চাই। আমি জানি মানিকের বেশি কিছু করার সামর্থ নেই। এখন ও টিউশনি করে নিজে চলে আবার দেশের বাড়িতে টাকা পাঠায়। ওর পক্ষে নায়লাকে বিয়ে করা কিছুতেই সম্ভব না। আর সে ঐ মাপের সাহসী ছেলেও নয়।

শেষে মাস দুয়েক কচলাকচলির পর নায়লা বিয়ে করতে বাধ্য হয়। বাসররাতে আমি ‘সোনাবউ’ বলে ডাকতেই নায়লা দাঁত চিবিয়ে বলেছিল, ‘তুমি যে ক্ষতিটা আমার করলে এর জন্য একদিন তোমাকে পস্তাতে হবে। আমি এমন প্রতিশোধ নিব, এমনই প্রতিশোধ নিব যে তুমি বিন্দু পরিমাণ টের পাবে না কোথা থেকে কি ঘটে গেল। এরপর ঠিকই আমি মানিকের সাথেই ঘর করব। ও আমার জন্য মৃত্যু পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। ওকে তো তুমি চিন’।

এটা ঠিক। মানিক যে ধরণের ছেলে, পাঁচটা বাচ্চা নিয়ে নায়লা উপস্থিত হলেও খুশিতে বগল বাজাতে বাজাতে মাগুর মাছ কিনতে বাজারে যাবে। যেন বউ রাগ করে বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে বাপের বাড়ি গিয়েছিল, এখন ফিরে এসেছে? এই ছেলেগুলো এত ভালো হয় কেন?

তবে নায়লার ঐ হুমকী শুনে আমি মুচকি হাসি দিয়ে বলেছিলাম, ‘সে দেখা যাবে ক্ষণ! এখন না হয় তুমি আমার পিতল বউ হয়েই থাকলে। আস্তে আস্তে ঠিকই সোনাতে পরিনত হবে’

হাই তুলতে তুলতে বললাম, ‘ভ্রমণ করে তুমি ক্লান্ত! আজকে ঘুমাও। আমার কোনো জোর জবরদস্তি নাই বাসররাতে বিলাই মারার চেষ্টাতে। তুমি আমার পাশে শুয়ে আছ, এই দৃশ্য দেখতে দেখতে আমি সারাজীবন পার করে দিতে পারি’। বলে আমি ওর গালটা একটু টিপে দিয়েছিলাম। আর নায়লা গোখরা সাপের মতো ফোঁস করে উঠে ঝামটা দিয়ে আমার হাতটা সরিয়ে দিয়েছিল।

আমি জানি আমার টাট্টু ঘোড়া ঠিকই একদিন পোষ মানবে। অপেক্ষা ও ধৈর্য। এই দুটি শব্দ এখন আমার ভীষণ প্রিয়। পরের দিন দেখি নায়লা মিষ্টি মিষ্টি হাসি দিয়ে বাড়ির সবাইকে আপন করে নিয়েছে। আমার সাথেও মুখে হাসি নিয়ে কথা বলছে। আমি একটু অবাক এবং অবশ্যই বিস্মিত হলাম!



কিছুদিন পর জানতে পারলাম মানিক বৃত্তি নিয়ে অস্ট্রেলিয়া চলে গেছে। মনে মনে ভীষণ খুশি হয়েছিলাম। যাক, কাছের আপদটা বিদায় হল তাহলে। আমার এই স্বার্থপর চিন্তার কথা শুনে নায়লার কোনো প্রকার ভাবলেশ ছিল না।

নায়লাও পিতল বউ থেকে সোনাবউতে রূপান্তরিত হয়েছে। পড়াশুনার পাশাপাশি বেশ ভালো রান্না-বান্না শিখেছে। স্যোসাল মিডিয়াতে রীতিমত সেলিব্রেটি রান্না-স্পেশালিস্ট হিসেবে।

আমি অফিস থেকে একটু তাড়াতাড়িই ফিরে আসি সোনাবউয়ের সাথে কুট্টুসকাট্টুস করার জন্য। বাসায় নানা পদের বাহারী রান্নায় ভরপুর থাকত। নায়লার আমার প্রতি এই টান আমি মারাত্মক উপভোগ করতাম। ভীষণ সুখের সংসার ছিল আমাদের।

দেশ-বিদেশ ঘুরে ঘুরে ও নানা প্রকার খাবারের রেসিপি শিখে আসত। সেই আইটেম রেঁধে খাওয়াত। ওর ইউটিউবে বেশ জনপ্রিয় একটি রান্নার চ্যানেলও রয়েছে । নানা পদের রান্নার বাহার। আমি হচ্ছি ওর প্রধান ভোক্তা। এত যত্ন করে ও আমাকে খাওয়াত ভাবাই যায় না। যে মেয়ে এত ভালোবাসা নিয়ে আমার যত্ন নিত, সেই মেয়ে কীভাবে এরকম প্রতিশোধ নিতে পারল।

কী সব অদ্ভুত অদ্ভুত রান্না করত? গরু-খাসি-মুরগীর চর্বি দিয়েই হরেক রকমের পদ। স্পেশাল রেসিপি খাসির চর্বির সাথে আফ্রিকান মাগুরের দোঁপিয়াজো। মুরগীর চর্বি দিয়ে মালাইকারী। ওফ, কি স্বাদ! আসলে নায়লাকে এত বেশি ভালোবাসতাম যে সব খাবারকেই অমৃত মনে হত! নায়লা পরম ভালোবাসায় এগুলো রান্না করত। এত ভালোবাসা তার প্রিয় মানুষটির জন্য। অথচ সেই ভালোবাসাকে কিনা...। হতভাগা আমি। বুঝি নি! কিছুই বুঝি নি!

এভাবে একদিন আমি সমাজে ভোজনরসিক উপাধি পেয়ে গেলাম। গত সাতটা বছর ধরে এভাবে খেয়েই যাচ্ছি। খেয়েই যাচ্ছি। গত কয়েক বছর থেকে ঘর থেকেও বের হই না।

এভাবে সাত বছর পর আমার ওজন গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭১ কেজিতে। আমিই এখন দেশের সবচেয়ে মোটামানুষ। তিন দিন আগে আমাকে গুহা মানে বাসা থেকে জানালা কেটে ক্রেন দিয়ে টেনে বের করে এই হাসপাতালে...।

নির্লিপ্ত ও বিষন্ন ভঙ্গিতে মুঠোফোনের খুদেবার্তাটির দিকে তাকিয়ে আছি। ‘এসব কিছুই সুপরিকল্পিত, ডিয়ার হিপ্পো অয়নবাবু'।

কৌতূহলী তথ্যমন্ত্রীকে ইঁদুরের মতো উঁকি দিতে দেখলাম। সাথে বাইরে টিআরপিওয়ালাদের হুলুস্থুল হট্টগোল।
.
.
.
পুনশ্চ- মানিকেরা কি বাস্তবে এতটাই ভালো মানুষ? আমিও লক্ষ রাখছি অষ্ট্রেলিয়াতে পরবর্তী…! হায়রে ভালোবাসা!

************************************************************************************
আখেনাটেন/২০১৯

ছবি: অন্তর্জাল

মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কমেডিতেও টুইস্ট! ভাল হয়েছে...

২০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৬

আখেনাটেন বলেছেন: :P

ভালো লাগায় প্রীত হলুম।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ব্লগার বিচার মানি তালগাছ আমার। ভালো থাকুন।



২| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৫১

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এদিকে শুনলাম সাতাত্তর টিভি আমাকে নিয়ে এর মধ্যেই হৃদয়বিদারক আর্ট ফিল্ম বানিয়ে ফেলেছে।

হা হা হা ............................।

২০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২০

আখেনাটেন বলেছেন: :-P

শুনেছিলাম দেশের টিভি চ্যানেলগুলো আর্ট ফিল্ম বানানোতে বিরাট ওস্তাত। এখানেই তার প্রমাণও পেলুম। :D

ধন্যবাদ ব্লগার মাহমুদুর রহমান।

৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:২৯

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: গল্প ভাল লাগলো। বাস্তবে এমন ভালো মানুষের সন্ধান মেলে না। এরা তার এক্স প্রেমিকাকে গ্রহণ করে বঠে। কিন্তু সংসার সুখের হয় না।

কেউ কেউ তোহ আছে গ্রহণ করে প্রতিশোধ স্বরুপ। এরা কয়েকদিন উপভোগ করে। তারপর ছেড়ে দেয়।

২০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৩

আখেনাটেন বলেছেন: হুম, সেজন্যই তো অয়ন মিঞা পাখির চোখ রাখছে ক্যাঙারুর দেশে। দেখা যাক, কোথাকার জল কোথায় গড়ায়। B-)

মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা নিবেন ব্লগার আকতার আর হোসাইন।

৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৫১

আমি মুক্তা বলেছেন: দারুণ ফ্যন্টাস্টিক প্রতিশোধ! সুন্দর লেখা।

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এদিকে শুনলাম সাতাত্তর টিভি আমাকে নিয়ে এর মধ্যেই হৃদয়বিদারক আর্ট ফিল্ম বানিয়ে ফেলেছে।

হা হা হা ............................।

২০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৬

আখেনাটেন বলেছেন: আমি মুক্তা বলেছেন: দারুণ ফ্যন্টাস্টিক প্রতিশোধ! --- X( তারমানে আপনিও এই ভয়ঙ্কর প্রতিশোধে সায় দিচ্ছেন। অয়ন মিঞা আপনারে পাইলে কিন্তু খবর আছে কয়ে দিলুম। :P


লেখা ভালো লাগায় প্রীত হলুম।

মন্তব্যের জন্য শুভকামনা ব্লগার আমি মুক্তা।

৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: গল্পটা ঠিক বাস্তবসম্মত হয় নাই। সাত বছর সংসার, খাইয়ে কোরবানীর গরুর মতো মোটাতাজা করে প্রতিশোধ!!! :((
আজকাল একজন মোটা মানুষকে চিকন করা চিকিৎসা শাস্ত্রে কোন ব্যাপারই না।

নাহ্,প্রতিশোধটা জবরদস্ত হয় নাই।

গল্পের উপস্থাপনা ভালো। আপনার গল্প সবসময়েই সুখপাঠ্য। :)

২০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৫

আখেনাটেন বলেছেন: ভুয়া মফিজ বলেছেন: গল্পটা ঠিক বাস্তবসম্মত হয় নাই। সাত বছর সংসার, খাইয়ে কোরবানীর গরুর মতো মোটাতাজা করে প্রতিশোধ!!! ----....হা হা হা। এই অবাস্তব প্রতিশোধ বাস্তব হলে তো দেশে বউয়ের রান্না আর কেউ খাবে না আতঙ্কে। :P

গল্পে রম্যের ট্যাগ দিতে চাইছিলাম, কিন্তু...প্রতিশোধের সাথে রম্য শব্দটা ক্যামন যেন যায় না।


নাহ্,প্রতিশোধটা জবরদস্ত হয় নাই। -- না, মশাই আপনাদের নিয়ে আর পারা গেল না। বেচারা ঐ রকম দশাসই শরীর নিয়ে জীবন ওষ্ঠ্রাগত অবস্থায় পার করছে আর আপনারা বলছেন প্রতিশোধ আরো কঠোর হতে পারত। B-)

রম্য ভালো লাগায় অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকুন ব্লগার ভুয়া মফিজ।

৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৭

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: হা হা হা এটা তো আমার বুদ্ধি ভাইয়া :P আমি আমার বর কে এমন খাইয়ে খাইয়ে মোটু বানিয়ে রাখবো যেন আর কোন মেয়েরা তার দিকে নজর না দেয় =p~ তবে অবশ্যই ৩৭১ কেজি নয় :| :|| :||

অফিসে কাজ করতে করতে যখন জান তেজপাতা তখন আপনার গল্পটি পড়ে দারুন মজা পেলাম আনেখাটেন ভাইয়া ওহ থুক্কু আখেনাটেন ভাইয়া :#)

২০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪২

আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা.....আপনার মারাত্মক বুদ্ধি তো। আপনার মশাইকে তো আপনার এই পরিকল্পনা আমার আগেই জানিয়ে দেওয়া দরকার। যেন উনি মায়াবীনির মায়ার ফাঁদে না পা দ্যান। :P


জান তেজপাতার মাঝেও গল্পে জিরা ভাজার সুঘ্রাণ পেয়েছেন জেনে ভালো লাগল ব্লগার কথার ঝুলপরী থুক্কু ফুলঝরি।

শুভকামনা।

৭| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৩

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ অপরাহ্ন রম্য গুরু,
নায়লা মনে হয় কুরবানীর গরুর ইনজেকশনের কথা শুনে নাই :P
দেশ বিদেশ না ঘুরে গাবতলীর হাট থেকে একবার ঘুরে আসলেই খবর ছিল অয়ন বাবুর। ;)
সাত বছর লাগতো না, সাত মাসেই কাজ হয়ে যেত!! =p~
ওজনটা মনে হয় আরেকটু কম দিতে পারতেন। ৩৭১ কেজি অ্যাবসার্ড নাম্বার হয়ে গেছে। X((
যথারীতি লেখাটা পড় খুব মজা পেলাম। আপনি নন স্টপ এই সব লেখা লিখেন কিভাবে?
শুভ কামনা রইল!!

২০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫০

আখেনাটেন বলেছেন: নায়লা মনে হয় কুরবানীর গরুর ইনজেকশনের কথা শুনে নাই -- হা হা হা । এইডা যে দেয় নাই তা কি করে বলি। কবি ম্যাকবেল পাটোয়ারী বলেছেন, 'মাইয়া মানুষেরে বিশ্বাস করিয়া ঠকিস না রে পাগলা'। :P


ওজন কম হইলে তো ক্রেন লাগে না। প্রথম ৪০২ কেজিতে বেঁধেছিলাম মিশরীয় ইমান আহমেদের ৫০০ কেজিকে স্মরণে রেখে। পরে নানা দিক বিবেচনা করে... :D

লেখাতে মজা পাওয়ায় প্রীত হলুম। তবে সাবধান থাকবেন খাবার দাবারের ব্যাপারে। বলা তো যায় না নায়লাদের মতি গতি। ;)

শুভকামনা ব্লগার নীল আকাশ।

৮| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১২

মুক্তা নীল বলেছেন:


আর হতাশ হয়ে তখনই মনে মনে ষড়যন্ত্রের বীজটা বুনে ফেলি। 


তাহলেতো অয়ন বাবুর ষড়যন্ত্র করার ফলাফল ভোগ করতেই হবে।
ফিজিক্সের স্টুডেন্টরা সারাক্ষণ সূএ মুখস্থ করে, ঠিক তেমনই মানিকও নায়লাকে সূএের মতো মগজে রেখেছিলো ।
এই যুগে কি আর মানিক আছে?
তারপরও অয়নবাবুর জন্য স্বান্তনার বাণী, যে থাকার সে থাকবে আর যে চলে যাওয়ার সে যাবে-ই ।
সবশেষে বলবো , গল্পটা পড়ে অনেক হেসেছি। আমার খুব ভালো লেগেছে ।

২০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮

আখেনাটেন বলেছেন: হুম, ষড়যন্ত্রকারীদের সাজা পেতেই হবে। তাই বলে সাজা পেয়ে এত মোটা হওয়াটা... :P


মানিকেরা যুগে যুগে থাকে, তবে গনেশ উল্টাতেও সময় লাগে না। সময় বলে দেবে নায়লার মানিকচাঁন কীভাবে নায়লাকে দেখছে। অয়নবাবুও পাখির চোখ রাখছে গ্রেট ব্যারিয়ারের দিকে। :D

তারপরও অয়নবাবুর জন্য স্বান্তনার বাণী, যে থাকার সে থাকবে আর যে চলে যাওয়ার সে যাবে-ই । --- জগতের নিয়ম, না যায় খন্ডন।

রম্যগল্প ভালো লেগেছে জেনে আপ্লুত হলুম। শুভেচ্ছা নিবেন ব্লগার মুক্তা নীল। ভালো থাকুন।

৯| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১২

শায়মা বলেছেন: যাক বাবা

আমি তো এই সব রেসিপি শুনেই ভাবছিলাম তোমাকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করেছে সে .....

কিন্তু তবুও মোটু বানিয়ে ছেড়ে দিলো সেই রক্ষা ...........

কিন্তু ভাবছি ইউটিউবে যে পাগলরা তার রেসিপি ট্রাই করেছে তাদের কি অবস্থা!

২০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:০৩

আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা। ছেলেটাকে মোটা বানানোতে মেয়েটার কি চিকন বুদ্ধি, তাই না? :P

ইউটিউবে এই সকল উদ্ভট রেসিপি'র জয়জয়কার এখন। একটি ভিডিও দেখলাম পাথরের নিচে আগুন ধরায়ে পাথরের উপরে হাবিজাবি মাখা পাঙাস মাছ ভেজে খাচ্ছে। খুবই নাকি টেস্টি। :P

কত আজব এ দুনিয়ার মানুষ! :#)

১০| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৮

মা.হাসান বলেছেন: প্রথম দুই প্যারা আর শেষ লাইন অন্য লেভেলের ভালোলাগা তৈরি করেছে। প্লট অতি চমৎকার, বর্ননা ততোধিক ।
ফ্রেন্ডস টিভি সিরিজে কি হতে পারতো ইত্যাদি নিয়ে একটা এপিসোডে জোয়ি-মনিকাকে নিয়ে এর কাছাকাছি কিছু ছিল, তবে তা ভালোবাসার রান্না, প্রতিশোধের না।
অনেক শুভ কামনা।

২০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:০৫

আখেনাটেন বলেছেন: রম্য ভালো লাগায় প্রীত হলুম। :D


টিভি সিরিজটা দেখার ইচ্ছা পোষন করলুম।


শুভকামনা আপনার জন্যও ব্লগার মা.হাসান। ভালো থাকুন।

১১| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৩১

জুন বলেছেন: এইডা কি সত্য ঘটনা আখেনাটেন :-*
নায়লা মাইয়াডা খুব শয়তান #:-S
আপনের মানে অয়ন মিয়ার জন্য এক্রাশ সহানুভুতি :P

তা এমন মজার গল্প নিয়ে এতদিন ছিলেন কোথায় !

বড় কষ্টে লগ হচ্ছি, জানিনা সামুর কপালে কি আছে ।

২১ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:২৫

আখেনাটেন বলেছেন: জুনাপু, কোনডা যে সত্যাসত্য, আর কোনডা যে অলীক আমাদের সোনার দেশে তা কি ঠাওর করা যা-তা কম্ম!

কবি ম্যাকবেল পাটোয়ারীর ভাষায়, 'আমার ডাইনে, বামে, সামনে, পেছনে, উপরে, নিচে যা কিছু দেখছি সবি মেকি, অসার, প্রাণহীন মনে হয়। এমনকি আমার নিজেকেও; ছলনার এই দুনিয়ার এ এক বিরাট রহস্য'। কবির সাথে আমিও সহমত। :P

অয়ন মিয়াও কম যায় না। বুড়ি বেটির অষ্ট্রেলিয়ার ওয়েদারে পাখির চোখও রাখছে। :D

নানামুখী অকাজের প্রেশারে বিড়ম্ববনার মধ্যে জিয়ে আছি। :(

সামুর এ শনির দশা সহজে কাটবে বলে মনে হচ্ছে না। এখন একটাই উপায় তা হচ্ছে গুগল প্লে-স্টোরে ফুল ফিচারসহ সামু অ্যাপটা আপলোড করে এ যাত্রায় উতরে যাওয়া।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য অশেষ শুভকামনা জুনাপুর জন্য।

১২| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:০১

ঢাবিয়ান বলেছেন: রেসিপিগুলা দেইখাতো টাসকি খাইলাম :-* খাশির চর্বি দিয়ে মাগুর মাছের দোপেয়াজা :-*

২১ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:২৮

আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা। এমনিতে তো আর ৩৭১রে খাতায় নাম লেখায় নি।

তবে আপনি কেকা আপার রেসিপিও এক ঝলক দেখে নিতে পারেন। হুবুহু না হলেও কাছাকাছি কিছু একটা পাবেন মনে কয়। :P


ধন্যবাদ ব্লগার ঢাবিয়ান। ভালো থাকুন।

১৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:০৮

মা.হাসান বলেছেন: ফ্রেন্ডস সিরিজ ৭, এপিসোড ১৬ এর শেষের দিকে এটা আছে, তবে শুধু ওই অংশটার ক্লিপ এখানে

২১ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৩০

আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা হা হা হা। মজার ক্লিপটা দেখলাম।

নায়লাও মনে হয় অয়নবাবুর জন্য এই আয়োজনই করেছিল।

আবারো ধন্যবাদ ব্লাগার মা.হাসান।

১৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:২০

রাজীব নুর বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার পোষ্ট দেখে ভালো লাগলো।

২১ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৩২

আখেনাটেন বলেছেন:

পহেলা বৈশাখে আপনার পরীকে নিয়ে আরো সব পিচ্চি পরীদের নিয়ে সুন্দর একখান পোস্ট দিবেন।

ধন্যবাদ মনে রাখার জন্য ব্লগার রাজীব নুর খান।

১৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: আখেনাটেন,



শেষমেশ গরু মোটাতাজা করনেওয়ালীর হাতে কোরবানীর গরু হয়ে গেলেন? বদ-কিসমত! :((
তবে আপনার ভাগ্যটা ভালো যে স্বয়ং গরু মোটাতাজা করনেওয়ালী আপনাকে ভোঁতা বটিতে কুটিকুটি করেনি। শোকরগুজার করা উচিৎ। এখন হয়তো প্রানে মরবেন না তবে জানটার বারোটা বেজে একটা ক্যাচাইন হয়ে যেতে পারে। :P
গরু মোটাতাজা করনেওয়ালীকে বিট করতে একটা বুদ্ধি দেই কানে কানে---" প্রধানমন্ত্রীকে বলেন আপনাকে বাঁচাতে বিদেশ পাঠানোর দরকার নেই , আদনান শামীর সাথে একটা এ্যাপয়েন্টমেন্ট করে দেয় যেন। আদনান শামীর কাছ থেকে জেনে কায়দাটা রফৎ করে ফেলেন তারপরেই ছিলিম!" :||
কেল্লা ফতে! তখন আপনার সোনা-পিতলা-কাসা-রূপা বউ ড্যাবড্যাব করে চেয়ে চেয়ে দেখবে-- "আমারি বধুঁয়া বলিউড যায় আমারি আঙিনা দিয়া..." :)

এই বুদ্ধিটা একজন সহব্লগার বলে মুফতে আপনাকে দিলুম, টেকি হেল্প............ :(

২১ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৪১

আখেনাটেন বলেছেন: শেষমেশ গরু মোটাতাজা করনেওয়ালীর হাতে কোরবানীর গরু হয়ে গেলেন? বদ-কিসমত! ---- হা হা হা হা। নারীজাতির মাথার চিকন বুদ্ধির প্যাঁচালে পড়ে বেচারা অয়নবাবুর তো জান যায় যায় অবস্থা। বদ-কিসমত আর কারে কয়! :P

পদার্থবিদ্যার ছাত্রী তো তাই বিরাট এক পদার্থ দুনিয়াতে পেলে-পুষে এনেছে। নে বাবা তোরা (দেশের রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্যে) হা হা হা।

আদনান সামীর সেলফোন নাম্বারটা থাকলে দ্যান তো। দেখি কাজে লাগান যায় কিনা। :D

সামুর যে অবস্থা দেখছি অনেক হেল্পফুল ব্লগারকেই পা মাড়াতে দেখছি না যে বড় এদিকে! সবাই আসলে আপনাকে হেড বানিয়ে বোর্ড বসিয়ে অয়ন বাবুর জন্য কিছু করা যায় কিনা ভাবতাম আর কি! :D


বরাবরের মতোই চমৎকার মন্তব্যের জন্য শুভকামান রইল প্রিয় ব্লগার আহমেদ জী এস।

১৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:০১

শিখণ্ডী বলেছেন: ভাগ্যিস মানিক নামের বন্ধুটির সাথে এখন আর যোগাযোগ নেই ;) বলা তো যায় না নামে নামে যমে টানে :D

২১ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৪৫

আখেনাটেন বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে নির্মল এক অট্টহাসি দিলাম। বেড়ে বলেছেন। লা জওয়াব। =p~

নায়লাদের মতিগতি বলে কথা। তবে অয়নদের কিছুটা সাজা হওয়া দরকার অন্যের জিনিস ভোগ দখলের জন্য।

মজার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ব্লগার শিখণ্ডী। শুভকামনা।

১৭| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:১০

রোকসানা লেইস বলেছেন: মজাদার গল্প আইডিয়ার অভিনবত্ব থেকে শেখার আছে মজার সাথে।
একটা বাস্তব ঘটনার সাথেও খানিকটা মিল পেলাম।
যার পরানে যারে লাগে ভালো এ সময়ে বিয়ে হয়ে গেলেও প্রেম কাটে না।
যে করেই হোক মিলনের পথ খুঁজে

২১ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৪৮

আখেনাটেন বলেছেন: একটা বাস্তব ঘটনার সাথেও খানিকটা মিল পেলাম। -- একটু খুলে বলুন দেখি নি লেইস'পা। রহস্যের গন্ধ পাচ্ছি। উঠানে বসলুম মতিচাঁনের কিচ্ছা শুনার জন্য। :D

যার পরানে যারে লাগে ভালো এ সময়ে বিয়ে হয়ে গেলেও প্রেম কাটে না। -- হুম, তাই। জোর-জবরদস্তি করে এ জিনিস হবার লয়!

অনেক ধন্যবাদ ব্লগার রোকসানা লেইস'পা। শুভকামনা।

১৮| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আখেনাটেন ভাই,

বেশ সুন্দর রম্য গল্প লিখলেন । পড়ে বেশ মজা পেয়েছি । নায়লাকে আমারও বেশ মনে ধরেছে। আহা ! এত সুন্দর খাবার সবই যেন চোখের সামনে ভেসে উঠলো । কি আর করব আপাতত গল্পটা পড়েই খুশি হলাম । খাবারগুলো না একদিন আখেনাটেন ভাইয়ের বাসা থেকে খেয়ে আসবো । আমার ওজনটা যথেষ্ট কম ; মাত্র 123 কেজি । কাজেই এরকম রেজালা খাবার আরাম সে বহুদিন খেতে পারব হা হা হা ..

অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

২১ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৫২

আখেনাটেন বলেছেন: এই সব খাবারে চোখ টাটালে আপনি মইছেন পদাতিক দা। আপনারে আমার বাঁচার কম্ম নয়। :P

১২৩ কেজি। অয়নবাবুর সহকারী পরিচালক হিসেবে নিয়োগ আপনারে দেওয়া যেতেই পারে। তবে একা একা ঢপের চপ খেলে তো হবেক না ভাইজান। কাঁটাতারের এপারের ছোটভাইদের কথাও তো স্মরণে রাখতে হবেক নাকি! X(

চমৎকার মন্তব্যের জন্য রাশি রাশি শুভকামনা মেঘের বাপেরে।

১৯| ২১ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৬:৪৯

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:

নতুন বাংলাদেশ গরব মোরা
নতুন করে আজ শপথ নিলাম..

জানি, গানটা শুরু করার আগেই আপনি বলে দিবেন এটা এরশাদ কাক্কুর লেখা সর্বকালের সেরা গান। অথচ এটার আসল লেখক হচ্ছেন সুরেন্দ্রলাল ত্রিপুরা। কিন্তু এরশাদ কাক্কু বড্ড বুক ফুলিয়ে চুরি করা সেই গানটি নিজের নামে চালিয়ে দিছিলেন। ভাবছি, আপনাকে নিয়ে লেখা কলিজা খানের গানটি এই টাইপু কিনা ;) ;) B:-)


৩৭১ সংখ্যায় গিয়ে আটকে গেলাম, দু'বার পড়লাম, শুধু এই সংখ্যাটাই দু'বার পড়লাম। সামনে এগিয়ে বুঝতে পারলাম, না এখানে দুর্নীতির সম্ভাবনা যথেষ্ট কম। তবে সাহসী কিন্তু আপনি কম না, এখনো পর্যন্ত আপনি মেডিকেলে আছেন, আমি হইলে তো চিকিৎসার নামে অস্ট্রেলিয়া হান্দাই যাইতাম ;) =p~

২১ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৫৬

আখেনাটেন বলেছেন: কলিজা খানের গান শুনতে হইলে কলিজাটাও শক্ত হওন লাগবে ভাইয়ু তাজুল। নরম কলিজার লোকেরা এ গান শুনবার পারবেক লাই। :P

ব্লগার কালিদাসের ব্লগে গিয়ে ঢু দিয়ে কিছু শুনা যেতে পারে। উনার হিউজ কালেকশন আছে কলিজা খানের গানের। B:-)

শুভকামনা নিরন্তর।

২০| ২১ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৩৩

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: রম্য সহ মোড়টি দারুণ ফোটায়েছেন। গল্পের ধারাবর্ণনা ও সুখ পাঠ্য। ভাল থাকবেন।

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৬

আখেনাটেন বলেছেন: গল্প ভালো লাগায় প্রীত হলুম।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা সুজন ভাইয়ের জন্য।

ভালো থাকুন।

২১| ২১ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৪৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অনেক দিন পর সামুতে গল্প পড়লাম।

++++++++

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৭

আখেনাটেন বলেছেন: :D

আপনাকেও অনেকদিন পর দেখলাম মনে হচ্ছে।

ভালো থাকুন নিরন্তর।

২২| ২১ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:২৭

সুমন কর বলেছেন: রম্য বাক্যে পুরো ভরপুর গল্পটা পড়ে মজা পেলাম এবং ভালো লাগল। সামুর খারাপ সময়ে অনেকদিন পর গল্প পেলাম। ভাগ্য ভাল ৭৭, ৭১ নয় !! আর ৩৭১, এখানে কিন্তু ৭১ আছে, তাই সবধান। আর যে সব পদের নাম বলেছেন, শায়মাপু আগামীকাল থেকে অবশ্যই ট্রাই করা শুরু করে দেবে। ;)
+।

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৩

আখেনাটেন বলেছেন: রম্যে মজা পেয়েছেন জেনে আপ্লুত হলুম। :D

একাত্তর এখন একটি ব্যবসা। এর সত্যিকারের চেতনা মাটিতে শোয়ায়ে দেওয়া হয়েছে। অয়নবাবুও সেই চেতনাতে শুয়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে। নিজের ভারে নিজেই উঠতে পারছে না। অথচ অন্যরকম হওয়ার কথা ছিল।

আর ব্লগার শায়মা নিশ্চয় এর মধ্যে দু-এক পদ টেস্ট-ফেস্ট করে দেখেছেন। :-P =p~

মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ব্লগাার কবি সুমন কর। ভালো থাকুন।

২৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:১৮

বলেছেন: গল্প ভাল লাগলো রম্য গুরু

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৪

আখেনাটেন বলেছেন: :D

আপনাকে মন্তব্যে দেখেও ভালো লাগল কবি।

ভালো থাকুন।

২৪| ২১ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৪৪

আরোগ্য বলেছেন: যেমনি বুনো ওল, তেমনি বাঘা তেঁতুল।

রম্য গল্পে অনেক হাসি রেখে গেলাম।

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৫

আখেনাটেন বলেছেন: হ হা হা।


রম্য আরোগ্যের ভালো লাগায় খুশি হলুম।


শুভেচ্ছা ও শুভকামনা নিরন্তর ছোটভাইয়ের জন্য।

২৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:১৩

তারেক ফাহিম বলেছেন: রম্য ভালো হয়েছে।

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৬

আখেনাটেন বলেছেন: :)

অনেক অনেক শুভকামনা ব্লগার তারেক ফাহিম।

ভালো থাকুন।

২৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:০৭

তারেক ফাহিম বলেছেন: পুণরায় পড়তে আসলাম। প্রথম মন্তব্যটি ভালো করে না পড়েই করেছিলাম।

গ্রামের মানিকরা বাহিরে গিয়ে সত্যিকারের রতন হয় :D

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৪৫

আখেনাটেন বলেছেন: গ্রামের মানিকরা বাহিরে গিয়ে সত্যিকারের রতন হয় -- মন্দ বলেন নাই। :)

মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ব্লগার তারেক ফাহিম।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

২৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৩১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: জোশ একটা পোস্ট :D :D

সুন্দরীরা বড্ড দুষ্টু হয় ;)

০৩ রা মে, ২০১৯ দুপুর ২:৫৯

আখেনাটেন বলেছেন: :D B-)


সুন্দরীরা বড্ড দুষ্টু হয় -- সুন্দরীদের সাথে খুব উঠা-বসা হয় বুঝি পুরাতন পক্ষীর। ;)

২৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৯

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনার লেখাঁ অসাধারণ হয়েছে।
পুরোটা সময় সাসপেন্স ধরে রেখে, শেষে এমন একটা ব্যাপার?

তবে, আপনি বললেই পারতেন সুন্দরী হওয়ার পাশাপাশি নায়লা খুবই চালাক।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৫৫

আখেনাটেন বলেছেন: আপনি বললেই পারতেন সুন্দরী হওয়ার পাশাপাশি নায়লা খুবই চালাক। -- চালাক-চতুর না হলে কি মফস্বল থেকে ঢাবিতে পড়তে আসতে পারে? পাঠককে বুঝে নিতে হবে। :P

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ব্লগার মাহের ইসলাম। শুভেচ্ছা নিবেন।

২৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:১১

আনমোনা বলেছেন: হাহাহা। আগেই পড়েছিলাম। আজকে বলতে এলাম =p~

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৩১

আখেনাটেন বলেছেন: :D অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনার জন্য ব্লগার আনমোনা।



এই গল্পটা পড়ুন দেখি ঠকবেন না নিশ্চিত থাকুন। :D

৩০| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:২২

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: হাহাহা। রিভেঞ্জের পোস্টার দেখে ভাবলাম এই সিরিজ নিয়ে কিছু লিখেছেন মনে হয়। পরে দেখি অন্য কিছু। মজা লাগলো পড়ে। :)

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৭

আখেনাটেন বলেছেন: :D

ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলুম।

ভালো থাকবেন।

৩১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৫০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এ আবার কেমন পিরতিশোধ!
আর অয়ন এতবোকা? নিজেই শুধু খেয়েছে, আহদ্লাদ করে বউকে একটু খাওয়াবিনা!!
তখন দেখা যেত কে কার পিতিশোধ নেয় ;)

সুন্দরি আর বিশ্বাস বুঝি একসাথে যায়না কখনো!

আর মনে পড়ে গেল গুরু নজরুলের অমর বানী

নারী নাহি হতে চায় শুধু একা কারো,
এরা দেবী, এরা লোভী,
যত পূজা পায় তত চায় আরো...
ইহাদের অতি লোভী মন,
এক পেয়ে সুখী নয়, যাচে বহুজন.. :P


++++



৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৯

আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা।

সুন্দরি আর বিশ্বাস বুঝি একসাথে যায়না কখনো! -- সে তো গুরু মশাই আপনারা পোড় খাওয়া পাবলিক আপনেরাই ভালো বুঝবুইন। ;)

আপনার রসের ডিব্বার মন্তব্যে পেয়ে আপ্লুত হলুম। ভালো থাকবেন ভৃগু দা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.