![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকের প্রথম আলোর খবর, হাসুম না কান্দুম.....আপনারাই বলেন।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র
লাভের কর দিতে হবে না ভারতীয় কোম্পানিকে
অরুণ কর্মকার | তারিখ: ০৮-০৩-২০১৩
ভারতের সরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার করপোরেশন (এনটিপিসি) রামপালের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পাওয়া নিজেদের মুনাফার সম্পূর্ণ অংশই বাংলাদেশ সরকারকে কর না দিয়ে দেশে নিতে পারবে। অর্থাৎ, অন্যদের মতো লভ্যাংশের ওপর কোনো কর দিতে হবে না ভারতীয় এই প্রতিষ্ঠানকে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর পর থেকে ১০ বছর পর্যন্ত কোম্পানিটিকে এ কর রেয়াত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কোনো বিদেশি কোম্পানিকে এ ধরনের কর রেয়াত দেওয়ার ঘটনা এই প্রথম। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
সূত্রগুলো জানায়, প্রকল্পটির বাস্তবায়ন চুক্তি সইয়ের ক্ষেত্রে এ কর রেয়াতই ছিল এনটিপিসির প্রধান শর্ত। এর আগে এনবিআরের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হলেও তা নাকচ করে দেওয়া হয়। পরে সরকারের রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পাওয়ার পর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এনবিআর কর রেয়াতের সিদ্ধান্ত নেয়। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে আজ-কালের মধ্যেই এনটিপিসিকে চিঠি দিচ্ছে। একই সঙ্গে তাদের আহ্বান জানানো হচ্ছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রকল্পের বাস্তবায়ন চুক্তি (ইএ) সই করার। গত বুধবার এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে।
তবে প্রকল্পের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) সইয়ের ক্ষেত্রে এনটিপিসির সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) আরও একটি বিষয়ে মতভেদ আছে। সেটি হচ্ছে এনটিপিসি বলছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি প্রতিবার চালাতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য দুই মিলিলিটার হিসাবে জ্বালানি তেল লাগবে। আর বিপিডিবি বলছে, এক মিলিলিটার লাগবে।
জানতে চাইলে বিপিডিবির চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহাব খান প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে তেমন কোনো মতানৈক্য হবে না। প্রধান বিষয় ছিল মুনাফার ওপর কর রেয়াতের দাবি। সেটির ফয়সালা হওয়ায় প্রকল্পটি এগিয়ে নেওয়ার পথ সুগম হলো।
জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, খাতওয়ারি কর রেয়াত সুবিধা দেওয়া যেতে পারে, তবে কোনো নির্দিষ্ট কোম্পানিকে এ সুবিধা দেওয়া যুক্তিসংগত নয়। তাঁর মতে, কর রেয়াত সুবিধার ধারণা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। কেননা, এ সুবিধা থাকলে লবিংয়ের সুযোগ থাকবে। আর যাঁরা লবিংয়ে সফল হবেন, তাঁরাই কাজ পাবেন।
বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ খাত উন্নয়নের যে পরিকল্পনা নিয়েছে, সে অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা অর্জন করার কথা। পরিকল্পনা অনুযায়ী, এর অর্ধেকের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে আমদানি করা ও দেশের কয়লা থেকে।
ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সরকার বাগেরহাটের রামপালে এক হাজার ৩৩৪ দশমিক ২৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার সর্বাধুনিক প্রযুক্তির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় ভারতের সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে। ইতিমধ্যে যৌথ উদ্যোগের একটি কোম্পানি গঠিত হলেও বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপনের বাস্তব কাজের অগ্রগতি মোটেই সন্তোষজনক নয়।
প্রথমে কেন্দ্রটি চালু হওয়ার কথা ছিল ২০১৪-১৫ সালে। বাস্তবায়ন অগ্রগতি সন্তোষজনক না হওয়ায় ইতিমধ্যে তা দুই বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কয়লা আমদানির জন্য বন্দরের ক্ষমতায়ন, সমুদ্র উপকূল থেকে নৌপথের উন্নয়ন, রক্ষণাবেক্ষণসহ বড় কিছু সমস্যা রয়েছে বলে সরকারি-বেসরকারি সূত্রগুলো জানায়।
এ ছাড়া এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে প্রকল্প এলাকার প্রায় ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত সুন্দরবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে অনেক পরিবেশবাদী সংগঠন প্রকল্পটির বিরোধিতা করছে।
পাঠকের মন্তব্য
পাঠকদের নির্বাচিত মন্তব্য প্রতি সোমবার প্রথম আলোর সম্পাদকীয় পাতায় প্রকাশিত হচ্ছে।
N. Rahman
২০১৩.০৩.০৮ ০৩:০১ তাহেলে কি লীগ-ভারত দেশ বিরোধী আতাত সত্য?
Aranay Chowdhury
২০১৩.০৩.০৮ ০৩:৫৪ What is new? I am not surprised! Nobody should.
shahriar
২০১৩.০৩.০৮ ০৭:৫১ Bad decision.
Md. Shahed Pervez
২০১৩.০৩.০৮ ০৭:৫৬ Why it should be free? Why our Govt will allow Indian company not to pay TAX on their profit? What is the interest in our GOVT?
হেলাল
২০১৩.০৩.০৮ ০৯:০৭ এগুলিকে আমারা কোনভাবেই ভালো চোখে দেখছিনা !
Jisan Mahmud
২০১৩.০৩.০৮ ০৯:২৭ বাহ! সরকারতো ভারি উদার হয়ে গেছে!
ভারতের ব্যাপারে সরকার সবসময় এত উদার কেন সেটা আসলেই চিন্তার বিষয়।
wahid liton
২০১৩.০৩.০৮ ০৯:৪০ লাভের গুড় পিপড়ে খায়।
জাহিদুল ইসলাম রুবেল [ সংগ্রামশিমুল,গোলাবাড়ী,মধুপুর,টাংগাইল ]
২০১৩.০৩.০৮ ০৯:৫০ ভারতের লাভের উপর কর মাফ করে বাংলাদেশের সাধারন জনগনের উপর বিভিন্ন ক্ষেত্রে সারচার্জ আরোপ করার যে চিন্তাভাবনা করছে তা নিঃসন্দেহে আত্মঘাতি এবং বর্তমান সরকারের অগ্রহনযোগ্য ভারত প্রতীর নমুনা । তাই এ সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনা করা উচিত দেশের জন্য ।
Hassan Tahmidul Shiblee
২০১৩.০৩.০৮ ১০:১৭ shame on Bangladesh Govt.
২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫
বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এর খরচ দিবে শাহবাগের খরচও দিবে ভারত আবার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের লাভের করও চাইবেন এটা ন্যায় সঙ্গত নয়।
৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭
কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: bakshali kukurder matha theke er cheye valo ar ki berote pare?
৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫
সমকালের গান বলেছেন: এটা সরকার খুব খারাপ করছে। এসব করেই মানুষের আস্থা হাসিনা আগেও নষ্ট করেছিল। আশা করি হাসিনা তা বুঝতে পারবে। আর না বুঝলে জনগন তার প্রাপ্য তাকে ঠিকই বুঝিয়ে দিবে।
জয় বাংলা।
৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১১
নীলতিমি বলেছেন: NO offense, but Shahbab movement has started making some sense !
৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩৮
ভালোরনি বলেছেন: বারত ভালা পাই না। রাজাকার ভালা পাই না।বারতের দালাল ভালা পাই না।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১
জাহাজ ব্যাপারী বলেছেন: