নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ, মানুষের জন্যে।

[email protected],[email protected] স্কাইপঃAkramsBD

আকরাম

সাইকোথেরাপী অন লাইন *****www.psychobd.com

আকরাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

"কষ্ট" শব্দ্ধের ধরন প্রকারভেদ এবং ব্যবহার

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৮


বাংলায় আমরা "কষ্ট" শব্দ্ধটা প্রতিনিয়তই ব্যবহার করছি।হাতে করে ১৫ কেজি মাল বহন করা "কষ্ট"। ঘর পরিস্কার করা সেটাও "কষ্ট"। যে দিন আনে দিন খায়, সেটাও "কষ্ট"। অতি নিকটজনের মৃত্যুতেও "কষ্ট"। সবতো একই শব্দ্ধ "কষ্ট"। কিন্তু বিষয় বা গভীরতা কি এক?

সুইডিশ ভাষায় একটা শব্দ্ধ আছে "Ångest"(উচ্চারন-অংগেস্ট), এটা আসলে

ইংরেজী anxiety এর প্রতিশব্দ্ধ আর বাংলায় "উদ্ধেগ"। কিন্তু সুইডিশ অংগেস্ট যেন ইংরেজী anxiety বা বাংলা উদ্ধেগ এর চেয়ে অনেক বেশী ওজনে ভারী, এর গভীরতা ব্যপক। কোন রোগী যখন বলে "আমার অংগেস্ট লাগে", তখন ইংরেজী anxiety বা বাংলা উদ্ধেগ এর চেয়েও যেন ডাক্তার বা থেরাপিস্ট অনেক বেশী এলার্ট হয়ে যায়। কারণ, সুইডিশ অংগেস্ট শব্দ্ধটা যেন একটা "হাই ভোল্টেজ এলার্ম"। সাধারন ভাবে আপনার আমার কষ্ট, anxiety বা উদ্ধেগ লাগতে পারে। কিনতু এই সুইডিশ অংগেস্ট মানসিক এবং আত্মার কষ্টর কথাই যেন মিন করে! যেমন একটা উদাহরন দিচ্ছি, আপনার ৭ বছরের বাচ্চা স্কুলে যায়, তার জন্যে আপনি anxiety বা উদ্ধেগ করেন; কথাটা কিন্তু খুবই সত্য এবং ইংরেজী-বাংলাতে শব্দ্ধ চয়নও ঠিক আছে। এখানে কিন্তু সুইডিশ শব্দ্ধ অংগেস্ট ব্যবহার করা যাবে না। এখানে "ওরোলীগ"(orolig) শব্দ্ধটা ব্যবহার হয়।

সুইডিশে অংগেস্ট শব্দ্ধটা কি ভাবে ব্যবহার হয়? যেমন ধরুন, আপনি আপনার বাৎসরিক ছুটি কাটিয়ে ফিরে কাজে জয়েন করলেন, এখন আপনার নেকস্ট ছুটি আবার সেই এক বছর পর। এখন যখন কেউ আপনার সামনে দিয়ে ভ্যাকেশনে যাচ্ছে, তখন আপনারও ভ্যাকেশনে যেতে ইচ্ছে করছে; কিন্তু আপনার আর কোন উপায় নেই। এইযে একটা মনোবেদনা, কষ্ট এটাই অংগেস্ট! কিংবা আপনি সকাল বেলা যখন কাজে যান, তখন আপনার ছোট বাচ্চাটা আপনার কোল থেকে আর নামতে চায় না, তবুও আপনি জোড় করেই তাকে কোল থেকে নামিয়ে দিয়ে অফিসে যাচ্ছেন বা যেতে হচ্ছে; এখানে সুইডিশ অংগেস্ট শব্দ্ধটা ব্যবহার করা যায়।অথবা আপনি একজন প্রবাসী। দেশ থেকে কোন নিকটাত্মীয়র অসুস্হ্যতার খবর বা অতি আদরের ছোট বোনের বিয়ের খবর এলো, অথচ আপনার কোন ভাবেই দেশে যাওয়া সম্ভব না।অথবা কারো সাথে ব্রেকআপ করা বা হওয়া "কষ্ট"। তো ব্যপারটা কি দাড়ালো? "মনের গভীরের কষ্ট"।

এই কষ্টে ভোগা মানুষ প্যানিক ডিসওর্ডার সহ আত্মহ্ত্যার মতো আত্মঘাতী কাজও করতে পারে।

এজন্য মনোচিকিৎসক বা থেরাপিষ্টের কাছে যখন ক্লায়েন্ট/রোগী তার কষ্টের কথা বলেন, তখন খেয়াল করে আইডেন্টিফাই করা উচিত যে রোগীর কষ্টটা মনের কত গভীরের?

এই কষ্টে যে কেউ এবং যে কোন বয়সে ভূগতে পারেন। এসময় ডাক্তার বা থেরাপিস্টের সাহায্য নেয়া অতি জরুরী।

**আমি ভাষাবিদ নই। দয়া করে কেউ ভূল বুঝবেন না। ভাষাগত এবং শব্দ্ধের ভূল চয়ন অনেক মূল্যবান বাক্যকেও মূল্যহীন করে ফেলে। এ প্রসংগে পরে আরো লেখা আসছে। সাথেই থাকুন।

আরো দেখুনঃ

http://www.psychobd.com

http://www.facebook.com/Psychobd

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমরা প্রবাসীরা এই রোগে বেশী ভুগে থাকি। চোখের সামনে দিয়ে সহকর্মীরা নিজ দেশে যায়,স্ত্রী-সন্তানদের চোখের পানি সাতরে আবার কর্মক্ষেত্রে ফিরে আসি। (আমি অন্যভাষার ব্যবচ্ছেদ করছি না,শুধু আমাদের অভিজ্ঞতারই কথা বলছি)।
ভাল থাকুন এই কামনায়।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.