|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 
 
অরিত্রী বলল,আপনি গিফট টা এখানে খুলবেন না।
আমি বললাম,কেন?
ও বলল,বাসায় গিয়ে খুলবেন।
আমি বললাম,এখানে খুললে সমস্যা কি?
অরিত্রী আবার বলল, সমস্যা আছে দেখেই বলছি।
আমি বললাম, আচ্ছা খুলব না।তাহলে আপনিই বলে দিন কখন খুলব ?
অরিত্রী বলল,বাসায় গিয়ে খুলবেন।আর শুনুন...
আমি বললাম, কি?
অরিত্রী এবার বলল, আপনি যখন গিফট এর বক্সটা খুলবেন তখন একটা ভিডিও করে রাখবেন।আর গিফট দেখা শেষ হলে আমাকে হোয়াটসএপে পাঠিয়ে দিবেন।
আমি হা করে বলদের মত অরিত্রীর দিকে তাকিয়ে আছি। এই মেয়েটা তার নামের মতই অদ্ভুত। অরিত্রী নামের অর্থ হচ্ছে পৃথিবী।আক্ষরিক অর্থেই এই মেয়েটা আলাদা একটা জগতে বাস করে।যে জগতে বেশ কিছুদিন হয়েছে আমার অনুপ্রবেশ।
আমি একটু ভণিতা করে বললাম, একটা শর্ত আছে।
অরিত্রী বলল, কি শর্ত?
আমি বললাম,আমাকে এভাবে আপনি বলে ডাকা যাবে না।তুমি বলতে হবে। 
অরিত্রী বলল, বলব।
আমি বললাম,কবে?
ও বলল,সময় হোক।
আমি এবার বললাম,কবে হবে সে সময়?
অরিত্রী বলল,সময় হলেই জানতে পারবেন।হা হা হা। 
আমি বাসায় ফিরে আসলাম। বাসায় ফিরে অরিত্রীর দেয়া গিফট বক্সটা খুলতে বসলাম।তার আগে আমার ফোনের ভিডিও অন করে টেবিলের সামনে রাখলাম।সুন্দর করে যাতে ভিডিও করা যায় সেজন্য অরিত্রী সেদিন মোতালেব প্লাজা থেকে একটা ফোনের স্ট্যান্ড কিনে দেয় আমাকে। 
আমি সেদিন বললাম, এটা কেন?
অরিত্রী বলল, দরকার আছে।
আমি বললাম, কি দরকার?
অরিত্রী বলল, দরকার আছে দেখেই কিনছি।
বলে রাখা ভালো সেদিন ছিল আমাদের প্রথম দিন।মানে রিলেশনের পর প্রথম দিন।এর আগে আমাদের দুই দিন দেখা হয়েছে। বন্ধু হাবিবের কাজিনের বিয়েতে প্রথম দেখি অরিত্রীকে।
বন্ধু হাবিবকে বললাম, মেয়েটা কে রে? 
হাবিব বলল, আরে  লিমনের ছোটবোন।মানে আমার ছোটখালার মেয়ে।
আমি বললাম,কি করে?
হাবিব বলল,এত ইনফরমেশন জেনে লাভ নাই বন্ধু।এই মেয়েকে কতজন প্রপোজ করল কোন কাজ হয় নাই।আর তুই করবি? হা হা হা।কোন লাভ নাই রে বন্ধু।
আমি বললাম, তুই শুধু আমার সাথে একটু পরিচয় করিয়ে দিবি।
হাবিব বলল, তা করে দিতে পারি তবে লাভের লাভ কিছুই হবে না।
আমি বললাম, দেখা যাক কি হয়।  
হাবিব আমাকে অরিত্রীর সাথে পরিচয় করিয়ে দিল ওর খুব কাছের বন্ধু হিসেবে।
হাবিব বলল, অরিত্রী, এটা আমার বন্ধু।ঢাকায় থাকে।
আমি মুচকি হেসে বললাম, আমি টুটুল।বেকার।
অরিত্রী কেন জানি মুচকি হেসে বলল, ও আচ্ছা।
এরপর আর একটা কথাও হয়নি আমাদের।তবে এই যে এক দুই লাইনের কথা হওয়া এটা আমাকে ভীষণ ভাবিয়েছে।আমি ঢাকায় ফেরার পরও অরিত্রীকে ভুলতে পারিনি। হাবিবকে বলেছিলাম কিছু করতে।হাবিব কিছু করবে না।আমাকে বলল,তোর যা করার তোকেই করতে হবে।শুধু শুধু আমাকে এটাতে জড়িয়ে লাভ নাই। আমিও তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যা করার আমিই করব।আমার বিশ্বাস ছিল অরিত্রীর সাথে আমার আবার দেখা হবেই।এরপর একদিন নীলক্ষেতে দেখা মিলল অরিত্রীর। এটা ছিল আমাদের রিলেশনের আগে দ্বিতীয় দেখা। 
আমি এগিয়ে গিয়ে বললাম,এই যে।
অরিত্রী কোন রকম অবাক না হয়েই বলল, কেমন আছেন?
আমি বললাম, চিনেছেন?
অরিত্রী বলল, না চিনলে ভালো আছেন কেন জিজ্ঞেস করলাম?
আমি বললাম, অপরিচিত মানুষকেও ভালো আছেন জিজ্ঞেস করা যায়।
অরিত্রী বলল, আমি করি না।
আমি বললাম, কেমন আছেন আপনি?
অরিত্রী এক শব্দে উত্তর দিল, ভালো।আপনি কেমন আছেন?
আমি বললাম, ভালো না।
অরিত্রী বলল, কেন!
আমি বললাম, আর বলবেন না।মেসে প্রচুর ছারপোকা।এখন পুরো বেডীং চেঞ্জ করতে হবে।
অরিত্রী হাসি দিয়ে বলল, ঠিক মত রোদে শুকালেই তো ছারপোকা চলে যায়।
আমি বেকুবের মত বললাম,আরে এটা তো মাথায়ই আসল না!
অরিত্রী হাসি দিয়ে বলল, এখন তো মাথায় দিয়ে দিলাম।
আমি বললাম, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অরিত্রী বলল, এত সাধারণ বিষয়ের জন্য ধন্যবাদ দেয়া ঠিক নয়।
আমি বললাম, সাধারণ ধন্যবাদ গুলোই  অসাধারণ কিছুর অনুপ্রেরণা।
অরিত্রী বলল, আমাকে যেতে হবে। কাল পরীক্ষা আছে ।একটা বই কিনতে হবে তাই এদিকে আসা।
আমি বললাম,আপনি হলে থাকেন? 
অরিত্রী বলল, জী।
আমি বললাম, আপনার ফেসবুক আইডি টা?
অরিত্রী বলল, অরিত্রী অরিত্রা। 
আমি বললাম, বাহ।খুব সুন্দর নাম তো!
অরিত্রী বলল, এটা কিন্তু আমার আসল নাম।ফেক আইডি না।হা হা হা।অরিত্রী বাবা রেখেছে আর অরিত্রা রেখেছে মা। 
আমি বললাম, এমন  কেন?
অরিত্রী বলল, সব গল্প আজকেই জেনে ফেলবেন?
আমি হাসি দিয়ে বললাম, ভালো করে পরীক্ষা দিবেন
অরিত্রী  চলে যেতে যেতে পিছনে ফিরে আরেকটা মুচকি হাসি দিয়ে বলল, ধন্যবাদ ।
এরপর ফেসবুকের মেসেঞ্জারে চ্যাটিং আর ফোনে কথাবার্তা অনেকদিনই চলেছিল। আর আজ তো আমাদের দ্বিতীয় বার রিলেশন পরবর্তী দেখা হলো। বলেছি আমাদের সম্পর্কের একটা নাম হয়ে গেছে এখন।সম্পর্কের একটা নাম থাকা লাগে।  
অরিত্রীর দেয়া গিফট বক্সটা খুললাম আমি।আর এদিকে আমার ফোনের ক্যামেরা অন করা।ফোনে ভিডিও হচ্ছে।আমি চেষ্টা করছি যতটুকু নরমাল আর ন্যাচারাল থাকা যায়।কিন্তু বক্স খুলে আমি সত্যিই খুব অবাক হয়েছি। পুরো একটা বক্স শিউলি ফুল দিয়ে ভরা।আর ভিতরে ছোট্ট একটা চিরকুট।সেই চিরকুটে শুধু একটা স্মাইলি দেয়া।
হোয়াটসএপে ভিডিওটা পাঠাতেই অরিত্রী বলল, তোমাকে এত অসাধারণ লাগছে কেন ভিডিও টা তে? 
 ১৩ টি
    	১৩ টি    	 +১/-০
    	+১/-০  ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:৩০
১১ ই নভেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:৩০
আলমগীর জনি বলেছেন: বেশি হয়ে গেছে আসলে।
২|  ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯  রাত ১২:২৩
১২ ই নভেম্বর, ২০১৯  রাত ১২:২৩
নুরহোসেন নুর বলেছেন: "তোমাকে এত অসাধারণ লাগছে কেন ভিডিও টা তে?"
-শেষ লাইনের মত অসাধারণ হয়েছে,
তবে গল্পে পৃথিবীর সাথে আপনার কথোপকথন গুলো ভিন্ন ভাবে সাজানো যেত।
  ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৬:৫৩
১২ ই নভেম্বর, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৬:৫৩
আলমগীর জনি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
  ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৬:৫৪
১২ ই নভেম্বর, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৬:৫৪
আলমগীর জনি বলেছেন: একটু আইডিয়া দিলে পরের গল্পে চেষ্টা করব।
৩|  ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯  দুপুর ১২:০৯
১২ ই নভেম্বর, ২০১৯  দুপুর ১২:০৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: 
এটি কি গল্পের শুরু না শেষ হয়ে গেল ?
যদি  শেষ হয়, তবে এটি ছোট গল্পের বিচারে অসাধারন  হয়েছে ।
  হয়েছে ।
  ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৬:৫৪
১২ ই নভেম্বর, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৬:৫৪
আলমগীর জনি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৪|  ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯  দুপুর ২:১৯
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯  দুপুর ২:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর গল্প।
  ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯  রাত ১:৩৭
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯  রাত ১:৩৭
আলমগীর জনি বলেছেন: ধন্যবাদ রাজিব ভাই
৫|  ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯  দুপুর ২:৩৪
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯  দুপুর ২:৩৪
তানজীর আহমেদ সিয়াম বলেছেন: ভালো লাগ্লো 
  ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯  রাত ১২:৫৬
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯  রাত ১২:৫৬
আলমগীর জনি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৬|  ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯  বিকাল ৪:৫০
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯  বিকাল ৪:৫০
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ভালো হয়েছে। ভালো লাগলো।
  ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯  রাত ১২:৫৬
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯  রাত ১২:৫৬
আলমগীর জনি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:১১
১১ ই নভেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:১১
হাবিব ইমরান বলেছেন: আমি বললাম

অরিত্রি বলল
এ দুটো লেখা পড়তে পড়তে আমি ক্লান্ত।
যাহোক লেখাটা ভালো হয়েছে।