নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সূর্য থেকে অসম্ভব শক্তিশালী আলোকরশ্মি চাঁদের উপর পড়ে। সে চাঁদ কিছুদিন জোছনা বিলায় আমাদের মাঝে।অমাবস্যায় কেউ চাঁদকে ভুলে যায় না।অপেক্ষা করে জোছনা ফিরে আসার ।সূর্য না হই ,মাঝে মধ্যে জোছনা হতে চাই।অমাবস্যায় হাহাকার হতে চাই মানব মনে।

আলমগীর জনি

গল্প বলি

আলমগীর জনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডয়েচে ট্যাগবুখ- জার্মান ডায়েরিঃ ৪

১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:৫৪



কোথায় যেন পড়েছি , মানুষ একাকী খেতে পারে না। আমি বলব, মানুষ একাকী হয়তো খেতে পারে কিন্তু একাকী ইফতার করার মত কষ্ট পৃথিবীতে খুব বেশি নাই। জীবনের বেশিরভাগ সময়ই পরিবারের বাহিরে কাটানো হয়েছে কিংবা পরিবার ছাড়া রোজার মাসের অনেকগুলো দিন কাটানো হয়েছে। কিন্তু কখনোই পরিবার ছাড়া পুরো রোজার মাস কাটে নি। বিদেশের মাটিতে আপনি যে জিনিসটা প্রতিটা ধাপে ধাপে মিস করবেন সেটা আপনার পরিবার। পরিবার বলতে বাবা, মা ,ভাই , বোন সহ যারা আছে তারা সবাই। আর বন্ধুবান্ধবও একটা পরিবার।

এই লিখাটা যখন লিখছি তখন ইউটিউবের প্লে লিস্টে বাজছে ওরে নীল দরিয়া গানটা আর এই লাইনটা লিখার সময় বাজছে ,

হইয়া আমি দেশান্তরী...
দেশ বিদেশে ভিড়াই তরী, রে
হইয়া আমি দেশান্তরী...
দেশ বিদেশে ভিড়াই তরী, রে

আহা! লিখার সাথে কি অপরূপ ব্যাকগ্রাউন্ড । প্রকৃতি মাঝেমধ্যে মিলিয়ে দেয় অনেককিছু। বিদেশের মাটিতেও এমন কিছু কিছু মানুষ মিলে যায়। নতুন নতুন পরিবার গড়ে উঠে। যদি এক একজনের মনের মধ্যে বসবাস করা নিজের পরিবারটার জন্য হাঁসফাঁস করাটা একটু কমে আর কি! না কমলেও কিছু করার নাই। মানুষের জীবনটাই সম্ভবত এমন।

যাক দুঃখ গাঁথা বাদ দেয়া যাক । শুরু করেছিলাম ইফতার নিয়ে। প্রথমদিনের ইফতার কেটেছে ওয়ার্কপ্লেসে। রাতে সেহরি খেয়ে ঘুমিয়ে যাই আর সকালে উঠে ভাবি কি নেয়া যায় ইফতারে। ইফতার বলতে আমি বুঝি ছোলাভুনা, মুড়ি, মচমচে পেয়াজু ,আলুর চপ কিংবা বেগুনী। আর অবশ্যই লেবুর শরবত । এসব ভুলে যাওয়ার দিন এসে গেছে। সময় এখন ইফতারে নুডলস ,আংগুর ,ডিম সেদ্ধ ,খেজুর এসব খাওয়ার । কি অমানবিক!

ইফতার করে লম্বা হয়ে শুয়ে থাকাটা এখন মিস করি। দেখা গেছে ১৫-২০ মিনিটে ইফতার করে আবার কাজে মনোযোগ দিতে হয়। দ্বিতীয় দিনের ইফতারও এভাবেই শেষ হয় তবে কালকে ছোলা আর মুড়ি ছিল ইফতারে। আর আজকে ছোলাভুনা, মুড়ি , মচমচে পেয়াজু ,আলুর চপ, বেগুনী, মাল্টা সবই ছিল । আলহামদুলিল্লাহ্‌ প্রথম ইফতার ডান না লিখতে পারলে আলহামদুলিল্লাহ্‌ থার্ড ইফতার ডান লিখাই যায়!

কিছু একটা লিখব লিখব বলে নানান ব্যস্ততায় কিছুই লিখা হচ্ছিল না। আজকে একদম লিখেই ফেললাম। না লিখলে হাঁসফাঁস লাগে। যদিও এই হাঁসফাঁস করাটা দেশে থাকা পরিবারের জন্য হাঁসফাঁস করার কাছে কিছুই না। মানুষ হিসেবে আমাদের কাজ যতটা সম্ভব হাঁসফাঁস কমিয়ে শ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকা।

পুনশ্চঃ লিখা বড় করা যাচ্ছে না। সেহরির জন্য খাবার রেডি করতে হবে। রান্না করতে ভালো লাগে না এখন ।আম্মা নাকি ৫০ বছর ধরে রান্না- বান্না করেন!



মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: ইফতারে এতকিছু এবার পেলেন কোত্থেকে- নিজেই করেছেন?

১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:১৮

আলমগীর জনি বলেছেন: ব্যাপারটা কাকতালীয় । আমি ছোলা ভেজেছিলাম দুইদিন আগে। তাই এক বন্ধুকে বললাম চলে আসতে বাসায় এক সাথে ইফতার করব। ও আসার সময় পেয়াজুর ডাল ব্লেন্ড করে নিয়ে আসে। আর আমার হাউজমেট বাঙ্গালী ভাই এসব দেখে ডিম চপ আর বেগুনী করেন। ওই ভাইয়ের আবার একজন গেস্ট আসছিল ।উনি ফ্যামিলি নিয়ে থাকেন। উনি আবার অনেক কিছু বানিয়ে নিয়ে আসেন। সব মিলিয়ে খুব ভালো দেশী ইফতার হল।

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:১১

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টি পড়ে খারাপ লাগলো।
আমি শুধু ইফতার না, কোনো কিছুই একা খেতে পারি না। একা খেলে নিজেকে খুব অসহায় লাগে।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:১৮

আলমগীর জনি বলেছেন: একা খেতে খেতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। তাই এখন পারি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.