নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল-আমীন

আলআমীন নব্বই

আলআমীন নব্বই › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ আমি ব্যক্তিগতভাবে রাজাকারদের ফাসিঁ চাই। কিন্তু শাহাবাগী স্টাইলে চাই না...

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৮

ব্লগার ভাইদের কাছে অনুরোধ করছি প্রথমেই, যদি আমার লেখায় কারো কোন আপত্তি বা সহমত না থাকে দয়া করে গালাগালি কিংবা ধর্মীয় বিষয়াদি নিয়া তিরস্কার করবে না........



১. বাংলাদেশের সনাতন ধর্মীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে গিয়ে আমরা কি তাদের রীতিনীতি অনুযায়ীর বিপরীতে কোন নিয়ম চালু করতে বললে হিন্দু সম্প্রদায় মেনে নিবে কিংবা তাদের কাছে এ রকম প্রস্তাব দেয়াটা কি যুক্তিসংগত হবে? কথনোই না। তাদের ধর্মকে বরং অসম্মানই করা হবে, উপহাসের পাত্রই করা হবে।



২. খ্রিস্টানদের উপাসনালয়ে গিয়ে যদি বলি আজ আপনাদের নিয়ম একটু পাল্টে দিন, তা কি তারা করবে? আমাদের এটা বলা হবে চরম অসভ্যতা।



৩. ইসলামের রীতি অনুযায়ী ফরয ইবাদত হলো দুই প্রকার।

ক. পাচঁ ওয়াক্তের ফরয নামাজ,

খ. জানাযার ফরয নামায।

এখন আসি নামাযের পূর্ব শর্ত কি?



নামাযের পূর্ব শর্ত হলো পবিত্রতা হওয়া। মহান আল্লাহ পাক পবিত্র আল-কোরআনের অসংখ্য জায়গাতে নামাযের তাগিদ দিয়েছেন। আবার অন্যত্র নামাযের কাছেও যেতে নিষেধ করেছেন, নামায পড়া তো দূরে থাক। নিষেধ করেছেন স্বেচ্ছায়-ইচ্ছ্বাকৃতভাবে নাপাকি অবস্থায়,নামাযের কাছে যেতে বারণ করেছেন। যদি এ নিয়ম নীতি পালন না করা হয়, তা ইসলামের বিরুদ্ধাচরণ ছাড়া আর কি?



যুদ্ধাপরাধীরের বিচার করা সময়ের দাবি। এ দাবি আদায়ের মঞ্চ শাহাবাগের কথিত ব্লগার রাজীবের লাশ নিয়ে লাশের রাজনীতি করার সাথে আমি সহমত নই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই, তবে তার জন্য অসভ্য ব্লগারদের শাহবাগের উপস্থিতি জরুরী না, অসভ্য ব্লগারের জানাযার নামে ইসলামকে উপহাস করাটা জরুরী না।



জরুরী না এর জন্য যে,

১. ইসলামের পর্দা জরুরী, ফরয করা হয়েছে নর-নারীর জন্য। ফরয পর্দা অমান্য করে নর-নারীর সমবেত জানাযার নামায আদায় করাটা ইসলামের নিয়মকানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখানোই হয়েছে। আমি কাদের সিদ্দিকী মতো কিংবা ধর্মান্ধদের মতো কিংবা অপ্রচারে লিপ্তদের মতো নই। আসলেই মানতেই হবে যে, জানাযার নামাযের নামে ইসলামকে উপহাসই করা হয়েছে।

২. মৃত ব্যক্তিকে দ্রুত দাফনের ব্যবস্থা করাই ইসলামের নিয়ম, লাশ নিয়ে মিছিল করার দ্বারা দাফনের বিলম্ব করাটা কতটুকু ঠিক?

৩. আজ রাজীবকে নিয়ে শাহবাগে আন্দোলন হচ্ছে অথচ সরকার রাজীবের খুনিদের সনাক্তই করতে পারছে না, বরং রাজীবকে নিয়ে রাজনীতিতে ফায়দা লুটছে।



শেষ কথা, যার কোন অভিভাবক নাই তার অভিভাবক শয়তান। আজ শাহবাগের অভিভাবকহীন আন্দোলনের অভিভাবক কে?



আজ আমি ব্যক্তিগতভাবে রাজাকারদের ফাসিঁ চাই। কিন্তু শাহাবাগী স্টাইলে চাই না।



মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৪

ফায়ারম্যান বলেছেন: "যুদ্ধাপরাধী -ধর্ম অবমাননাকারী ভাই ভাই
এক রশি তে ফাঁশি চাই "

জাগরন মঞ্চ থেকে শাহবাগের নেতৃবৃন্দের এখনি উচিৎ নিজেদের তরফ থেকেই নবী-রাসুলকে - ধর্মকে অবমাননাকারী কথিপয় ব্লগারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নিতে সরকারের প্রতি আল্টিমেটাম দেয়া ।

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

আরিফ১৯৭৮০০৭ বলেছেন: শয়তানের দোষর বলদা রাজীব যেমন কাজ করেছে তার জন্য সেই রকম (শয়তান সমৃদ্ধ) জানাযার নামাজ ঝুটেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.