নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এলিয়েন এলান খান

পরিশ্রম করি , তাই কোন কিছু ভয় পাই না । আমি স্বনির্ভর । ভালবাসতে জানি ।

এলিয়েন এলান খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

অতি সন্ন্যাসীতে গাজা নষ্ট

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:২৩

একটি কোম্পানিতে ছিল এক পরিশ্রমী পিঁপড়া।
প্রতিদিন সকাল ৯টায় সে অফিসে আসত।
কারও সঙ্গে গল্পে সময় নষ্ট না করে, চুপচাপ কাজে লেগে যেত।
তার কাজের মান ও পরিমাণ—দু’টোই ছিল অসাধারণ।
কোম্পানির উৎপাদন বেড়ে যেত তার পরিশ্রমে, আর সে নিজেও সুখে-আনন্দে কাজ করত।

অফিসের সিইও সিংহ একদিন অবাক হয়ে ভাবল,
“এই পিঁপড়াটা তো কোনো সুপারভিশন ছাড়াই এত কাজ করছে!
তাহলে যদি ওর ওপর একজন সুপারভাইজার দেওয়া হয়,
তাহলে উৎপাদন তো আরও বাড়বে!”

তাই সিংহ পিঁপড়ার সুপারভাইজার হিসেবে একটি তেলাপোকাকে নিয়োগ দিল।
তেলাপোকাটির বহু বছরের অভিজ্ঞতা ছিল এবং রিপোর্ট লেখায় সে দারুণ দক্ষ।

তেলাপোকা অফিসে এসেই বলল,
“এই অফিসে তো কোনো উপস্থিতি রেজিস্টারই নেই!
একটা অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম জরুরি।”
কিছুদিনের মধ্যেই সে বুঝল,
রিপোর্ট তৈরিতে তার একজন সেক্রেটারি দরকার।
তাই সে একটি মাকড়সাকে নিয়োগ দিল,
যে ফোনকল মনিটর করবে, ফাইল সাজাবে, এবং নথিপত্র গুছিয়ে রাখবে।

এদিকে সিংহ বেশ খুশি—
তেলাপোকা প্রতিদিন গ্রাফ, রিপোর্ট আর বিশ্লেষণসহ
অফিসের উৎপাদন নিয়ে আপডেট দিচ্ছে।
সিংহও এসব রিপোর্ট বোর্ড মিটিংয়ে দেখিয়ে বাহবা পাচ্ছে।

কিন্তু কিছুদিন পর তেলাপোকার দরকার হলো
একটা কম্পিউটার, প্রিন্টার, আর আইটি ডিপার্টমেন্ট।
তাই সে মাছিকে আইটি অফিসার হিসেবে নিয়োগ দিল।

এখন পিঁপড়ার জীবন পুরো বদলে গেল।
যে পিঁপড়া আগে আনন্দে গান গাইতে গাইতে কাজ করত,
এখন তাকে সারাক্ষণ ফর্ম পূরণ, রিপোর্ট লেখা,
আর মিটিংয়ে হাজিরা দিতে হয়।
ফলে কাজের সময় কমে গেল, উৎপাদনও নেমে এল।

সিংহ বুঝল, কিছু একটা সমস্যা হচ্ছে।
তাই সে সিদ্ধান্ত নিল, পিঁপড়ার বিভাগকে আলাদা ডিপার্টমেন্ট বানিয়ে
একজন ডিপার্টমেন্ট হেড নিয়োগ দিতে হবে।

এবার প্রধান হিসেবে এলো ঝিঁঝিপোকা।
প্রথম দিনেই সে নিজের জন্য বিলাসবহুল চেয়ার, কার্পেট,
আর সাজানো অফিস অর্ডার দিল।
কিছুদিন পর বলল,
“আমার একটা ব্যক্তিগত সহকারী ও কম্পিউটার দরকার।”
বলেই নিজের আগের অফিসের একজন পুরনো লোককে সহকারী বানাল।

ধীরে ধীরে পিঁপড়ার অফিসের পরিবেশ পাল্টে গেল।
যেখানে আগে হাসি-আনন্দে কাজ হতো,
এখন সেখানে সবাই মুখ গোমড়া করে চুপচাপ কাজ করে।

ঝিঁঝিপোকা সিংহকে বোঝাল,
“কাজের পরিবেশ উন্নয়নের জন্য একটা স্টাডি দরকার।”
সিংহ রাজি হলো এবং বিখ্যাত কনসালট্যান্ট পেঁচাকে নিয়োগ দিল
অফিসের অবস্থা বিশ্লেষণের জন্য।

তিন মাস পর্যবেক্ষণের পর পেঁচা একটি মোটা রিপোর্ট দিল।
তার সারসংক্ষেপ ছিল —
“অফিসে কর্মী প্রয়োজনের তুলনায় বেশি।
উৎপাদন বাড়াতে হলে কর্মী ছাঁটাই করা জরুরি।”

পরের সপ্তাহেই কয়েকজন কর্মী ছাঁটাই করা হলো।
সবচেয়ে প্রথমে বাদ পড়ল সেই পিঁপড়া—
যে একসময় এই অফিসের আসল চালিকাশক্তি ছিল।

পেঁচার রিপোর্টে লেখা ছিল,

> “এই কর্মীর মোটিভেশন কমে গেছে,
সে নেতিবাচক আচরণ করছে,
যা অফিসের পরিবেশ নষ্ট করছে।”
---

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: কেতাদূরস্ত অথচ ব্যর্থ একটি প্রতিষ্ঠানের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন। বেশিভাগ স্টার্টআপ ফেইল করে এই সব কেতাদূরস্ত পানা দেখাতে গিয়ে।

অতি সন্ন্যাসীতে গাজা নষ্ট- শব্দটা গাজা নয়, গাজন হবে - অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট

২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৬

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: শিরোনামটা কি ইচ্ছে করেই এরকম লিখেছেন? গল্পটা শিক্ষনীয়। ভাল লিখেছেন।

৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এটা তো অনেক আগের গল্প।

আপনার লিখা না। জানা থাকলে
পিঁপড়ের গল্প

লেখকের নাম উল্লেখ করে দিন।

না জেনে কপি পেস্ট ব্লগে প্লাস দেয়া উচিত নয়। উচিত নয় এ কারণে, তিনি নাম বা সূত্র উল্লেখ করেন নি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.