নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Al Firdaws

Al Firdaws

সত্যবাদিতায় আপোষহীন

Al Firdaws › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনের (OHCHR) কার্যালয় স্থাপনের ঘোষণায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি প্রদান করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের ২৪৪ জন শিক্ষক উদ্বেগ

০৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:০০

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনের (OHCHR) কার্যালয় স্থাপনের ঘোষণায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি প্রদান করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের ২৪৪ জন শিক্ষক উদ্বেগ। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট ২০২৫) এ বিবৃতি দেন তারা। বিবৃতি প্রদানকারী শিক্ষকের মধ্যে রয়েছেন ৫০ জন অধ্যাপক, ৪১ জন সহযোগী অধ্যাপক, ৭৮ জন সহকারী অধ্যাপক এবং ৭৫ জন প্রভাষক। বিবৃতি প্রদানকারী শিক্ষকদের বিস্তারিত তালিকা http://www.mullobodh.com ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা, বাংলাদেশের শিক্ষক সমাজ, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনের (OHCHR) কার্যালয় স্থাপনের ঘোষণায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা মনে করি, এ সিদ্ধান্ত দেশের সার্বভৌমত্ব, শিক্ষা-সংস্কৃতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মানসিক গঠনের ওপর দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যদিও মানবাধিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তবে জাতিসংঘের ‘মানবাধিকার’ ধারণা অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। পূর্বে দেখা গেছে, এই ধরনের আন্তর্জাতিক অফিস পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তবায়নের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহৃত হয়—যেমন এলজিবিটি (LGBTQ+), ইউনিফর্ম ফ্যামিলি কোড, গর্ভপাতের বৈধতা ইত্যাদি। ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ পরিপন্থী এসব বিষয় আমাদের পাঠ্যক্রমে চাপিয়ে দেবার মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থা ও সমাজে বিভ্রান্তি ও সংকট তৈরির যৌক্তিক শঙ্কা আমাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে।"
তারা বলেন, এই অফিস প্রাথমিকভাবে ৩ বছরের একটি প্রজেক্ট হিসেবে দেখানো হলেও বাস্তবে এটি দীর্ঘমেয়াদে রূপ নিতে পারে, যা ভবিষ্যৎ সরকারের স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণের পথ সংকীর্ণ করে দিতে পারে। বিশ্বের যেসব দেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস রয়েছে, সেসব দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা ও আন্তর্জাতিক মর্যাদা প্রশ্নবিদ্ধ। উপরন্তু সরকারের এ সিদ্ধান্ত জনগণের মতামত ও জাতীয় ঐক্যের পরিপন্থী।
তারা আরও বলেন, আমরা মনে করি, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জনগণের মতামত, ধর্মীয় নেতৃত্ব, জাতীয় সংসদ ও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত ছিল। দেশের শিক্ষা-সংস্কৃতি-সার্বভৌমত্ব এবং ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ রক্ষার স্বার্থে আমরা এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।"
বিবৃতি প্রদানকারী শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহাম্মদ ওমর ফারুক ও সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুস সবুর, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (আইইউবি) সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রভাষক আসিফ মাহতাব উৎস, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামীমা তাসনীম, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আরিফ মোর্শেদ খান, মেডিকেল কলেজ ফর ওমেন অ্যান্ড হসপিটালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মিলিভা মোজাফফর, বুয়েটের অধ্যাপক মো. মাসুদ করিম এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. লামিউর রায়হানসহ অন্যান্য শিক্ষাবিদরা।
উল্লেখ্য, বিবৃতি প্রদানকারীদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ জন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ জন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ জন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৯ জন, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের ৬ জন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ জন, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ জন, বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের ৪১ জনসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষকগণ রয়েছেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.