![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুসলিম শিক্ষার্থীরা সকালের প্রার্থনায় কুরআন তেলাওয়াত করার ভারতের আসাম রাজ্যের বঙ্গাইগাঁও জেলার একটি সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনা সামনে আসতেই মুসলিম সমাজে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। তারা বলছে, মুসলিম এলাকায় মুসলিম শিক্ষার্থীদের কুরআন পড়া কোনো অপরাধ নয়।
গত ১৮ আগস্ট আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এক্স-এ (টুইটার) জানায়, বঙ্গাইগাঁওয়ের পশ্চিম ভদ্রাওঁ নিম্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, স্কুলটি মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় মুসলিম শিশুরা নিয়মিত কুরআন পাঠ করতো। কিন্তু রাজ্য সরকার এটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ব্যবস্থা নেয়। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এক্সে লিখেছে, 'বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। আমরা স্কুলে কোনো ধরনের মৌলবাদ ঢুকতে দেব না।'
মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে আপত্তি জানাচ্ছেন। তাদের বক্তব্য, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় মুসলিম শিক্ষার্থীরা কুরআন পড়লে সেটি স্বাভাবিক ধর্মীয় অনুশীলন। কেউ কেউ বলেছেন, ছোটবেলায় তারা নিজেরাও স্কুলে হনুমান চালিশা বা অন্যান্য ধর্মীয় গান পড়েছেন, কিন্তু তখন সেটিকে কখনো 'হিন্দু মৌলবাদ' বলা হয়নি। তাহলে কেবল মুসলিম শিশুদের কুরআন পড়া কেন অপরাধ হিসেবে দেখা হবে?
উল্লেখ্য যে, প্রতিনিয়ত হিন্দুত্ববাদী ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ ও দমন পীড়নমূলক আচরণ করা হচ্ছে। মুসলিমদের ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক সহ সকল ধরণের অধিকার সংকীর্ণ করে দিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, হিন্দুত্ববাদী ভারতে মুসলিমদের নিধন করা ও তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক করাই যেন প্রশাসন ও উগ্রবাদী সংগঠনগুলোর মূল লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে।
©somewhere in net ltd.